নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মিলাপ :-তাপসী লাহা





আহা মন , রোদ ছায়ার এই নিত্য খেলায় অংশ নাও যখন মেঘের গুড়্গুড় তখনও ভোরের প্রথম আলোর মত কিছু সত্য।

জানালার শিক কেটে মন ভালোরা তাও ঢুকে পড়বে  ঘরের মেঝেয় আর পাখিদের সম্মিলিত কোরাস কলরবে বুঁদ হয়ে কাঠবেড়ালি হাওয়ারা বলবে ও লো, সই, আয় রে আয় , এই আমাদের কিচিরমিচির এতেই আছে তোর অসুখের দাওয়াই।

কান পাশে একটু আলতু ঠোটমগ্নতা,
আর অবাক মন্ত্রের পিহুকণায় তুই আবার সেই  তেপান্তরে হারিয়ে যাওয়া রাজকন্যার হইচইরবে প্রত্যাবর্তন।

  যে  পথ তোর ফেরা চিনে নেবে,দুধারে সারি সারি গাছ,নাম জানা, নাম না জানা ওদের বিভঙ্গে শুধু হর্ষ,রুপ আর মোক্ষ।

আর সব জীব, জড় আর আনন্দের কোলাজে কাহার্বা বেজে ওঠবে তোর বাহারি ঘাঘরার আন্দোলিত ছন্দে। ফুলে ফলে সুগন্ধের মাতাল করা এমন প্রজাপতির মতন ক্লেদহীন আকাশে  সুর ঘনাবে চিরমলনের।

রাতের ভাঁজে চশমাকাচে:- সৌমেন দাস




রাত বাড়ে

ফ্যাকাশে হয় অনুভূতির মানিপ্লান্ট

শেষ চুমুকে পেয়ালাজুড়ে উঁকি দেয়
কত শত কাহিনিরা

শীর্ণ হয়ে আসে খুশির রেখা

টেবিলে রাখা নতুন চশমাটাও ঠাট্টা করে

ভিজে যায় নিরিহ দুটি চোখ

আর পদ্যরা সব গদ্যপাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে …

ফাঁকি দিয়ে :- মান্নুজা খাতুন ( মালা)



ফাঁকি দিয়ে যদি লুকায় মাগো
মেঘের আড়াল কোনে
দিনের শেষে হন্য হয়ে
খুজবি কি আর পথে?

খাবার খেতে বসবি যখন
চিনু মিনুর সাথে
আমার অনুপস্থিতি দেখে
ডাকবি কি আর খেতে?

দিনের শেষে ফিরতে হলে দেরি
বারে বারে করবি কি আর খোঁজ
পদধ্বনি শুনলে মাগো
দু চোখ রোষে আগুন করে
বকবি কি মা রোজ?

ছোট্ট আমি ভয় পেলে মা
গভীর রাতের শেষে
উঁকি মেরে দেখবি কি মা
দোরের আড়াল হতে!
সত্যি করে বল না মা আমায়!
তোর ওই বন্য চোখের দুপথ বেয়ে
ফেলবি কি আর অশ্রুধারা
দীর্ঘদিনের জন্য যদি
লুকায় মাগো কোথাও।।

ভুলটুল: রাকেশ কুণ্ডু




প্যাকেট ভর্তি নিকোটিন আর
বুকের ভেতর তাসের দেশ ।
অন্ধকারে ঠোঁট পুড়ে যায়
করতে গিয়ে হিসেব নিকেশ ।

সাক্সেস রেট নামছে দ্রুত
হচ্ছে উঁচু ভুলের পাহাড় ..
জিতবো বলেই নামছি মাঠে ..
তবুও দেখো হারছি 

ভালো থেকো : রৌনক









চলতি পথে সেই দেখা যে হলো,
ভাবিনি সম্ভব হবে কোনদিন,
ঝড়ের পূর্বে সব শান্ত হয়ে গেলো,
অতীতের কাছে বাকি আছে ঋণ।।

শেষের দেখায় কান্না ছিলো চোখে,
এখন হাসি ঝরে ঠোঁটের কোনে,
থমকে গেলাম হঠাৎ তোমায় দেখে,
নামলো শ্রাবন চোখের মধ্যিখানে।।

আকাশ তখন মেঘলা হয়ে আসে,
স্মৃতি থাকে বৃষ্টির প্রত্যেক ফোঁটায়,
সব ভুলে মন তোমাতেই ভাসে,
মৃত ইচ্ছে জ্যান্ত হয় হৃদয় আঙিনায়।।

পরনে লাল চোখে কাজল লাগছে বেশ,
হয়তো আজ প্রয়োজন নেই আমার,
গল্পটা হয়েছে অনেক আগেই শেষ,
মহোৎসবে মেতেছে দেশ তোমার।।

বছর আটেক গেলো বিচ্ছিন্ন হয়ে দুজন,
সময়ের হিসাব বলছে অনেক কথা,
গেলো দিনে ছিলাম তোমার স্বজন,
দিনের গভীরে সয়ে গেছি  ব্যথা।।

হাজার প্রশ্ন ঠোঁটের কোনে রয়,
উপাধি'তো প্রাক্তন দিয়েছে সমাজ,
ভীষণ জ্বরে মন, তোমার কথাই কয়,
খুশিতে ভরুক তোমার মনখারাপী সাঁঝ।।

বাতাস মেতেছে নতুন গানের সুরে,
রাজ্য আমার ধ্বংসের মুখে প্রায়,
গেলে অজুহাতের পাহাড় গড়ে,
ভাবি কি করে তোমায় মোছা যায়।।

ভালো থেকো তুমি তার ভালোবাসায়,
আমার ইচ্ছেদের মৃত্যু হোক তোমার সকল আশায়।।

               

পায়ে পায়ে বিকেল বেলা : বৈশাখী গোস্বামী





পায়ে পায়ে বিকেলবেলা,
পথ গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে
কে লেখে, কার কথা?
শুধু গল্প বলার ছুতোয়
আটকে গেছে বিকেল শেষের ঠোঁট
জমিয়ে রাখা মুঠোফোনের মুঠোয় ।
একটা দু'টো চলতি পথ
হালকা হওয়ার নেশায়,
পথ গড়িয়ে ফিরতি পথ
সরল নাকি ব্যস্তনুপাতিক হারে?
থমকে যাওয়া সমীকরণ শেষে
হাঁটতে থাকি মনখারাপের দেশে।