নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

দাসপ্রথা ও দাসত্ব : সারিফ হোসেন


ইতিহাসের পাতা খুঁজলে পাওয়া যায় শব্দ দুটি
              " দাসপ্রথা ও দাসত্ব ”।

ইংরেজি ভাষার মায়াজালে
               আজ গর্বিত বাঙালির ও
বাংলা ও বাঙালীয়ানার ভাবনা ছেড়ে
               ইংরেজি দাসপ্রথার দাসত্ব মানে।।

শ্বেতবর্ণের নেশায় চড়ে
               গর্বিত কৃষ্ণের ভক্তও
কৃষ্ণকলির কৃষ্ণকায় দেখে লজ্জিত
               কারণ আমরা শ্বেতকায় আবদ্ধ।।

নীল আকাশের নীচে বসে
               বিন্দু বৃষ্টির স্পর্শ নিয়ে
ভাবি আমি, আমরা আজও কি
               "দাসপ্রথা ও দাসত্বের" গন্ডি পেরিয়েছি?


জানিনা, উত্তর নিজ নিজ
               আপন মননের অন্তরালে
খুঁজতেই হবে পথ আমাদের
               নতুবা রইবো আমরা দাসত্বেরই বেড়াজালে।।

সব্যসাচী তাই : রাজিত বন্দোপাধ্যায়

     

পৃথিবীর সব কথা , সব ব্যথা     
সহেও যেন শব্দ বেছে যাই ,   
সমস্ত অন্যায়ে যেন --   
শব্দের সংঘাতে কাটতে চাই ।   
আমি শুধু কবি নই ছন্দের -- 
অক্ষর অস্ত্র হাতে সৈনিক ভাই !   
জীবনের শত রণে -- 
লড়ি একা সব্যসাচী তাই ।। 


শিরোনামহীন গল্প : বিকাশ দাস (বিল্টু )



রাত ঘুমিয়ে আছে,  তারারা ক্লান্ত ,
আর
চাঁদ মেঘের দেশে ---

আমি নির্জন রাতে একা গল্প লিখি ।
যোগ বিয়োগের প্রাপ্তি আর ভালোবাসার ।
তবে -
     কলম দিয়ে নয়,
নীরবে একা আঁধার রাতে  মনে মনে ।

  মন তো কত গল্প লিখে চলে ;
                             সব কি মনে থাকে?
হিসেব চলে..........

 আবার কিছু গল্প শেষ হয়েও শেষ হয়না ।
                                  যদি আরও কিছু হতো....

আমার  গল্পও  শেষ হলো না,
                                শিরোনাম পারিনি  দিতে।
ভাবছি রাত শেষ করবো বুঝি?
            তখনি বুঝি নতুন গল্প শুরু।

 শিরোনাম নতুন প্রভাতের আবছায়া  আলোতে ।
আর,
আমার মন  লিখে চলছে কত না জীবন কথা ।
তবুও _
যোগ বিয়োগ কিছুতেই হিসেবে  আসেনা  না ।
.
.

রাত শেষ, সকাল।
  ------ তবুও গল্প ফুরালো না ।

আগ্রাসী যাপন :হেমন্ত সরখেল



দগ্ধ কাঁচুলি ছেড়ে
মন নামছে-
অমৃত সন্ধ্যার বুকে।
তোমার প্রখর রৌদ্র পুরো নষ্ট দিনটা জুড়ে -
ফালা ফালা, ধিকিধিকি।
করুক তৃপ্ত- সন্ধ্যা, একটু শ্রান্ত হাসি।

আগের ধ্বংসাবশেষ নোনা ইঁটে জড়।
এবারে, তাই রসের ভান্ড নিয়ে বসি -
জীবাশ্ম চাটলেও আর নোনতা লাগবে না।

উন্মুক্ত বুকের প্রচ্ছদে আধখোলা মনের
উঁকি
রন্ধ্র খোঁজে, পদ্মনাভি, কস্তুরী।
নোংরা লাগলে -
হাত গুটিয়ে আবার খোঁজে অমৃতকুম্ভ
আরো নিচে??
শতদ্রুর পিঠের নিচে নিয়েছে শয়ান?

এসব জানা থাকতে নেই।
অজ্ঞের পরিতৃপ্তি অন্তহীন।
হাতেকলমে নামলে শিখবে
বুদ্ধাসনে মুখোমুখি
বিজাতীয় মন্ত্রেই উদযাপন। সন্ধান। নিরসন।

এভাবেই সাঙ্গ হয় পুজো
মেঘ জমে থাকে আঁচলের ডগায় ডগায়
সুন্দরী অহমিকার ডাক কত্থকী-
 ' আয়, তেঁতুলতলায় যাবি?'
       ----এসো, প্রাণসখা।
পাশাপাশি বসে
সেই ছোট্টবেলার মতো
বুড়ো আঙুল চুষি।

বৃষ্টি না এলে, তেমনভাবে আমরা
 - ভিজব কেমন করে?
                         

স্মৃতি :বৈশাখী চক্কোত্তি



বেশ তো আছো। আমার থেকে
 গুটিয়ে নিয়েছ নিজেকে
আমি খুঁজে মরি হণ্য হয়ে
তোমার স্পর্শ লেখনীতে ।

কখনো কি মনে পড়ে
এই শ্যামা মেয়েকে
উনুনতপা আঁচে, ধীরে ধীরে
সেঁকেছিলে যার মনকে?

ভালো থেকো ।
আর পথ হারিয়ে ফেলোনা ।
নদীর ঘন নীল জলে
বন্য গন্ধের আবেশ আর মিশিয়ে দিও না।

দোহাই প্রেম! আমার জীবনে
এনো না আর ফাগুনের বার্তা ।
থাক্ বন্ধ দরজা। কেন বারবার
করাঘাত হানো অশনি সংকেতের দরজা!!!

        

বসন্তের কনকাঞ্জলী: মান্নুজা খাতুন


প্রতিদিন  প্রত্যুষে ভেজাচুলের গোছা মেলে
কার কথা ভাবো তুমি!
 তোমার ভাবনায় এখনো কি আমি আছি?
যে আঁখিদ্বয়ে এঁকেছ  সীমানা অঞ্জনের কালো রেখায়
সেই চোখে আজ তুমি কার ছবি আঁকো?
যে মিস্টি অধরের  হাসির কারণ ছিলাম আমি
সেই অধর তাম্বুলে রঞ্জিত  করে
কার পথ পানে চেয়ে থাকো? কার মুখাবয়ব  দেখে মিটিমিটি  হাসো?
শীত গত হতে আর বাকি নেই বসন্ত নাড়ে দরজায় কড়া
প্রকৃতি সাজে আপন তেজে, বাতাস মুখরিত হয় নানা ফুলের  সৌরভে
সেই বসন্তের প্রথম  দিবসের প্রত্যুষে হলুদ ডুরে শাড়ি পরে আজ তুমি  কার ফেরার পথ চেয়ে রয়েছে?
প্রেয়সী,  বলিবে কি?
তোমার আঁখিদ্বয়ের কাজল, রক্তিম অধর,  হলুদ শাড়ি এসব কার জন্য?