হরিণের চোখ জোড়া আগামী বসন্তে, নিশ্চিত যন্ত্রণা দগ্ধ সিগ্রেটের বিভৎস কংকালে, খুঁজবে অশ্বত্থের পোড়া জীর্ণ বিবর্ণ পাতায় ঋতুর যাপিত অতীত। নদীর চঞ্চল স্রোতে হাসির উচ্ছ্বাসে ঘেসা সুন্দরবন, ক্রমশ থুত্থুরে বুড়ো সুর্যের তাপে অবৈধ সঙ্গম লিপ্সায় কাতর, পিপাসায় জন্ম দেবে মৃত শাদা বালুর কফিন। লিখে যাচ্ছি, এই উনিশের মার্চে নিরাসক্ত নির্মল আবেশে, নৈর্ব্যক্তিক ও নৈঃশব্দের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও, আদিগন্ত প্রাকৃতিক জীর্ণ জটাজালে, ফুটন্ত শাপলার প্রণয় উপাখ্যান। প্রবঞ্চনা তিক্ত বিষন্ন মনে, নিরন্তর ছুটে চলে দৈন্য দশায়, হাঁটু গেড়ে প্রার্থনার সঙ্গীতে সুরে সুরে বহুদূর পরিচ্ছন্ন উল্লাসে, স্মৃতিঘেরা দেয়ালে রক্ত পাষাণ, মুখচ্ছবি, খড়কুটো, নির্মল বসন্ত, কোকিলের কুহুতান, ছড়ায় বিদ্বেষ মহামারী, বরং ভুভাগে চঞ্চল নিরঞ্জন মিলেমিশে একাকার, প্রাণান্তকর প্রয়াসে দুঃস্থ বিবর্ণ সঞ্চরণে ঘনঘোর নীলিমার আক্ষেপ। সহস্র কবিতা পেলো কালির আঁচড়, অজস্র কবিতা ভ্রুণ অবস্থায় হারালো প্রাণচাঞ্চল্য, তবু কিছু কবিতা জন্মায় যাদের আদলে গড়ে ওঠে তাজমহল, কবি নয়, বরং কবিতাই কবিতার একনিষ্ঠ গর্ভধারিণী, কবিতা ও কবির গভীর প্রণয়ে কবিতা ক্রমশ হয়ে ওঠে কিশোরীর প্রস্ফুটিত স্তন।