হরিণের চোখ জোড়া আগামী বসন্তে, নিশ্চিত যন্ত্রণা দগ্ধ সিগ্রেটের বিভৎস কংকালে, খুঁজবে অশ্বত্থের পোড়া জীর্ণ বিবর্ণ পাতায় ঋতুর যাপিত অতীত। নদীর চঞ্চল স্রোতে হাসির উচ্ছ্বাসে ঘেসা সুন্দরবন, ক্রমশ থুত্থুরে বুড়ো সুর্যের তাপে অবৈধ সঙ্গম লিপ্সায় কাতর, পিপাসায় জন্ম দেবে মৃত শাদা বালুর কফিন। লিখে যাচ্ছি, এই উনিশের মার্চে নিরাসক্ত নির্মল আবেশে, নৈর্ব্যক্তিক ও নৈঃশব্দের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও, আদিগন্ত প্রাকৃতিক জীর্ণ জটাজালে, ফুটন্ত শাপলার প্রণয় উপাখ্যান। প্রবঞ্চনা তিক্ত বিষন্ন মনে, নিরন্তর ছুটে চলে দৈন্য দশায়, হাঁটু গেড়ে প্রার্থনার সঙ্গীতে সুরে সুরে বহুদূর পরিচ্ছন্ন উল্লাসে, স্মৃতিঘেরা দেয়ালে রক্ত পাষাণ, মুখচ্ছবি, খড়কুটো, নির্মল বসন্ত, কোকিলের কুহুতান, ছড়ায় বিদ্বেষ মহামারী, বরং ভুভাগে চঞ্চল নিরঞ্জন মিলেমিশে একাকার, প্রাণান্তকর প্রয়াসে দুঃস্থ বিবর্ণ সঞ্চরণে ঘনঘোর নীলিমার আক্ষেপ। সহস্র কবিতা পেলো কালির আঁচড়, অজস্র কবিতা ভ্রুণ অবস্থায় হারালো প্রাণচাঞ্চল্য, তবু কিছু কবিতা জন্মায় যাদের আদলে গড়ে ওঠে তাজমহল, কবি নয়, বরং কবিতাই কবিতার একনিষ্ঠ গর্ভধারিণী, কবিতা ও কবির গভীর প্রণয়ে কবিতা ক্রমশ হয়ে ওঠে কিশোরীর প্রস্ফুটিত স্তন।
নোটিশ বোর্ড
কিশোরীর প্রস্ফুটিত স্তন : নয়ন হাফিজ
হরিণের চোখ জোড়া আগামী বসন্তে, নিশ্চিত যন্ত্রণা দগ্ধ সিগ্রেটের বিভৎস কংকালে, খুঁজবে অশ্বত্থের পোড়া জীর্ণ বিবর্ণ পাতায় ঋতুর যাপিত অতীত। নদীর চঞ্চল স্রোতে হাসির উচ্ছ্বাসে ঘেসা সুন্দরবন, ক্রমশ থুত্থুরে বুড়ো সুর্যের তাপে অবৈধ সঙ্গম লিপ্সায় কাতর, পিপাসায় জন্ম দেবে মৃত শাদা বালুর কফিন। লিখে যাচ্ছি, এই উনিশের মার্চে নিরাসক্ত নির্মল আবেশে, নৈর্ব্যক্তিক ও নৈঃশব্দের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও, আদিগন্ত প্রাকৃতিক জীর্ণ জটাজালে, ফুটন্ত শাপলার প্রণয় উপাখ্যান। প্রবঞ্চনা তিক্ত বিষন্ন মনে, নিরন্তর ছুটে চলে দৈন্য দশায়, হাঁটু গেড়ে প্রার্থনার সঙ্গীতে সুরে সুরে বহুদূর পরিচ্ছন্ন উল্লাসে, স্মৃতিঘেরা দেয়ালে রক্ত পাষাণ, মুখচ্ছবি, খড়কুটো, নির্মল বসন্ত, কোকিলের কুহুতান, ছড়ায় বিদ্বেষ মহামারী, বরং ভুভাগে চঞ্চল নিরঞ্জন মিলেমিশে একাকার, প্রাণান্তকর প্রয়াসে দুঃস্থ বিবর্ণ সঞ্চরণে ঘনঘোর নীলিমার আক্ষেপ। সহস্র কবিতা পেলো কালির আঁচড়, অজস্র কবিতা ভ্রুণ অবস্থায় হারালো প্রাণচাঞ্চল্য, তবু কিছু কবিতা জন্মায় যাদের আদলে গড়ে ওঠে তাজমহল, কবি নয়, বরং কবিতাই কবিতার একনিষ্ঠ গর্ভধারিণী, কবিতা ও কবির গভীর প্রণয়ে কবিতা ক্রমশ হয়ে ওঠে কিশোরীর প্রস্ফুটিত স্তন।
অন্তরালে: ঋজু
শাশ্বত ওমের অন্তরালেও বাষ্প জমে মেঘ বাড়ে;আমি দেখেছি
গহন পলাশ-লালে বৃষ্টি রং কেমন দগদগে লাগে; পোকার মতো নেভে ফাগুন সেদিন
দেখতে দেখতে নিজের বুড়ো আঙুলের অবচেতন চাপেও খলবলি বীর্যের মতোন
ঝরে যায় বাড়ির কাঠামো-পাঁচিল।
কখনো কবিতার প্রয়োজন আমাদের পড়েনি সত্যিটা বলতে,
পড়ে ও না...
শেষ অন্তর্বস্ত্র টুকু হারিয়েও আত্মীয়তা হাঁসির রোজনামচা হারায়না...
তার ও ওপাড়ে স্নানভীরু সভ্যতা।
দেহ জুড়ে তার অনেক চুপকথা রাত জেগে জাল বোনে...উই জমে
ও কে মুখ ডোবাচ্ছে ওর বুকের মাঝখানটায়..
কুমকুম স্বরে...
গোপনে... ভীষন গোপনে....ও কে?
কে?
দেখতে দেখতে জানা আর মানার বিয়োগ টা আরো স্পষ্ট করে বোঝা যায়
অবশিষ্ট সুবাস টুকুও ততক্ষণে প্যারালাইড;
নিশ্চুপ
রক্তাক্ত।
রাজকন্যে,আজ তো মানো,মুখ কখনো মুখোশের চেয়ে সত্যবাদী হতে পারে না???
গহন পলাশ-লালে বৃষ্টি রং কেমন দগদগে লাগে; পোকার মতো নেভে ফাগুন সেদিন
দেখতে দেখতে নিজের বুড়ো আঙুলের অবচেতন চাপেও খলবলি বীর্যের মতোন
ঝরে যায় বাড়ির কাঠামো-পাঁচিল।
কখনো কবিতার প্রয়োজন আমাদের পড়েনি সত্যিটা বলতে,
পড়ে ও না...
শেষ অন্তর্বস্ত্র টুকু হারিয়েও আত্মীয়তা হাঁসির রোজনামচা হারায়না...
তার ও ওপাড়ে স্নানভীরু সভ্যতা।
দেহ জুড়ে তার অনেক চুপকথা রাত জেগে জাল বোনে...উই জমে
ও কে মুখ ডোবাচ্ছে ওর বুকের মাঝখানটায়..
কুমকুম স্বরে...
গোপনে... ভীষন গোপনে....ও কে?
কে?
দেখতে দেখতে জানা আর মানার বিয়োগ টা আরো স্পষ্ট করে বোঝা যায়
অবশিষ্ট সুবাস টুকুও ততক্ষণে প্যারালাইড;
নিশ্চুপ
রক্তাক্ত।
রাজকন্যে,আজ তো মানো,মুখ কখনো মুখোশের চেয়ে সত্যবাদী হতে পারে না???
পাহাড় জানেনা নারী দিবসের মানে :সম্পা পাল
আমার পাহাড় পোস্ট গ্ৰ্যাজুয়েট নয়
ডক্টরেট শব্দ এখনও তার কাছে কঠিন অক্ষর।
তাই সে কখনো কোনো সেমিনারেও আমন্ত্রিত নয়।
ফাঁকা ডিগ্রির ঘরগুলো কোনো বিকেলেও তাকে ভাবায় না
আসলে সে কখনো স্কুলের সীমানায় পা রাখেনি।
আমার পাহাড় মহানগর থেকে দূরে
বিশ্বায়ন থেকেও দূরে
তবু জীবন প্রবাহে স্বমহিমায়।
পিতৃতান্ত্রিক , মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মানে সে জানে না
জানেনা গ্ৰেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে নারী দিবস কেন আসে
তবু নারীকে সন্মান দেবার তার নিরলস প্রচেষ্টা
সেই টার্সিয়ারী যুগ থেকেই …......
ডক্টরেট শব্দ এখনও তার কাছে কঠিন অক্ষর।
তাই সে কখনো কোনো সেমিনারেও আমন্ত্রিত নয়।
ফাঁকা ডিগ্রির ঘরগুলো কোনো বিকেলেও তাকে ভাবায় না
আসলে সে কখনো স্কুলের সীমানায় পা রাখেনি।
আমার পাহাড় মহানগর থেকে দূরে
বিশ্বায়ন থেকেও দূরে
তবু জীবন প্রবাহে স্বমহিমায়।
পিতৃতান্ত্রিক , মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মানে সে জানে না
জানেনা গ্ৰেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে নারী দিবস কেন আসে
তবু নারীকে সন্মান দেবার তার নিরলস প্রচেষ্টা
সেই টার্সিয়ারী যুগ থেকেই …......
সতীর্থ :মান্নুজা খাতুন
যেখান থেকে শুরু হয়েছিল দিনের প্রথম ট্রেনটি
ঠিক সেইখান থেকেই আমরা ছিলাম একই পথের যাত্রী।
তুমি অচেনা আমার কাছে তবুও যেন অনেক দিনের চেনা
তুমি জানো না আমার গন্তব্যপথ,আমিও ঠিক তাই
তবে মনে বরাভয়
হয় তো নেমে যাবে মাঝ পথে নয় তো জেলার শেষপ্রান্তে
অজানা এক আশংকায় খোদাকে ডাকি
মনে মনে হাত জোড় করে বলি এই পথ যেন শেষ না হয়।
চলার পথে হাজারও গোলমালে
পড়েছে তোমার চোখে চোখ,
হয় তো বা হয়ে ছিলাম দুজনেই বড়োই অপ্রস্তুত
সারা পথ চুপ চাপ দুজনেই মুখোমুখি, কেটে যাই সময় নিস্তব্ধ দুপুরের ঘুমন্ত রুপ দেখে
কখনো বা আড় চোখে চেয়েছি দুজনে দুজনের পানে
লুকোচুরি খেলতে গিয়েও পড়ে গেছি ধরা
অপরাধীর মত আনত করেছি মুখ
তারপর।
তারপর ফুরিয়ে আসে পথ
মনে জাগে এক অপরিণত চঞ্চলতা।
অবশেষে পৌচ্ছালাম যেখানে হয়েছে শেষ সব ট্রেনের গতি পথ
দুজনেই নেমে গেলাম এক রাশ হতাশা নিয়ে
শহরের ভীড়ে হারিয়ে গেলাম দুজনেই।
অতঃপর নিজেদের অজান্তে পেছন ফিরে দেখা
মুখ ফুটে পারি না বিদায় জানাতে
কেন না সারা পথ একসাথে এলেও হয় নি আলাপচারিতা
যা হয়েছে সব কিছুই হৃদয়ের!
বামপাশের পার্লামেন্টের ওয়াল ক্লকে টিকটিকি করে প্রহর গোনে
আবার কখন আসবে দিনের শেষ ট্রেন।
রিক্ত যৌবনে : রাজিত বন্দোপাধ্যায়
কাল তুমি এসেছিলে --
ঘোর ঘুম পথ ধরে ,
এই জীর্ণ দীর্ন স্মৃতির পটভূমে !
কাম রাঙা ঘুম ঘোরে আমি
হঠাৎ আবিস্কার করলাম তোমার
যৌবন দীপ্ত অধর ;
তোমার বিপন্ন যৌবন যেন
আমায় হাতছানি দিয়ে বলে --
ভালো আছো তো ,
হে সুজন তোমার আমা রিক্ত যৌবনে ?
একা আছি, ভালো আছি :সারিফ হোসেন
কোনো এক কিশোর কালে
প্রিয় বন্ধু কথা দিয়েছিল
আমাদের, আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না
আমিও এক দায়িত্ববান বন্ধু হয়ে উত্তর দিয়েছিলাম
ঠিক বলেছিস।
আফটার অল উই আর ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার
কিন্তু স্মৃতির ভেলায় সে বন্ধু আজ ডুবন্ত গুপ্তধন।
সে ছাড়িয়াছে আমার পাছি,
একা আছি, ভালো আছি।।
বসন্তভরা যৌবনে, প্রেমিকার উষ্ণ ঠোট
কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলেছিল
প্রতিটা বসন্ত এভাবেই ধরে থাকবো তোমার হাত
আমিও কেমন আজব ভঙ্গিমায় বলেছিলাম
কেয়া বাত।
আফটার অল আমাদের মাথার উপর ছিল শেক্সপিয়ার এর হাত।
কিন্তু জীবন নামক বইয়ের পাতায় সে আজ ইতিহাস।
সে আজ অন্য দ্বারে উঠিয়াছি।
একা আছি, ভাল আছি।।
গ্রীষ্মের এক দুপুর বেলায়, আপিসের সহকর্মী
কফি হাতে এসে বলেছিল, ভাই আমাদের বন্ডিংটাই আলাদা, অন্যরকম
আমিও মৃদু হেসে বলেছিলাম, একদম তাই
এক্কেবারে সেইরকম।।
আফটার অল উই হ্যাভ দ্য সেম সেন্স অফ হিউমার
কিন্তু কর্মক্ষেত্রের তাগিদে সে আজ বহুদূর।
সে আজ অন্য কর্ম করিয়াছি।
একা আছি, ভাল আছি।।
বুকটা কাপিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে
সহধর্মিণী ভালবাসার সুরে বলেছিল
আমরা একসাথে বাচবো একসাথে মরবো,
আমিও বাচ্চাদের স্নেহ করার সুরে বলেছিলাম
আমরাতো সুখের নীড় গড়বো।
আফটার অল উই আর কানেক্টেড উইথ ইচ আদার
কিন্তু সে আজ ত্রিভুবন ছেড়ে, স্বর্গ লোক পাড়ি দিয়াছি,
আজ একা আছি, ভাল আছি।।
শেষ শীতের সকালে, ধূলোমাখা বইটা
আমার দিকে তাকিয়ে করুণ সুরে বলেছিল
আমায়, আমায় ভুলে গেলে,
আমিও বাধ্য শ্রোতার মতো পাতা উল্টিয়ে
শেষ পৃষ্ঠা পড়িয়াছি।।
আফটার অল বুকস আর মাই ফার্স্ট লাভ
কিন্তু আজ আমার চশমার পাওয়ারের সাথে সাথে
চোখের ছানিও বাড়িয়াছি।
আজ শান্ত আছি, বড়ই ভালো আছি।।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)