নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আলো-ছায়ার কথামালা :হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

     
         




                  ।।তিন।।


মাসখানেক পর যখন দিতি নিজের বাড়িতে ফিরে এলো, তখন চারপাশের মানুষজনদের কাছে সে বিভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত। আমি বললাম, দিতি, তোমাকে আমরা ধরতে পারলাম না। বড় সাধারণ চোখে তোমাকে মূল্যায়ন করে ফেললাম। দিতি কাছে এসে আমার হাতে মাথাটা রাখল। সেদিন দিতির কাছে কি আমি আশ্রয় ছিলাম? না কি ওর মনের সবুজ অংশটুকুর অর্থ আমিই একমাত্র ধরতে পেরেছিলাম?


                       ।। চার।।

পড়াশোনা করতে ভালোবাসতাম। পরীক্ষার দিন যত এগিয়ে আসত ততই আমার বুকের ওপর রাখা পাথরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। ভয় ঠিক পেতাম না। কেমন যেন একটা অস্বস্তি বোধ করতাম। আসলে পরীক্ষাকে সামনে রেখে নিজের পড়াশোনা নিয়ে খুশি হতে পারতাম না। কোথা থেকে যে এতো ঘুম আসত জানি না। পরীক্ষা শেষের দিনগুলো এখনও মনের মধ্যে গাঁথা হয়ে আছে। হল থেকে বেরিয়ে দেখতাম চারপাশটা যেন কতো বদলে গেছে। এতো আনন্দ হতো যে বলে বোঝাতে পারবো না। যার সঙ্গে কথাই বলতাম না তার সঙ্গেও মনে হতো গল্প করি। এই আনন্দ কি শুধু পড়াশোনা করতে হবে না বলে? কিন্তু তা কেমন করে হয়। আমার তো পড়াশোনা করতে ভালোই লাগতো। ওই আনন্দের সঙ্গে অন্য কোনো আনন্দের তুলনাই চলে না। আসলে ওই আনন্দ একমাত্র পরীক্ষা দিয়েই পাওয়া যায়।




                   ।। পাঁচ।।


যে কোনো কারণেই হোক যখন তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। কয়েক পা এগোলেই বলা শুরু হয়। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি এইসব। কি জানি কোথায় যাচ্ছি জানি না ------ বলতে খুব ইচ্ছে করে। এটা কি যে কেউ বলতে পারে? আজ বুঝতে পারি এটা বলা কত শক্ত। একটা উদ্দেশ্যহীন যাত্রা মানুষকে দীর্ঘদিন আলোয় বাঁচিয়ে রাখে। জীবনে একবার হলেও এই উদ্দেশ্যহীন যাত্রায় সামিল হতে চাই।



(ক্রমশঃ)
(০৮/০৩/১৯)

বীরের মা : প্রলয় কুমার বিশ্বাস



উপত্যকায় বারুদের গন্ধ,
    মায়ের চোখে জল।

বসন্তে কোকিলের সুর আজ বিষণ্ন ;
অশোক, শিমুল,  পলাশ
    বিন্দুমাত্র দাগ কাটেনি মনে।

অবশেষে ফিরল বটে,
সমস্ত দুশ্চিন্তার অবসান ঘটায়ে
     কফিন বন্দি হয়ে।

মুখে ছিলো তার তৃপ্তির স্মিত হাসি।

শুধু,
মায়ের চোখের আড়ালে প্লাবন।

আমি ই কি তুমি,,, ? : সাব্বির আলম




আমি জানি—তুমি মোটেই এরকম চাও না,
এটা তোমার কথার কথা ,
 তুমি নিজেই তো বলেছ,
তুমি ... আমি বাঁচতে পারব না—
এর মধ্যে তুচ্ছ অতীতকে টেনে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না।

পরিপূরক নারী পুরুষ : রাণা চ্যাটার্জী



সুস্থ রুচি সংস্কৃতির,বাড়ির সব দায় সামলায় নারী
আমরা পুরুষ কেবল বড়াই করি দেখাই বাহাদুরি।

গৃহ শান্তি, সন্তান পালন, রান্নাবান্না কত্ত সব কাজ
আদেশ,অভিযোগে ব্যস্ত থাকি,ঠিক যেন মহারাজ।

সমাজ সংসার সুস্থ থাকে পুরুষ যদি থাকে পাশে
 ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে নারী, উদ্যমে ঝলমলিয়ে হাসে।

নারী-পুরুষ আসল পরিপূরক,ঠিক যেন মেঘ-বৃষ্টি
দুজনের কেউ বিগড়ালে ঘর,মনের ক্ষতি,অনাসৃষ্টি।

যতই আসুক অভাব মনে ,দুঃখের পাহাড় অনটন,
সু -সম্পর্কে বোঝাপড়া পুরুষ -নারী অমূল্য রতন।

কাগজে কলমে নারী পুরুষ নেই কোন ভেদাভেদ,
যতো নিয়ম,শেকল বাঁধন নারীদের করে বিভেদ।

সূর্য যেমন দৃপ্ত পুরুষ,মিষ্টি রোদ্দুর তার সঙ্গী,
নারীরা পাক যোগ্য সম্মান,বদলাক দৃষ্টিভঙ্গি।

নারী-পুরুষ সমান সমান,অদ্ভুত এক মেলবন্ধন
পুরুষ বাহবা বিনা,সেরা কিভাবে  নারীর রন্ধন!?

নেতা :গোলাম মোস্তফা লিটু


ভোটের আগে সব নেতাদের
হারায় চোখের ঘুম ;
জনগনের বাড়ি বাড়ি, ঘরে ঘরে
যাওয়ার পরে ধুম।

হাতের সাথে হাত মিলায়ে
বুকের সাথে বুক ;
কাধের সাথে কাধ মিলায়ে
বলে- জনগনের, সুখেই আমার সুখ।

নেতা দেয় প্রতিশ্রুতি
আমায় করলে জয়ী ;
ধ্বংস করবো মাদক যত
সমাজে, আছে জীবন ক্ষয়ী।

নিজেই নেতা মদদদাদা
মাদক সাম্রাজ্যের ;
তিনিই আবার ভাষণ দাতা
জয়ী হয়েই করবো বন্ধ, উৎপাদন মাদকের।

আমরা সবাই আম-জনতা
তাদের কথায় নাচি ;
ঋণখেলাপী, স্বার্থবাদী
দুঃশ্চরিত্র নেতার পিছে ছুটি।

নেতার দেয়া চা-পান আর
সিগারেট, বিড়ি খেয়ে ;
সাড়াদিন ঘুরি মোরা
সেই নেতার গুণগান গেয়ে।

একবারও ভাবিনা মোরা
ভোট মোদের, গণতান্ত্রিক অধিকার ;
আছে- ভোট প্রয়োগের জন্য একজন
সৎ যোগ্য চরিত্রবান নেতার দরকার।

আমার ভোটের দাম আছে
ভোটটা মূল্যবান ;
সৎ যোগ্য, আদর্শবান নেতা ছাড়া
করবোনা ভোট দান।

এই উপলব্ধি যতদিন না
আসবে জনতার ;
ততদিন থামবেই না
জয়জয়কার, দুঃশ্চরিত্র ভন্ডনেতার।।।।

মুক্তির দলিল :বারেক উল্লাহ

বিষয়:৭ই মার্চের ভাষণ
                         

৭ই মার্চের এই ভাষণে
বাঙ্গালী পায় শক্তি,
বীর জনতা উঠল জেগে
করল বাংলা মুক্তি।
স্বাধীনতার সংগ্রামেরর কথায় ছিল
১৮ মিনিটের এই ভাষণে,
বাঙ্গালী তাই যুদ্ধে নেমেছিল
পাক হানাদার অপসারণে।
রক্ত ঝরা এই ভাষণে ছিল
স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা,
বাঙ্গালীরা তা মেনেই 
 বিতাড়িত করল পাক সেনা/হায়েনা।
৭ই মার্চের এই ভাষণে
 ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা,
বাঙ্গালীরা বুঝেছিল
 সংগ্রাম ছাড়া তা আসবে না।
 রক্ত যখন দিয়েছি
 আরো দেব রক্ত,
বঙ্গবন্ধু যখন তুলেছিল  এই ধ্বনি।
বাঙ্গালীদের মনে স্বাধীনতা
পাওয়ার ইচ্ছার আগুন
 দ্বিগুণ হল তখনি।
এবারের সংগ্রাম  স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম  মুক্তির সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু তুলেছিল যখন এই সুর,
বাঙ্গালীদের সংগ্রামে বিতাড়িত হল
পাকিস্তানের সব দূষর।
বঙ্গবন্ধু তোমার এই ভাষণ
আজো বাজে সবার হৃদয়ে হৃদয়ে
তুমি যে আছো বাংলার আকাশে বাতাসে
 সব খানে মিশে।
তোমার এই ভাষণ স্বর্ণ অক্ষরে লিখা আছে
 ইতিহাসের পাতা জুড়ে।
তোমার ঐ ভাষণে শুনে  শিহরিত হই
 আজো আমি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে ।