আমি কবিতাকে বুঝি না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
মনের অজান্তে বিরবির করি
দুঃখের প্রলাপন।
দুঃখ সেও ইদানিং হয়েছে চতুর,
রঙ বদলিয়ে ভাইরাসের মতো।
গেও এই ছবির কাছে ছায়া এসে
বলে দেয়, দ্যাখ তো কেমন
বুড়ো হয়ে যাচ্ছিস সময়ের অতলে।
চলে আসছে প্রথম দশক, নুতনের
আগমন, আমি তো গেও ছায়া
কবিতাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি
প্রান্তিক কৃষাণি কইন্যার মায়াভরা বুক।
কি মায়া লাগাইলো মনের গহীন তিমিরে,
ধুম তানা না না! কাচের চুড়ি,
অল্পভাসি কইন্যার মায়াভরা
মুখটি ভাসে ভরদুপুরে পদ্মজলে।
দুঃখ সেও হয়েছে দারুন চতুর,
হুট করে হানা দেয় বুকের ভিতর
হৃদের নরম শরীর।
তির তির বাতাস বহে রক্তস্রোত
বাম অলিন্দে শস্য শ্যামল বাংলা আমার।
ডাল অলিন্দে দুঃখছায়া কবিতা আমার
বাম নিলয়ে শুভ্র সকাল, ডান নিলয়ে
বলেশ্বর আর সন্ধা নদীর ঢেউ ছলাত ছলাত
আমি কবি নই, দুঃখ পুষি
ছায়া এসে বলে, অনেক তো হোল
চল এবার আকাশবাড়ি,
মেঘেরা সব নিয়ে নিবে তোর দুঃখ ভারী
সুয্যি হেসে দেখ না আজকে নিসর্গ পরী।