নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কপালে সিঁদুরের ছাপ এঁকে : অনোজ বানার্জী



রাঙা  বসন্ত এল, দিকে দিকে :
তবু ক্লিন্ন বরষা ঘনঘোর,
মেঘ, বৃষ্টি,ঝড়,বন্যা...
হৃদয়ে  ধূ ধূ তপ্ত বালুরাশি। শুভ মিলন হলনা,তবএওু কপালে পবিত্র  সিঁদুরের ছাপ এঁকে দেহজ  অবৈধ ভার;;
সমাজের চূণকালি মুখ
নাটকাভিনয় এর আড়ালে  ঢাকা।
সুখের শত ওয়াট বাল্ব ফিউজ হল
হৃদয়ের ল্যাম্পপোস্টএ
সংসারের বলবিয়ারিং বিকল,;
দুপয়সা রোজকার  নেই
বেকার দাদার, রিটায়ার্ড  বাবার।
দেহের বিজনেসে কলংকিত তাই,
ষোড়শী সুন্দরী  বাংলার নারী।
চ্যঁদনী নশ্বর দেহে বিলাসী ভোগী পশুর
অনিবার্য  রক্তজ পাথরের ভার ;
অবৈধ  ভবিষ্যৎ..
কপালে সিঁদুরের ছাপের আড়ালে
অতি সযত্নে লুকানো ।।

বসন্ত স্মৃতি :সামসুল হক


দুচোখে প্রেমের প্রদীপ
হৃদয়ে কাশের বন
চল না, ওলো সজনী
দুজনে হারিয়ে যাব মস্ত-মগন ।

শাখাতে আসবে মুকুল
অলিকুল গুনগুনাবে
রাখবো তোর হাতে হাত
জীবনের সুখ-দুঃখ সব খেই হারাবে ।

আজ এই বসন্ত-দিন
তোকে খুব পড়ছে মনে
ভুলে সব প্রতিশ্রুতি
সার ফেলে তুই, ছুটলি কার পিছনে ?

আজো সবুজ আমার আকাশ
শুভ্র স্মৃতি-মেঘ ভাসে মনে
ক'টাদিন কাটিয়ে যা না
রোদেলা বসন্ত দিন এই উঠানে ।

আসা আর যাওয়ার মাঝে
জমালি সই কত ধন ?
যোগ-বিয়োগের খাতাখানা
রাখছে হিসাব কোন্ মহাজন ?

নিকোটিন কাব্য: মহঃ রাফিউল আলম



পোড়া ঠোঁট নিকোটিন চাই;
অক্টাপাস হাঁতরে মরে পিরামিড অক্ষর।
চায়ের কাপে আত্মহনন যত
আমার বেদুইন শহর।

শোকার্ত মানচিত্র আমার : গোলাম মোস্তফা লিটু



মানবরুপী কতিপয়
দাতাল শুয়োরের কাছে সহসাই
ধর্ষিত হচ্ছে আমার মানচিত্র

সেই সব দাতাল শুয়োরের
বিষাক্ত দাত ও নখের আচরে
প্রত্যহ ই- রক্তাক্ত
ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে আমার মানচিত্রের
অধর, বুক পেট সর্বাঙ্গ

অভিজাত এলাকায়, পল্লীগায়ে
সেনাকুঞ্জে, আপনালয়ে
শহর কিংবা মফস্বলে ;
চলন্ত যানবাহনে, বনে জংগলে
পুকুর-ডোবার ধারে - সর্বব্যাপী
প্রত্যহ ই ধর্ষিত
রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে
আমার মানচিত্র

কতিপয় শিক্ষিত অ-শিক্ষিত
বিকৃত মস্তিষ্কধারী দু'পায়ের
দাতাল শুয়োরের
বিকৃত লালসার হিংস্র তান্ডবে
প্রতিনিয়ত দংশিত হচ্ছে
আমার মানচিত্র

রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত
শোকার্ত মানচিত্র আমার
কখনো নিভৃতে
ফেলছে চোখের জল
কখনো আপনার জীবনটাকে
করছে উৎসর্গ
অনন্ত - অসীমের কাছে।।

নৈঃশব্দের ব্যকরণ : নয়ন হাফিজ


সঙ্গম শেষে ক্লান্ত দেহে নেমে এলো অমাবস্যা, দু চার ফোঁটা বাক্য বিনিময় শেষ করে স্বপ্নের রেশ ক্রমাগত যাত্রা শুরু করলো নামহীন কোনো জনপদে, যেখানে অপ্সরীরা নগ্ন সুঠাম শাদা স্তনে প্রস্তর খচিত মানচিত্র ও উন্মুক্ত জংঘায় ঈশ্বরের নিস্তব্ধতা আঁকে।

নৈঃশব্দের ব্যকরণ ঘেসা ভুখণ্ডে সাপের খোলস জুড়ে থাকা ক'ফোঁটা শিশির, যেন সমুদ্রের আদিমতায় নুড়ি, পাথর কিংবা পোড়ামাটির ফলকে ছাপ রাখা প্রাচীনতম ভাষা।

শিশ্ন ক্রমশ সময়ের ছোঁয়া পেয়ে সমাজতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়ে পুঁজিবাদের বেশ্যালয়ে গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে লাশকাটা ঘরে ব্যবচ্ছেদে উদাম করে রেখেছে অণ্ডকোষ।

হলদিয়া ধূমকেতু বাংলা ব্যান্ড। : শিশিরবিন্দু দত্ত



একটা  বেগুনীরঙের স্করপিও থামে,
একজন  বেসুরো  সিরিয়াল তারা
আর তার সাথে দু'জন সুডৌল নর্তকী  নামে।
প্রচুর ভিড় সেই খুল্লম  রাতে
খোলামেলা পোশাক ছাদনাতে,
উত্তাল পারাবার পার  হয়  জনতা  শব্দ রথে।
আর আমরা চারজন
করে যাই রোপন
সুরের বাঁশি বৃক্ষ  আমাদের  চেনা  গাঁয়ের  পথে।

আমাদের  জল নেই,
ছায়াটাও  বড়ো বিব্রত।
দু'একজন  দাঁড়িয়ে থাকে দূরে
সান্ত্বনার প্রলেপের  মতো।
আমাদের আকাশও নেই,
না কোনো পরিচিত  তারা,
মিথ্যে বলা কোনো  পুতুল ও নেই,
কাপড় সরিয়ে যে দিতে পারে  হরমোনাল  সাড়া।

আমরা  দিগন্ত খুলি,
স্বপ্ন জুড়ে কল্পনার সাগরে বুদবুদ,
ওভাবে  রাখিনা আমরা 
আতসকাচের নীচে  হঠাৎ  বারুদ।
আমরা সবাই মিলে  আমাদের  পরমায়ু,
নৈঃশব্দের  সুরে গাই 
বিদ্যুৎ -ধোঁয়া -জলবায়ু
রবীন্দ্রনাথ-লালন...
সদ্য প্রেমে পড়া  পাপড়ির প্রিয়  আলিঙ্গন।
কেউ নেই তার,  তাই ইচ্ছে -কোদালগুলো
মিথ্যে  থেকে  যায়,
হয়না কোনো কিছু,  সব  হওয়া বাকী  রেখে যায়
সম্ভাব্য  হাওয়ায়....
অকালবৃদ্ধ হয়ে ওঠে  ঘাসের  সুঘ্রাণ,
আমরা তবুও  গাই  সুতো বাঁধার  গান,
আমরা  তবুও গাই  প্রতিবাদের গান,
আমরা সবাই মিলে বাজাই ঐকতান...