একটা বেগুনীরঙের স্করপিও থামে,
একজন বেসুরো সিরিয়াল তারা
আর তার সাথে দু'জন সুডৌল নর্তকী নামে।
প্রচুর ভিড় সেই খুল্লম রাতে
খোলামেলা পোশাক ছাদনাতে,
উত্তাল পারাবার পার হয় জনতা শব্দ রথে।
আর আমরা চারজন
করে যাই রোপন
সুরের বাঁশি বৃক্ষ আমাদের চেনা গাঁয়ের পথে।
আমাদের জল নেই,
ছায়াটাও বড়ো বিব্রত।
দু'একজন দাঁড়িয়ে থাকে দূরে
সান্ত্বনার প্রলেপের মতো।
আমাদের আকাশও নেই,
না কোনো পরিচিত তারা,
মিথ্যে বলা কোনো পুতুল ও নেই,
কাপড় সরিয়ে যে দিতে পারে হরমোনাল সাড়া।
আমরা দিগন্ত খুলি,
স্বপ্ন জুড়ে কল্পনার সাগরে বুদবুদ,
ওভাবে রাখিনা আমরা
আতসকাচের নীচে হঠাৎ বারুদ।
আমরা সবাই মিলে আমাদের পরমায়ু,
নৈঃশব্দের সুরে গাই
বিদ্যুৎ -ধোঁয়া -জলবায়ু
রবীন্দ্রনাথ-লালন...
সদ্য প্রেমে পড়া পাপড়ির প্রিয় আলিঙ্গন।
কেউ নেই তার, তাই ইচ্ছে -কোদালগুলো
মিথ্যে থেকে যায়,
হয়না কোনো কিছু, সব হওয়া বাকী রেখে যায়
সম্ভাব্য হাওয়ায়....
অকালবৃদ্ধ হয়ে ওঠে ঘাসের সুঘ্রাণ,
আমরা তবুও গাই সুতো বাঁধার গান,
আমরা তবুও গাই প্রতিবাদের গান,
আমরা সবাই মিলে বাজাই ঐকতান...