নোটিশ বোর্ড
এস.কে.এম মিজানুর রহমান
মা
সাত জনমের মাগো তুমি
ব্যথা দিলে
কাঁদছি আমি,
তোমার ছেলে আমরা সবাই
তোমার হাসি ভুবন ভরা,
স্বপ্নে এসো মাগো তুমি
দেখব হাসি আবার আমি,
ফুটবে ফুল জগৎ সংসারে
মাগো
রূপ কথার সে গল্প বটে
ঘুম পাড়ানোর আগে,
তোমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ি
ভোর হওয়ার আগে,
মাগো তুমি ভালো থেকো
পারলে এসো ঘরে,
কাঁদব আমি দেখবে তুমি
তোমায় বুকে ধরে,
আর পারিনা সইতে মাগো
তোমায় ছেড়ে
সকল ঘরে প্রদীপ জ্বেলো
সন্ধ্যা নামার আগে
তানিয়া ব্যানার্জী
সুখ
-----------------------
ওরা আসবেনা ভাবে রোজ রোজ..
ছোঁবেনা ভাবে রোজ রোজ।
ফুসফুস নিয়ত ছোটো হতে হতে নিদান হাঁকে,
ওরা অভুক্ত, ওরা নিদ্রাহীন...
নির্জলা উপবাসে বাঁচে রোজ রোজ।
উপেক্ষার বুদবুদে নদী নালা মিশে এক হয়ে যায়,
ওরা আসে... ওরা যায়..... ওরা বাস করে মজ্জায় মজ্জায়,
কেমো থেরাপি বড্ড কড়া ডোজ----
দাঁতে দাঁত দিয়ে, জীবানু মারার অভিপ্রায়,
তবু' তো ওরা আসে, সারা শরীর , রক্তে মেশে --
দৃশ্য দূষণ, কাব্য দূষণ, সঙ্গ দূষণে বাড়ে রোজ রোজ।
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে পোঁতা, ওদের বীজ,
জানলা বেয়ে.. দরজা বেয়ে আসে ওরা,
হাত বড়ালেই পাতা মুড়ে যায় --
লজ্জাবতীর মত....তবে কি!
গাছেদেরও অসুখ হয়! কাছে ফিরে এলে, পেতে চাওয়া যত!
চৈতালি গোস্বামী
এমন অনেক স্বপ্ন থাকে
কিছু অমলিন স্বপ্ন থাকে।
সবার থাকে।
পূরণ যদি হবার নয়, তবুও থাকে।
নিরীহ কিছু ইচ্ছে থাকে
তুমি ভরসা দিলে বেড়ে উঠবে
এই বর্ষায় মাথা তুলবে
বাগান জুড়ে বেঁচে থাকবে
বিরাট ক্ষেতে তোমার মুখের জন্ম দেব
তোমার আদল, তোমার চোখ
তোমার নখের স্পর্শ দেব
আমার এমন স্বপ্ন ছিল মালী হব
আকাশ ফুঁড়ে রোদ আনব
মাটি খুঁড়ে আনব জল
সেচ করব, ফসল তুলে ভরব ঘর
আগুন আঁচে সেঁকব রুটি
নরম রুটি তাওয়ার আঁচে তৃপ্তি পাব।
তৃপ্ত হব।
হা, এমন স্বপ্ন সবার থাকে।
আমার থাকে, তোমার থাকে।
দীপ্তি মৈত্র
স্মৃতিপটে জীবনানন্দ
********************
নির্জনতার কবি জীবনানন্দ
সাহিত্য প্রাণে আনে নব ছন্দ।
১৮৯৯সন১৭ইফেব্রুয়ারি,
পিতা হন সত্যানন্দ,
মাতা কুসুম কুমারী।
‘রূপসী বাংলা’র বরিশাল গ্রাম;
শালিকের খয়েরী ডানা,
তমালের নীল ছায়া-
কবির নিবাস তিনি শিশু যখন।
‘ঝরা পালক’ সম বাতাসে ভেসে
কবি জীবনের বৈঠা বাওয়া।
‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’তে সঞ্চিত থাকা
বিষণ্ণতা,স্বপ্নলোকে অভিসার বাসনা।
জীবন সলিলে পাড়ি দেওয়া
সেই বিদীর্ণ ক্লান্ত প্রাণেরে
দু দণ্ড শান্তি দিয়েছিল,
নাটোরের বনলতা সেন।
‘মহাপৃথিবী’,‘মাল্যবান’,‘সুতীর্ থ’
‘সাতটি তারার তিমির,’ ‘আমিষাশী তরবার’
মাতিয়ে দিলো সাহিত্যের দরবার।
এ হেন তিমির বিনাশী কবির
চিত্রকল্প,সৃজন দক্ষতা,অলংকার মাধুর্য
দৈবাৎ একদিন হলো স্তব্ধ।
ট্রাম দূর্ঘটনায় আহত হল কবি প্রাণ-
রক্ত মাংসের শরীর,সৃষ্টিশীল মন
দপদপ্ করে জ্বলতে জ্বলতে
একদিন গেল নিভে-
রেখে গেল তাঁর অমূল্য সৃজন।
তিমির বিনাশী হলেন তিমির বিলাশী
‘কবিতার কথা’আামাদের রেখে
ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলেন
নক্ষত্রের দেশে-
আজি এ দিনে প্রাঞ্জলিতে
জানাই তাঁরে প্রণাম।
চিরঞ্জিত সাহা
তৃণা
পেনের ক্ষত মোছার মোহে মগ্ন যখন শেষ রবার
গণিকা মনে নীরব বিরাজ , হাজার বাতির নীলচে ঝাড় ।
ছুটছে ঘড়ি জেটের টানে , রং মুছেছে ক্যালেন্ডার ,
আজ ঘুড়ি তোর প্রেমের চিঠি , নির্বাচনী ইস্তেহার ।
গণিকা মনে নীরব বিরাজ , হাজার বাতির নীলচে ঝাড় ।
ছুটছে ঘড়ি জেটের টানে , রং মুছেছে ক্যালেন্ডার ,
আজ ঘুড়ি তোর প্রেমের চিঠি , নির্বাচনী ইস্তেহার ।
তোর নদীতে নতুন জোয়ার , গড়ছে নতুন পোতাশ্রয়
তেজস্ক্রিয় মনফোয়ারা , মানবতার অবক্ষয় ।
উন্নয়নের পাহাড়চূড়া , রঙিন তারার হ্রাদ-উৎপাদ ,
আমার গ্রামে শুষ্ক সাগর , ন্যায় সততার বীর্জেহাদ ।
তেজস্ক্রিয় মনফোয়ারা , মানবতার অবক্ষয় ।
উন্নয়নের পাহাড়চূড়া , রঙিন তারার হ্রাদ-উৎপাদ ,
আমার গ্রামে শুষ্ক সাগর , ন্যায় সততার বীর্জেহাদ ।
প্রথম রোদের সোনালি আভা , প্রথম শাড়ির গোলাপি পাড়
আমি তখন কবিতা -ক্যুইজ , ফিউনারিয়া হাইগ্রো মার ;
ব্যস্তবাগিশ শেষ লোকালে , গড়তে তোর স্বপ্নগড়,
সিঁড়িভাঙা তোর মিথ্যে আজান , জুম্মা নামাজ বছরভর ।
আমি তখন কবিতা -ক্যুইজ , ফিউনারিয়া হাইগ্রো মার ;
ব্যস্তবাগিশ শেষ লোকালে , গড়তে তোর স্বপ্নগড়,
সিঁড়িভাঙা তোর মিথ্যে আজান , জুম্মা নামাজ বছরভর ।
বারুদ যেমন বাঁধছে জমতে , বাজিতে রোশনাই
তুষারদিনে একফালি রোদ , চুল্লির শেষ ছাই ;
প্রেম যেখানে মরফিন , সেথা খড়কুটো আজ ঘৃণা ,
অভিধান বলে পবিত্রতার অপর নাম তৃণা ॥
তুষারদিনে একফালি রোদ , চুল্লির শেষ ছাই ;
প্রেম যেখানে মরফিন , সেথা খড়কুটো আজ ঘৃণা ,
অভিধান বলে পবিত্রতার অপর নাম তৃণা ॥
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)