নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শাহীন রায়হান





দুঃখের বীন
**********


বর্ষ আসে বর্ষ যায়
যায় চলে মাস দিন
সময় স্রোত দুই চলে যায়
যায় না দুঃখের বীন।

দুঃখের বীনা মনের মাঝে
ব্যাথার পাহাড় গড়ে
বুকের ব্যাথা দুটি চোখে
অশ্রু হয়ে ঝরে।

এই ব্যাথাটা মা হারানোর
এই ব্যাথাটা বোনের
এই ব্যাথাটা বাবা হারা
ঝলসানো এক মনের।

ভুল চিকিৎসায় মরছে বাবা
গুম হয়েছে মা
ধর্ষিত বোন মরল দুঃখে
ভাই হারালো পা।

অত্যাচারীর অত্যাচারে
বুকের ব্যাথা বাড়ে
পাইনা বিচার বিচার চেয়ে
ঘুরছি দ্বারে দ্বারে।

মানুষ আমি মানুষ তবু
মরছি ধুকে ধুকে
তাইতো বাজে দুঃখের বীনা
বারো মাস এ বুকে।

তপন জানা





শরৎ প্রভাতে
************


আজি প্রভাত আকাশে ;শরৎ কাশে।
আগমনীর সুর বাজে শিউলি সুবাসে।
শুভ্র মেঘেরা পাখনা মেলে
    আকাশতলে মেশে।
কচিকাঁচা রা দলে দলে
  ছুটে চলে আনন্দ আবেশে।
শিশির কনা ঘাসের ডগায়
   মুক্তো বিন্দু গড়ে।
নরম সিক্ত কচি দুর্বায় প্রকৃতি হৃদয় ভরে।
আলতো আলোর স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় ফুলেরা ফুটে বনে।
মন খারাপের পোকা গুলো
মৃত্যুর দিন গোনে।
কান পাতলেই শোনা যায়
  মায়ের আগমনী বার্তা।
স্নিগ্ধ সমীরনে নদীর কোলে
  পালতোলাদের যাত্রা।
মন মানে না জড় হয়ে বসে থাকতে ঘরের কোনে।
মনে হয় ছুটে যাই ওই সুদুরের পানে।
যেখানে আকাশ মাটির পরে
সবুজ শ্যামলে মেশে।
পদ্মপুকুরে শান্ত সলিলে হাসেরা ভাসে;একান্তে ভালবেসে।
কাশের বনে নদীর ধারে সূর্য ডোবার পরে;
আলো আধারি আবছা ছায়ায় ;মনের আধার সরে।

মোঃ রফিকুল ইসলাম




তুমি যে আমার মা ****************


জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যায় মহীয়সী নারী , যাদের আঁচলে ধারণ করেছে হাজার সেনা । ধরণীর বুকে হাজারো স্বপ্ন থাকে মানবের , সব স্বপ্নের ধারক - বাহক , তুমি যে অনুপ্রেরণা , তুমি যে গর্বিত জাতি আমার মা । যাদের কন্ঠে মুখরিত ধরণী জীবন সংগ্রামে কত সৈনিকের গর্ভধারণী তুমি যে করেছো হাজার প্রদ্বীপ উন্মোচন তোমার বুকে ধারণ করেছো , মানব মুক্তির সম্মোহনী । তুমি যে আমার " মা " । মায়ের কূলে সন্তান যখন রঙ্গিণ স্বপ্ন দেখে, সেই আলোতে স্বপ্ন দেখে প্রদ্বীপ জ্বালায় মা । সে যে কারো বোন , সে যে কারো সহধর্মী তাদের সম্ভ্রম রক্ষা করে ,দিবো তোমায় উপমা। তুমি ধরণীর বুকে লালন যে মা ।

হোসাইন শাহাদাত




আমার মুখ সীলগালা করে দাও
***************************


আমার মুখ সীলগালা করে দাও,
বিদ্রোহীর সিলমোহর এটে দাও আমার শরীরে।
আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়েও যদি -
প্রাণ খুলে হাসতে না পারি,ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলতে না পারি? মানবতার কথা বলতে না পারি,তবে পরাধীন জাতি হিসাবে করুনা চাই না!
এইটুকু উপকারতো করতে পার আমার মুখ সীলগালা করে দাও।সীলমোহর এটে দাও আমার শরীরে।
মনুষ্য জাত কখন কি বলে ফেলি?তখন আবার মামলা -হামলা,
জাত ভুলে হিংস্রতা আর ক্ষিপ্রতা দেখাবে।
বরং সীলগালা করে দাও আমার মুখ!
গঠনমূলক সমালোচনা যদি না নিতে পার?
তবে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তোমার কখনো ছিল না।
শুধু শুধু নেতৃত্বে কেন আসলে?
চাটুকার তোমার ভুল দেখেও বাহবা দেয়।
সমালোচক সত্যটা তুলে ধরে।
এ দুয়ের পার্থক্য যদি না বুঝ! তবে ফিরিয়ে দাও পরাধীনতা ,
না হয় সীলগালা করে দাও আমার মুখ।

রুনা দত্ত





তুমি
*****



তুমি না থাকলে ধূসর বিষণ্ণ এসকাল
সীমা অসীমের মাঝখানে
মৃত্যুকালীন গাঢ় বিষাদ 
বেহালার সপ্তক সুরে কত রঙ
 মনকে বুঝিয়েছি এ যাবৎ
 তুমি না থাকলে স্বপ্ননীল এই সুরও
 অপেক্ষার দীর্ঘ জঞ্জাল
 সবই উজ্জ্বল হলুদ ছবিতে শ্রাবণের
 বিবর্ণ সন্ধ্যারাগ
 শালবনের নির্জনতায় এককালীন 
 ঝিঁঝির গুঞ্জন।
  
  

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




আগমনীর সুর
*************



শ্রাবণ শেষের ভোরে যখন শরৎ এলো-
শিউলি ফুলে সুবাস তখন কে ছড়ালো ?
নীল আকাশে মেঘের ভেলা কে ভাসালো ?
শিশির তখন মন ভেজালো ঘাসের কোলে।
মনপাখিরা ডানা মেলে সুদূর নীলে।
আগমনীর সুর খেলে যায় ঢাকের বোলে।
সোনা রোদের ছোঁয়া তখন কাশের বনে
"সর্বজয়া মা" এর ছোঁয়া সকলখানে।
আনন্দ আজ কে ছড়ালো সবার প্রাণে ?
বিশ্বজুড়ে হিংসার বিষ,ঝগড়াবিবাদ, রণধ্বনি ।
তারই মাঝে জুড়ায় এ মন শুনে তোমার পদধ্বনি।
তাই তো মা'গো দুখের মাঝেও গাইছি তোমার আগমনী।
মা গো, তুমি সব্বাইকে রেখো ভালো।
সবার মনে জ্বেলে দিও ভালোবাসার আলো।
শিক্ষা যেন দূর করে দেয় আঁধার রাতের কালো।
মা'গো তুমি সব্বাইকে রেখো ভালো।।