নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রতিভা দে




বিদ্যাসাগর সন্মানে
******************



নাম টি তোমার সাগর 
আছে যেথায় বিদ্যা
বিদ্যাসাগর,
সত্য দ্রষ্টা  দেখেছ 
বিদ্যাই দিতে পারে মুক্তিএক মাত্র শক্তি 
নারী পুরুষ সবার আছে অধিকার ,
মানুষের মত বাঁচার,
জ্ঞান যাহা দেয়
চলার স্বচ্ছলতা 
না হলে পদে পদে
বিপদের কথা,
নারীদের কি কষ্ট হয় না
যখন চিতায় জ্বালায়
স্বামীর সাথে সহমরনে
মানুষ হইয়া করে অমানুষিক কাজ
যত সব ভন্ড পন্ডিতের কাজ।
এক দিন ছিল এমন
পন্ডিত নামে তারা
সমাজের মাথা
যত নীতি করত পালন
তাহাদের হস্তক্ষেপের করত যতন।
এই ভাবে ধর্মের নামে হতো
জ্বালাতন।
সমাজে তাদের জন্য জাতি ভেদে নিষ্ঠুরতা,আরো কত
কঠোরতা,মানুষের জীবন
ছিল যথা এক নরক সম।
সেই সব থেকে মুক্তি দিতে
তোমার চিন্তা করেছে সমাজে
নূতন চেতনার উদ্ভব।
সেই থেকে মেয়েরা 
পেয়েছে কিছু স্বাধীনতা
না হলে আজ মেয়েরা থাকতো কোথা?
এখন শিক্ষিত হয়ে
মেয়েদের কিছু দূর্গতি
ঘুচেছে বটে ,কিন্তু তবুও মেয়েদের
হয়নি এখন তেমন মুক্ত জীবন।
সমাজ এখনো কলুষিত
এমন কি দেখা যায় 
যাদের থেকে শিক্ষা নেবে
তাদের মধ্যে ও আছে গলদ
সমাজ যেন একটা স্হান আস্ত বলদ।
কখন কোথায় কি ভাবে
কে নির্যাতিত হবে
ওৎ পেতে আছে দানবেরা
সমাজ শিক্ষিত বটে
আজও বিভ্রাট ঘটে
চরিত্র স্খলনে
সমাজের শিক্ষা এখনো পূর্ণ নয়।
ভালো যদি বেশী ,খারাপ জায়গা নিতে করে,ভয়
যখানে খারাপ বেশী
সেখানে ভালো এগোতে পারেনা
সেখানে সমাজের ধ্বংসের সম্ভাবনা।
আসুক অন্য বিদ্যাসাগর
সমাজের কারণে
সমাজ এখন আছে পতনের মুখে।

সোনাই





নীল রঙা বৃষ্টি
*************




হঠাৎ করেই ভিজতে চাই নীল রঙা বৃষ্টিতে
উপমাহীন জীবনের নিত্য হাহাকারের সৃষ্টিতে,
ভোরের রাতের নোনা স্বপ্ন সঙ্গী করে নিয়ে
নির্বিকারে সঙ্গ দেবো হতবাকের অন্ধকারে l

সঙ্গী ছিলাম স্বপ্নে কেবল একাকীত্বের সাথে
আজব ভয়ের প্লাবনে মনখারাপের রাতে,
ভাসিয়েছি দেখ ঝকঝকে আকাশে মনখারাপের মেঘগুলো
স্মৃতির ক্যানভাস মরচে পড়া,আর জমানো হাজার ধূলো l

সবুজ কিছু ভালোবাসা মিশিয়েছি অনভ্যস্তের তুলিতে
শ্রাবণকে করেছি প্রতিস্থাপন হৃদয়ের ষড়রিপুর ঝুলিতে l

অগুন্তি বসন্তকে আজ করেছি নির্বাসিত নির্ভেজাল শ্রাবণের বুকে
কিছুটা দুঃখের সাতকাহন দিয়ে স্বপ্ন রচেছি পরম সুখে, হাজার বছর ধরে হয়নি দেখা পূব আকাশের নীল সূর্যোদয়
এখনো অজান্তে কবিতারা গুমড়ে মরে আমার কাব্যের পাতায় পাতায় ll

সঙ্কর্ষণ



অসুরোৎসব
***********




বিষাক্ত... ভারী বাতাস।
শরতের আকাশে দেখা নেই পেঁজা তুলোর।
মেডিকেটেড তুলোর ভাঁজে
টিপটিপ করে ঝরে অ্যান্টিসেপ্টিক, 
বহু দূরে মরীচিকা হয়ে চোখে নামে বৃষ্টি... 
নোংরা, কালচে, দুর্গন্ধ... ফোঁটা ফোঁটা।

রক্তের গন্ধে দরজাতে কড়া নাড়ে তীব্র বিবমিষা
ঢাকে গমগম করে ওঠে অশুভের আবাহনী, 
আকাশের রঙে লাগে আরো নীল... 
ঠিক যেন রুদ্রের বিষপান।

শহর থেকে দূরে কোথাও তীব্র দীর্ঘশ্বাসে
আরেক আগমনী বেজে ওঠে।
এখানে ত্রিশুলের ডগায় কুঁকড়ে থাকা মাতৃত্বকে
ক্ষতবিক্ষত করে চলে যায় মহিষাসুর... 
আহত পশুরাজের গর্জন ঢাকা পড়ে যায়
নতুন জামা জুতোর ভীড়ে।
কাঠামোর পেছনে চলে হিংস্রতার মহোৎসব।

দশমীতে, চোখের জলে বিদায় নেন এক মা
রেখে যান অসংখ্য ছোটো বড়ো দুর্গাকে।
কবিতার নামে প্যারোডি লেখা হয় রোজ, 
বিচারের নামে ঘটে চলা প্রহসন
প্রতিমূহুর্তে মিথ্যে করে চলে ঐ চারটে দিন... 
আট থেকে আশিতে।

দিবাস্বপ্ন লেগে থাকে চোখের তারায়।

শব্দ ওঠে, 
"দোলপূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস।" 

অনোজ ব্যানার্জী



আগমনী
********


শাঁখসফেদ মেঘের ভেলা,ভাসছে নীলাকাশে। 
নদীর দুকূলে কাশফুলেরা,দুলিয়ে চামর হাসে।।
চাষীর ক্ষেতে,যুবতী ধান ছড়ায় সবুজ রঙ।
নদীর কোলে জলতরঙ্গ, দেখায় কত ঢঙ।।
ভোরের ঘাসে শিশিরকণা,করছে কত আদর।
শিউলি ফুলের রাঙা সুবাসে,কে ভরেনা চাদর?
আসছেন মা,বাপের ঘরে,পুত্রকন্যা নিয়ে।
পাপ-পর্বত করবেন নাশ,,ধর্ম-ত্রিশূল দিয়ে।।
হাসছে এখন আকাশবাতাস,হাসছে সবার মন।
শরতের দোলায় দুলেদুলে,ডাকছে প্রিয়জন ।।

লীনা দাস





শিরোনামহীন--1
**************



যাযাবর পাখীদের মতো এখন মানুষ মানুষী।
গোল্ডেন প্লোভার পাখীদের  মতন,
ওরা সমুদ্র পাড়ি দেয় একটু  উষ্ণতার খোঁজে।

দু'জন মানব মানবীর এই পারমানবিক যুগে--
একটা দিনই নিটোল জীবন, 
ঠিক মুক্তোর মত।

বিয়ে সারাজীবনের একটা গভীর ব্যাপার।

চিরস্থায়ী ভাবনা,কামনা আর প্রায়ই নেই।
ওরা  অস্থির,ক্ষণস্থায়ী,ছটফটে অপরিনত সম্পর্কে বিশ্বাসী!

আগামী দিনের কথা ভাবার সময় নেই---
সারাজীবনের কথা ভাবনার প্রশ্নই নেই।
জীবন,ভবিষ্যত যখন নিজ নির্ধারিত ছিল,আবেগে আয়েশে
ভেবে দিন কাটানো যেত--

এখন--
দেশ,কাল,অর্থনৈতিক,সমাজ,
রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকারে,
এমন কি পৃথিবীর ভবিষ্যত-ই
অর্নিদিষ্ট---তখন ওসব ভাবা?
বোকামির নামান্তর ছাড়া আর কি?

ওরা থাক ওদের মতন,বাকীরা থাক তাদের মতন।

মৌ ঘোষ





মন্ময়ী
******



হায় রে দূর্গা..তোর কপাল দোষ,
নারী জন্ম নিলেই পরে
সমাজের ভিষণ রোষ ।

মাটির গৌরী মর্তে আসেন চারটি দিনের তরে,
আরেক গৌরী সত্য প্রকাশে অকালেই ঝরে পড়ে।

যে দেশেতে মানুষ অধিক, গরুও পায় সম্মান
সেই দেশেতেই নারী শিক্ষা
ভিষণ রকম বদনাম........।

প্রযুক্তিতে কর্মক্ষেত্রে নারী যখন শ্রেষ্ঠত্বের শিরপায়,,
ধৃতরাষ্ট্রের দেশে নারীকে গান্ধারী সাজায় যাতে পুরুষত্বে আঘাত না পায়,

মাটির মূর্তি  পূজার জন্য সবাই যখন মগ্ন

রক্ত মাংসের গৌরী তখন 
সমাজে হয় নগ্ন......।