নোটিশ বোর্ড
তুলি রায়
*চৈ -চৈ*
********
স্মোগি সন্ধাগুলো নিয়ে আসে কিছু অশনিসংকেত
হয়তো ঝাপসা বলেই
বর্তুলাকার শুকনো ঠোঁটে
অমলিন হাঁসি
জানা হয় নি বৃথা কি আড়ালের চেষ্টা
প্রতিটা জানালাতেই একটা অদৃশ্য পর্দা থাকে
বাতাসের উপস্থিতি সবসময় বোধগম্য না হতেও পারে
ফাঁকা কলসীর আওয়াজ সমর্থ হয় না তার গভীরতা জানাতে
লীলাবতীর বিনিদ্র যাপনে কারোর কিছু এসে যায় না
অপেক্ষারা ক্লান্ত হয়
উড়তে থাকে বিন্নী ধানের খই....
শিশিরবিন্দু দত্ত
এক একটা ভোর দ্যাখো
হেঁটে হেঁটে পার হয়
এই সব সময়ের স্রোত আর স্রোতের সময়
প্রত্যাশী তোমার জন্য প্রত্যহ ভালো-থাকা
সুনিশ্চিত তন্দ্রাচ্ছন্ন
চোখ দুটো স্বপ্ন- মাখা
আবার নতুন কিছু সৌরপথে ভোর হাঁটে
আমার দিন রাত সদৃশ ধোঁয়া মেখে বেলা কাটে
যখন তখন ময়ূর আসে
বর্ষাও ছন্দ জানে
কপোল খোঁজে আমার
বৃষ্টি - বিলাসের মানে
আবার নতুন করে শুরু এ সময়ের স্রোত
উপত্যকা জুড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি
আমি আলোহীন কপোত
সম্পা পাল
শব্দ সাঁকো
*********
অনেকগুলো শব্দ জমা হয়েছে , কিছুটা এখনো বাকি ।
একটা শব্দসাঁকো হয়তো হয়ে যাবে ।
যদি কিছু শব্দের প্রয়োজন হয় ,ধার হিসেবে দিয়ো ।
এ সাঁকোতে এপার ওপার একদিন এক হবে ।
তখনও মাঝখানে নদী একটা থেকেই যাবে ।
এ সাঁকোতে পূর্ব পুরুষ , উত্তর পুরুষ এক হবে ।
এক হবে সাতটি মহাদেশ আর পাঁচটি মহাসাগর ।
এক হবে কয়েক হাজার ভাষা আর সাতশো কোটির মানুষ ।
এক হবে পৃথিবীর সব সাদা কালোর দ্বন্দ্ব ।
সাঁকোটা তৈরী হোক ,পৃথিবীর মানুষগুলোকে
এপার থেকে ওপারে পৌঁছে দেবো ।
তারপর আমাদের দেখা হবে চাঁদের মাটিতে
সেখানে আমাদের মাঝখানে সারে তেইশ ডিগ্রি রেখাটা থাকবে না
তবে পৃথিবীতে থেকে যাবে আমাদের শব্দ সাঁকোটা ।
বিশ্বজিৎ প্রামাণিক
খুব সকালেই যদি
****************
খুব সকালেই যদি জানতে পারি--
আমি আজ বেঁচে নেই!
নাকে তুলো গুঁজিয়ে দেব!
শুঁকব না আর কারও ঘ্রাণ।
কানে তুলসি ঠেসে দেব!
শুনব না একটুও অভিমান।
চোখের পাতা নামিয়ে দেব!
আচ্ছন্ন করে দেব সমস্ত বন্ধন।
জিভের আগা বাঁকিয়ে নেব!
স্বাদকোষেদের দেব ভীষণ নিদ্রায় চির শয়ন।
হৃদয় থামিয়ে দেব!
রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দেব।
মগজে ঘসে দেব চির পাষাণ।
তবুও মৃত্যুর পর চিৎকার করে সেদিনও বলতে চাইব--
যেভাবে আমি ভাবছি,
তুমিও কি এখনও আমায়
ভালোবসছো এতক্ষণ?
নাকি ভুলে গেছো প্রিয়!
আমাদের যা ছিল আগের সবটাই সন্ধিক্ষণ!
তবুও একবার যদি ফিরে যেতে পারি--
বারো বছর পর হঠাৎ তোমার সামনেই!
তোমার জন্যে রক্ত গোলাপ নেব!
শুঁকতে দেব না কাউকেই একটুও ঘ্রাণ।
কানে তোমার পুরোনো ছন্দ ধরব!
আগের মতোই ভোলাব সব অভিমান।
চোখে ভীষণ প্রেম রাখব!
তোমার জন্য রাখব অসংখ্য মধুর বন্ধন।
জিভের আগা ভিজিয়ে নেব!
জড়তাগুলোকে দেব ভীষণ নিদ্রায় চির শয়ন।
হৃদয় গুছিয়ে নেব!
রক্ত ছড়িয়ে দেব!
মগজে ভাসিয়ে দেব প্রেমের ভাসান!
তবুও আসার পর চিৎকার করে সেদিনও বলতে চাইব--
যেভাবে এত বছর ধরে চাইছি,
তুমিও কি চেয়ে গেছো আমায় তেষ্টায় এতক্ষণ?
নাকি ভুলে গেছো প্রিয়!
আমাদের যা ছিল অতীতের সব সন্ধিক্ষণ!
চিরঞ্জিত সাহা
হাতকড়া
********
জমছে ধুলো চশমাকাঁচে,ঘড়ি বলে গোধূলি,
বুকপকেটে স্মৃতির মিছিল,ছেঁড়া নোট-আধুলি ।
বরফ চাদর,জীর্ণ মলাট,কাঁটা ঘুড়ি কার্নিশে,
এক পশলা রামধনু দিস ব্যস্ত দিনের শেষে ।
শালিখ ডাকে ঘুলঘুলিতে,তোর ফেরারি শুনে
স্বপ্নগুলো যত্নে মোড়াস,হলদে খামে বুনে ।
মেঘ ছুঁতে চায় পাহাড়চুড়ো,পক্ষীরাজের ডানা
মুছিস ফলক ক্যালেন্ডারে,হিসেব কষা মানা ।
তোর ফেরাতে হাজার দাবি,কেতাবি তল্লাশি,
মনসাহারায় তুষার নামুক,ইচ্ছেরা সাহসী ।
দুঃখ হারাক ট্র্যাশবাক্সে,সোহাগী হাতকড়া;
এক মুঠো রোদ মেলুক পেখম,আহেলী গাঁটছড়া ॥
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)