নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পূজা গোস্বামী





বৃষ্টি ভেজা কথা
***************


বুকের ভেতর বৃষ্টি ভেজা কোরাস,
হাত বাড়িয়ে পোড়া বিকেল চায়,
সিঁড়ি গুলো জানে পুরোনো অতীত,
পুরোনো বৃষ্টি মাখা অয়ন ।

কে যেনো পা বাড়ায়,
মেঘে ঢাকা ঘোমটা মাথায়,
স্মৃতির অভ্যাসে জর্জরিত,
ভোরের আভাস দিয়ে বেড়ায়  ।

বেঁড়ে ওঠা বুকের ভেতর,
খসে পড়া প্রেম গড়িয়ে,
নীরবে যন্ত্রণা বয়ে বেড়ায়,
বৃষ্টি ভেজা খোলা অঙ্গরূহে  ।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




ও মেয়ে তুই
***********



          ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টি হ'বি?
না জানিয়েই পড়বি ঝরে,   
           ভিজবো আমি,
  আমার মনের ছোট্ট ঘরে।
           
  বৃষ্টিভেজা নরম মাটির
          ঘাস হ'বি তুই?
  হাত বাড়িয়ে ইচ্ছে হলেই,
           একটুকু ছুঁই।
            তুই কি হবি
কালো মেঘে ছড়িয়ে দেওয়া
            বিজলী রেখা?
হঠাৎ করেই আকাশ মাঝে
              দিবি দেখা !
              ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টিভেজা বাতাস হয়ে।
যা না আমার শরীরটাকে ভালোবাসায়,
              একটু ছুঁয়ে।
হ'বি তো হ' কুলভাসানো
              একটা নদী,
আমায় তখন ভাসিয়ে নিবি,
    তুই আমার-ই  ইচ্ছেমতী।।

মোঃ শামসুজ্জোহা (মুকুল)



বৃ্ষ্টি আসবে বলেছিল




লাগে না লাগে না মন কোন কাজে আর
এখন নীলে নীলে নীলাকাশ মেঘে মেঘে মেঘালয়।
বৃষ্টি আসবে বলেছিল বৃষ্টি এল না, কেন?
         জানি না জানি না।
আমার আর ভেজা হল না।
লাগে না লাগে না মন কোন কাজে
আর এখন দু চোখে তিস্তার ধারা
 সেথায় পানসি চলে না।
ওগো বৃষ্টি তুমি এসো আমায়
ভিজিয়ে দাও মনে খরা চোখে
নদী জল থৈ থৈ দুকুল ভরা।

প্রতিভা দে




বর্ষা এল
********



দুদিন ধরে আগুন ঝরে
আকাশ যেন ভারেগে আছে,
দম নেয়া ভার শ্বাস কষ্ট
খাওয়া দাওয়া য় নেই মন।
এমন দিনে বর্ষা যদি ভর্সা দিত
মনটা ভরে যেত
বর্ষা তখন মজা দেখে
দূরত্ব বজায়ে রেখে।
একটু যদি বর্ষা আসত
এমনটাই চাইত
দু দুবার করে স্নান করেও
মনে হচ্ছে জলে ডুবে থাকি।
এমনই অশান্ত অবস্থায়
হঠাৎ দেখি আকাশ জুড়ে
মেঘ করেছে
মেঘের সাথে তার ঘনঘটা
নামল বর্ষা দূরন্ত বেগে
আগুন যত মাথায় ছিল
জল পড়তেই গরম বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে এল।
আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হতে হতে
চারদিক টা ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভরে গেল।
কি বলবো অবাক করা আরাম হলো
কি শান্তি, শান্তি বারি হয়ে বর্ষা এল।

ইমরান হাসান

 




     ছন্দ
     ********

অরণ্য মাঝে শিকারি, সামনে হরিণ
চিত্রল রঙে যে তার , বাঁধানো অজিন ।
ধনুর মাঝে ,শর বন্ধন , দ্বন্দ্ব অমলিন
টঙ্কার মাঝে প্রত্যাঞ্চা , ছন্দের সুকঠিন

শরে বিদ্ধ ত্রৌঞ্চ মিথুন , নিষাদে বধিত
সেই দ্বন্দ্বে , ছন্দে রামায়ন রচিত ।
সলিলের তলদেশে , মীন আলোড়ন
কুঁচের ছন্দে , বধিত  ধীবর আলিঙ্গন

অসিতে অসিতে ,ঝঞ্জনার সুরেতে
বাণের বরষা ,পরশার শোণিতে
রচিত ছন্দে , দ্বিপদী মন্দ্রে মাতল
জগত , রজত রঙে , যবনের কুলে ।

বীরের পেশীতে , রমণীর  হাসিতে ,
কৃপাণের তলে , আখিপট জলে
হাজারো , ছন্দ , মেদিনির  রন্ধ্র
শ্বাসের তালেতে , ছন্দ চলেছে

এক যুগ হতে বহুযুগ মাঝে ,
কালের শুরুতে , অন্তের সাঝে ।

তাপসী লাহা






মেঘ ও বৃষ্টি 
**********




ওই যে  কাঠ কাঠ  গুমর মেঘের
এতে শান্তি আসে না,
পরিতৃপ্তি  কেনো নেবো দ্রোহী বাতাসে,
মৃগতৃষ্ণা  মন
বাউল বাউল আকে।
শত জন্ম ধরে এক বাসুকী জাগে
আলাপনে বিরহী দূত
চপল ধারাস্নানে 
আছড়ায় ঢেউ পায়ের পরে
অতীন্দ্রিয়  সুর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে।
মেঠো ছেলে বাড়িপথ ধরে
আজ আর কাদে না
গানের সুর করে।