নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রতিভা দে




বর্ষা এল
********



দুদিন ধরে আগুন ঝরে
আকাশ যেন ভারেগে আছে,
দম নেয়া ভার শ্বাস কষ্ট
খাওয়া দাওয়া য় নেই মন।
এমন দিনে বর্ষা যদি ভর্সা দিত
মনটা ভরে যেত
বর্ষা তখন মজা দেখে
দূরত্ব বজায়ে রেখে।
একটু যদি বর্ষা আসত
এমনটাই চাইত
দু দুবার করে স্নান করেও
মনে হচ্ছে জলে ডুবে থাকি।
এমনই অশান্ত অবস্থায়
হঠাৎ দেখি আকাশ জুড়ে
মেঘ করেছে
মেঘের সাথে তার ঘনঘটা
নামল বর্ষা দূরন্ত বেগে
আগুন যত মাথায় ছিল
জল পড়তেই গরম বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে এল।
আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হতে হতে
চারদিক টা ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভরে গেল।
কি বলবো অবাক করা আরাম হলো
কি শান্তি, শান্তি বারি হয়ে বর্ষা এল।

ইমরান হাসান

 




     ছন্দ
     ********

অরণ্য মাঝে শিকারি, সামনে হরিণ
চিত্রল রঙে যে তার , বাঁধানো অজিন ।
ধনুর মাঝে ,শর বন্ধন , দ্বন্দ্ব অমলিন
টঙ্কার মাঝে প্রত্যাঞ্চা , ছন্দের সুকঠিন

শরে বিদ্ধ ত্রৌঞ্চ মিথুন , নিষাদে বধিত
সেই দ্বন্দ্বে , ছন্দে রামায়ন রচিত ।
সলিলের তলদেশে , মীন আলোড়ন
কুঁচের ছন্দে , বধিত  ধীবর আলিঙ্গন

অসিতে অসিতে ,ঝঞ্জনার সুরেতে
বাণের বরষা ,পরশার শোণিতে
রচিত ছন্দে , দ্বিপদী মন্দ্রে মাতল
জগত , রজত রঙে , যবনের কুলে ।

বীরের পেশীতে , রমণীর  হাসিতে ,
কৃপাণের তলে , আখিপট জলে
হাজারো , ছন্দ , মেদিনির  রন্ধ্র
শ্বাসের তালেতে , ছন্দ চলেছে

এক যুগ হতে বহুযুগ মাঝে ,
কালের শুরুতে , অন্তের সাঝে ।

তাপসী লাহা






মেঘ ও বৃষ্টি 
**********




ওই যে  কাঠ কাঠ  গুমর মেঘের
এতে শান্তি আসে না,
পরিতৃপ্তি  কেনো নেবো দ্রোহী বাতাসে,
মৃগতৃষ্ণা  মন
বাউল বাউল আকে।
শত জন্ম ধরে এক বাসুকী জাগে
আলাপনে বিরহী দূত
চপল ধারাস্নানে 
আছড়ায় ঢেউ পায়ের পরে
অতীন্দ্রিয়  সুর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে।
মেঠো ছেলে বাড়িপথ ধরে
আজ আর কাদে না
গানের সুর করে।

অন্তিমা প্রামাণিক




বৃষ্টি



 আয়রে বৃষ্টি! চাষিদের খুশি কর্,
 তুই এলেই তালের বড়া করবো আর.
 কলমি নাহলে সজনের শাক!
 তুই এলেই জমি থেকে ছোটো ছোটো আনবো মাছ
 কি রে! কত দেরি আসতে?

রহস্য কাহিনী(দুই)




দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

2/401 Urmila Apartment .
Gorai Complex. Bagnan.
Howrah 711303.


          (দুই)




৭.

বাড়িটি বাড়াতে হবে

গাছটি বোঝে

তার সময় হলো যাবার

দুঃখ ক্রমশ ইট কাঠ পাথর

ভাতের ভিতর 

লেবুগন্ধ নেই 

সন্ধ্যার ভিতর নেই সন্ধ্যামণি

আম কাঁঠালেরা চলে গেলে

গ্রীষ্ম অতীতকাল হয়ে পড়ে

বাড়িটি বাড়তে বাড়তে

আকাশ ঢাকলে

হারিয়ে যায় চড়ুই শালিক 

এতো উচ্ছেদের পর 

নিজের শিকড়

সেও বিদেশে চলে গেলে 

শূন্য শব্দটি এই নির্মাণে বসাই

খাঁ খাঁ র ভিতর তবু কিছু ঘুঘু রয়ে গেছে

৮.

বকুল গাছের গান শুনতে

তোমার সকাল সুবাসে

বাসা খুঁজে নেয় 

তুমি পুকুরের ভিতর এক

একটি মুক্তোর পতন দ্যাখো

আকাশের উপর কালো পর্দা

সরে গেলেই সিনেমা শুরু

অন্ধকারের ভিতর তোমার অপেক্ষা

 বেশ উত্তেজনাকর

 ‎আওয়াজ আসছে ওপার থেকে

 ‎কিছু ঝিলিকের সাথে

স্থলপদ্মের পাপড়িগুলো জল

ধরে আছে স্নানের পরে

তার ভিতর তোমাকেই দেখি

গায় ভেজা চুল 

এক এক ফোঁটায় তুমি উজ্জ্বল

জলের গভীরে জল 

কোন রহস্যে খুব হেসে ওঠে

৯.

কালো আলখাল্লা পরে পীর সেজে

রোদকে হুমকি দিলে 

সে বশ হয়ে লুটিয়ে পড়ে দরগায়

গাছের পাতা যেন চামর

বুলিয়ে যায় মাথায় 

নিরাময়ের পথে উড়ে আসে বাতাস

সমস্ত ষড়যন্ত্রের ভিতর 

মাকবেথের দুর্গে পাখির কলতান

ফুলের সুবাতাস 

নৈরাজ্যের মাঝেও ফড়িংয়ের

অবিরাম ওড়া 

মধু খেয়ে যাওয়া প্রজাপতি

ডানায় লেখে বহুরৈখিক কবিতার ভাব

বৃষ্টির ছোঁয়াচ লাগা সন্ধ্যায় 

ঝিঁঝিঁরা বেজে যায় অবিরাম

তুমি বধূ তবুও

গলায় কাপড় বেঁধে

সিলিং ফ্যানের প্রেমে পড়ে যাও

তোমার অভাবে 

ভিজে বিড়ালটিকে কে তবে ফেরাবে!

১০.

মৃত ঘোড়ার সাথে 

কথা হয় সন্ধ্যার রাস্তায় 

এক ক্ষয়া চাঁদের নীচে

তার কর্কশ হ্রেষায়

 কেঁপে ওঠে 

শহরের নির্জন রাস্তা

ছায়াময় আলো

অন্ধকারের কাটা মাথা

দ্রুত ছুটে যেতে 

না পারায় আতঙ্ক

তার শূন্য চোখ থেকে

ক্রমশ সংক্রমিত

তার থম মারা অবস্থা

থেকে থেকে 

মৃদু পায়ের শব্দ

ধূ ধূ দুঃখ রেখে 

হারিয়ে যায়...


(ক্রমশ...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(দ্বিতীয় পর্ব)







মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।





    ( দ্বিতীয় পর্ব)



আগে থেকে বোঝা যায় কোন ঝোপে বসে আছে বাঘ!
অনভিজ্ঞ সেই আমি সপাটে মেরেছি বাঘ
আর তুমি কিনা বললে
এটা কি দুঃখজনক ঘটনা
বাঘের আমাকে খাওয়া উচিত!

কি কান্না কেঁদেছিল
আহা,ফাঁদ ফেলে ঐ বাঘ।
আজ আবার সেই আওয়াজ কান শোনে
তোমার নখ থেকে,চুল থেকে।

উঠুক গর্জন
অভিজ্ঞতাই মোকাবিলা করে
সবংশে নিষ্ঠুরতা গিলবো এবার।


তুমি এখন ঝড়ের মুখে
উতাল পাতাল মন
কাউকে করো পরোয়া?
কচু কাটা হয় গোলাপ বন
তোমার তুমি হিসাব ধাঁধায়,
ঘুর্ণি বিপাক বিনা বাধায়!! 
তুমি আর সেই তুমি নেই
এখন তুমি নিজেই ঝড় তোলো।


কতটা মিনিট সেকেন্ড আর বছর কাটলে ভালবাসা জেগে ওঠে প্রতিটা লোমের গোড়ায়,কতটা রক্ত পথ পেরোলে শিবরাত্রি ভালবাসা মাখে!!হাঁটতে হাঁটতে ফিরে দেখি হঠাৎ তুমি উল্টোদিকে ছুটেছো,কি ঝড় কি ঝড়,একা হাতে সামলেছি কত!উড়ে যাওয়া তোমাকে নামিয়েছি বুকে,ঝড় থেমে গেলে ভালবাসা ভূত্বকের সব আবর্জনা ধুয়ে দিত,আর আজ সেই আমি উড়েই চলেছি মাটি ছেড়ে ঘাস ছেড়ে শীর্ষ বাঁশের ডগা ছেড়ে.......

কাল তুমি নরম সোফায় আধশুয়ে খবরটা দেখতে ভুলো না কিন্তু.....

এ খবর শুনে ভূত্বকের কচি ব্যাঙগুলো আর বোধহয় ডাকবে না,খাবেও না এক চিমটে বিষ!!


কতটা ক্ষত হলে থামে একটা ঝড়
আর যদি সে আচমকা নামে বুকের উপর
ঘুমের ভেতর?

কতটা সংসারী হলে ঝড়ও দোরে এসে কুর্ণিশ ঠোকে
কত ঘাম খেলে ফসলও খাঁটি হয়!

কেউ কি জান?
কেউ কি জান কতটা ঘৃণা জড় হলে ভালবাসা উড়ে যায়!

কতটা মেকআপ মাখলে নকল আসল হয়
কতটা শিশির জমলে মনে,ভালবাসা জাগে সিম আর লাউয়ের মাচায়!

কতটা চাপে বিপর্যস্ত হলে মন থেকে উড়ে যায় যুক্তিরা
কতটা যুক্তিহীন কাজ হলে মানুষ পাগল শিরোপা পায়!!

কেউ কি জান?
কতটা ক্ষত হলে একটা ঝড় থামে??


আকন্ঠ বিষয়ী তুমি
হায়, তোমারও গলা এখন দুব্বো পাতা!
মোড়ের মাথার কৃষ্ঞচূড়া,কি বলি 
আজ কি তোমায় চোখ মেরেছিল?
ফাগুনের আগুন চেটে নিলই 
ঘুম ঘুম জমাট শীতলতা।

কি হিসাব কিসের হিসাব
মিলে গেল বিষয়ী?
শুধু কিছু লাইক কমেন্ট
এই তো ছিল রোজকার বরাদ্দ!
আজ শুধু মায়ায় ভরেছো তুমি
ভালবাসা চুপচাপ একধারে পড়ে।


দাঁড়িয়ে আছি তো আছি
পাগল আমি
তোমাকে ছোঁব বলে
গান্ধর্ব মতে উষ্ঞতা গলেছে মনে
আর কত দাঁড়াব!
ঐ তো গেল তোমার ট্রেন
তারপরেরটা...তারপরেরটাও।

নাহ, সব আশা শেষ হল।

কতটা উপায়ী হলে সব চাওয়া হয় পাওয়া?
পাওয়াগুলো বাসা বাঁধে এ লোমশ বুকে
নির্দিষ্ট ট্রেনে তোমাকে ফিরিয়ে আনা যায়
আর মধ্যরাতে বিসমিল্লা খান হওয়া যায়।

দাঁড়িয়ে আছি তো আছি!!


(ক্রমশ....)