নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুকান্ত মণ্ডল




মেঘ কাহিনী 




তখন মেঘ, আকাশ থেকে দূরে অধ্যয়নে;

চুপচাপ মনে শপথ, হাজারো ত্যাগস্বীকার 
মাঝে মাঝে পিছুটানে যায় থমকে।

দিনরাত একাকার সাধনার জলোচ্ছাসে,
শেষে সিকেভাগ স্বপ্ন, মেঘের দরজায় বর্ষে।

তারই উচ্ছাসে আত্বহারা মেঘ;
সব পিছুটান ফেলে নষ্টের স্রোতে,
নিজেকে হারাতে চায় মা-এর চোখের জলে।

ফেরারী মেঘের আকাশ ঢাকে কালোমেঘে,
চারিদিক নিশ্চল ;ভিতু প্রবাহের বন্যা।

মেঘের শেষ সম্বল ,পরম প্রিয়- 
মা, মেঘের জীবন থেকে মুক্তিলাভে স্বর্গবাসিণী।

তপময় চক্রবর্তী




মেঘ বৃষ্টি 


ইচ্ছে গুলো বড় হচ্ছিলো বিসর্গ এর অন্তরে,
আমার আবেগ-অনুরোধ ছুঁয়ে যায় বুদ্বুদে,
ছুটে পালিয়ে দাঁড়াই এসে রাস্তার শহরে,
লাম্পস্টের গোড়ায় দাবদাহে একলা ডুবে,
আত্মত্যাগের কোনো কারণ না হলেও,
এ মাটিতে বৃষ্টি কবে নামবে...
জিভে সব নোনতা লাগে,
মোটা মোটা অশ্রু বিন্দুর উপর ভর দিয়ে , 
 লক্ষ্য বোকা টিকটিকি ও ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে,
বৃষ্টি থামছে না, গাভীর মতো মেঘ ভেসে চলেছে...
দুপুরের ক্যারাম আর রোদে ঘাম লুকিয়েছে রুমালে,
অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ গর্ত বানিয়ে সংসার পাতলো জীবনে,
নীল দেওয়ালের বুকে সাদা বকের ছাপ যায় উড়ে,
ঠান্ডা বরফ আঙ্গুল গুলো ভয়ে কেঁপে হারিয়ে ফেলি সম্মানে,
বেঁচে আছি, থাকবো চুপচাপ ,পাই না শুধু বট গাছে,
পুরো ক্যান্সার এখন ফুটবল,কালোটাকা,পরস্ত্রী ও ল্যাদে !

অসিতাভ দাস



মেঘ 



মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
চম্পা টুডুর বুক ।
মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
লালাঝরা উজবুক ।


মেঘ বললেই আসর জমে
কষা-চিকেন আর মদে।
মেঘ বললেই কচি হরিণী
পা রাখে ঠিক ফাঁদে।

মেঘ বললেই মুখ চেপে ধরে
রক্তনেশার সুখ।
মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
বেকারত্বের দুখ্।

মেঘ বললেই কাজ শেষে সেই
অনুতাপে হয়তো জ্বলা।
মেঘ বললেই ভালো হতে চেয়ে
খারাপ পথেই চলা।

মেঘ বললেই ছায়া হয়ে আসে
রাজনীতির এক হাত।
মেঘ বললেই ভুলে যেতে হয়
পশু, মানুষের জাত।


মেঘ বললেই
এই মেয়ে তোর মুখ দেবো পুড়িয়ে ।
মেঘ বললেই
আড়চোখে দেখে চলে যাও এড়িয়ে।


আয় রে বৃষ্টি, আয় রে শ্রাবণ
আয় রে সজল ধারা।
মেঘটাও আজ কাঁদছে অঝোর
সদ্য শিশুর দ্বারা ।

মায়িশা তাসনিম ইসলাম





গোলাপ চক্র



গ্রীষ্মের অভিধান মুখস্ত করে আসা ভালোবাসা
        বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি করে
                    শরতের আসন্ন মৃত্যু!
বজ্রের আঁকাবাঁকা সরু দাঁত
          আকাশে নিয়তির অট্টহাসি!
জল-করুনায় ভিজে থাকা পথে
     কিছু ম্যানহোলের জিভ হয়ত খুঁজবে        
                      নোনাজলের স্বাদ!

শরীরের স্পর্শগুলো ধুঁয়ে দিতে চাইবেন
          বৃষ্টির যিঁনি রক্ষণশীল স্রষ্টা...
পা থেকে মাথা অবধি সজল চাবুকের বাড়ি!
     হে শ্রাবণ, তুমি তাঁকে বলে দাও
তাঁর ক্ষমতা তিঁনি নিজেই করেছেন সসীম,
অদ্ভুত মেঘ-প্রচ্ছদে কামার্ত প্রেমের অন্য বরষায়।
শ্রাবণের এই অবাধ ধারায় ভিজবে না কোনোদিন
    স্পর্শধারায় রচিত মস্তিষ্কের সংবিধান।

এক একটা ধারার উন্মোচনে,
     ইতিহাসের নির্লজ্জতা এসে দাঁড়িয়ে যায়!
ভালোবাসার রাষ্ট্রে বসে
     ঐতিহাসিক মহাশ্মশানের আয়োজন!
চামড়ার কাফন উলটে পালটে দেখে, 
     ভাগ্যচিতায় সাজানো শরীর ছাই বানায় ধর্মের পাপ!

দিক বেঁকে যাওয়া নদীস্রোতের অনীহায়
                    ছাইগুলো থেকে ফুটে ওঠে 
                               প্রথম দিনের গোলাপ!
শুরু হয় আরো একবার
           প্রণয়ের বিনিদ্র নেশায় 
             পেলব রাত্রিগুলোর অবগাহন!
কিন্তু কোন এক শ্রাবণদিনে
     সেই গোলাপ আবারো শুয়ে পড়ে 
                               ভাগ্যচিতার আসনে!
এভাবেই জন্ম-জন্মান্তর পুড়তে থাকে 
    রক্ত-লালের
           আজন্ম পুরাণ।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




মেঘের পাড়ায় 


সেদিন যখন হাত বাড়িয়ে ডাকল আকাশ,
আমি তখন পা বাড়ালাম মেঘের পাড়ায়।
এক সাদা মেঘ অমনি দেখি পাল তুলেছে,
আমিও তাকে পাঠিয়ে দিলাম তোর ঠিকানায়।
মেঘদূত ওই মেঘটা তখন তোকে ছুঁলো।
আবার সে ফিরে এল তোর ইশারায়।
তখন দেখি মেঘের মনেও মেঘ জমেছে।
বললো আমায়- তুই ভুলেছিস আমার কথা।
এমনি করেই দূরে গেলে সবাই ভোলে,
আয় মেঘ আয় লুকিয়ে রাখি মনের ব্যথা।
আমার আর মেঘের চোখে তখন  শুধুই জলের ধারা,
ঝাপসা মনে সোঁদামাটির গন্ধমাখা নক্সিকাঁথা।।

সুদীপ ঘোষাল





মেঘ 


মাটিমাখা মেঠো মেয়ে তুমি বৃষ্টি মাখো
মায়ের ঐশ্বরিক পরশের মত তোমার হৃদয়
বেলি ফুলের সুগন্ধে ছুটে আসা অবোধ বালিকা
পলকহীন নয়নে কাজ ভুলে যায়...



বৃষ্টি ফসল ফলিয়ে ভরে উঠুক
আরও প্রাণ আরও আলো
ভালোবাসা ছড়িয়ে  ছুটে চলে আঁধার পেরিয়ে...