নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মিঠু মুখার্জি

তুমি ডাকলে
*********



তুমি ডাকলে এইইই --
আমি আনমনে উঁহুঁ-
এক ঝাঁক বুনোহাঁস
ডানা মেলে উড়ে গেল নীল আকাশে ।
কি জানি কি ভেবে!
অরণ্য কাঁপিয়ে আমরা হেসে উঠি
যেন ঝড়ের লুটোপুটি
অরণ্য!মহুল বনের অরণ্য।
কি বন্য!
তোমার দুচোখ আমার চোখে নিবদ্ধ
লজ্জায় আমি জড়সড়
তোমার তখন লতানো দাঁড়ি
আমি তখন অষ্টাদশী
আকাশে ছিল চতুর্দশী চাঁদ
কোথায় গেল!সেসব  দিন আজ?
বললে তুমি যাবি? ঝুমরিতিলাইয়ার বাঁধ?
দে তোর হাতটা আমার হাতে আজ।
মুখ বাঁকিয়ে আমি বলি
কি হবে ওখানে?
বললে তুমি, হাজার পাখির
মেলা সেখানে।
দেখবি তাদের সুখের ঘরকন্না
শিখবি কতো জানা অজানা।
বাঁধের ধারে গিয়ে দেখি
রঙবাহারি পাখির জটলা
যেন শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা।
হাতে তালি মেরে আমি বলি বাহ্!
এসব তো আমার জানা ছিল না?
সব কিছু হল জানা বোঝা
কত অচেনা কে হল চেনা ।
শুধু হাতটি ধরে যে চেনালো
আজকে সেযে বড় অচেনা!

মনি আহমেদ

বৈশাখ এসো
**********



বৈশাখ আমার  জীবনে  জুড়ে আছে ,
তাই  বৈশাখ  আসলে মনে  পরে যায় ,
সব কথা  সব  ভালোবাসা ।
শাহবাগের  কর্নারে  আমারা
মঙ্গলযাত্রা  দেখবো  বলে  দাড়িয়ে আছি ,
চুতুর্দিকে  গান  বাজছে ----------------
 রবীঠাকুরের "এসো  হে  বৈশাঁখ  এসো  এসো "
নূতন  লাল  পারের  সাদা  শাড়ি  পড়েছি ,
প্রথম  শাড়ি  পড়ার  আনন্দ  আলাদা ।

হটাৎ  আমার  এক বন্ধু  বললো ,
দেখ  এই  ছেলেটা  কোলকাতার ,
তোদের  পাড়ায়  থাকে  ।
বেখেয়ালে  মুখের  ঘাম  মুছলা্‌ম,
মঙ্গল  শোভাযাত্রা  আসছে  ।
সমস্ত  অমঙ্গলের  প্রতিবাদ  চিহ্ন নিয়ে ।
চতুর্দিকে  ঢোল  বাজছে  -----------
সাদা  লাল  পাড়ের শাড়ি  সাদা  লাল পাঞ্জাবী ,
কি দারুণ  লাগছে  সবাই কে ।

বাসায়  আসার  সময়  দেখলাম  ,
সেই  ছেলেটা  আমায়  দেখছে ।
পহেলা  বৈশাঁখ  বাংলা  যেন হাসছিল ।
মন  বড়  অনমনা  ছিল -------
মুঠো  মুঠো  মেঘের  মতো  ছিল  ভাললাগা ।
হটাৎ  একদিন  আমার  এক ছোট  ভাই
এসে  বললো  তোমাকে  পাড়ার ভাইয়া ,
এই  বই টা  দিতে  বলেছে।

হৃদপিণ্ডের  শব্দ  ফুসফুসের  চাপ
সেই  বইটা  ছিল  রবীঠাকুরের
সঞ্চয়িতা  কিছু  বেলি  ফুল -----
ভিতরে  লিখা  তোমায়  কত  টা
রবীঠাকুরের  সঞ্চয়িতার  মত
প্রমান  আমার  কাছে  নেই  ।
তবু  যেন  অনেক  অনেক  ভালোবাসি ।
অল্প  বয়স  প্রেমের  মেঘলা  দিন আসে ,
সারা  বাংলা  হেসেছিল সেইদিন ।

প্রথম  ভালো  লাগা মুগ্ধতার  বীজ
বাতাসে  গাঢ়  হতে  থাকে  বনজ  গন্ধ ,
রাতের  আকাশে  নেমে  আসছে
স্বপ্নের  জলাশয়  হয়ে ।

অmrita

অতীত
*****



চূড়ান্ত ধাক্কাতে শরীরের সমস্ত উপদ্রুত অঞ্চলে অবরোধ জারি হয়।।

মাথায় সম্প্রচারিত খবর আসে,,'সাক্ষ-প্রমাণ লোপাট,আসামি ফেরার'।।

ওলট পালট খাতা,পেন। আফসোসে ভিজে যায় শুয়ে থাকার ধ্বংস-চাদর। আচমকা বিদ্যুত-ঘুম ভেঙে যায়,,,,। এত খোলামেলা কেন শরীর?

এত খুলে রাখা কেন? টানটান পদ্ম-বুকে সাফ লেখা দেখতে পাই 'আসামি ফেরার'। ফেরারি ব্যক্তিগত হাতের ঘ্রাণ।।

তারপর থেকে বিশ্বাস-ঘরে পাসওয়ার্ড-লক লাগিয়ে বাড়ি ফিরি উল্টোরথের দিন, মনে মনে আউরে যাই চোয়াল-চাপা হুমকি-মন্ত্র,,
          তুমি ক্ষমা চাও,ক্ষমা চাও হে অতীত।।
                                              

বিকি দাস

রাধাচূড়া 
******


তাহলে তুমি'ই ছিলে সেই রাধাচূড়া?
একা একা বৃষ্টিতে ভিজেছিলে।
বৃষ্টি - তো তোমার চোখেও জমে,
শুধু তুমি বুঝতে দাও না।
রোদ্দুরে পুড়ে যাওয়া মন তোমার
তবুও কত চকচকে করে.....
এমনিতেই হীরে কখনো গলে না,
আর আগুন তোমায় পোড়াবে কি...?
আমার যে একেলা একটা সিন্দুক আছে,
তোমার হীরের মন টা দাও ?
লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখি।


মনোরঞ্জন সরকার

তারপর আর আসোনি...
*******************



রোজ দেখি এরাস্তায় যাও
কাধে ঝোলানো লালনীল ওড়না। পিঠ ব্যাগ। বইখাতা।স্কেল।
টিউশনে বুঝি? বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠেনি, কিভাবে
এপথে যেতে যেতে বারবার, মারিয়ে যাও এ-বুক তুমি আর, তোমার কন্যাশ্রী সাইকেল।
ভুলকরে যেই দিন প্রথম চোখে রেখেছিলে চোখ
চলার গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়ে। কি নির্মমতায় মারিয়ে গেছ বুক। তুমি জানো?
ভেবিছিলাম এইতো প্রেমের শুরু। সেদিন থকে তুমি ভীষন সাবধানে
ফেলেছো পা হয়তো দুরুূুদুরু। চোখাচুখির করোনি ভুলচুখ আর কোনোদিন কখ্খনো।
তারপর হঠাত্ যেদিন তুমি নতুন সাজে এলে
হাটুর নীচে দোপাটি রং ফ্রক,
বলেছিলাম।কি দারুন লাগছে তোমায়!
দেখেছিলাম। ভেতর ভেতর ভীষন লজ্জাতে লাল হলে।

তারপর পুজো এলো।
ছুটি ছিল। সেই থেকে আর এ-পথে আসোনি।
না বলাই থেকেছে মনের কথা। শোনাও হয়নি-
ভালোবেসেছিলে কি বাসনি...
আমি এখনো শুধু সেই ভুলের মাশুল গুনি
দু-কানেতে বাহারি হেডফোন,
নচিকেতার নীলাঞ্জনা শুনি।

সুদীপ্ত সেন

 গ্রীষ্ম গরম
::::::::::::::::



জলের তলাই মাছের খেলা কিলবিলিয়ে
আমড়া গাছের পাতা পরেছে জল ছুঁয়ে থাক

চিলেরা কেমন বৃষ্টি আশায় ডাক দিয়ে যাই
পায়রা গুলো গোলির গায়ে ঘর করেছে

ছাদের নীচে গরম সরে জলের ফোটা
গাছের থেকে বাষ্পমোচন ধোঁয়ার মতো
দূরের পাখি ফিরছে দেখো শান্ত হাওয়ায়
চাতক গুলো তাকিয়ে থাকে জলের ফোটায়।

অনেক পরে সাঁঝের তারা,মধ্য আকাশ
জোনাকি পোকা, নিভিয়ে গেলে বিজলিবাতি
আমার থেকে অনেক দূরে ঝি'ঝি পোকা
ছাদের গায়ে বেলি ফুলের গন্ধ একা।

তাল পাতাতে বানিয়ে ছিলাম হাত পাখাটা
এক নিমেষে নামিয়ে দিলাম ছাতুর থালা
সেদ্ধভাতে গল্প গুলো শান্তি খোঁজে
রিলিপ মাখি গুড নাইটে চোখটি বুজে।