নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

নীলা হোসেন

বৈশাখ আগত
""""""""""""""""""
               
  

বিদায়ী  ১৪২৪ বর্ষ
ঝড়ো ঝড়ো আগত
ক্রমান্বয়ী  বিশাখা  হর্ষ।।

মনো প্রান্তরে যতো পাপ
নিমিষে ধূলায় উড়ায়ে
 দীপ্ত হোক ঋত প্রতাপ।।

জমাক্ত যতো জঞ্জাল
বৈশাখ আগমনে দ্বন্দ্বিত
হৃদে বিনাশিত  কজ্জল।।

রুনা দত্ত

হংসীনি রাই 
***********




 খোঁপায় চাঁদের পালক গুঁজে হংসীনি
 রাই জলকে নামে 
 বাদামী পিঠে ঝুরো ঝুরো জোছনা
 অভ্র আল্পনা এঁকে দেয়। 

 জুঁই চাঁপার গন্ধে মদির কুঞ্জবনে
 কৃষ্ণপক্ষের গাঢ় ইশারা
  প্লাবিত স্নায়ুতে শ্যাম শিউলির ঘ্রাণ 
  আর ভ্রমর বিলাস।
   
 উন্মুক্ত নাভিমূলে ময়ূরাক্ষী নদীর 
  আন্তরিক সৃজনানুরাগে...
  সোহাগী শরীর জোড়া জল,কলসী
  ভেসে যায়।
  মৌসুমী মৌতাতে সিক্ত শরীরে
  বিন্দু বিন্দু পরাগরেণুর মিলনাভূতি।
   রিরংসার অভিসারে পেখম মেলে
   হংসমিথুন রাই!

    

তনুজা চক্রবর্তী

হারানো সময়
*************


      

সময়ের আগে সন্ধ্যে এল 
আকাশের সেকি রাগ,
থেমে থেমে গর্জে উঠছে
বলছে তোরা ভাগ!
আমরা তখন নতুন পাতা
কিছুতেই নেই ডর,
আকাশ দেখে মন বুঝেছে,
পূর্বাভাস দিচ্ছে ঝড়।
টালির চালে পড়ার শব্দ
গড়ছে আমের পাহাড়, 
জিভের জল ভাবছে তখন,
আচারের কত বাহার!
আকাশ তখনও রাঙাচ্ছে চোখ
গলার সেকি জোর,
সব শুনেও না শোনায় যেন
কিসের একটা ঘোর----
এখনও আসে বৈশাখী ঝড়,
আমও পড়ে ঝরে,
আমি এখন অমলের মতো
দেখি জানলা ধরে---

আলো মণ্ডল

থমকে যাওয়া সময় 
 ******************



তোমার দেওয়া মেঘ গুলো সব
জানলা'র গ্রিল ছুঁয়ে ,
নীল পর্দায় সব'টুকু রঙ
বৃষ্টি দিয়েছে ধুয়ে !!

থমকে গিয়েছে হঠাৎ সময়
ইটের ফাঁকে-ফাঁকে ,
ক্ষত গুলো সব দিচ্ছে জ্বালা
সলতে পুড়ছে বুকে !!

মেরুদণ্ড টান-টান করে
আমার তুমি'তে ভরা ,
কথায় -কথায় কথা গুলো সব 
ঝরায় পলে'স্তারা !!

রাতের আঁধারে অজুহাত গুলো
খেরো'র খাতা খুলে,
না পাওয়া গুলো'ই বাড়িয়েছে হাত
চৌকাঠ পিছে ফেলে !!

এক মুঠো সুখ স্বপ্ন চোখে
চলার ছিল শুরু ,
কর্পূর হয়ে মিশেছে বাতাসে
আজ অজানা মেরু !!

ছোট্ট  পৃথিবী টুকরো হয়েছে
হাজার অজুহাতে ,
একটা কাগজে কলম আঁচড়ে
হাত নেই আজ হাতে !!

অনোজ ব্যানার্জী

আমি নেতাজী,আমি আছি
*************************





সেদিনের বিমান দুর্ঘটনায় আমি মরিনি।
আমি আজো আছি,
থাকবো ও  চিরকাল।
ভুলিনি তোমাদের,
আমি আছি,
অগণণ জননারায়নের হৃদয়ের গভীরে,
 চেতনার অনু পরমাণুতে,
ইলেকট্রোনে প্রোটনে।

আমি আছি ফুলে ফলে বৃক্ষে
লতায়, পাতায়,ঘাসে ঘাসে।
বিশুদ্ধ বাতাসের স্তরে স্তরে
কোশে কোশে।
নীলাকাশে গ্রহ নক্ষত্র  চাঁদে।
পবিত্র সূর্যের আলোর তরঙ্গস্রোতে।

স্নিগ্ধ  মধুর ঝর্ণাধারায়।
আমি আছি প্রতিবাদী মানুষের
দীপ্ত কন্ঠের বজ্রে।

আমি আছি, তোমাদের পবিত্র
রক্তের জিনে ক্রোমোজোমে।
আমার মৃত্যু  নেই
আমি অমর।
আমি বলবো না আর
তোমরা আমাকে রক্ত দাও
আমি তোমাদের স্বাধীনতা  দেবো।
আমি গড়বো না আর
আজাদ  হিন্দ বাহিনী।
আমি  ডাক দেবো না
দিল্লী  চলো।
আর মুখোশের অন্তরালে নয়,,
এবার তোমরা মানুষ হও।

আমার জন্মদিনে আর শুধু
ফুলচন্দনের পবিত্র মালা নয়।
ফুল নয়,ধূপ নয়।
অগণন  ক্ষুধিত মানুষের মুখে
তুলে দিও দুমুঠো ভাত।
প্রকৃত মানুষ হয়ে নিজে নিজে,,

অসহায় দুর্বল  মানুষের
পাশে পাশে এসে দাঁড়াও। 
মানুষই দেবতা,মানুষের

সেবা করো হাসিমুখে,নির্মল সুখে।

সুনন্দ মন্ডল

হিপ্নোটাইজ
*********                


সন্ধ্যারতি--শাঁখের আওয়াজ
গৃহবধূর ছড়ানো ধূপ-ধোঁয়া।
লাল পাড় সাদা শাড়িতে গন্ধ লেগে শুদ্ধতার
মিষ্টতার পরিবেশ বাড়িময়।
মশাদের আক্রমনে ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়া
রোগের আস্তিন ঝেড়ে তকতকে।
সকাল থেকেই খরপ্রখর মাথা ঝিনঝিন
কর্মব্যস্ততার ভিড় ঠেলে বেরিয়ে
বিকেলের হাওয়ায় গায়ের ঘাম শুকিয়ে
মায়ের যত্নে লালিত ধুপকাঠির ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
বাড়ির রাস্তা চিনে ফেরা।
গোরুর পালও ফিরে আসে মাটির গন্ধ শুঁকে।
মায়ের মমতায় আঁকা স্নিগ্ধতার জাল
কী মায়াময়! কোলে মাথা রেখে শান্তির ছটা।
চোখ বুজে স্বস্তির পাতায় শিরা-উপশিরা বেয়ে
রক্ত চলাচলের অদম্য প্রয়াস।
মোহিনীর কুহকের মতো ছড়িয়ে শুচিতা
আত্মতুষ্টির বশ্যতায় আবিষ্ট দেহ-মন।