নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জ্যোতির্ময় রায়



বসন্ত শেষে

************


আজ ফের বৃষ্টি হল ,রাম ধনু আঁকা সিঁদুরে মেঘে
আজ ফের কচু পাতায় জমেছে জল
দূর্বা ঘাসের গা ছুঁয়ে ,খেঁজুর পাতা বাতাসে ,
শিউরে উঠে শরীর ।
কাঁচা আম আর লবণ লঙ্কা গুড়ো ... !
তোমার মিষ্টি ঠোঁট আর রেশমী চুল ...
উষ্ণ কিছু চাওয়া ,কিছু নিরব অভিমান
বৃষ্টি ... তুমি এলে ... স্তব্ধ হয়ে যাওয়া
 শব্দে ফের দিলে প্রাণ ... ।।

বৈশাখী চ্যাটার্জী



কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে থাকা কিছু গদ্য কথা 
***********************************




কবিতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে বেঁচে ফেরে কিছু কাকতালীয় সুখ --
বড় রাস্তার মোড় থেকে সরু গলির ঘুপচি ঘর গুলো পর্যন্ত দিব্যি কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে থাকে । 
কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে ফেরে বড় শহর ছোট গ্রাম । 

সন্ধ্যেবেলায় বাঁশঝাড়ের অন্ধকারের মধ্যে তৈরি হওয়া এক ক্যাচ ক্যাচ শব্দ রহস্য না খুঁজে খুঁজেছিল কবিতা । 
পরদিন সেই বাঁশগাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলেছিল কোন মালতি নামের মেয়ে । 
তারপর আরও কত রাত অতৃপ্ত আত্মারা  ঘুরে গেছে -
কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে উঠেছে আরও কত অশরীরী কথা । 

কবিতা আছে বলে মালতি -আশা -লতা -বা সেই কোন এক কবির বনলতা আজও বেঁচে। 
কিন্তু সন্ত্রাস লোভ লালসার ইতিহাস গুলো শুধু বিদ্রোহ করে ফেরে । 

কবিতা আছে বলে ধুলো ঝড় গুলো বয়ে চলে । 
অযথা কিছু মুকুল খসে পড়ে ।    

তারপর কোন অন্ধকারের মধ্যে -কোন স্বপ্নের লাল রঙ ছুঁয়ে আসতে চায় আমেরিকা -ব্রিটেন-লন্ডন -অথবা প্যারিস। 

কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্য ওঠা বা কাশ্মীরের বরফের মধ্যে টুকরো টুকরো অভিমান বঞ্চনার কথা গুলো আলো আঁধারি কবিতা হয়ে বেঁচে ফেরে । 

বড় বড় উঁচু ফ্লাটের ওপর থেকে নিচে তলায় জমা কান্না আর অট্টহাসিরা ফোয়ারা ছোটায় বোতলের । 

সাধারনের পাঁচমিশালী পাঁচফোড়নের কাহিনীতে তেমন কোন কবিতা নেই । 

ঘাম ছোটা জীবনে -আঁচড় কাটা জীবনে -পাশবালিসে লেপ্টিয়ে ঘুমানো জীবনে তেমন কোন কবিতা নেই । 
তবু কবিতার মধ্যে এই ছোট ছোট অনুভূতিরা আটপৌরে হয়ে বেঁচে আছে - বেঁচে থাকে ।

আধঘুম চোখেও প্রতিটা কলমে সজীব হয়ে বাঁচে কবিতা আর কবিতা ছুঁয়ে বাঁচে কিছু গদ্য কথা ॥ 

                  

মৌসুমী রায়




জ্বলন
******

হাসনুহানার পুড়তে ভালো লাগে..
সূর্য ডোবার আগের আকাশ লাগে মিঠে
মুঠো মুঠো পলাশের রঙ তার কাছে,
যখন তখন আগুন হয়ে ওঠে।

নিষিদ্ধ ভালোবাসার স্বাদ...
তার কাছে পাখির নরম শরীরে
ঠোঁট ডুবিয়ে আদর,
আদর ভরা আঁচল হয়েছে বরবাদ।
বরবাদ যখন হয়েই গেছে..
নিজের ঘর সাজায় কারুকাজে
কারুকাজের ভুল সাজে,
আঁচল জ্বলে দাবানলে
হাসনুহানা পোড়ে সে অনলে
জ্বলনের নেশায় আবার একবার
তার আকাশের রঙ লাল পলাশ হয়ে যায়।


মনি আহমেদ



বসন্তের  সন্ধ্যা
************



গৌধুলির  সন্ধ্যায় যখন  দেখতে পেলাম,
আকাশটা  রক্ত লাল  হয়ে আছে  মনটা উদাস হল ,
আজ  সন্ধ্যায়  গাঢ়  নীল  আকাশ যখন  কাল হতে ,
থাকবে চাঁদের  স্নিগ্ধ  আলোর  কাছে  একটু ,
হিমেল  হাওয়া  ধার  চাইবো ------------।

তোমার  সঙ্গে  পথ  পেরুবো  বলেই  বুঝি ,
শক্ত  হাতে  তোমার  হাতে  হাত  ধরেছি ।
এক  জীবনে  হয়নি  চেনা ভালোবাসার ,
গভীর জলে  ডুবতে  থাকে  জীবনের ,
সব  আনন্দ  দুঃখ  ব্যাথা  -----------।

তোমার বুকে  আঁকড়ে  ধরে  কবির প্রেমে ,
হৃদয়  ভূমি  কে  নোঙ্গর  করা  ------------।
চোখের  ভাষা  হয়নি  বাধা  হয়তো  তুমি,
বুঝেই  গেছো   কবির  আছে  চরণভূমি।

তোমার  হাতে  হাত  টি  ধরে চলবো  পথে ,
ডাকছে  কারা  হাতছানিতে  ------ধার  ধারি না।
বুকের  থেকে  স্বপ্ন  কেনা  যে  এই  ঠিকানার ।



মনিকান্ত সর





~*** বসন্ত মনে ***~
        ********
         

বসন্ত এসেছে আকাশ জুড়ে
শিউলি পলাশ ফুলেদের ভিড়ে,
আবীর রঙে মেঘ ছেয়ে যায়
মনের মাধুরী মন'কে রাঙায় ।

সেই খেলাঘর - একই খেলায়
মন পড়ে থাকে গোধূলি বেলায়,
বসন্ত এসে বলে কানে কানে
এই তো আমি , চেনা ফাগুনে ।

খুশির ছোঁয়ায় দোলাও হৃদয়
বসন্ত মানে'ই - কী হয়, কী হয়,
সাঁঝের বেলা'তে মায়াবী সুর
হাতের নাগালেই অনেকটা দূর।

সোহাগে ভ'রেছে দখিনা বাতাস
তোমার পরশে'ও মধুর সুবাস,
চোখ ছুঁয়ে যাক্ স্বপ্ন এসে. . .
তোমার আমিতে - রাত্রি শেষে ।।

মৌসুমী ভৌমিক



হারানো বসন্ত
***********



এত ভালবেসেছি
     এত ভালবেসেছি বসন্তকে
তবু যখন বসন্তকাল এল
     ছুঁতে পারি নি শিমূল
           খোঁপায় লাগাতে পারি নি পলাশ
কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার কাছেও বসতে পারি দুদণ্ড
শুনতে ইচ্ছে করেনি কোকিলের কুহুতান।

যখন ফাগুন এল
   আবির মাখতে পারি নি ত্বকে জ্বালার ভয়ে
       পারি নি দোল খেলতে -

নিত্যদিনের কর্মমাঝে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি
     বসন্তকে চিনতেই পারি নি
         কিংবা চিনতে চেষ্টাও করি নি।

অথচ বসন্ত আসবার আগে
      কত প্রতীক্ষায় থেকেছি --