কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে থাকা কিছু গদ্য কথা
***********************************
কবিতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে বেঁচে ফেরে কিছু কাকতালীয় সুখ --
বড় রাস্তার মোড় থেকে সরু গলির ঘুপচি ঘর গুলো পর্যন্ত দিব্যি কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে থাকে ।
কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে ফেরে বড় শহর ছোট গ্রাম ।
সন্ধ্যেবেলায় বাঁশঝাড়ের অন্ধকারের মধ্যে তৈরি হওয়া এক ক্যাচ ক্যাচ শব্দ রহস্য না খুঁজে খুঁজেছিল কবিতা ।
পরদিন সেই বাঁশগাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলেছিল কোন মালতি নামের মেয়ে ।
তারপর আরও কত রাত অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে গেছে -
কবিতা ছুঁয়ে বেঁচে উঠেছে আরও কত অশরীরী কথা ।
কবিতা আছে বলে মালতি -আশা -লতা -বা সেই কোন এক কবির বনলতা আজও বেঁচে।
কিন্তু সন্ত্রাস লোভ লালসার ইতিহাস গুলো শুধু বিদ্রোহ করে ফেরে ।
কবিতা আছে বলে ধুলো ঝড় গুলো বয়ে চলে ।
অযথা কিছু মুকুল খসে পড়ে ।
তারপর কোন অন্ধকারের মধ্যে -কোন স্বপ্নের লাল রঙ ছুঁয়ে আসতে চায় আমেরিকা -ব্রিটেন-লন্ডন -অথবা প্যারিস।
কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্য ওঠা বা কাশ্মীরের বরফের মধ্যে টুকরো টুকরো অভিমান বঞ্চনার কথা গুলো আলো আঁধারি কবিতা হয়ে বেঁচে ফেরে ।
বড় বড় উঁচু ফ্লাটের ওপর থেকে নিচে তলায় জমা কান্না আর অট্টহাসিরা ফোয়ারা ছোটায় বোতলের ।
সাধারনের পাঁচমিশালী পাঁচফোড়নের কাহিনীতে তেমন কোন কবিতা নেই ।
ঘাম ছোটা জীবনে -আঁচড় কাটা জীবনে -পাশবালিসে লেপ্টিয়ে ঘুমানো জীবনে তেমন কোন কবিতা নেই ।
তবু কবিতার মধ্যে এই ছোট ছোট অনুভূতিরা আটপৌরে হয়ে বেঁচে আছে - বেঁচে থাকে ।
আধঘুম চোখেও প্রতিটা কলমে সজীব হয়ে বাঁচে কবিতা আর কবিতা ছুঁয়ে বাঁচে কিছু গদ্য কথা ॥