নোটিশ বোর্ড
ফিরোজ আক্তার
পেটমোটা কুমড়ো
****************
পেটমোটা কুমড়োটার হঠাৎ করে হয়েছে গোঁসা,
লাউপিসি বলেছে তাকে, "তোর নাকি মোটা খোসা " !
কথাটা ঠিকই পৌছে গেলো এঁচোড় কাকার দুই কানে,
কে যে সেটা তুললো কানে, এঁচোড় কাকাই সব জানে !
তাই না নিয়ে সব্জিক্ষেতে প্রকান্ড এক ধুন্ধুমার -
দু'দলেতে ভাগ হয়েছে সবজিসকল আরেকবার ৷
পাতলা খোসা , মোটা খোসা , লালচে ও সবজেটে
দল করেছে পাতলা খোসা , লালচে ফল একজোটে ৷
অপরদিকে মোটা খোসা, সবজে ফলের দাবড়ানি,
শখের প্রাণটা যায় যে বুঝি, ভীষণরকম হানাহানি |
কোথায় ছিল বুনো ওল, বাঘা তেঁতুল সাথে নিয়ে -
হইহই করে আসলো ছুটে, মারবে বাঁশের লাঠি দিয়ে !
এমন সময় অাসলো চাষি, কাস্তে বড়ো সঙ্গে তার,
"কোন ব্যাটারা গন্ড করে, মুন্ডুখানি যাবে কার ?"
চোখ পাকিয়ে এদিক তাকায়, ওদিক তাকায় চাষিটি
শেষকালেতে কুমড়ো ব্যাটার সারলো কাবার কম্মটি ৷
শুভদীপ সেন
সারা গায়ের কাজ
******************
আশ্রয় তলিয়ে গেছে আরবপ্রান্তের ভূগোলে,
অনাবাদী গৃহযুদ্ধের আয়না জুড়ে কাতরাচ্ছে কালো হকারের অসংখ্য বউ...
প্রতিটা ভোর আপ্যায়ণের তহবিলে
'কাজের মেয়ে' হয়ে ওঠে;
এভাবেই প্রতিদিন বাইপাস সার্জারি'র সাথে
মোলাকাৎ হয় রেড সিগন্যালে...
খোঁড়া গর্তের পচা রূপকথায় সাঙ্গ হয়
মিডডে মিলের শিলান্যাস!
আগামী পাকা'কথারা থার্মোমিটারের জংশনে,
বাগানবাড়ি হয়ে ওঠা মরা কাকটাকে
আরও মেরে মেরে ফেলে রাখবে।
ছপছপ করে ছিঁটিয়ে দেওয়া
স্কুলপালানো লাল ওষুধের দাগ
প্রার্থনা চাইতে অন্ধ বিপদে চুমুক তুলবে,যেখানে
মতাদর্শের পাশে
বিশুদ্ধ কিছু কেরানী'ও পড়ে থাকে...
আলজিভের প্রতিটা নক্সায় জেগে ওঠে
উষ্ণায়নের রাবণ...
বলাৎকারের ২২শে শ্রাবণ ফিরতে চায়
সমানাধিকারের বাজারে,
শুক্রাণু'র কোনে কোনে গজিয়ে ওঠে
নতুন গালাগালি শেখা সাইকেলের চাকা,
তাকে প্লাঞ্চেটে পাওয়া গেল
রিলিফ কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে!
বইটা'র পৃষ্ঠা সংখ্যা একশো সাতাশ...
জুয়ায় জেতা একজোড়া বোলতা'র চাক,আর
ব্লাডক্যান্সারের রিপোর্ট ছাড়া
দ্রুত অপেরায় ফেরার মতো
কোনও সনাতণপন্থী জননতন্ত্র আমার হাতে নেই!
হারিয়ে যাওয়া এক কবি-কথায় (এক)
"রোজই হচ্ছে নিখোঁজ কথারাও
মুখশের আড়ালে চেনা অচেনা মুখ
লুকিয়ে থাকা,হারিয়ে যাওয়াই যাদের সুখ "
©জ্যোতির্ময় রায়
এমনি একজনের কথা আজ বলছি সে হল মনোরঞ্জন সরকার । প্রিয় বন্ধু তো অবশ্যই ,এমনকি শুধু প্রিয় নয় ,সব থেকে প্রিয় ,আমি যে কথা গুলো বলতে চাই সে বুঝে নেয় আগেই ।সেই ছেলেবেলা থেকে একমাত্র সঙ্গী ,তার বানানো গল্প শুনার জন্য রোজ যখন ভিড় জমত অবিনাশ জেঠ্যুর মেশিন ঘরে ,বৃষ্টির দিন গুলোতে মাছ ধরতে যাওয়ার দল নেতা কিংবা বসন্তে যষ্টিমধু খুঁজতে বনবাদারে যাওয়া । ডাহুক মারতে যাওয়া সেই মেখেরু ডান্ডায় । কিংবা টিয়া পাখি ধরবো বলে চলে যেতাম শালবনে ।বনভোজনের সময় আলুচুরি ,কপি চুরি । সমস্ত রকম দুরন্তপনা জুড়ে একটা ভালমানুষী । সবার সব বিপদে সবার আগে যার উপস্থিতি । একদম শরৎ চন্দ্রের "লালু "। তার মুখেই প্রথম শুনা গল্পটি আমার ।
ছোট বেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তার আকর্ষণ গুলো আজও বিনম্র শ্রদ্বা নিয়ে আসে ,"কি রে পারে এত নিখুঁত " আর ছড়ার তো সর্বদা লেগেই আছে ।
আমি তার ছড়া গুলো নকল করতাম তখন প্রায় ,আর তাকেই দেখাতাম । নাঃ পড়াশুনা টা আর হয়নি তার । ক্লাস এইট এ শেষ ।জানি না কেন আর পড়েনি সে । "সামান্য একটা সাইকেলে নাকি ,হ্যারিকেনে?" ।। তবে ছবি আঁকা ছাড়েনি ,কিন্তু কবিতা গুলো মরে গেছে ,যে ভাবে লোকটা মরে গেছে ভিতরে ভিতরে ।
আজ আমি যে ছন্দে কবিতা লেখা চেষ্টা করি সে পাঁচ বছর আগেই সেরকম কবিতা লিখত ,আর ছবি গুলো .....জাস্ট দূর্দান্ত । এখন ওই বোনের নষ্ট খাতায় বাদ হয়ে যাওয়া পেজে মাঝে মাঝে কবিতারা আর ছবিরা প্রাণ প্রায় শুধু । মাঝে মাঝে আমি বাড়ি গেলে আমার মোবাইলে ফেস বুকে কিছু কবিতা পোস্ট । নাঃ কোনো ম্যাগাজিনে কোনোদিন কোনো কবিতা দেয়নি ,দিতে চায় না এমন একজন । তার কথা গুলো শুধু ডাইরির পাতায় ডুকরে ডুকরে কাঁদে আজও ।
জন্ম আমাদের গ্রামেই (লোহাগঞ্জ ) আমার থেকে তিন চার বছরের বড় শুধু । তবুও সখ্যতা একটুও ফারাক নেই । আমি বাড়ি গেলেই প্রথম যার খোঁজ করি ,প্রতিটি বিকেল প্রতিটি সন্ধ্যে সে না থাকলেই মনটা খারাপ হয়ে যায় । আজ কলকাতায় বসে কথা হয়না ,তবুও কথা হয় যেন । জমানো শব্দ গুলো বাড়ি গেলেই মুক্তি পায় শুধু ।।
আজ তাকে নিয়েই লিখছি ,নাঃ প্রচার এটা নয় ,সে কোনোদিন নিজের প্রচার চাইনি ,আমি না বলেই কিছু কথা লিখতে চলেছি আজও । কি করবো আজকাল সময়টাও কেমন স্বার্থপর হয়ে গেছে চেনা আচেনায় বিক্রি গেছে স্বপ্ন গুলো । এর মাঝেই ছেলে বেলা বলতে তার কথাই মনে পড়ে যাওয়া । আর সেই গোল্লা ছুটের মাঠে দুলপি ফুল দিয়ে কিছু কথা ফের গল্পে মিশে যাওয়া ।।।
আজকাল আর সে লেখে না ,লিখে বা কি হবে বলুন ? টাকা দেবে কেউ ? বরঞ্চ টাকা নেয় এখন কোথাও লেখা দিতে গেলে ।ভাত ?। আজকাল ভাতের চাহিদায় মিশে গেছে সেও ।
তার কিছু কবিতা আর ছবি নিচে দিলাম।
কবিতা গুচ্ছ
**********
সেই হলদে পাখিটা
***************
কাল আর একবার এসেছিল সেই হলদে পাখিটা
প্রথমে ঠিক চিনতে পারিনি,
তারপর, ওর লালচে ঠোঁটের নিচে হালকা নীলচে দাঁগ আর
তীক্ষ্ন নোখ দেখে বুঝলাম এ সেই,,,
বাঁ-হাতের তালুতে আঁচড়ের দাঁগটা আমার আজও মুছে যায়নি ওর পায়ের -
সেদিন থেকে আর জোরকরে ধরবার ভুল করিনি তাকে।
সেও আমাকে ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল অন্যকোথাও
অনেক দিনের পরে কাল একবার এসেছিল সে।
.
এখন আর জামরুল গাছটা নেই
ও বসেছিল একটা কদম গাছের ডালে
ওকে বলেছিলাম - কেন এসেছো?
ও বলল - ভুল করে এসছি।
আবার বললাম - আগের মতো ডাকতে জানো?
বলল- বয়স বেড়ে গেছে।
হয়তো......
,
এখন অনেক পাখি দেখি কাক গুলো ডানা ঝাপটায় রোজ দূরে কোকিল ডাকে শুনতে পাই
কিন্তু তার মতো কাউকে ভাল লাগেনা
ওকে বললাম সেকথা,
এতদিন শুধু তাকেই মনে পরেছে- তাও
আর বলছিলাম - ওর কাকে মনে পরেছিল?
ও বলল- জামরুল গাছটার কথা, তার কি হল?
আমি বললাম -
সে উড়ে যাবার পরে গাছটিও আত্মহত্যা করেছে।
.
উড়ে যাবার আগে বললাম তাকে - থেকে যাও
বলছিল - আরেকটা জামরুল চারা লাগাও একদিন ঠিক ফিরে আসব
- যদি এখন আর সে না বাঁচে?
উড়ে যেতে যেতে আকাশের অনেক উঁচুতে সে মিশে যেতে যেতে বলল- তবে ভেবে নিও আমিও বেঁচে নেই,,,,,,,,,,,,,
ভালোবাসছি আবার
****************
ভালোবাসছি আবার জীবনের সব রং নিয়ে-
রং- হীন স্বপ্ন যত মনের আঙিনায় 'দাড়িয়ে'।
ভালোবাসছি। ভালোবাসছি আবার আমি-
অনেক চোখের জল। ভালোবাসছি বুকের ভেতর-
শান্ত কোলাহল। ভালোবাসছি।
ভালোবাসছি খালি পায়ে পায়ে বহুদূর হেটে যাওয়া-
ভালোবাসছি "টাঙন নদী" বাঁকে বাঁকে মিশে যাওয়া।
ভালোবাসছি।
. ( সংক্ষিপ্ত)
অভিমান
----------------
রাগ হলে সইতে পারো সহজেই
আমিও পারি ভুলে যেতে
ছোট খাটো ব্যথা, "অপমান"।
বড়ই অবুঝ তুমি
বড্ড ছেলেমানুষ, বোঝোনা!
আঘাত হলে দামি কিছু আবদারে
জন্মায় অভিমান।।
----------------------+--------
জল দিয়ো জল দিয়ো-
তোমার এত সযত্নে লাগানো চারাগাছ,
কিভাবে একটু একটু করে শুকিয়ে যাচ্ছে রোজ
লক্ষ্য করেছো? তাই,,,
নিয়মিত একটু জল টল দিয়ে
ওকে একটু বাঁচিয়ে রেখো। অন্তত বাঁচিয়ে...
বড় হলে সে একদিন নিশ্চই ফল দেবে।
শুনেছোই তো-
মানুষ বেইমানি করে, কিন্তু গাছ?
গাছ কোনোদিন বেইমানি করেনা।
তবে?
দেখবে, কিভাবে একদিন কি দারুন সৌরভে মাতিয়ে দিয়ে-
তোমার দিকে একগাল হাসি হাসিমুখ নিয়ে
দাড়িয়ে আছে অসংখ্য হাসনুহানারা...
ওহ্! কি দারুন হবে ব্যাপারটা
ভেবে দেখেছো,
আর হ্যাঁ-
শুধু জৈব টৈব দিয়ে কিস্যু হবে না
অবশ্যই রাসায়নিক টাসায়নিক কিছু দিয়ো,
সাথে কিছু কীটনাশক-
আজকাল ওসব ছাড়া কোনো গাছই বাঁচে না।
তারপর আর আসোনি...
-----------------------------------
রোজ দেখি এরাস্তায় যাও
কাধে ঝোলানো লালনীল ওড়না। পিঠ ব্যাগ। বইখাতা।স্কেল।
টিউশনে বুঝি? বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠেনি, কিভাবে
এপথে যেতে যেতে বারবার, মারিয়ে যাও এ-বুক তুমি আর, তোমার কন্যাশ্রী সাইকেল।
ভুলকরে যেই দিন প্রথম চোখে রেখেছিলে চোখ
চলার গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়ে। কি নির্মমতায় মারিয়ে গেছ বুক। তুমি জানো?
ভেবিছিলাম এইতো প্রেমের শুরু। সেদিন থকে তুমি ভীষন সাবধানে
ফেলেছো পা হয়তো দুরুূুদুরু। চোখাচুখির করোনি ভুলচুখ আর কোনোদিন কখ্খনো।
তারপর হঠাত্ যেদিন তুমি নতুন সাজে এলে
হাটুর নীচে দোপাটি রং ফ্রক,
বলেছিলাম।কি দারুন লাগছে তোমায়!
দেখেছিলাম। ভেতর ভেতর ভীষন লজ্জাতে লাল হলে।
তারপর পুজো এলো।
ছুটি ছিল। সেই থেকে আর এ-পথে আসোনি।
না বলাই থেকেছে মনের কথা। শোনাও হয়নি-
ভালোবেসেছিলে কি বাসনি...
আমি এখনো শুধু সেই ভুলের মাশুল গুনি
দু-কানেতে বাহারি হেডফোন,
নচিকেতার নীলাঞ্জনা শুনি।
তোর আগুন
**********
মোমবাতি গুলি জ্বেলে রাখি
ঘরের এক কোণে। এতদিন আমার বুক জ্বলে জ্বলে যে অন্ধকার ধোয়ার সৃস্টি হয়েছিল.....সেই অন্ধকার ওরা খানিকটা চুষে চুষে খাক।
শিরদারা টান রেখে যদি আরেকবার যেতে পারি তোর কাছে......
সেদিন অনেক আগুন চেয়ে নেব
শেষ বারের মতো জ্বলে নেব আলো...... তারপর ব্যস......
ঠিকি শিখে নিতে পারব নিজের সাথে নিজে লড়াই করার।
স্বপ্ন পরি
*****************
একসাথে পথ চলতে চলতে
কোথায় যেন উধাও হলি......
অনেক খুঁজলাম তোকে বাগানে বাগানে, দেওয়ালে, পাখিদের ঝাকে, পার্কের বেঞ্চিতে
আঁকার খাতায় আর কবিতার বইয়ের পাতায়
কোথাও খুজে পেলাম না তোকে।
শেষমেষ সেই জলা জমিটার পাশে গিয়ে দাড়ালাম।
যেই খানে তুই হারিয়ে ছিলি সেইখানে
অনেক খুঁজলাম চাদের আলোয়... হঠাত্
দেখি তুই মাছ হয়ে সাতার কাটছিস জলে আর
আমার মাথার ফুলগুলো সব পোকা হল।
তুমি- আমি
,,,,,,,,,,,,,,,, ,, ,
তুমি শান্ত, খুব জ্যান্ত
লাল গোলাপ, আর,,,ফাগুন মাস
আমি বেপোরোয়া, দিগভ্রান্ত, খুব,,,,
জমে ওঠা শীত বাতাস।
তুমি নীল চাঁদ
মনে রাখা রাত,
ফিরে এসো বারবার,,,,
আমি পথে গজা ঘাস
এই রাতের দূর্বা-শিশির,
মিলেমিশে একাকার।
চুমু
------
তোমাকেও ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি
নিঝুম রাতে ঝাউডালের ছায়ায়
বাঁকা চাঁদ সরে সরে গেলে
তারপর পরী নামে আমার উঠোন জুরে
তোমার হাসির শ্লোক আর
চাঁদের আলো মিশে গিয়ে
এক অদ্ভুূদ মেহেফিল সেজে ওঠে
রাতের আকাশে
তুমি বুঝে নিও
বেশি কথা বলা ঠিক নয় এসময়
শুধু দেখে নেব কিভাবে পরীদের মাথার মুকুট থেকে
এক একটি তারা খসে গিয়ে তোমার দুঠোঁটে সেজে ওঠে
পরীদের আস্কারাতে সব বাঁধন ছিড়ে ছিড়ে যাবে
ভয় পেয়ো না
আমার তখন ইচ্ছে হতেই পারে
ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে নিয়ে
ছায়াপথ দেখার...
মৃত্যুর পাওনা
-------*------*-----
্
মৃত্যুর পরে
পরে থাকে শুধু কিছু স্মৃতি, আর
কিছু পিছুটান;
হিসেবের খাতা নিঙরে
শেষ পাওনা কিছু মান
কিছু অভিমান।।।
বানভাসি
********
কিছু স্রোত ডাকনামে বেঁধে দিলে
আকছার ভেসে যাবে আমার
বেনামি বারান্দা, ঘরদোর, দারুন অবহেলায়।
কোলাহল উঠবে; ত্রাণ ত্রান
হরদম, মুখে মুখে খই ফোটানো স্মৃতিগুলো
বোবা হয়ে যতবার ভেসে যাবে
সারি সারি কলাগাছের ভেলায়
ঠিক ততবার আমিও বানভাসি।
বৃষ্টিদিন
*******
চুল আমাদের উড়তে থাকুক
মিষ্টি কোনো হাওয়ায়
আমরা বরং ঘনিষ্ঠ হই আরও
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা
শ্যাওলা ধরা ছাদ
আজকে চলো আদুরে
একটা নাম রেখেদি তারও
এখন সবই অন্য কথা থাক
চোখে চোখ রেখে বুকে পাতি কান
বদ্ধ ঘরে একলা কথা বলুক
তোমার আমার নীরব অভিমান
শিরোনামহীন কিছু কবিতা
*******************
১.
কথা তবু বাড়তে থাকে
বাড়তে থাকে রাতও,
মুখচোরা অভিপ্রায়ে-
কিছু মিথ্যে অজুহাতও।
সময় খালি কমতে থাকে
বয়স বেড়েই যায়,
সস্তা কিছু স্মৃতিও বাড়ে
হেটে যাওয়া রাস্তায়।
যত্নে কিছু স্বপ্ন বাড়ে-
ভালোবাসা আরও,
রীতিমতোই চাহিদা বাড়ে-
গোপন ইচ্ছেটারও।
২.
শিশির জানে রাত্রি জাগার কথা,
বেশ, আলাপ জমায় পাতায়, ফুলে, ঘাসে।
জল ফড়িং-এর কি এসে যায় তাতে
যতই হৃদয় ভাঙুক আতস কাচের।।
৩.
ইচ্ছে করেই তোকে রাগাই রোজ
তোর ভেতরে অনেক মুক্ত রাখা,
একটু খানি হাসিয়ে দিলেই পাব খোঁজ
৪.
বুকের ভেতর তিব্র জোয়ার
বিপদসীমার পূর্বাভাস,
ভাঙছে বাঁধের এ'পার ও'পার
তোমার নামের জলোচ্ছ্বাস।।
৫.
চুপ! রাখি এই হাতে সেই গোলাপ...
মানছি রোজ মিথ্যে সব পাগলামি-
নীলখাতার ভাঁজে ভাঁজে জমছে রোজ একই প্রলাপ।
মাতলামি।
এই সকাল এক প্রকার বোঝাচ্ছে ছিন্নতা।
সুযোগেতে বাড়ে বয়স বালিস ঘুম-
রাজপ্রাসাদ রূপকথা?
৬.
ইচ্ছে হলেই
বৃষ্টিতে ভিজত আমার শহর
সঙ্গি হতো চাল চুলো হীন কাক,
বৃষ্টি ধোয়া ঝাপসা সানগ্লাসে
টাপুসটুপুস গড়িয়ে যেত প্রহর।
আমি কেবল নৌকো গড়ি। সাজাই।
কাগজ প্রেমির মমতা যাক ভেসে...
বৃষ্টি দিনের একটু কাদামাটি
আজ মিশে যাক পুরোনো অভ্যেসে।।
৭.
অতএব...
এরপর হবে কথা
এখন শুধু নীরবতা ছাড়া কিছু নেই,
এখন এক জাল বুনেছি শব্দ ধরার ছকে
আশা করি কিছু কথা জমবেই।।
৮.
প্রত্যেকটা গড়ে ওঠায় খোঁজো ইতিহাস?
নিশ্চিত ভেবেই নাও নায়কের জয় গল্পের শেষে
এতদিন ভুল ভেবেছো-
এখন আমি গল্প সাজাই ভিলেন ভালোবেসে।।
৯.
অভ্যেসে (চেনা যায়)
মুখের আদল। মুখ।
আগুনেতে পোড়ে নির্দোষ সলতে। আগুন।
আর মুখচোরা আলোর অসুখ।
১০.
যে ভাবে বাসছি রোজ
রোজ ভালো রাতদিনে,
সেই ভালো তোকে আর
বাসতে কারুর সাধ্যি নেই...
কিছু ছবি
********
লেখা ও সংগ্রহে : জ্যোতির্ময় রায়
কার্যকরী সম্পাদক
(বিঃ দ্রঃ আপনার জানা এমন কেউ থাকলে আমাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন nicotinemgaz@gmail.com এ ।)
✍️সম্পাদকীয় কলমে ...
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা ভাষা থাকে,আর সেই ভাষাতেই সে তার মনের ভাব প্রকাশ করে।আর সেই ভাষাকে আমরা মাতৃভাষা বলি।মায়ের কাছ থেকে প্রথমে শিখি এই ভাষা।আমাদের মাতৃভাষা হচ্ছে বাংলা ভাষা।আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমাদের মাতৃভাষা পৃথিবীর সকল ভাষার সেরা ভাষা।আমরা অন্য ভাষাকে ও সম্মান করি।এই বাংলা ভাষা কে দাবানলে চাপানোর জন্য পাকিস্তানী সরকার বিভিন্ন ভাবে নানা সময় করেছে ষড়যন্ত্র। কিন্তু বাঙ্গালীরা হার মানেনি। বরং সারাবিশ্বে আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস।যারা আজকের দিনে ১৯৫২ সালে শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার ও আরো নাম না জানা অনেকে।আমরা আজ নিকোটিনের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।আমরা গর্বিত আমরা বাঙ্গালী।প্রিয় নেতা শেখ মজিবর রহমান,সুবাস বসু,সুকুমার সহ অনেক নেতা বাঙ্গালীদের
কল্যাণের তরে নিজেদের জীবন কে করেছিলেন উৎসর্গ। আমরা কখনো এই ঋন শোধ করতে পারবো না।ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের উৎসর্গে নিকোটিনের এবারের আয়োজন।
তাছাড়া যারা লেখা দিয়ে আমাদের পাশে রয়েছেন সে সব লেখক-লেখিকা এবং কবিদের প্রতি রইলো অজস্র অজস্র শুকরিয়া এবং অফুরন্ত ভালোবাসা।আপনাদের এই কষ্টের মূল্য নিকোটিন পরিবার কখনো শোধ করতে পারবেনা।তবুও বুক বেধেঁ আশা রাখি আপনাদের কে সব সময় আমাদের পাশে পাবো।
নিকোটিন পরিবারের পক্ষ থেকে
শেখ ইমদাদ উল্লাহ নিলয়
ধন্যবাদান্তে ,
নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার
বৈশাখী চ্যাটার্জী
একুশের ধুলোয় দাঁড়িয়ে
*******************
একুশের ধুলো আজও ওড়ে
সেই ধুলোয় আজও ভাসে রক্তের গন্ধ ।
আজও বাতাস শুনতে পায় সেই ধুলো চিৎকার করে বলছে ---
আমার ভাষা আমার চাই ।
সেদিনের সেই রক্তাক্ত একুশের ধুলোয় দাঁড়িয়ে অামি কথা বলছি এক প্রতক্ষ্যদর্শী ।
আজও প্রতিটা একুশ আমাকে সেখানে নিয়ে যায় -যেখানে আমার মায়ের ভাষা দাঁড়িয়েছিল বুলেটের সামনে।
অামি এক প্রতক্ষ্যদর্শী অামি দেখছি আমার ভাই সাকিল -বরকত -শকিউব -সালাম ধুলোতে গড়াগড়ি করছে ,
শেষ রক্তবিন্দু আর শেষ নিঃশ্বাসের মাঝেও ওরা চিৎকার করে বলছে --
আমার ভাষা আমার চাই ।
অামি সেই ধুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে -
অামি দেখছি আমার ভাষার যন্ত্রণা।
অামি দেখছি আমার মাতৃভাষার কান্না ।
দেখছি এক নির্লজ্জ লজ্জা ।
মৃত্যুমিছিল এগিয়ে চলেছে --,
এগিয়ে চলেছে ধুলো ঝড় ।
প্রতিটা ধুলো বুক পেতে ঝাঁঝরা হচ্ছে বুলেটের সামনে ।
আজও বাতাসে সেই গন্ধ পাই ।
সেদিনের সেই রক্তাক্ত ধুলো থেকে বলছি
আমার ভাষা আমার চাই ।
আমার ভাষা আমার চাই ॥
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)