নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মালবিকা হাজরা





আনন্দ
******


                
অবকাশে গিয়ে বসি যখন 
পলাশের গালিচায়
চেনা উঠোন থেকে একটি আঁচল 
উড়িয়ে নিয়ে যায়
হলুদরোদের মতো বর্ণমালায়...
কী নামে ডাকি সে মুগ্ধ ছোঁয়ার!
দ্রিমি দ্রিমি মাদলের বোল শুনি
আমার মায়ের ভাষায়।

ফারদিন খান সুপ্ত





  তিন গম্বুজ
 **********





কিচিরমিচিরে অবচেতনার নিদ্রাভঙ্গ -
      প্রহর যে হলো সবে মাত্র।
  উদিত সূর্যের আলোয় আলোকিত ভুবনে,
      জুড়ে গেল  ভোর পাখিদের মেলা।
রবির আবছা আলোর প্রকাশে মনকোণে,
      চেঁপে যাওয়া গহিন আর্তনাদ।
বদ্ধ-গৃহ চৌকাঠ পেরিয়ে পুষ্পকাননে,
  দুরন্তপনায় ছুটে চলা তাজা পুষ্পের আশায়।
টকটকে রক্তিম গোলাপগুচ্ছ বদ্ধ হাতে,
      খালি পায়ে রাস্তার মাঝে হন্টনরত-
    রক্তিমা লাল পাঞ্জাবী পরিহিত।
ফুঁটছে পায়ে কাঁটার ন্যায় ইট-পাথরের কণা,
    বদ্ধহাতে কণ্টকময় পুষ্পকানন পুষ্পসম।
অব্যক্ত ব্যথায় মনে পড়ে গেল,
              ভাষা শহীদদের যন্ত্রণা।
আবুল,বরকত,সালাম,জব্বার-
               প্রাণ দিয়েছেন ভাষায়।
রক্তে মম, পথ রঞ্জিত হওয়ায়,
       স্মৃতিচারিত ভাষা আন্দোলন।
তিন গম্বুজের নিচে তুচ্ছ কয়েক গোলাপ,
      সাক্ষরিত মম রক্তাক্ত পথের।
সাক্ষরিত ভাষা শহীদের রক্তাক্ত-
        অমূল্যচরণ পদধূলিরঞ্জিত পথের।

শুভদীপ সেন





নৈস্তব্ধ
*****




আগুন,তুমি স্বপ্ন পথিক-
রক্ত আগন্তুক,
ঝর্ণাধারায় মৃত জীবন-
সমকামী সব সুখ।
আফ্রিকা'র ঐ কালো শিশু-
পেটে নেই আজ ভাত,
পুঁজিবাদের হাতটা ছাড়ো-
থাকবে না জাতপাত।
বৃক্ষরোপন,বনসৃজন 
পাগলামি ঝুড়ি ঝুড়ি
হীরক রাজার দেশেতেও ভাই,
হীরে গেছিল চুরি।
মিথ্যে কথা বলবে যতই,
ততই তুমি সৎ
সঠিক বিচার চাইতে গেলেই
বন্ধ বিশ্বপথ।
কন্যাভ্রূনের মৃত্যু মিছিলে,
ভোরের সূর্য কাঁদবে
যাবজ্জীবন সঙ্গীরা সব, 
আগামী জোনাকি আনবে।
শহরের সেই সবুজ মাঠে,
কত্তো পায়ের ছাপ
বলতে গেলেই বুঝতে হবে,
ভাবাটাই মহাপাপ।
অট্টালিকা উঠবে গড়ে,
আকাশগঙ্গা ফুঁড়ে
বিনিময়ে আজ আসবে না আর,
একটি পাখিও উড়ে।
প্রেম-প্রীতি ছাত্র-ছাত্রী,
তোমরাই মহাকাল
বুঝিয়ে শুধু দাওগো ওদের,
কত ধানে কত চাল।
যতোই ভাবো এগিয়ে গেছো
রয়েছে ছায়া পিছে,
দূরে তুমি ঠেলবে যতই
ততই আসবে কাছে।
ঘুম আমার মধ্যরাতে,
করছে স্বপ্ন ফেরি
কলম তুমি গর্জে ওঠো,
নেই রেনেসাঁর দেরি!



প্রভাত মণ্ডল





একুশে 
******* 


                    

দিনটা ছিল একুশে
বাতাসে ছিল ফুরফুরে মেজাজ
বিহান বেলায় কে যেন
কৃষ্ঞচূড়া রঙে রাঙিয়ে ছিল নীলাকাশ
গুলদস্তা হাতে ছিল বসুন্ধরা
কি অপূবই না তার সাজ
ছিল চাতকের কন্ঠে সুখমধুর তান
পলাশ রাঙা শাড়ীতে
কোনো গ্রাম‌্য বালার লাজুক স্বরের গান। 

দিনটা ছিল একুশে
কথাও ছিল যেন একটা গুমটানো ভাব
ভ্রমরের গুঞ্জনের মধ‌্যে ছিল প্রতিবাদ
হিজল, শিমূলের বিদ্রোহীর সাজ
বাংলা বাপ=ঠাকুরদার ভাষা
ওই ভাষাতেই বলেছিলুম প্রথম কথা
প্রান দিয়েও রাখবো তার লাজ। 

দিনটা ছিল একুশে
পদ্মার বুকে জলতরঙ্গের উঠেছিল উচ্ছ্বাস
শালিক দম্পতি গুনে চলছিল প্রমাদ
বরকত, জব্বার, সালামের
রক্তে লাল হয়েছিল বসন্তের সকাল
দিনটা ছিল একুশে
ঢাকার রাজপথে রচে ছিল
বাংলাভাষা আন্দোলনের অমর ইতিহাস।

সৈকত বণিক






একুশের ডাকে স্ত্রৈনতা
********************




সেদিন শহরের শীতলতম দিনে
বোধহয় সেই জামরুল গাছের নীচে
নিজেকে আবার হারালাম
তোর কাজলের কাছে...
কিছু প্রশ্ন ছিল, শুকনো
আচ্ছা তোর সাথে মেঘের আহ্লাদে
এখনও বৃষ্টি পড়ে?
কৃষ্ণকলি বলে এখনও কেউ ডাকে তোকে?
আমি তো ভেসেছি তোর কবিতায়
আর তুই আমার ছন্দের আস্কারায়...
সেই শেষ পিরিয়ডের শেষ বেল
কিংবা ভাঙা ঘাটে পা চুবিয়ে জলকেলি-
আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি
হয়ত আমায় খুঁজে চলেছে
স্ট্রিট লাইটের আবছা আলোয়...
আর তুই অনেক অনেক দূরে
সেই জামরুল গাছের নীচে
শহরের শীতলতম দিনে...

তপময় চক্রবর্তী




অবশ বিবশ দিবস
*****************





এ এক অন্য দিন , প্রস্ফটিত এক কৃত্তিম,
নিলয় অনিলদের স্বতঃস্ফূর্ত রুক্তিম !
যেখানে মেঘেদের কোন প্রতিজ্ঞা নেই ,
ঘন আধার এখন বিরাজমান
পিছুটান নেই কোন ...
রক্তিম জলে ধুয়ে যাই প্রাণতরলতা
নীলসরোবরে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জন মন!
মাটির শরীর তবুও ব্যাকুল 
ভালোবাসার ভাষার ব্যাথায় আকুল ,
কাটছে সময় এখন অপেক্ষাতে
খুব ক্লান্ত প্রাণ'টা অবশ বিবশ ,
দখল করে অশ্রুর ' ভাষা দিবস ' ;
বুকে মাথা রেখে যেদিন বললে
ধুয়ে মুছে সকল ক্ষোভ গুলো
আর প্রভাতফেরিরর সেই প্রথম সকালে
প্রাপ্তির, তৃপ্তির ছোঁয়া তাই এই মনের গভীরে,
তুমি পেরিয়ে এসেছ অনেক ভাষার বসন্তে
আজ তাতে আর একটি সংযোজন |