নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বিশ্বজিৎ মাহাত





আজ জন্মদিন 
**********




আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি গোলাপের ফুল---- 
আরেক মায়ের ভালোবাসা নেবে  কেড়ে  ? তুমি নও যমদূত----

আজ জন্মদিন  ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি কেকের কবিতা--- 
হত্যাকারী হবে ছুরি আর তুমি ।  রক্তাক্ষরে  জীবন কয়েদি----

আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও-- দিয়ো না কিছুই   ।

শেখ ইমদাদ উল্লাহ নীলয়





অনুমতি 
*********



 যখন দেখি কাউকে হাত ধরে
পাশাপাশি হাটঁতে তখন
খুব ভাল লাগে সেটা দেখতে,
 আমার ও মাঝে মাঝে মনে চায়
তোমার হাত ধরে হাটতে
জানি পারবোনা কখনই
এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে।
 যখন দেখি কাউকে চোখে চোখ
 রেখে কথা বলতে তখন
 ভাল লাগে তা দেখতে,
 আমার ও তখন ইচ্ছে করে
তোমার ঐ দুটি চোখে চেয়ে থাকতে,
তুমি আজ বহুদূরে
 তাই অপূর্ণই রয়ে যাবে আমার ইচ্ছে।
যখন দেখি কাউকে পূর্ণিমারাতে সমুদ্রজলে ।

ঋতুপর্ণা সরকার



ঘুমভাঙ্গানিয়া...
***************




এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভাবিস না রে ছোঁব না আজ তোকে
তাকিয়ে শুধু দেখব এলোমেলো
শুয়ে আছিস কেমন আমার হয়ে!
অন্ধকারে মোমবাতিটা জ্বেলে
ধন্য হয়ে উঠুক আমার ঘর
খোঁপা ভাঙ্গা এলো চুলের মাঝে
কুর্চি হয়ে আজকে ঝরে পড়।

এই পাগলি অমন কেন হাসিস?
ঠোঁটের কোনে মরন হাসি মাখাস
চুলের ফাঁকে গভীর ওই চোখে
পাগল করা দুষ্টুমির-ই আভাস।

তোর চোখে আজ সর্বনাশের হাসি
রাত্রি জাগা চোখের কোলে কালি
চোখের নিচে জলের দাগটা কেন?
এমন করে কষ্ট সুখ ও পেলি?

এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভয় নেই রে ছোঁব না তো আর
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে আজ তোকে
নিয়ে যাব সাত সমুদ্র।

গুনধর বারিক




একটি স্বপ্ন
********



                  আলোক প্রিয়াসী মন আমার,                                               তোমারই আলোক
ছোঁয়াতে হয়েছে আলোকিত মোর দেহ-প্রান।                    এ আলো তুমি জ্বালিয়ে রেখো
সর্বক্ষন মোর প্রানেরও দিকে।                      পরশকাতর এ দেহ আমার,
                            যে স্পন্দিত হয়েছে প্রথমবার তোমারই আলতো
পরশে।                               এ দেহের অপেক্ষা এখন পেতে সে পরশ চিরতরে
সর্বক্ষন।                                   স্বপ্ন সাজানো আঁখি আমার,
             যে স্বপ্ন সাজিয়ে দিয়েছো তুমি প্রথম।
চাইছি তুমি একদিন এ আঁখিতে আঁখি মিলিয়ে,                                  করোগো সে
স্বপ্ন সত্যি আমার,যারে কিনা সবাই শুভদৃষ্টি কয়।                             এ
নয়ন এখন সেই স্বপ্নই দেখে শুধু বারে বার।                                      কিগো
পারবে তো সে স্বপ্ন সত্যি করতে আমার?                                             এই
প্রশ্নই তোমার কাছে রাখি শতবার।
            তুমিও সাজিয়ে নাওনা প্রিয়ো এ স্বপ্নকে আঁখিতে তোমার।


                                                
                                                    

দেবযানী বসু







ধুলোরাগ
******


কোলকাতার বলয়ে খুব চাঁদ। অসংখ্য ডাকটিকিট বুকের নিষেধে সাঁটা। সময় ফুরিয়ে আসা টের পায় খেলুড়ে পাখিরা। ফুল ও শষ‍্যের বীজ ভেঙে ভেঙে ধুলোযাত্রা। বনেদী গ্ৰহের আদেখলে শীত। বোকা ঘুটিগুলো আগেই ছুঁড়েছি। শনিবলয়ের চাঁদ খুলছে অক্ষরবোতাম। 


এক হাজার আশি ডিগ্রি
***************


ম‍্যারাথন মশাল ছুটিয়ে চলছিলাম। চলার লম্বা এক্সপোজার। শেষ টেক্কাটি নিয়েছে একটি মুহূর্ত। আমার প্রেমিকের প্রেমিকারা শিশির পোহায়। যোনিফোয়ারা থেকে কুড়োই কমলালেবুর কোয়াকোয়া শীত। ফুলটস গোলাপ। তন্তুজ আর্তি। প্রচুর ফুটো থাকে আলোচনায়।



রফতারমন
********




মডেল মাধ‍্যমের এম + ম। পথ ফণা তোলে। ফণায় প'ড়ে দুধ মিল্ক পাউডার। তাজা রক্ত মাখা বিরহ। ভুলস্বর্গে মাকড়সা বাঁচতে পারে না। শঙ্খ পঅঅথ বলে ডাকে। বাজতে ভুলে যায়। আমার প্রেম আমার। তোমার প্রেম তোমার। ইস্পাতের বালায় বাজে সুফিয়ানা।

অভিজিৎ পাল




দ্বন্দ্ব নেই আর 
*************




১.
তুমি শিখিয়েছো শুধুমাত্র আমার ও তোমার এই দ্বন্দ্বটিই বিশাল এক যুদ্ধ এনে দিতে পারে। শেষ করে দিতে পারে গোটা হস্তিনাপুরের সাম্রাজ্য। অনেক দহনদিনের পর আমি জীবনের পাঠক্রমে এবার আমরা শব্দটি পড়তে শিখেছি।

২.
তুমি আমায় কর্মের ওপর আধিপত্য দিয়েছো। ফলে দাওনি একফোঁটা। আমি হাজার হাজার অভিঘাত ভুলে নিষ্কাম হতে চেয়েছিলাম। তুমি নিষ্কাম করে তুলতে গিয়ে আমার মনোবৃত্তি নিয়ে খেলেছো। আমার ঠকবাজির দুনিয়ায় মানুষ চেনা হয়নি।

৩.
তুমি শিখিয়েছো ব্রহ্ম-পরমাত্মাই সত্য, জগৎ মিথ্যা। আমি বাধ্য ছেলের মতো তোমার হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মিলিয়েছিলেন শুধু। এখনও তোমার এই সব তাত্ত্বিক কথা পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারিনি। আমার জাগতিক দ্বন্দ্বটিই বিশাল প্রক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়েছে।

৪.
অর্পন করে দিয়েছি তো সবটুকু। যা ছিল আমার। আমার, আমিও অর্পিত হয়ে গেছি পাদমূলে। অনেক দহনদিনের কথা মনে আসছে, অনেক ভয়ংকর বিকৃতি ও বিশাল যন্ত্রণার কথা। তুমি দাঁড়িয়ে আছো পথের শেষে। ভরসা থাকুক তাতে। আমি উৎসর্গ করে ফেলেছি আমার সব।

৫.
এভাবে খেলতে চেয়েছো তুমি। আমি সুযোগ দিয়েছি তোমায়। ছেলেবেলায় পুতুল খেলার পুতুল যেমন নিস্পৃহ ভাব রেখে খেলা দেখে খেলোয়াড়ের। মনে রেখো শুধু তোমার খেলার শেষে রীতিকৌশল বুঝে ফেলে একদিন আমিও তোমার বিশ্বরূপ দর্শন করার অধিকার চাইতে পারি।