নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়

একটি চিরন্তন কবিতা 

 *******************

প্রেম এক অমল অনুভূতি, ভালোবাসা ও ---
শিকড় যেমন দৃঢ় -প্রাণে ধরে রাখে গাছকে 
তেমনই পল্লবিত হয় জীবন ক্রমশ..... 

প্রেমহীনতা অজস্র মৃত্যুর সারি 
জীর্ণ পাতাটির মতো ঝরে পড়ে অসহায় 
কে আর তাকে আলো দেয়, 
স্নেহের হাতে জল দেয় আবার তখন ?

ভালোবাসা মরে গেলে জীবন আবহমান 
মৃত্যুর জামা পরে, শরীর জুড়ে মৃত্যুস্রোত
বয়ে যায়, অবিরত ।
কেউ কি তখন তাকে দুচোখে দ্যাখে ?

অসীম মালিক


রমা ,তুই হাত ধরলে 

*****************
                    

রমা ,তুই হাত ধরলে ,
আমি বিক্ষোভ মিছিলে ফোটা গোলাপ । 
চুম্বন ফাটা ধূসর বিকেলে ,
তোর সাথে জমে যায় আমার আলাপ । 

রমা ,তুই হাত ধরলে ,
১৪৪ ধারা আমার চোখে ফতুর হয় । 
ভোর ছুঁয়ে যায় বন্দুকের টিয়ার ,
কার্তুজ নয় ,আমাকে তাড়া করে তোকে হারানোর ভয় । 

রমা ,তুই হাত ধরলে ,
আমি হায়নার চোখে উদিত চাঁদ । 
সুইসাইড নোটে পলাশ হয়ে ফুটতে পারি ,
জোছনায় ঢেকে দিতে পারি খাদ । 

রমা ,তুই হাত ধরলে ,
আমি মোমবাতি মিছিলের হারানো চোখ । 
অনশন মঞ্চের আহত পাখি ,
আমার নয় ,তোর ডানার জয় হোক । 

রমা ,তুই হাত ধরলে ,
আমি বীজপত্রে তুলে রাখি সম্ভাবনা । 
তুই আমার আকাশের মেঘ হলে ,
আমি তোর মাটির আয়না । 

অর্ণব গরাই

কিছু কথা 

**********

বেশ কিছু কথা এখনও বলা বাকি,
জমে থাকা কথা গুমোট অন্ধকার ।
দুজনে দুজনের দিকে চেয়ে থাকি ।

অস্তমিত আকাশে আলো আঁধার,
নির্বাক দুজনে একাকী দাঁড়িয়ে ।
শেষ খেয়া বৈতরণী পারাবার ।

শেষ যেদিন গেছিলো হাত ছাড়িয়ে,
লজ্জা মাখা ছিলো চোখ কুহকিনী ।
আজ যদি দেয় হাতখানা বাড়িয়ে ,

ধরবো কি ধরবোনা এখনো ভাবিনি।
যদিও তারই জন্য আছি অনন্ত অপেক্ষায় ,
এতদিন পরে তাকে সত্যি কি চিনি?

সময়ের বৈতরণী ধীরে বয়ে যায়.....







ভ্যালেন্টাইন

*************

যে মেয়েটা রোজ সকালে কলেজে যেত ব্যাগ ঝুলিয়ে,
তাকে প্রথম গোলাপটা দিয়ে বলেছিলাম আমি তোমাকে ভালোবাসি।
যে মেয়েটা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকত রোজ সকালে,
তাকেও একটা লাল গোলাপ দিয়ে বলেছিলাম আমি তোমাকে ভালোবাসি।
প্রত্যাখ্যান করেছিলো দুজনেই, ভালোবাসার বেলুন চুপসে দিয়ে।
প্রতিটি ভ্যালেন্টাইনে খুঁজে বেড়াতাম আমার ভালোবাসাকে।
অথচ যে মেয়েটা রোজ রাতে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদত,
সেই মেয়েটা আমাকে একটা গোলাপ দিয়ে বলেছিলো আমি তোমাকে ভালোবাসি।
যে মেয়েটা আমার অবজ্ঞা উপেক্ষা করেও আমাকে বলতো ভালোবাসি,
যে মেয়েটার শরীর রোজরাতে ধর্ষন হতো আমার বিছানায়
যার সবটুকু রক্তবিন্দু দিয়ে ভরিয়ে তুলেছিলো আমার সংসার,
সেই মেয়েটাকে আমি  গোলাপ দিয়ে বলতে পারিনি আমিও তোমাকে ভালোবাসি।

টুম্পা মিত্র সরকার




অভিবাদন 

**********



মন বারান্দায় রোদ খেলে যায়
বৃষ্টি রিনিঝিনি,
তুমি এসে দাও সাজিয়ে 
ভাঙা হৃদয় খানি ৷
ফুল ফোটে এই মন বাগিচায়
তোমার পরশে,
হৃদাকাশে স্বপ্ন ভাসে
পূর্ণিমা চাঁদ হাসে ৷
এমন কত দিন কেটেছে 
রাত কেটেছে গুণে,
মন পাপিয়া নিরব হতো
তোমার কথা শুনে ৷
এলেই যখন ঢুকতে পারো
মন দিয়েছি খুলে,
অন্ধকার এই হৃদয়খানির
পর্দা দিলাম তুলে ৷৷

সুনন্দ মন্ডল

সজীব প্রেম

*************     
      
অঞ্জনা, আজো তোমায় মনে পড়ে।
গভীর অন্ধকারে একাকী নিরালায়
অজান্তেই চলে এলে সংগোপনে-
স্মৃতি মরুভূমির পথ ধরে।
সেই যে তমালিকা বনে
       প্রথম আলাপ হয়েছিল দুজনের।
গহীন বনচ্ছায়ে বসে কেটেছে কত প্রহর।
বৃক্ষশাখের ফাঁক বেয়ে ম্লান রবির আলো তোমার মুখে,
উঁকি মেরে চেয়ে দেখে নিতাম একপলক।
চুরি করে দেখতাম তোমার ফুটন্ত যৌবন।
হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিলে,
সারাজীবন পাশে থাকবে।
চোখে চোখে কত প্রতিশ্রুতি,
     কত বোঝাপড়ার পাঠ।
থাকলেনা! চলে গেলে।
চলে যেতেই হল মনিখচিত সেই রাজপ্রাসাদে!
অন্তরালে নিলে রানী বেশ!
যেখানে নারীদের জীবনে আলাদা মানে।
অঞ্জনা! তুমি হয়তো ভালো আছো,
সুখে থাকবে সে আশা করি।
আমিও আছি ভালো।
তবে একা নয়!
নীলাঞ্জনা সাথী আমার।
সারা শরীর থেকে মুছে দিয়েছে মোহময়ী অঞ্জনার গন্ধ।
প্রেমের সুগন্ধি বাতাস বয়ে এনে দিয়েছে প্রাণে।
ভুলে গেলাম তোমার মায়াবিনী প্রখরতা।
আমি আজ তাকেই ভালোবাসি।
দুঃসময়ে নিঃশর্তে সঁপে দিয়েছে তার জীবন যৌবন।
ভালোলাগা মন্দলাগার ভাগীদার হয়েছি তার।
ভালোবাসি তাকেই-
   যে আমার চড়া ভুবনে
   ‎দিয়েছে সজীবতা।

প্রভাত মন্ডল


স্বাধীনতা 

**********




স্বাধীনতা তোমারে খুঁজিফিরি হেথাসেথা শীত বর্ষা কি ধরনে
তোমার রূপটি কেমন ধারা দেখি নাই আমার বিয়াল্লিশটি শ্রাবনে
স্বাধীনতা গর্ভে নষ্ট করে দেওয়া কন‌্যা ভ্রুন
এটাই কি তোমার রূপ
বই ভর্তি ব‌্যাগের বোঝায় শৈশব হারানো তোমার কি স্বরূপ
স্বাধীনতা পরিচয় কি তোমার সিন্ডিকেটের বন্দুকের নলে
তুমি  লুকিয়ে কি চোখরাঙ্গানো হপ্তাবাজের দলে
স্বাধীনতা তুমি কি সত‌্য কথায় দাও চকমা দেশদ্রোহী বলে
তোমাকে কি পাবো নির্যাচিতা বধুর শ্বশুরবাড়ী গেলে
স্বাধীনতা তুমি কি নীচু জাতের ছেলেটাকে মন্দিরে ঢোকার অপরাধে পিটিয়ে মেরেছিলে
তোমাকে দেখতে পাবো কি যে শিশুটি স্কুলে না গিয়ে খাটছে দোকানে তার কাছে গেলে
স্বাধীনতা কি আছো ধর্মের নামে দাঙ্গাবাজের দলে
না তোমার স্বরূপ কি পনেরই আগষ্টের শুধু ধকাস মার্কা পতকা উত্তলোনে।