নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মনি আহমেদ



                    নতুন দিন 
                     *********



"দোহাই  তোদের , একটু  চুপ  কর ।
 ভালোবাসিবারে  দে  আমারে  অবসর ।"--রবীঠাকুর
সত্য  অদ্ভুত  এই  ভালোবাসা  ,মানুষ  কি না  করতে,
পারে এর  জন্য  ?জীবনের  যা কিছু  সকাল  সন্ধ্যা
ঘড়ির  কাঁটায়  চলতে  চলতে  সব  কিছু  ভুলে ।
ভালবাসাকে  ভুলতে  পারে  না --------

সেদিন  সন্ধ্যাবেলা  ছাঁদে  এসে  দাঁড়ালাম
তুমি  এসে  দাঁড়ালে  কাছে  এটি  বড়  দরকার ছিলো,
যে  আমার  কপালে  চুমু  খেলে  ,আমার  শূনতা  যে
পূরন  করলে  চলো  আমরা  চলে  যাই  এখান থেকে ।

নূতন  পৃথিবী  গড়বো  আমরা  সমস্ত সৌন্দর্য  নিয়ে ,
হাজার  গোলাপ  ফুটে ,পাখির  কলকাকলিতে  ঘুম ভাঙ্গে ।
থাকবে  সমুদ্রের  উত্তাল  তরঙ্গ মাথার  উপর  একফালি চাঁদ ।
আমরা  ফেলে  যাবো  নূতন  দিনের জন্য  সব  কিছু ----

পুরানো  জঞ্জাল  শেষ  হবে  নূতন  দিন ,
ছেড়ে  যেতে  চাই  সব  ধ্বংসের  রাজনীতি
তৈরি  করবো  নুতুন  দিনের  নুতুন  পৃথিবী ,
যা  ভালোবাসা  শ্রম  দিয়ে  ঘিড়ে  রাখবে  ,
আমাদের   এই  সাজানো  পৃথিবী টা ।

মৌসুমী সুর রায়



              সময়      
             ******

সেই রাতে অস্থির আমি বারান্দায় পদচারণরত,সঙ্গী ছিল ঝরা পাতার ফিস ফিসানি,শিশিরের কান্না।চাঁদ গুমরে গুমরে অভিমান উগরে দিচ্ছিল,মেঘেরা এদিক সেদিক দলবাজিতে ব্যাস্ত।রাতের শরীরে সাড় নেই,সে বড় শান্ত।তখনই দেখলেম তাকে, স্বপ্নাবিষ্ট মোহগ্রস্ত এক ভবঘুরে...নিশুতি রাতে যেন কেউ দীপ জ্বেলে তার পথ চেয়ে বসে আছে,সে হাঁটছে দ্রুত যেন হাওয়ায় ভেসে ভেসে চলেছে,যেন সে বাস্তব নয় সে আমারই দেখা এক স্বপ্ন।

আমিও তার পিছু নিলাম,সে খেয়ালও করলে না।সে এক স্বপ্নের জাদুকর,কলির ঘুম ভাঙিয়ে তাকে আবেগ-মথিত চুম্বন করে ফুল ফুটিয়ে চলে,তার তুলির টানে হিল্লোলে মেতে ওঠে নদী।পাখিরা থতমত খেয়ে বন্দনা শুরু করে।

অনুভব করলাম আমি এই সে...যে আমাদের সকলকে পরিপক্ক ফলের মতো পরিণতি দেয় তারপর আমরা মরা পাখির পালকের মতো নিঃশব্দে ঝরে যাই।মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে, বনবাদাড় পার করে সে তার ঝুলিতে বয়ে নিয়ে যায় আমাদের সুখ,দুঃখের হরেক হিসেব।আমরা তার পিছু পিছু চলতেই থাকি নিয়তির অমোঘ টানে।

                                 


মৌসুমী বেরা




 বসন্ত এসেছিলো যেদিন 
*****************


শীতার্ত রাতেও বসন্ত এসেছিলো সেদিন,
যেদিন আগুন সরিয়ে বলেছিলে - "ভালোবাসি"।

বিবর্ণ প্রেমে বেনোজলে ভেসে যাওয়া মন,
সেই কবেকার আমলকিবনে বিষন্ন পাখির ডাক,
তবুও ম্লান হেসে হেরেছিলাম তোমার কাছে -
বিশ্বাস করো জিততে চাইনি একবারও।

আজ ভালোবাসার রং মিশেছে বসন্তের চৌকাঠে,
ভুলিনি সেই প্রথমবার, 'বসন্ত এসেছিলো যেদিন'।

কৃপা বসু




এসো আগুন ছুঁইয়ে দাও তোমার প্রসাদী ফুল 
******************************




অনেকখানি ক্লান্ত হলে প্রিয় কবিতার কাছে নগ্ন হই। খুব নিবিড়ে ঢেউ খেলে যায় গোটা শরীর জুড়ে। ফুল ফোটানো যেমন উদ্ভিদের লক্ষ্য তেমন বংশবিস্তার করাও মানুষের প্রধান কাজ তাইনা!!

   বদলে যাওয়া ঋতু,পুরোনো বাড়ির পরিবর্তিত ক্লেমাটিস সয়ে যায় একদিন ধীরে ধীরে। মরচেধরা স্মৃতির লিফলেট আদতে কমলালেবুর পিঠ থেকে খসে যাওয়া চামড়ার মতোই অকেজো..

   কুয়াশার ভেতর দুটো চোখ ভেসে ওঠে। মায়ের হাতে বোনা সোয়েটার চেপে ধরি শক্ত করে। ভাত ফুটে উঠলে কতদিন তোমার আঁচলের গন্ধ পাইনা মা। ধুলোমাটি মেখে আসা প্রতিটি বিকেলরোদ দোলনচাঁপা ছুঁয়ে নির্মেদ আলো হতে চায় কেবলই..


    গাছ বলতে তো আমরা হেলান দেওয়ার একটা কাঁধ বা জিরিয়ে নেওয়ার ছোট্ট কোল বুঝি। অগ্রিম টিকিট কেটে বসে থাকি জামরঙা ট্রেনের অপেক্ষায় অথচ টাইমটেবিলে মাপা হয় স্টেশন ও সময়ের দূরত্ব। রাতের ডানা ঝাপটানো বন্ধ হলে বুঝি সকাল হয়ে এসেছে..

   ঝরে পড়া শীতের কুঁড়ি লেপের তলায় ভাজ করে মেতে উঠি অবশিষ্ট ক্লোরোফিল বিলিয়ে দেওয়ার কাজে..

 
 এসো আগুন এসো ছুঁইয়ে দাও তোমার প্রসাদী ফুল আমার কপালে..

✍️সম্পাদকীয়✍️(পুরোনো স্মৃতি ও নতুন বছর সংখ্যা )




দেখতে দেখতে বছর শেষ ,কেমন করে যেন হঠাৎ চলে গেল দিন গুলি , আর এর মাঝেই ঘর ভেঙে ঘর করা ,কিংবা দূর থেকে আরো দূরে চলে যাওয়া ,কাঁটাতার পেরিয়ে ,প্রাচীর পেরিয়ে অন্য একটা পৃথিবী ,পেয়েও হারিয়ে ফেলা , আবার কিছু চাওয়া পাওয়ার হিসাব ।

যাক বছর শেষ হবে ,আবার আসবে ,আবার শেষ হবে ....নিয়মমাফিক ,আর তবুও কষ্ট গুলো কে ঢেকে রেখে এক গাল হাসি নিয়ে চলাই বেঁচে থাকা ।

তাই প্রতিবারের মতো  এবারও কিছু বেঁচে থাকার ,ভালোবাসার কথা নিয়ে ভরে গেল"তোমার আমার কথা" । কখন বিষণ্নতা ,কখন বা একাকিত্ব ,খামোখা মন খারাপ ,এর থেকে বেরিয়ে এসে  এক গাল হাসি নিয়ে নতুন বছরের আগমন,আর নিজেকে শুধরে নেবার প্রচেষ্টা ,নতুন  করে এগিয়ে চলার প্রস্তুতি ।

হ্যাঁ এবারও একগুচ্ছ লেখা নিয়ে ,মনে কথা নিয়ে "নিকোটিন" এর এই বিশেষ সংখ্যা "ফেলে আসা স্মৃতি ও নতুন বছর " ।
অনেক প্রিয় কবি ও সাহিত্যিকরা এবারও প্রস্ফুটিত করেছে আমাদের এই সংখ্যা । সকলকে অনেক অনেক  ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ,নতুন বছরে থাকুন সব সময় আরও ভালো,সমাজের ঘুন ধরা বুকে জ্বালিয়ে দিয়ে আরও আলো ।।

এই সংখ্যা প্রকাশের আমাকে বিশেষ সহযোগিতা করেন শ্রীমতি সুধা সরকার(চেয়ার ম্যান) শ্রীমতি সুস্মিতা কর্মকার (সম্পাদিকা) শ্রী জ্যোতির্ময় রায় (কার্যকরী সম্পাদক) ও পিন্টু মাহাতো (সহ সম্পাদক ও মিডিয়া ম্যানেজার) এদের সাহায্য ছাড়া এ সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হতো না ।সকলে আরো একবার নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । ভালো থাকেবন ,ভালো রাখবেন প্রিয়মানুষটিকে ।




                                                   ধন্যবাদান্তে ,

                                                   ঈশিতা দাস
                                                (সহ সম্পাদিকা)


নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার

সুধা সরকার
(চেয়ার ম্যান )
সুস্মিতা কর্মকার
(সুম্পাদিকা)
জ্যোতির্ময় রায়
(কার্যকরী সম্পাদক)
পিন্টু মাহাতো
(সহ সম্পাদক ,মিডিয়া ম্যানেজার )
ইশিতা দাস
(সহ সম্পাদিকা )


রাহুল গাঙ্গুলী





কিছু আলাপ কিছু কথা 
**********************

প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 

কবিতা কেনো লিখি, এ নিয়ে বহুবার ভেবেছি : আর প্রতিবারই সহজ উত্তরটা নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে কাছে এসেছি।কখনো ভেবেছি যা বলতে পারছি না / সহ্য করতে চাইছি না, তবু করতে হচ্ছে।কখনো কবিতার শৈলী ও ভাবনাকে ভেঙে ফেলতে হবে।কখনো প্রতিরোধের উপাদান।আপাতত যা এই মুহূর্তের শেষ চিন্তা : তা হলো যাপন এবং নিজেকে আবিষ্কার।একটা বিশেষ উপলব্ধি : মুক্ত করতে হবে চিন্তাকে, অবাধ করতে হবে তার সীমানার জগৎ।

     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 

প্রিয় কবি বহু রয়েছেন : যেমন জীবনানন্দ থেকে শঙ্খ ঘোষ (রবীন্দ্রনাথকে রেখেও বললাম)।তবে শিখেছি যেসব জায়গা থেকে তাদের অন্য মাত্রায় রাখবো।যেমন : বারীন ঘোষাল, দীপঙ্কর দত্ত, ভাস্কর চক্রবর্তী, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, স্বদেশ সেন, অরুনেশ ঘোষ, সৌমিত্র রায়...... অনেক অনেক নাম।আর কবিতা পাক্ষিক প্রকাশিত পোস্টমডার্ন কবিতার ৩০০ সংকলনটি জীবনের বাঁক বদল বলবো।

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 

ওই যে বললাম : রাহুলকে আবিষ্কার।শব্দরূপকে খুন, তাকে নবজন্মের নির্মাণ।তার চেনা-অচেনাকে বোঝা, ভালোবাসা। 


৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 

১ম কবিতা : কিছু উত্তরবিহীন প্রশ্ন (অপ্রকাশিত)।এরকম শ-দেড়েক কবিতা রয়ে গেছে

১ম বই : নো ম্যানস্ ল্যান্ড (কবিতা পাক্ষিক, ২০১৭)
     

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 

এই সময়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।তবে জটিল অনেকের কাছেই, কারণ পাঠক যাপনে বিশ্বাস করেন না।সংকোচন - প্রসারণে আজও আস্থাহীন তিনি।অর্থাৎ খুব সহজ কথায় তার চিন্তন এখনো দাসত্ব কাটানোর রাস্তায় পথ চলা শুরু করে নি।তিনি মুখে বলছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময়ের চেয়ে এগিয়ে, অথচ তাকে বুঝতে গেলে সেই ১৯৪০এ যেতে হবে।এটা কেন
আসলে কবিতার ভেতর যে অন্তর্নিহিত দৃষ্টি তাকে উপলব্ধি না করতে পারলেই সমস্যা।সময় তো পাঠকের জন্য থেমে থাকবে না, অতএব সময়কে বোঝা এবং কবির অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সাথে (আমি একে সংকেত বলি) যোগাযোগ, এদুটি সমান্তরাল অনুশীলন : যার দায়িত্ব পাঠককেই নিতে হবে।
    

আমার কথা :

জীবন একটা পেন্ডুলামের মতো।১টি দোলকের গতিপথে মিশে থাকছে আরেকটি গতিপথ ও তার সম্ভাবনা।ফলতঃ সেগুলি মাল্টি অরবিটের আকার নিয়ে আরো বৃহৎ কিছুর দৃষ্টিপট তৈরি করছে।আর এই চূড়ান্ত বোহেমিয়ান পর্যবেক্ষন ডায়রির পাতার পর পাতায় লেখচিত্র।আমি সেইসব অসম্পূর্ণ লেখচিত্রগুলোর ছবি জমাতে চাই।প্রকৃতি এবং তার অদৃশ্য শক্তিগুলোর সাথে পরিচয় আলাপের যাপন : এভাবেই কবিতার মহাউল্লাস






                   কবিতা গুচ্ছ
                   ***********




হঠকারী সকাল & পরবর্তী দ্রাঘিমাংশ
------------------------------------------------------------
~ আণবিক ~

সূর্যের লতানো আলো চোখের কম্পাঙ্কে
বিছানায় ঢেলে দিলাম গন্তব্যপথ

কাছাকাছি শহরের ধারাবিবরনী নেই / আলপথ

সকাল ১০-৩০।অজুত মরুদ্বীপের মসৃণ খোলোশ

কয়েকমুঠো ভালোবাসা : ডাকবাক্স থেকে সরাসরি



~ পারমাণবিক ~

এই মুহূর্ত।সৌর বিকেল : বিকেল ৫-২০

কিছু সময় পরে জোনাকিগোছার সাবমেরিন

অতিরিক্ত জল।সাদা নুন : সাক্ষীভীড় কৃষ্ণপক্ষ  

এযাবৎ যাযা কিছু : সময়ের ক্যানভাস
                           পারদঘনিষ্ঠ সব ধূলোবালি মাখা




~ প্লাজমা ~

ছড়ানো ছিটানো আলপথ
স্বপ্নে দেখছি হারেম আলপনা।অদৃশ্য মেঝে

বিভাজনের আগে : চূড়ান্ত সন্ধে।সন্ধে ৬-২০

গুঁড়ো আকাশ = আগাপাছতলা বর্ষাতির চেহারায়

ব্যক্তিগত ম্যাগনেসিস্ > সাপের চেয়েও



~ শূন্যতা ~

?? ( = এখানে কোনো অন্ধকার নেই =) ?? 
                               ↓
                           উ  ত্ত  র
                        যা  ব  তী  য়



~ মাত্রা ~

যেখানে ভাঙতে চাই : জ্যা
         তরল হয়ে ওঠে ঘেমো অমনিবাস 

ইদানীং : তাজমহলের ভয় → স্বরবর্ণ বাজি রেখে

| এসো |
শ্যাওলার কুসুম মাখিয়ে অস্বচ্ছ করি মজলিশ

খিদের ডুমুরঘুড়ি [ঘড়ি] : ঈশারায় নকল-পারদ



শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী