নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জ্যোতির্ময় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জ্যোতির্ময় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জ্যোতির্ময় রায়






বাংলা আমার
***********






শহর সেজেছে রুপোলি চাঁদের আলোয় ।শোনো...
মুখের ভিতর জমছে কথা ।রবীন্দ্রনাথ কেউ গাইছে যেন ।।


আমিও প্রথম ডেকেছি "মা " যে ভাষাতে
তেত্রিশ কোটির মুখের বুলি সে ,আমার রোজের "না বলা কথা তে" ।।

রক্তেও আছে সে সুর ,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মধুর ভাষা ,
বাংলা ও বাঙালি পরিচয় আমার ,সে'ই গর্ব সেটাই ভালোবাসা ।।

হাজার রাত্রি নামুক ,কিংবা ঝড় ।ইংলিশে ...
বলতে সবাই পারে ,বাংলা বলাটাও আর্ট।আছে রক্তে মিশে।।




জ্যোতির্ময় রায়




ছুঁয়ে দিও 
**********



ঠোঁটের ভিতর জমছে কথা ,অল্প
শুধুই মিথ্যে ,প্রেমীকি ছোবল নয়'ত?
নাকি বাহানা হ্যাঁ জি ,রঙিন শরীরী ।
ইমোশন জাস্ট ,তবে মিথ্যে সত্যি কি?


আমিও পথে কথার দূর্গন্ধ ছড়াই ,রুমালে
চোখ মুছে নিও ,হঠাৎ স্বপ্ন ভেঙে গেলে ।।
"শুধু তোকে রেখেছি" যত্নে বুকপকেটে ,
দাগ কেটে দিও বালুচর কিছুটা অযত্নে ,অকপটে ।।


জ্যোতির্ময় রায়




I am Lucky again...
***************

সেদিনও মেঘ ছিল আকাশে ,নাঃ বৃষ্টি হয়নি তবে ।লোড শেডিং ছিল তিন ঘন্টার ।প্রতিদিনের মতো সেদিনও কিছু লিখবো বলে দূরে ওই জানালার বাইরে তাকিয়ে আছি ...। নাঃ ,আমি আজও শব্দহীন ,যেন শব্দ শেষ হয়ে গেছে আমার ।ফেসবুক খুলেই টাইম লাইনে দেখি প্রথমেই দেখি একটা মেয়ের ফেন্ড সাজেশন । বেশ অন্য রকম যেন ,প্রোফাইল ঘাটতে শুরু করেদিলাম ,বাঃ এও লেখে ,। আমি এত সহজে যেমন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ড করি না, ঠিক তেমনি accept ও করি না এখনও,এমনকি কথাও বলি না মেসেঞ্জারে সাধারণত। জানি না কি কারণে ফ্রেন্ড রিকেউস্টটা আমিই সেন্ড করলাম ,জানি না কবে সে একসেপ্ট করেছে  । 7ই অক্টোবর ,হ্যাঁ আমার মনে আছে ,তার বার্ড ডে , “Happy birthday” is the 1st message to her and the  day she was  send me the 1st message to  me on 12 doctor 'hi” at,1.50 am.
My reply was “hi ,good night “ at 2.22 am
One thing I have to say that , “কিছু কিছু সময় ,কাউকে কোনো কারণ ছাড়াই ভালো লেগে যায় ,জানি না কেন ভালো লেগেছিল তাকে আমি জাস্ট তার প্রোফাইল ঘাটতাম কিন্তু মেসেজ করার সাহস হয়নি,মেসেজ করেও বা কি বলবো তাকে এই সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আর মেসেজ করা হতো না ,and I never accept that she sent me the 1st messege ,may God heard my voice ,or may I was lucky on that day . And. আমি জানি না কবিতা গুলো যেন তারপর থেকে প্রাণ পেতে শুরু করলো ।
And her 2nd message was on the next day

“তোমার অনুগল্প গুলো কিন্তু দারুন”
That's one of my greatest succes ever, যে যাকে মেসেজ করতে গেলে আমার ভাষা হারায় সেই মেসেজে আমার লেখা পড়ে তার তারিফ করছে .আমি ভেবে পাইনি কি বলবো প্রথমে ,আসলে আগে কোনোদিন লিখিনি অনুগল্প ।1st response from her ,I get confidence to write again .তারপর থেকে শুরু হলো কথা ,
“Good night” was the Word I used to start to talking with her . I just forgot words ,I couldn't get the words ,what I say to her? .
যাই বলি সব যেন কেমন কবিতা হয়ে যায় শুধু ।এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারি না কিভাবে কথা শুরু করবো ,কি ভাবে কথার পর কথা সাজাবো । একটা হাল্কা ভয় কাজ করে যেন ,তবুও মনে হয় সব কিছু তাকে বলা যায় ,সব কিছুই ।
তাকে বোঝবো কি করে যে তাকে কেন যেন ভালো লেগে গেছে আমার ,অথচ তাকে কোনো দিন দেখিনি ,তবুও মন হচ্ছে যেন হাজার বছর আগে থেকে তাকে আমি চিনি । সে যেন খুব কাছের কেউ । নাঃ বলতে কিন্তু পারিনি প্রথমেই । তার পর একদিন পোস্ট করলাম “একটা গুন্ডা টাইপের প্রেমিকা চাই ,যে আমার কলার ধরে ,এক ঘুষি তুলে বলবে ,যেন আর অন্য কোনো মেয়ের দিকে না তাকাই” ।

Yes , সে ,সেই প্রথম মেসেজ করল ,দারুন পোষ্ট ।
এবার ইরকির ছলে সাহস করে বলেই ফেললাম ,”হবে নাকি এরকম gf ,তোমার কাছে ,সঙ্গে 2 টো স্মাইলি”
“না ,না …..হা হা”

কিছু কিছু লেখা শুধু মাত্র Particularly for one person  এর জন্য হয় । ঠিক সেরকমই লেখা পোস্ট করতাম ফেসবুকে ,সে পড়ত ,আর বলতো বলে দাও মেয়েটাকে ,সাহস দিত আমাকে ,সে নিজেই বলতো যে “দাও আমিই বলে দিচ্ছি”
আরে বাবা তার কথাই তো তাকে বলছি ।
বলতে পারছি না তাই I told her indirectly .
এরকম চলতে থাকল দু তিন  দিন । প্রতিদিনই ভাবতাম নাঃ বলবোই এবার ,কিন্তু ওই যে ভাষা হারিয়ে যায় ,ইচ্ছে করে শুধু তার ছবিতে তাকিয়ে থাকি সারাক্ষণ ...হমম তার চোখ ,ঠোঁট ,গাল ,আর গালের ওই তিলে দিকে তাকিয়ে যেন থাকা যায় সারা দিন সারা রাত । বন্ধুরা বলতো ,মেয়েটিকে দেখিস নি ,জানিস না ,হঠাৎ প্রেম হয়ে গেল ? ,সত্যি তো ? কত টুকু বা জানি তাকে ,কতটুকু বা চিনি আমি ,সেও বা কতটুকু জানে আমায় ? তবুও কোথাও যেন অভিকর্ষ কাজ করে ।
বললাম at লাষ্ট । সেও বুঝতেই পেরেছিলো তার কথা তাকেই বলছি । তবে বলতে কিন্তু একবারে পারিনি ,বলতে বলতে ভোর হয়ে গিয়েছিলো সেদিন । হ্যাঁ তারিখ টা মনে আছে 16 octbr .একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে বলেই দিলাম ,কিন্তু ..তাকে কিছুতেই বোঝাতেই পারছি না “সে” হল সেই মেয়েটাই ,হয়তো বুঝেছিল আগেই ,তার কথা তাকেই বলছি ,কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছিলাম ডিরেক্টলি বলতে ,যদি বন্ধুত্বটাই না থাকে ,মেয়ে দের ব্যাপারে একটু  ভীতু আমি । সেই ছোট বেলা থেকেই । যাক একটা বড় দম নিয়ে বলেই দিলাম ডিরেক্টলি ,And I was off the Data connection  just when I told her directly , because I didn't want to see the reply from a”big NO” I couldn't bear that .

I was lucky again ,No ,there was not a reply with “NO” and “you can't send any messes to that conversation”
I like to thank to God again ,that there is a message for me “ বড় ভীতু তুমি ,এটা বলতে ভোর করে দিলে”
“আমি তো একটা ভোরই চেয়েছি ,রাত্রির পর ,আরও একটু আলো”
And You is the light of dawn ,and I am very lucky that I get You .

জ্যোতির্ময় রায়






কিছু কথা কিছু আলোচনা 
**********************

১) আপনার কাছে কবিতা কি ?
    উত্তর: মনে খারাপের মন খারাপ গুলো ,
            হঠাৎ বলে ফেলে কিছু না বলা কথা ।
     আমি তারে বেঁচে থাকা বলি ,তোমরা বলো কবিতা।।

২) প্রিয়কবি কে ,অনুপ্রেরণা কি বা কে ?
উত্তর:  চোখ বুঝলেই ,শুনতে পাই কত শব্দহীন শব্দ রোজ
     সৃষ্টি থেকে শুরু তার ,আমার আমিকে শুধুই খোঁজ।
    যদি বল কে প্রিয় কবি ,
    ভগবানের এই সৃষ্টির প্রতিটি জিনিস কে বলবো আমি ।

রোজ ভাঙছে হৃদয় ,রোজ ঘর ভেঙে ঘর করা।
এরই মাঝে জীবন্ত লাশের মিছিল ।
আমি শুধু তাদের কথা শুনি ,শব্দ যে কত সেখানেই ভরা ।।

৩) আপনি কবিতা লেখেন কেন ?
উত্তরঃ নাঃ আমি তো কবিতা লিখি না ,আজ পর্যন্ত একটাও হয়তো কবিতা লিখে উঠতে পারেনি । ক বি তা =কবিতা । খুব কঠিন জিনিস এই ঘোর ,খুব কঠিন এর রেশ ,খুব ভয়ঙ্কর এর আকাঙ্ক্ষা ,অনুভূতি । কৈ একটাও কবিতা  হলো না আজও ।

   
৪) কবি/কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ  হৃদয় আর রক্তের মতো । কবিতা যদি হৃদপিন্ড হয় তবে পাঠক রক্ত ।

" আমি বলে যাই আপন মনে কথা ,
সে কথা কথা তো নয়
এই কথা গুলো বলে দিলেই যে
 মাথার ওজন অনেকটা হালকা হয় "



                        কবিতা গুচ্ছ
                        *********


                     ঠিক গল্প নয় 
                     **********

পড়ন্ত বেলা তখন ।
সিঁদুরে মেঘের আড়ালে সূর্য যাচ্ছে পাটে
দু এক ফোঁটা শিশির ভিজিয়েছে পা
     শরীরে তখন অন্য পৃথিবী ।।

হাজার স্কোয়ার ফিটে স্বপ্নের বাড়ি
দশ বাই দশের ঘর ,
চেনা অথচ অচেনা রাজপথে
লালসি জিভ আর কান্না ।।

স্বপ্নগুলো সস্তায় বিকিয়ে গেছে
ঘরের খোঁজে ,সময়কে ফাঁকি দেওয়ার
অস্পর্দা ।মিটার স্কেলে গলন্ত চিবুকে
তখন ঘুম ঘুম অভিনয় "বেশ ভালো আছি " ।।

তারপর সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে
 সাবেকি চাওয়া পাওয়া ।
ঠোঁটের উষ্ণতা মাপে
     লোমকূপের ঘাম ঘাম স্তুতি ।।



ভালো থেকো 
**********



অল্পদরে বিকিয়ে যাওয়া মনে
চাওয়া-পাওয়া,হিসাবটা গোলমেলে
কত তলে জল ,কিংবা কার কতটা ভিটে
ভালো থেকো তবুও মন খারাপের অসুখে ।।


ভালো থেকো দুষ্ট মিষ্টি কিছু অভিনয়
ভালো থেকো হালকা চাওয়া ,হালকা ভয় ।
ভালো থেকো অল্প অভিমান অল্প ভালোবাসা
ভালো থেকো অনিচ্ছায় আরো কাছে আসা ।।


ভালো থেকো চুমুক দেওয়া চা'এ ,
ভালো থেকো শিশির ছুঁয়া পায়ে ।
ভালো থেকো ফেলে আসা দিন ,
ভালো থেকো রং তুলি ,হয়ে রংহীন ।।

ভালো থেকো মন খারাপ
যা পুরোনো তা পুরোনোই থাক ।
নতুন করে ভালো বেসে ,ভালো থেকো
ভালো লাগার গল্প গানে ,নিজেকে ভালো রেখো ।।


( 2)


ভালো থেকো শিয়ালদাহ স্টেশন
ভালো থেকো ,মেসের ডিমের ঝোলে লবণ কম ।
ভালো থেকো রাত দুপুরের উল্লাস ও পার্টি ,
ভালো থেকো ,আজ মার্চ বাঙ্ক ,কলেজ ছুটি ।।


ভালো থেকো ,কলেজ ক্রাশ
ভালো থেকো ,বন্ধুদের দেওয়া খামোখা বাশ ।
ভালো থেকো স্বরস্বতী পুজো
ভালো থেকো ,ল্যাদ খাওয়া জীবন ,কলেজ যাবো না আজো ।।


ভালো থেকো টিচারের বকবক
ভালো থেকো ক্রিকেট খেলার ছক ।
ভালো থেকো লাস্ট বেঞ্চার
ভালো থেকো ,লাস্ট নাইট সাজেশন ,ফেল না হবার ।।





অনেকটা দিন পর 
************


কেমন আছো মাধবীলতা ? কতটা সুখে ?
শেষবার ছায়াপথ হাঁটতে চেয়েছিলে ,তারাদের ভিড়ে
সস্তার স্বপ্ন গুলো গল্প আকাশ কিনেছিল বিজ্ঞাপনী অসুখে ।
আজকাল শিশির ছুঁয়েছে শরীর ,পারদ উষ্ণতা মাপে ধীরে ধীরে ।।


মন খারাপ হয় ? রোজকার চায়ের কাপে
টা'এর আবদার,জং-ধরা সিন্দুকে ।
শিকল পায়ে।আলোকবর্ষ দূরে উড়ে যাওয়ার গল্পে
তুমি বেঁধে দিতে চোখ।আজ ভালো আছি এই অতি অল্পে ।।


হঠাৎ কি মনে করে ফের ,ঘরে ফেরার গান ?
তুমিই তো চেয়েছিলে আমাদের গল্পের অবসান ।
আজ দূর থেকে আরো দূরে আমিও বদলে ফেলেছি ডাকনাম।
তুমিও বদলে ফেলো ঠিকানাও ,অপেক্ষা আর কেউ করবে না
        রং বদলে ফেলেছে নীল খাম ।।







ক্রেপ্ট পয়েন্ট 
**********

সিগময়েড কার্ভে বসানো গর্ভে
ইনফ্রারেড এর স্ট্রাকচার  ,আদম নাকি
ভৌগোলিক পরিমাপে যোনিতে আগুনের থাবা ।
হিংস্রহাত ,রক্ত চোখে ঈগল ।।


ধর্মের ওমে ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর মাক্সিমাল
গরম ভাতের ডেফিসেন্সিতে গোলাপী চুমুক ।
  সাংবিধানিক নীতির প্রেক্ষাপটে
  এক একটা অর্গানে অর্গাজম গ্যাস ।
এর নাইট্রাস অক্সাইডের 100% এফিকেসি ।।
     



জ্যোতির্ময় রায়





ডেল্টা এক্স 



0/১ =(₹)
          প্রশ্ন চিন্হ নেই ।
  এন্ড ক ন টি নি উ স ।






ম্যাগনেটিক ফিভার 




    পারদ ছুঁয়েছে ঠোঁট ।
  ফসফরাস জ্বলে উঠে 8.9 রিখটার।
    শিশির ছুঁয়ে এক হেমন্তের সকাল
    ঝালমুড়ির বিকেল তখন অভ্যাসগত ।
   "ফারাক বিস্তর ,যৌনতার নতিতে "
কিংবা স্বপ্ন বিক্রি সস্তায় । ইচ্ছে পালক ।
স্বা ধী ন তা ।দত্তকি প্রেম কিনেছে
     ম হা দে শ ।।
     


সম্পাদকীয় ✍️(কবিতার ল্যাবরেটরি )






সম্পাদকীয় ✍️✍️






"হাঁস ছিল ,সজারুও ,(ব্যাকরণ মানি না )
হয়ে গেল" হাঁসজারু" কেমনে তা জানি না ।।"
                    সুকুমার রায় (খিচুড়ি কবিতা )
"হোক তবে" খিচুড়ি " ভেঙে ছুড়ে ফেলে কিছু কবিতাও ।
ব্যাকরণ না মেনে ভাষা পাক "শব্দ দিয়ে "সাজানো কথাও ।।"


থাক !অনেক বিজ্ঞ লোক আছে বাবা ,বলবে এসব কবিতা ?
এসব পাগল প্রলাপ ,এক্কে বারে যা তা "।।

আরে মশাই ছাড়ুন তো । আপনি লিখুন আপনার মতো করে । যারা লিখেত জানে না ,যারা মুখ ফুটিয়ে সব কথা বলতে পারে না ,তারা কি করবে ? নিজের ভিতরেই মরতে থাকবে রোজ ? কথা জমতে জমতে একদিন তো" বুমম"। আর তা হবার আছেই প্রতিনিয়তই ক্রমশ বেড়ে চলেছে কোলাহল ,জনঘনত্ব ,যান জোট ।একদিকে সৃষ্টি আর অন্য দিকে ধ্বংসের লীলা । আর এর মাঝেই নিয়ম ,নিয়ম ভাঙার নিয়ম ।একটা নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধত্বা ,কিংবা ভিড় ঠেলে লোকাল ট্রেনে একটু বসবার জায়গার লড়াই ।এর মাঝেই কত শব্দ ,দৌড়ঝাঁপ ,কিংবা পড়ছে বাজ ,কোথাও আর্তনাদ কোথাও আনন্দ উল্লাস কিংবা মিছিল ,ইঁদুর খুঁজে চিল ।আরও কত শব্দ ....রোজের বাস ট্রামের ভিড়ে শব্দেই শব্দ হারাচ্ছে ।আর এর মাঝেই হাসি মুখে ভালো থাকার চেষ্টা ।
এটাই জীবন ,একটা আবোল তাবোল ছন্দে কিন্তু নির্দিষ্ট তালে  এগিয়ে চলছে জন্ম থেকে মৃত্যুর দিকে ।

তাই ছন্দ ছাড়া ,তাল ছাড়া ,সুর ছাড়া ,কিংবা শব্দ ছাড়াও (মুখে আসে কিন্তু বহিঃ প্রকাশ নেই ) তাদের সাজিয়ে একটা একটা জীবনের গল্প কথা নিয়েই কবিতার খোঁজ ,একটা গানের খোঁজ হল "কবিতার ল্যাবরেটরি " ।
যে সব শব্দ হারিয়ে যাচ্ছে সবার অলক্ষ্যে সেই সব না বলা কথার বহিঃপ্রকাশে এই প্রচেষ্টা । জানি সে গুলো কবিতা না ,কিন্তু তবুও কবিতা ,তবুও বাস্ট হয়ে যাবার আগে একটু নতুন করে বেঁচে উঠার মন্ত্র ।
"তাই তো একটাই শর্ত কবিতার ল্যাবরেটরি এর "কবিতা লিখতে না পারা অর্থাৎ যা বিজ্ঞদের কাছে কবিতা নয় কিন্তু আমার ,তোমার ভিতর জমতে থাকা কথা "



অনেক জনের "না বলা কথা " আমরা পেয়েছি ।সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেছা । ভালো থাকবেন আর ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকেও ।।



               ধন্যবাদান্তে ,


                     জ্যোতির্ময় রায়
                   (    সম্পাদক  )






কবিতার ল্যাবটরি এর  টিম

তুলি রায়
জ্যোতির্ময় মুখার্জি
জ্যোতির্ময় রায়


দীপাবলী সংখ্যা - সম্পাদকীয় ✒️

       





 


















                     🙏  দীপাবলী 🙏
             *******সংখ্যা 
                                       ********
      🌼🌼🎆🎆🎆🎆🎆🎇🎇🎉🎉🎆🎆🌼🌼
                  


 📝 সম্পাদকীয়____✒️


"এবার শহর সাজবে আলোয় আলোয়
ফুটপাত থেকে গলি পথও।
মনের মধ্যে অন্ধকারে জ্বলবে এবার আলো ।।"
                       
                        হ্যাঁ এবার মনের যে আন্ধকার গুলো আছে সেগুলোতে জ্বালাতে হবে আলো । ঠিক যেমন দীপাবলীতে অমাবস্যার অন্ধকার কে সরিয়ে জ্বলে উঠে মোমবাতি গ্রাম থেকে শহর ,কিংবা কোনো গলির ভেতর যেখানে হয়তো দিনের এই ব্যস্ত শহরের আলো পৌঁছায় না সেখানেও জ্বলে উঠে কিছু মোমবাতি ,কিছু হাসি মুখ আর কিছু অধরা স্বপ্নে বাঁচতে থাকে রোজ আরও একটু বাঁচার লোভে । আজ যেদিকে তাকাও দেখা যাবে একটা চলমান ট্রেন যেন ছুটে চলেছে কোনো নিদির্ষ্ট ঠিকানায় । আমরা সবাই যাত্রী যেখানে ,সবাই একটু বসার যায়গা খুঁজছে ,যেমনটি দূরপাল্লার ট্রেনে জেনারেল বগিতে হয় ঠিক তেমনি ।কেউ কারো নয় এখানে ,কেউ কারো জন্য নয় সবাই চলমান ,আপেক্ষিক । তবুও প্রশ্ন থেকে যায় যখন নিউজ পেপারের হেড লাইন হয় "মেয়েটা বাস স্ট্যান্ডে ধর্ষিত"
কিংবা "ডাইনি বলে একটি মহিলাকে জ্বালিয়ে দিল গ্রামের লোক " । আরো কত কিছু ।
                  আজ আধুনিক যুগ পেরিয়ে আমরা উত্তরাধুনিকে  ,ডিজিটাল যুগে ,গ্রামে গ্রামে বিজলি বাতি এখন জ্বলে ,হ্যারিকেনে আর পড়তে হয় না কৃষকের ছেলেকে ।কিন্তু অন্ধকারটি কি গেছে ? মোমবাতির বদলে চাইনিজ লাইট কিংবা বিজলি বাতির আলোয় ? প্রশ্নটা থেকে যায় ,থেকে যাবে ....তবুও বাঁচতে হবে ,বেঁচে থাকতে হবে ,হাসির মাঝে দুঃখ গুলোকে লুকিয়ে ।

                           নিকোটিনের এবারে দীপাবলী সংখ্যায় অনেক গুণী জনকে পাশে পেয়েছি ।সকলকে নিকোটিনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ।ভালো থাকবেন ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকে । আর এভাবেই পাশে থাকবেন নিকোটিনের এই আশা রাখি ।।
                                                     জ্যোতির্ময় রায়
                                                 কার্যকরী সম্পাদক



নিকোটিন টিম
***********
চেয়ার ম্যান                    সম্পাদিকা
সুধা সরকার                    সুস্মিতা কর্মকার

সহ সম্পাদক                   কার্যকরী সম্পাদক
পিন্টু মাহাতো                      জ্যোতির্ময় রায়
ঈশিতা দাস


       

গ্রাফিক্যাল

      ~~****গ্রাফিক্যাল****~~


       ©জ্যোতির্ময় রায়


দূর্বা ঘাসের মাথায় শিশির জমে ,কিছু শাপলাও ফুটে
পদ্ম পুকুরে ।এ পথ এঁকে বেঁকে চলে গেছে সবুজ পেরিয়ে
তোমার দেশের বর্ডারের কাঁটা তার ধরে ।সাজ সাজ রবে
শহর ।আমার দেশে মৃত্যু শোকের মোমবাতি মিছিল ।।
রোজ ভাঙছে ঘর ।অনেক আপন তোমারও হয়েছে পর ।
কাটাকুটি খেলায় এক কদম এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে ।
ক্ষত ।মেঘের আড়ালে আগুনে ঝলসানো চাঁদেও কলঙ্ক ।।
"আগার টুট গায়ে সিসে তো টুটনে দো ,পাহাড় হবেই দিল" ।।
মিথ্যের আসকারাতে জানি "দিল ভি বেকারার" ।
থাক ,অনেক হয়েছে নাটক ।"আমার আমি"
অবহেলার আশ্চার্য প্রদীপ।ভেঙ্গে ফেল খাঁচা এবার ।।

পাগলী তোদের



©জ্যোতির্ময় রায়



ঠিক কবে যেন মিশে গেছে চেনা অচেনা তোদের সাথে ,
ঠিক কবে যেন সুখ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করেছি হাত রেখে হাতে ।
সময়টা হঠাৎ কেমন করে যেন হয়ে গেল শেষ ,
"পাগলীরে তোদের কথা গুলো আজও বাজে কানে
মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে ডেকে ফেলি তোদের আনমনে ।
 পাগলামির সেই রাত্রি দিন গুলোর কই কাটছে না যে রেশ ।।


সারা শহর যখন থাকে ঘুম ঘুম চোখে
বন্ধু তুই আর আমি তখন মিশেছি খুনসুটিতে ।
আজও শহর ঘুমায় অনেক স্বপ্ন চোখে
আমি শুধু জেগে রই ,মুচকি হেসে ,হঠাৎ কাঁদি ,পরে যে মনে তোকে ।।



একসাথে পার্কে কিংবা শপিংমল
"ওই পাগলী চল রে ,পা চালিয়ে চল "
আজ চলতে চলতে চলে গেছিস অনেক দূরে ....
ইসস খুব ভালো হতো মিলেমিশে থাকার দিন গুলো যদি
আবার আসে ফিরে .!


হঠাৎ মাঝ রাতে  তোর ঘুম ভাঙিয়ে শুনাতাম মনের কথা ,
কারণ ছাড়াই একটুও অভিমান ,মাঝে মাঝে ঝগড়া অযথা ।


যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস রে পাগলীরা ,
সময় সাথে সব বদলে যায় ,মনকে দেই সান্তনা ,
 তাছাড়া কি করবো বল ,পড়লে মনে তোদের কথা পায় যে কান্না ।।
এই ব্যস্ত শহরে ভালোবাসার ,ভালোলাগার ,সুখীগৃহকোণ ছিলাম যে আমরা ।।