নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রিয়াজুল হক সাগরের ৩টি কবিতা



১.
মন আঙ্গিনা

চোখ বুঝলে দেখি তোমার প্রতিচ্ছবি
অকারনে পুড়লো হাত,
বুক পকেটে তোমার সেই লাল গোলাপ
আজও সযত্নে রেখে দিয়েছি।
পাড়ার সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতো
আমায় দেখে তুমি আলতো করে হেসে ফেলতে,
আমি সন্ধে হলে তোমার দেয়া ঠিকানায় যেতানা
রোজ দেখা হতো কথা কেউ টেরও পেতনা।
সন্ধের আলোয় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তোমার দেখা মিলতো
সেই গাঁয়ের বড় পুকুড় পাড়ে দাড়িয়ে থাকতে,
নীল জামা আর খয়েরী রঙের সেই টিপ, আজও আমার চোখে ভাসে,
কি অদভূত দৃশ্য ভুলিবার নয়।
তুমি বিকেলে খেলার মাঠে খেলা দেখার ছলে আমাকে
দেখতে আসতে বুঝার সাধ্য নেই,
আমি তোমায় চুপি চুপি দেখতাম তুমি আমাকে
বুঝাতে তুমি এসো কিন্তু।

2.
শীতের জ্বরে

কনকনে শীতে বুড়ো দাদুটি ঘাপটে বসে আছে
আগুনে তা দিতে ব্যাস্ত ,
নুয়ে পড়েছে বয়সের ভারে রক্তে ঝটলা ধরেছে
র্নিবোধ এখন দাদু আমার।

গ্রামের অধিক মানুষ সকালের রোদ একমাত্র ভরসা
শীতে কাতর ধর ধর কাপছে চারিদিক,
ছমিরন কমিরন ছকমল সবারি একই কষ্ট
এই শীতের জ্বরে কাপছে ।

শহরের বাবু এসে দেখে গ্রামের এ কি হাল এই বুঝি প্রাণ গেল
অকাতরে গরীবের,
কঠিণ এই সময়ে চারিদিকে চিৎকার শীত শীত শুধুই শীত
এই অসহায় মানুষের ।

খড় কুঠো জ্বালিয়ে আগুনে তাপিয়ে শীতকে মোকাবেলা করে
সহজ সরল অবুঝ শিশু,
একটু তাপদাহের আশায় যেন মৃতু যাত্রির দুয়ারে
হে বিত্তবা চোখে পড়েনা এই আতর্নাত শীতে কাপড়ে
মরতে বসেছে এই গরীব অসহায় মানুষ ।

৩.
দাড়িয়ে-----


পুর্নিমার চাঁদের মত দেখতে আমার প্রিয়ার মুখ
তার দৃষ্টির ভাজে কি মায়া বুঝতে কষ্ট হবে,
স্বাধ্য নেই তার প্রেমের ভাজে পরতে সময়
লাগবেনা অমনি প্রেমে পরে যাবে যে কেউ।

দাড়িয়ে নদীর কিনারে আনমনে এক দৃষ্টিতে
চোখের পলক পরার আগেই অদৃশ্য,
পায়ে নুপুড়ের আওয়াজ কানে ভেসে আসলো
ঝন ঝন শব্দে শুনতে পেলাম।

নৈাকায় বসে গুনগুন শব্দে কাকে যেন ডাকছে
নতুবা গানে মুগ্ধ সেই সুন্দরী,
আবার দাড়িয়ে কাঁশ ফুলের মাঝ খানে সেই আওয়াজ
খুজতে হারিয়ে ফেলেছি তাকে আমি।
হটাৎ আবার একটি কন্ঠ শুনতে পেলাম সেই
আগের মত দেখার সাধ্য নেই,
হারিয়ে ফেলেছি তাকে আর খুজে পেলাম না
সে আবার দাড়িয়ে নদীর তীরে।

কোন মন্তব্য নেই: