নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

দীপাবলী (দ্বিতীয় সংখ্যা) এর সূচীপত্র






মেশকাতুন নাহার 

রূপবিলাস মণ্ডল

শাবলু শাহাবউদ্দিন

অনোজ ব্যানার্জী

সুমিত মোদক

অমিত কুমার জানা

রেজাউল করিম রোমেল

অঞ্জলি দেনন্দী

শাহীন রায়হান

জিয়াউল আলম ফারুকী

শম্পা সামন্ত

ভীষ্মদেব সূত্রধর



বিশেষ ঘোষণা:

আসছে নিকোটিন ২.০ দ্বারা নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" প্রতিদিন সকালে প্রকাশিত হবে ।দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অসামাজিকতার বিরুদ্ধে,শাসকের বিরুদ্ধে ..যেকোনো প্রতিবাদী কণ্ঠ কে সাদরে স্বাগত ।

"কলম এবার বন্দুক  হবে,বারুদ হবে কালি, 

"রাজা তোর কাপড় কোথায়?"বলে সবাই না দিয়ে হাততালি "




রেজাউল করিম রোমেল

 কাশফুল


শরতের আগমণে
ফুটেছে কাশফুল,
ফুলে ফুলে ভরে গেছে
অপূর্ব কুল।

তোমাকে দিলাম
আমার প্রিয় কাশফুল,
যত্ন করে রেখ
কোরো নাকো ভুল।

পথ ঘাট মাঠে প্রান্তরে
ফুটেছে কাশফুল,
শরতের এই অপূর্ব ফুল
দেখতে কোরো না ভুল।

অঞ্জলি দেনন্দী

 দীপাবলী




ঘোর অন্ধকার।
অমাবস্যা।
মা কালী, সাকার।
আঁধারের তপস্যা।
কালো রূপে বিরাজিতা দেবী।
ভক্তিতে তাঁর শ্রীপদ সেবী।
দীপ জ্বালিয়ে দিই।
আশিস চেয়ে নিই।
লোভের দিই বলী।
জবায় দিই অঞ্জলি।
তারায় সাজে গগণ।
পৃথিবী ধ্যানে মগন।
বড় পুণ্যের লগণ।
ফুল, ফলে ভরে পূজার ডালি।
জয় শ্রী মা কালী!

জিয়াউল আলম ফারুকী

 বোধ




অবাক হয়ে শুনি
রক্ত কথা কয়,
কূল হারা নাবিক
ভাংগা মাস্তুল অঁকড়ে
খুঁজে নতুন দিন।

দিন আসে দিন যায়
গারদবদ্ধ শালিক
ধান খুঁজে মাঠের পর মাঠ,
আস্ত খাঁচাটায় যে পাখি
কাঁতরায় মুখোস আড়ালে।

দূর দিগন্ত হতে হয়ত
কেউ আসবে,পাশে বসবে,
দুয়ার খুলে বলবে,
বনের পাখি তুমি খাঁচায়
কেন!কী করে উড়ে যেতে হয়?

অতঃপরএকটি সবুজ
খামে বারতা আসুক
বনের পাখি,মনের পাখি
মুক্ত আকাশ হোক
তোমার কপোতি চারণ।

ভীষ্মদেব সূত্রধর

 খোঁজ, স্বপ্ন ও সংজ্ঞা 


আফ্রোদিতি'র খোঁজে মহল্লার গেরস্তের বাড়ির খবর রাখিনা
একে একে চলে গেছে...বিবর্ণ সকাল আমার একার
ভাঁজা খেয়েই আমি তৈলাক্ত শিথিল! 
ঘন্টার পর ঘন্টা টেবিলের পায়ার কথা ভাবি
চারপায়ে হেঁটে চলা জন্তু আর জোনাকি
ভোরের কাক প্রেমিক হয়ে 
উৎকৃষ্টতর নীল বেদনায় ঝুলে পড়ে বৈদ্যুতিক তারে
একটি আত্মহত্যা এবং হন্তারক সন্ধ্যারতির দীপ্যমান মুখ।
বন্যপুষ্প-সুরভিত উত্তপ্ত বাতাস
ঘিরে অক্ষরাদি ভেসে যায় প্রদত্ত উঠোনে
নোনাজলাবদ্ধ ওষ্ঠাগত দ্বিপ্রহরে।
পিছনের পুকুর থেকে অনুজীব জলপরী
কুকুরের মত্ত সহবাস
চোখ ওঠা লাল চোখ
জল ঝরা হাতা
আমি ধর্ণা দিইনি নদীর বুকে অপ্সরা নেমে আসে 
কারো বুকে
কারো জঙ্ঘায়
ইপ্সায়!
ভীষণ টিটকারি,  ভাঙা আয়নায় সিলভার প্রলেপ
আমার মুখোমুখি 
আমি আদৌ কোন কিছু দেখি
বারবেলা ঘুমিয়ে ক্লান্তি জমলে
আমিও চাঁদ ছুঁতে ছুটে যাই স্বপ্নে-মদিরায়।
কিছু ওষুধের পরিত্যক্ত খাম
পুরান টর্চ
সাহসের পর দুঃসাহসের ঘাম অবশেষে টেনে তোলে চাটি মারে। ধুর।


 

শম্পা সামন্ত

 কুমারীর আলিঙ্গন


ধীরে ধীরে আমি মৌন মন্থর আলিঙ্গন করছি কোনো বৃহদায়তন পান্থ পাদপের চরণ।
আর সেই আলিঙ্গন এক আকাশের গায়ে চাঁদের ছায়া।
যে রাতে ঘুমিয়ে থাকার কথা ছিল সে রাতে আর ঘুম এলোনা।
দীর্ঘকাল যেন সূর্যের নীচে শুয়ে থাকা যাপন।
আর কম্পিত নি: শ্বাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আমি এপর্যন্ত যা জানি তা করা উচিত হলনা আর যা যা জানা নেই তা যেন অপটু হতে সেরে ফেলছি। 
এক পটু শিকারির মত।
আমি যা যা দেখিনি তা আমার ভাবনা।
আর যা ভেবেছি তাও শরীরি কল্পনা।
আর সবুজ বনানী ঘিরে আমার হারিয়ে যাওয়া।
অস্তিত্বহীন। নাম।

সাকিন

অসুস্থতা তোমার পারগতাকে চাগিয়ে তুলতে পারে  অকর্মন্য এক জীবন খুঁজে পেলে।
লাল রঙা গোধুলির মাঝে এই প্রেম ভ্রূপল্লবিত।
ছায়ামুখ যেন আঁকাবাঁকা পথময় ছড়িয়ে।ঐ আলোময় মুখ ঘিরে আমার অনুভব।এই ক্লিশে হয়ে যাওয়াস্মৃতি মেদুর গতি।আর হাজার বছর আমি টিকে থাকি।
বিষাদের আঁধার টুকু নিয়ে, বেরসিকের মত।আর ক্ষতগুলো সানিয়ে নিচ্ছে তরবারি।
এখন একটা সঙ্গী পেলে পারাবার পেরোতে পারি।
একটা অশ্লীল কবিতা লিখতে অঙ্গীকার করি। 
তুমি কী আমার সঙ্গী হবার প্রতিজ্ঞায়  হাত ধরবে?