নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অভিশপ্ত পৃথিবী : শাহীন রায়হান



বড় দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়েছি আজ
যেন দুর্দিনের যাত্রী ছাইচাপা আগুন মাড়িয়ে
অভিশাপের বোচকা কাঁধে চাপিয়ে হেঁটে চলেছি
নিদারুন যন্ত্রনাময় মৃত্যু অবগাহনে।

আজ নিজেকে বড়-ই অচেনা মনে হয়
পৃথিবীকে মনে হয় বিধ্বস্ত শ্মশান
যেখানে প্রতিটি লম্পট হাত বুবুক্ষু মানুষের খাবার কেড়ে নেয়
তরুণীর কাজল মুছে দেয় পাষাণ মীরজাফর-
রক্তাক্ত মানচিত্র পোড়ায় আবু জাহেল ফেরাউন।

আর পৃথিবী কাতরায় মহমারী রোগে
তার শরীরে কুষ্ঠের দগদগে ঘা
আজ পৃথিবীর বুকে গোলাপের সুবাস নেই
আছে শুধুই বারুদের গন্ধ শুধুই অভিশাপ।

ডাস্টবিন : আমিনুল ইসলাম


ডাস্টবিন থেকে ধূলো উড়ছে, আর
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত আবর্জনার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়ে ওঠেনি কলম, যেহেতু তার সুডোল শরীরের যন্ত্রনায় একবিন্দু আফশোস মেখে নেই আমার।

'আমি' মানে এখানে 'আমিই' নই, এখানে 'আমি' হচ্ছেন উত্তম পুরুষ যাঁর চামড়া পুরু হওয়া বাঞ্ছনীয়
এবং যে সলতে হয়ে পুড়তে সক্ষমতা পেয়েছেন
কারণ পুড়তে অক্ষমতা থাকলে, আলো হওয়া যায় না...

নদীজলের সান্ধ্যভ্রমণ : অভিজিৎ দাস কর্মকার



ফেলে আসা পথ__
    ভয়ের পিছনে আবছায়া হয়ে ওঠে |

তবুও
আমি আগরবাতির ধোঁয়া হতে পারলাম না |

উদ্ভাসিমন সমস্যায় পড়েছিল---
হাতে চায়ের কাপ | কোলে সিন্ধুসভ্যতা ডুবছে পরিপাটি |

তখনই,
  সম্মোহিত অস্থিরতায় রুদ্রফল এবং পৃথিবীর গতানুগতিক জাড্য___
জিন্দাবাদ জানিয়েছিল  নদীজলের সান্ধ্যভ্রমন |
       ৫টি হরিণ শাবক ও ১টি সিগারেট সঙ্গী ছিল আমার,
                       তুমি তাও দেখা দাও নি!

জোরদার : জারা সোমা


আমাদের বন্ধুত্ব ছিল জোরদার,
 কখনো ছিলনা অকারণ দাবী,বরং
 অমাবস্যায় সিঁড়ির কোণে
  টিমটিমিয়ে জ্বলত প্রদীপ
 আলোছায়া সন্ধ্যা জমে উঠত মৌতাতে
সিঁথিতে ডুব দিতো অস্তগামী সূর্য

আমরা অপেক্ষা করতাম বর্ষার
অপেক্ষা করতাম স্রোতে ভেসে যেতে
পূর্বের খন্ডমেঘ ঢেকে ফেলেছিল আকাশ
রঙ বদলে গেল নীল থেকে অভিশাপে

আমাদের বন্ধুত্ব জোরদার ছিল
আমাদের আবেগ জোরদার ছিল
আমাদের যৌবন জোরদার ছিল

শুধু সম্পর্কে বাঁধন ছিল না
ভালোবাসায় ভরসা শব্দটা ছিলনা.....


দিনের শেষে : পলি ঘোষ



দিনের শেষে, নিদ্রা ভরা নয়নে --
তব কথা স্মরণে,
মোর নয়ন ভাসে।
আজি বৃষ্টি ভেজা রাতে,
তব কথা হৃদয়ে মোর বাজে।
মোর আকাশে সকল তারা আজি দেখি!
শুধুই মোর অশ্রু ভরা নয়নে টলমল;
বানভাসি সব মানুষ আজি কেমনে রবে?
তাহাদের কথা ভাবিয়াই আজি মোর নয়নে
অশ্রু নদী ঝরে।
কেমনে রহিয়াছে তারা সবাই,
মোর সকল বানভাসি মা, ভাই, বোন?
দেখো, তব মনের শক্তি দিয়া
উজাড় করিয়া দিও তাহাদের সকলকিছু,
দুই হাত ভরিয়া।
মোর মন থমকিয়া গেছে তাহাদের কথা ভাবিয়া।
ভালো যেনো রাখিও তাহাদের সকল বিপদ হইতে।

ভয়াবহ সূর্য উঠছে : গোলাম রসুল



পৃথিবীর মর্মর মূর্তি সমুদ্রের ধারে
অজানা ঢেউ
আমার প্রার্থনা আকাশ

জলে গভীর রাতের প্রতিবিম্ব
আশ্চর্য আমি বাজাই সেই দ্বীপপুঞ্জ
মনে করো যেখানে তুমি খুন হয়েছিলে

মনের অবস্থা ভালো নেই বলে আমি একটি খারাপ রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম

দূরের বন্ধুর মতো জ্বর গায়ে কম্বল
মানুষটাকে আর দেখা যাচ্ছে না কুয়াশায়
তারপর স্টেশনের অরণ্য
যেখানে আমি অনেক  মুখ দেখতাম আয়নায়

গোড়ালিতে জমে থাকা নদী
এক সময় আমরা একাকার হয়ে যাই

সমুদ্রের ধারে সেই সব মর্মর মূর্তি
আর চামড়ার ভেতরে ফেটে বেরুচ্ছে রক্ত

ভয়াবহ সূর্য উঠছে
          __________________