নোটিশ বোর্ড
।।প্রাণভিক্ষা ।।কাজী জুবেরী মোস্তাক
না রাষ্ট্রপতির কাছে আমি আমার প্রাণটা ভিক্ষা চাইবোনা
এখানে আইন টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি
তাই বাঁচতে চাইনা
যে রাষ্ট্র আজও মিথ্যার চামচামি করে সে রাষ্ট্রে
প্রাণভিক্ষা চাইনা ।
না এই সুউচ্চ প্রাচীর কিন্তু আমার সমাধীর জন্য
তৈরি করা না
এ জেলখানা কিন্তু অনেক বড় কিন্তু আমার ঘর
বেশি বড় না
আগামীকাল আবার জন্ম হবে আমার তাই আজ বাঁচতে চাইনা
বদ্ধভূমির জেলখানায় ঘুমটা আসলে বিশ্বাঘাতক
এক অপরাধী
আর কয়েদিরা একেকজন যেন ঘুমহীন একেকটা চাতক পাখি
আর জেল পুলিশগুলো পাখিদের উপরে রেখেছে
তীক্ষ্ণ নজরদারি ।
জেলখানার খুপরিঘর গুলোর দেয়ালে বন্দী রয়
চাপা আর্তনাদ
সু-উচ্চ প্রাচীরেই আটকে থাকে ভেদহীন শতশত
বন্দীর দীর্ঘশ্বাস
তবুও স্বপ্নগুলো কয়েদিদের দিচ্ছে বেঁচে থাকার
জন্য আশ্বাস।
যে সমাজটা আমার সু-শৃঙ্খল জীবনকে করেছে
উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী
যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতি পদেপদে জন্ম দিচ্ছে আমার মতো সন্ত্রাসী
সে সমাজে বাঁচার জন্য অযোগ্য রাষ্ট্রে প্রাণভিক্ষা চেয়ে লাভ কি ?
আমাকে নাহয় বন্দীই করেছো এই সুউচ্চ প্রাচীর
ঘেরা জেলখানায়
কিন্তু আমার চিন্তা চেতনা মস্তিষ্ককে বন্দী করবে কোন জেলখানায়
মনে রেখো এই মৃত্যু চিরস্থায়ী নয় প্রতি সকালেই আমার জন্ম হয়।
।।বর্ষা ভেজা সকাল।। জসিমদ্দিন সেখ
ভোর হতে সকাল এল নেমে
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দমকা মেঘের ডাক,
পলকা পবনের প্রতারণা নেমে আসে
আকাশে আঁচড় দিয়েছে বজ্র চমক।
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দমকা মেঘের ডাক,
পলকা পবনের প্রতারণা নেমে আসে
আকাশে আঁচড় দিয়েছে বজ্র চমক।
সদ্য জন্মানো কচি পাখিদের কিচিমিচি
বর্ষা ভেজা সকালে খিদের তাড়োনে,
মাছেরা জল হতে উঁকি মারে
পুনরায় ফিরে যায় গভীরে তৎক্ষণে।
বর্ষা ভেজা সকালে খিদের তাড়োনে,
মাছেরা জল হতে উঁকি মারে
পুনরায় ফিরে যায় গভীরে তৎক্ষণে।
বর্ষার ভেজা সকালে বৃষ্টির আগমন
নদী পাড় ছাপিয়ে সেঁজেছে কুমারী,
জেলেরা মাছ শিকারে পেতেছে ঢিকিজাল
ভোর হতে সন্ধ্যা দিয়েছে পাড়ি।
নদী পাড় ছাপিয়ে সেঁজেছে কুমারী,
জেলেরা মাছ শিকারে পেতেছে ঢিকিজাল
ভোর হতে সন্ধ্যা দিয়েছে পাড়ি।
চারিদিকে থৈই থৈই আঙিনা ভরা জল
কাদাতে জমেছে স্যাঁতসেতে পিচ্ছিল আলপনা,
মেঘেদের ভিড় কোথা হইতে উপস্থিত
তাদের শ্লেষ হাসাহাসি যেন কল্পনা।
কাদাতে জমেছে স্যাঁতসেতে পিচ্ছিল আলপনা,
মেঘেদের ভিড় কোথা হইতে উপস্থিত
তাদের শ্লেষ হাসাহাসি যেন কল্পনা।
।।আলোগাছ।।মৌসুমী রায়
আলোগাছ হতে চাই বুঝলে প্রেমিক
বাধা দেয় কপালের লাল ক্ষতের দাগ
তোমার বুকের বোতাম খোলা থাকলে...
যতটুকু শরীর দেখা যায় ততটুকুতেই আমার ভাগ।
লোভ হয় লোভ ভীষণ রকম
শেষ কবে কাকে ভালোবেসেছি মনে নেই
জানি কেউ আসবেনা প্রেমহীন জীবনে...
বেজন্মা কবিতা ঘুরে ফিরে আমার মাথায় আসবেই।
জানালার গরাদ চুঁয়ে কামুক রাত নামে
আমার পুরুষ অপমানের ভয় পায়
আমি ক্ষইতে থাকি অভিমানে অপেক্ষায়...
হারাবার ভয় আমায় আলোগাছ হতে শেখায়।
।।শারদ উপহার।।শুভম চক্রবর্ত্তী
লজ্জা, ঘৃন্য, জঘন্য;
বলে গন্য-মান্য।
ওদের বাড়ির ছেলে,
যেমন তুলসী পাতা ধুলে।
অসহায় শুধু তুমি,
তাই ধর্ষণ- ই প্রনামী।
গুমরে গুমরে মরো,
সমাজ দোষাবে এরপরেও।
ওদিকে চলে আলোর ছটা,
আড়ম্বরই পূজার ঘটা;
মাতৃ ভক্তি ওসব মিথ্যা,
গ্ৰাস করে সব উল্লাস ও উগ্ৰতা।
আমি তাই বেড়োচ্ছিনা,
আমার পূজা সূচী আর হচ্ছে না।
নারী তুমি গর্জে ওঠো,
প্রতিবাদে তোলো হাতিয়ার।
সেটাই হবে আমার জন্য
শ্রেষ্ঠ শারদ উপহার।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)