নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বন্ধু তোমায় : শুভম চক্রবর্ত্তী



হে হৃদ-সখা,
এই দুরন্ত পৃথিবীর উন্মাদনায়
সবাই যখন একাকিত্বে মত্ত,
আত্ম চঞ্চলতা যখন সবার রক্তে,
স্বার্থপরতা যখন মানুষের একমাত্র বুলি,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল প্রেম।
বন্ধু যখন 'ফেসবুক'এ সীমাবদ্ধ,
আর তার প্রতিদান যখন লাইক আর কমেন্ট,
জীবন-যাত্রা যখন মোবাইলে বন্দী,
মানুষ যখন শূন্যে ভেসে বেড়ায়,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল বন্ধুত্ব।

এসো হে বন্ধু,
আজ এই শুভক্ষনে
লোক দেখানো বন্ধুত্ব কে বিদায় জানিয়ে,
প্রভেদের বেড়াজাল ছিন্ন করে,
সবাইকে আপন করেনিয়ে
মানুষের পাশে দাঁড়াই,
ভালোবাসার সমুদ্র গড়ে তুলি।


পুঞ্জীভূত বিক্ষোভ : অমিত কুমার জানা


খোলা আকাশের নীচে
রোদ বৃষ্টি ঝড়ের সাথে
সভ্য সমাজের আড়ালে
আমরা তাতেও ছিলাম মেতে।

সহনশীলতা হারিয়ে গেলেও
বাঁচার তাগিদে সহ্য করেছি কতো
কষ্টেরাও মাথা উঁচু করেছিল
ওদের সাথেও হয়েছি অভিযোজিত।

জীবন ছিল মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায়
স্বাধীনতা ছিল অফুরান
সারা পৃথিবীটা ছিল ঘর
সেই খুশিতে ভরে ছিল মনপ্রাণ।

হঠাৎ ওরা এসেছিল সদলবলে
দেখিয়ছিল জীবন পাল্টানোর স্বপ্ন
বুঝিনি সে মিথ্যা আশ্বাস
ওরা নাকি দেবে অমূল্য মানিক রত্ন!

তারপর পোড়া ইঁটের মতো করে
ওরা মোদের সাজিয়েছিল উপর্যুপরি
ওদের আড়ম্বর জীবনের ভিত গড়েছিল
মোদের উপর অন্যায় বল প্রয়োগ করি।

ওরা কেড়েছিল মোদের স্বাধীনতা
ক্ষুন্ন করেছিল স্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা
কেড়েছিল মোদের বাকশক্তি
বালি সিমেন্টের আবরণে।
কিন্তু ওরা কি জানে?
মোদের বিক্ষোভের লাভা পূঞ্জীভূত হচ্ছে
সচেতন দুটো ইঁটের মাঝখানে।

অনুপ্রবেশের ধুলো ঝড় ; আমিনুল ইসলাম



আকন্ঠ গিলে ফেলছি নিমজ্জিত পতনের ঢেউ
ঢেউয়ে ওড়নার ফুরফুরে শরীর বিলিয়ে দেয়া
এসবের আড়াল-আবডালে পরাগহীন হয়ে ওঠা ও
অন্যের তাগিদেই মৌমাছি প্রতিপালনের পক্ষ জুড়ে
মোমবাতিটি পুড়ছে
বিবশ হয়ে আসা ঠোঁটের অনুপ্রবেশে দ্রাঘিমায় নিষিদ্ধ
ধূলো ঝড়
ক্রোধের রং লাল জানি, দুরুদুরু ভালোলাগার ভয় মিশ্রণে যে রঙের আবির্ভাব, সে রং সহনশীলতায় ডিপ- ফ্রিজে বরফ জমতে থাকলে
কাঁচ ঝাপসা হয়ে ওঠে
প্রতিনিয়ত চোখের ট্যানেলে স্ক্যান হতে থাকা অবস্থান পরিবর্তন আঁকা হলে
একটি নিপুণ রাত জাগে সমান্তরাল

অতঃপর, ধীরে ধীরে মালতীর নাইট ড্রেসে জোনাকি খুলছে

মাত্র দুই :অনিন্দ্য পাল


১. রাতের মোড়কে তোমার পশমিনা গুহা
অন্ধ ভ্রমর আলোয় পুড়ে মরে ...
২.দোলনাতে কেটে যায় অলস দুপুর
অতীত আদর দেয়, ভবিষ্যৎ অচেনা সুর...
৩. রাতভর বসে আছে শীতের শিকারী
প্যালেস্তারা খসে পড়ে, কাঁদে বিপজ্জনক বাড়ী ...
৪. এত রাত খরচ হয়ে গেছে কবে ভগ্নাংশ জীবন
কোন রাতে খরচা হল, জীবনের মন!
৫. উঁচু আরও উঁচু বোবা অট্টালিকা
পাষণ্ড পাষাণ নিয়েছে জীবনের ঠিকা!
৬. নৈশব্দের গল্প নিয়ে এল  ম্যাগেলান আমার
তখন আলোর উপোস, জোনাকিআলোয় স্নান...
৭. চরম এক মেঘলা সুখ ধীরে ধীরে
বর্ষাদেহে ঢুকে পড়ে রোমকূপের গভীরে ;
৮.সমস্ত মনখারাপের জীবানুদের আজ ছুটি
যুবতী হয়েছে কলঙ্কিনী চাঁদ ...
৯. মনের দেওয়ালে লেগেছে কাল-ঘুণ
জীবাশ্মে রাখ পা, জ্বালাও উন্মাদ আগুন ;
১০. অনেক দূর থেকে পৌঁছে দিয়েছে প্রেম
অথচ আমার পরমায়ু ধুয়ে গেছে, সমুদ্র সৈকতে ...

তোমার জন্য : সুমিত মোদক


একটা সকাল তোমার জন্য রেখেছি
মহাকাল ;
ভৈরবী রাগে ডুবিয়ে রাখি চরাচর ভূমি
রাতে ফোটা ফুলের সুঘ্রাণ ;
কেবল , তুমি আসবে বলে ....
#
যদিও এখানে পানীয় জলের হাহাকার
মনুষ্যত্বের আকাল ;
যদিও এখানে ভয়ে ভয়ে পথ হাঁটে
সদ্য কিশোরী
সকলেই ....
তবুও , এখানে ঘটা করে কুমারী পূজা হয় ;
হয় চণ্ডী পাঠ ---
ইয়া দেবী সর্বভূতেসু শক্তিরূপেন সংস্থিতা . ..
#
যে রাতচরা পাখি সারারাত তোমার জন্য অপেক্ষা করেছে ,
তাকেও বসিয়ে রেখেছি  ;
বসিয়ে রেখেছি সেই অভিবাসী পাখিদের ,
যারা জাতিঙ্গা গ্রামে আত্মহত্যা করতে চায় ;
এমনকি মৃত্যুকেও ...
#
একটা সকাল তোমারও জন্য রেখেছি ...

মালতীর উড়ান : আমিনুল ইসলাম



তপবনে বসে নেই শকুন্তলা, অপেক্ষায় অপেক্ষায়
ঝিমিয়ে গেছে জারুল
ভাগাড় সাজিয়ে শকুন পাহাড়ায় পঁচা গলা নগ্নতা
অসাড় পড়ে থাকা কাঠের পালিশ
নারায়ন লাঠি হাতে বহুদূরে চলে গেছে সোজা চোখের গভীরে
ডুবতে ডুবতে শুরু হয়েছে বন্যার তলিয়ে যাওয়া শব্দ-সম্ভার।
সবকিছুকেই হটিয়ে রেখে ভালোগুলোই তুলে আনে
তথাপি মালতীর আকাশে উঠতে পারেনি একটিও অন্য উড়ান
এযাবৎ মহড়া হয়েছে, অনেক যুদ্ধ বিলম্বিত হচ্ছে আড়ালে