নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বিষণ্ণ হৃদয় :আহাম্মেদ হৃদয়



তুমি বোঝতে পারনি,
কোনটা রাগ
কোনটা অভিমান।
আমি বোঝাতে পারিনি,
আমার মনের ভালোবাসার স্লোগান।
রাগ অভিমানের গাড়ি,
চলছে অভিরত।

চমকে উঠিনা আগের মতো আর
না শব্দটি শুনে।
কষ্টআমার শেষ্ঠ সময়
এটায় নিয়েছি মেনে।

তুমি বোঝতে পারনি
কোনটা রাগ,
কোনটা অভিমান।
জানি আমি বোঝবে একদিন তুমি
সকল না বলা কথা
বলবে ভালোবাসি বারে বার।
কিন্তু,আমার মুখে হারিয়ে যাবে
ভালোবাসি তোমাকে এই স্লোগান।

দাও দাও দাউ দাউ : কৃষ্ণ বর্মণ



দিচ্ছো ভালো কথা
দাবীটা ন্যায্য বলেই না দিতে বাধ্য হচ্ছো
যা দিচ্ছো যত টুকু দিচ্ছো
নিজের ঘর থেকে তো দিচ্ছো না
যারা দাও দাও বলে চীৎকার করে
প্রাপ্য পায়নি বলেই
তাঁরা আজ পথে মাঠে ঘাটে

ওরা তো এমনি এমনি চাইছে না
এমনি এমনি ওরা নামেনি পথে
না দিতে দিতে ওদের দেউলিয়া করেছো বলেই
ওদের কন্ঠে আজ--"দাও দাও"

এই দাও দাও যেদিন দাউ দাউ করে জ্বলবে
সেদিন বুঝবে তোমার দর্পের যতুগৃহ
কতটা দাহ্য কতটা দূর্বল

শরীর যখন ডাকবাক্স : অভিজিৎ কর্মকার


মন্দ আমি,মন্দ আমার সৃষ্টি
মুঠোফোনে প্রেম শেয়ার করেছি,জানিনা শরীরী মাখামাখি...
কালোবকের ডাক শুনে সাড়া দিই,কিবা রোদ্দুর কিবা বৃষ্টি।
ঢুলুঢুলু চোখে নীল সাগর দেখি,পক্ষীরাজে সাইবেরিয়া
রুগ্ন দেহেও লোলুপ চাহনি,আঁটকায়নি সেক্সোফোবিয়া
লেখাগুলো সব হামাগুড়ি দিচ্ছে...অভিশপ্ত অহল্যা আমি,কষ্টে রয়েছি মিছে।
মন কেমনের জানালা দিয়ে গলিয়েছি নিজেকে বারবার,
হিংস্র নখের আদর মেখে গায়ে খুঁজেছি নিজেকেই আবার।
অঙ্কের খাতা হার মেনেছে টেলিফোনের আর্তনাদে,
ভালোবাসার মই ওঠেনি উপরে,পেয়েছি নিজেকে খাদে।
জ্যোৎস্না রাতে প্রেম বিলোতে উঠেছি বাড়ির ছাদে তনুবিহঙ্গে মত্ত হয়েছি,মাতাল তোমার হাতে।
ক্লাস বাঙ্কের হাতেখড়ি ষোড়শী হলাম যখন,
ব্ল্যাক টিকিটে পুষিয়েছি সব,সিলেবাসে আমরা দুজন।
জুটি ভেঙেছি বহুবার,এক্সপিরিমেন্টের নেশায়...আজ আমি এক্সপিরিয়েন্সড্,দাঁড়িয়ে থাকি রাস্তায়।
প্লেটোনিক থেকে হয়েছি প্যাথেটিক,কাঙালী ভালোবাসার
জানিনা কবে আসবে চিঠি ডাকবাক্সে আবার।   
                  

অব্যাহতি : অমিত কুমার জানা


নিশুতি রাত, হায়নার ভয়ংকর ডাকে ও চমকে উঠলো।
ও চিৎকার করে ডাকলো বাবা মাকে,
বললো-"তোমরা কোথায়? এখনই লাঠিসোটা নিয়ে এস,
হিংস্র হায়নাটাকে তাড়িয়ে দাও"।
বাবা মা ভাই বোন কেউ এল না।
-"তোমরা কি শুনতে পাচ্ছো না কেউ?"
ও ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো,তবুও---

এবার ওর প্রকৃত নিদ্রা ভঙ্গ হলো,
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে ও পরিবারের সবাইকে ছেড়ে এসেছে,
ও মস্ত অফিসার, এখন ভীষণ স্বাধীন।
সংসার সামলানোর বাধ্যবাধকতা থেকেও মুক্ত।
উপার্জিত অর্থ একাই ভোগ করে,বাকিটা সঞ্চিত  থাকে।

রাত্রি বাড়ে, ওর চারপাশ ছমছমে আঁধার ঘন হয়ে ওঠে,
সুযোগ সন্ধানী হায়নার দল ধেয়ে আসে ওর দিকে,
ও যেন শিশুর মতো নিতান্ত অসহায় হয়ে ওঠে,
পরিবারবর্গের সঙ্গ পেতে ও মরিয়া হয়ে ও সচিৎকারে বলে ওঠে-"বাঁচাও, বাঁচাও---"

তুই কি আমার বন্ধু হবি : মুহাম্মদ ইয়াসিন।



তুই কি আমার বন্ধু হবি?
রাত-বিরাতে একলা চলার সঙ্গী হবি?
সাঝ সকালে ঘুম বাড়িতে
ঝাঁকুনি মেরে ঘুম তাড়াবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
একলা রাতে আকাশ দেখার সঙ্গী হবি?
দুঃখ রাতে পাশে থেকে
দুঃখগুলোয় ভাগ বসাবি?
সুখের সময় দুঃখের সময়
সব বেলাতে আমার হবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
শিশির ভেজা ঘাসের উপর
হাঁটতে গিয়ে আমায় নিবি?
মিষ্টি রোদের শেষ বেলাতে
মন খারাপের সব বেলাতে
কাছে থেকে মন রাঙ্গাবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
বৃষ্টি ভেজা রৌদ্র ছায়ায়
একলা যখন ভিজবে কায়া
কলা পাতার ছাতা নিয়ে
তুই কি আমার পথ শুকাবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
আঁধার রাতে একলা হলে
দুঃসময়ে পথ হারালে
তুই কি চেনা পথিক হবি?
আলো হয়ে পথ দেখাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?

চাই না কারগিল : পিনাকি কর্মকার


বন্ধ হোক রক্তস্রোত নিয়ত দুইবেলা,
বন্ধ হোক পড়শির সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
বন্ধ হোক দেশের মধ্যে আরেকটা দেশ গড়া,
 বন্ধ হোক প্রত্যহ এই লাশগুনতির ছড়া।
সীসের টুকরো বোঝেনা যে কে আপন কে পর,
মৃত্যুদূতের কোলে তুলে সে ভাঙছে শুধুই ঘর।
যুদ্ধের মুখে ছাই দাও আর বারুদের ঘরে খিল,
চাইনা কারুর রক্ত যে আর চাইনা কারগিল।