হঠাৎ দেখি বিকেল বেলায়পশ্চিমেতে মেঘ জমেছে,বলতে বলতে নামলো বৃষ্টিগা ভিজল বলে মা বকেছে ।একটু বাদে বৃষ্টি থামলোমোদের গাঁ থেকে,দেখতে পেলাম উইপোকাগুলিস্বপ্ন ভরা ডানা মেলেছে ।ক্ষণিক আনন্দ গেল মিলিয়েউড়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল,ডানা খসে পড়লো সবেপাখি কিছু তাদের খেল ।আবার যারা বাঁচলো সবেআশা আলো দেখে ছুটে এলো,বাড়ীর মেয়েরা রেগে মেগেস্বপ্নের পাখিকে ঝেটিয়ে বিদায় দিলো ।
নোটিশ বোর্ড
মনখারাপের বৃষ্টি যখন নামলো : - অমিতাভ মীর
মনখারাপের বৃষ্টি যখন নামলো চোখের পাতায়,
ঝুলবারান্দার শার্শিতে বৃষ্টিকণা স্মৃতিকাঁটা জাগায়।
কাজল মেঘের অভিমানে আকাশ পাগলপারা,
ঝমঝমিয়ে মাটির বুকে নামলো শ্রাবণধারা।
মাটির দহন নিভলো যখন শ্রাবণ ধারায় ডুবে,
আমার বুকের সুপ্তসুখ তখনই গেল উবে।
ছলছলিয়ে চোখের আকাশ ঝরছে নিরবধি,
কলকলিয়ে উঠলো দুলে বুকের গহীন নদী।
সেদিন এসেছিলো পাশে কেউ গভীর ভালোবেসে,
ভুল বুঝে সেও গেল চলে আনমনে বাঁকা হাসি হেসে!
গরম কফির ধোঁয়ায় স্মৃতির আবেশ জুড়ায়,
ঝুলবারান্দার শার্শিতে বৃষ্টিকণা স্মৃতিকাঁটা বেঁধায়।
অঝর ধারার বর্ষণমুখর এক উদাসী সন্ধ্যায়,
ভেজামন নিয়ে কেউ এসেছিলো আমার আঙিনায়।
মজেছিলো দু'টি ঠোঁট গরম কফির কাপের ছোঁয়ায়,
বুকের নদীর পাড় ভেঙেছিলো সেই শ্রাবণ সন্ধ্যায়।
তারপর কেটে গেছে অনেক বর্ষণমুখর শ্রাবণ,
বুকের নদীর পাড় ভাঙে আজো চোখের প্লাবন।
আজ মন বেসামাল মনখারাপের শ্রাবণ সন্ধ্যায়,
ঝুলবারান্দার শার্শিতে বৃষ্টিকণা স্মৃতিকাঁটা বেঁধায়।
আষাঢ়ে কথা : কিশলয় গুপ্ত
অবশেষে বৃষ্টি নেমে এলো-
নোংরা ঘামের অত্যাচারের পরে,
আষাঢ় কথা নিন্দুকেরাই খেলো;
তবু ওম রেখেছি তোমার একা ঘরে।
নোংরা ঘামের অত্যাচারের পরে,
আষাঢ় কথা নিন্দুকেরাই খেলো;
তবু ওম রেখেছি তোমার একা ঘরে।
বুকের সাথে বুকের গোপন কথা,
হাত রেখেছে হাতের উপর জল;
আর কিছু নয়- মেঘের বর্বরতা
সময় ভুলে করেছে দুর্বল।
হাত রেখেছে হাতের উপর জল;
আর কিছু নয়- মেঘের বর্বরতা
সময় ভুলে করেছে দুর্বল।
নজর ধরে সরলরেখায় চোখ-
পায়ের উপর পা রেখেছে কাল!
আজ ভুলে যাই গতকালের শোক,
লোকের কথায় ফালতু বাওয়াল।
পায়ের উপর পা রেখেছে কাল!
আজ ভুলে যাই গতকালের শোক,
লোকের কথায় ফালতু বাওয়াল।
অবশেষে বৃষ্টি এলো ঘামে-
এবার তুমি দেবে নরবলি?
মোমবাতি আজ জ্বলুক আমার নামে
ভেজা হাঁসি দিক বদনাম গলি।
এবার তুমি দেবে নরবলি?
মোমবাতি আজ জ্বলুক আমার নামে
ভেজা হাঁসি দিক বদনাম গলি।
বর্ষা রাণী : বিপ্লব গোস্বামী
সাজিয়াছে আজি বর্ষা রাণী
মাতিয়াছে আকাশ ধরণী ;
অঝর ধারায় ঝরিতেছে বারি
বাহিয়া মেয়ের তরণী।
আনন্দে আজি মাতিয়াছে পাপিয়া
মুখরিত কানন কূজনে ;
গগনে বনানীতে বড় ভাব আজি
সীমান্তে চুমিছে দুজনে।
পুষ্পে আজি ভরিয়াছে কানন
শ্যামলী বালা হরষা ;
তটিনীতে আজি ভরা যৌবন
নামিয়াছে আজিকে বরষা।
বৃষ্টি মানে : বটু কৃষ্ণ হালদার
বৃষ্টি মানে দাপিয়ে বেড়ানো সবুজ প্রান্তর, নদীর চরে কাদা মাখামাখিতে ফুটবল খেলা
আর রাখাল গরুর পাল।
বৃষ্টি মানে আলো-আঁধারের খেলা, মায়ের কোলে মাথা রেখে আদর মাখানো
হারিয়ে যাওয়া শৈশবের মিষ্টি সকাল।
বৃষ্টি মানে গরম পেয়ালায় তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের চুমুক,
চাল ভাজার সাথে ,মায়ের হাতে কুমড়ো ফুলের বড়া,
বৃষ্টি মানে নকশী কাঁথা গায়ে দিয়ে সহজ পাঠের পড়া।
বৃষ্টি মানে চাষি ভাইদের মহা আনন্দের আউল,বাউল গান
বৃষ্টি মানে ভাঙ্গা টিনের চালে কুকুর অপলক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা,
আর মাতলা নদীর বুক চিরে বয়ে আসা ভাঙ্গনের আহ্বান।
বৃষ্টি মানে চাতকের অনাহুত মহোল্লাস, পরিযায়ী পাখিদের ভিড়।
বৃষ্টি মানে মেদুর কাঁথাতে, অবারিত অলস সুখের নীড়।
বৃষ্টি মানে উষ্ণ হৃদয়ে প্রাণের ছোঁয়া ভুবন ডাঙ্গার মাঠ।
বৃষ্টি মানে রাখালিয়ার করুন বাঁশির সুর, শেষের খেয়া পাড়ি দেওয়া,
চিতার শুকনো কাঠ।
বৃষ্টি মানে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে ভালোবাসার পরম অনুভূতি।
বৃষ্টি মানে খুব সহজে দুটি অচেনা হৃদয়ের জীবনের আত্ম স্মৃতি।
বৃষ্টি মানে গভীর ভালোবাসা বাঁধন হারা হয়ে আপনজনকে কাছে চাওয়া,
বৃষ্টি মানে মাঝ দরিয়ায় মাঝি-মাল্লাদের উল্লাসের গান গাওয়া।
ছুটির নির্ঘন্ট : মান্নুজা খাতুন
আয় না সবাই মজে থাকি
আজকের এই দিন-টাই
আজকে তোরা খেলার সাথি
ছুটির সারাদিনটাই।।
আয় সবাই ছুটে বেড়ায়
যে দিকে যাই চোখ
আয় না সবাই উড়িয়ে ধুলো
গ্রামের মেন রোড।।
কি করে আর খেলব বল!
বাড়িতে যে বড়োর দল!
ভাদ্রের এই ভর দুপুরে
খেলতে এলে হায়
মুছড়ে দেবে কান
পিঠে পড়বে ছড়ি!
এসব বললে শুনব না
মানবো নাকো কথার ছল
বকলে বকুক , মারলে মারুক
খেলব সারাদিনটাই।।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)