নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

এসো বর্ষা :অনোজ ব্যানার্জী



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় সুখে  জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
দিন আনাদিন খাওয়া ,দারিদ্র্যক্লিষ্ট ,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত সমস্ত অন্যায়।।।

কাছে এসো না ‘র 'বর্ণ : শুভঙ্কর বিশ্বাস


     ‘র’ বর্ণে থইথই জল
   আদিগন্ত কামুক বালিয়াড়ি
স্বপ্ন দেখে..চাঁদ হেসো না আর।
ভালোবাসা রক্তবর্ণের মার্কশিটের
ছন্দ।লকলকে জিভে পরিযায়ী ফুল ,
নারীর স্তনে স্তনে যত মহাদেশ -সাগর।
আমরা উড়ে যাব বাতায়ন ছিন্ন করে,
এসো না আর কাছে।

কাটমানি : শিবানী বাগচী



রাজনীতিতে আজ হানাহানি,
জনরোষে পড়েছে কাটমানি!
দিন রাত হিংসায় হানহানি,
আগুন জ্বলছে জ্বলবে জানি!

মুখোসের আড়ালে ছদ্মবেশ,
দুর্নীতিতে আজ গেলো বুঝি দেশ!
নেতা নেত্রির লুঠতরাজে,
নোংরামিতে হলো আজ সব শেষ!

যারা যা নিয়েছো ফেরৎ দাও,
আমলারা ঝেড়েছে কত শত টাকা!
আজ কেন তবে স্বীকার করে না,
বন বন ঘুরছে যে নিয়মের চাকা?

কোমড় বেঁধে নেমেছে জনতারা,
এবার খুলবে হিসেবের খাতা!
দিদি দাদা তুমি সাবধানে থাকো,
জনজাতির নামে এ সব নষ্ট কথা!

কাটমানি ইস‍্যুতে রাজনীতি আজ,
এলোঝেলো দল নেই কোন কাজ।
ভোটের আগের লুটের বোঁচকা,
খুলেছে এবার বসে করবে রাজ!

এক দল ছেড়ে দল পাল্টাও,
হাত পাল্টে বেশী বেশী ঘুস খাও।
তাই বলি শোনো সময় থাকতে,
যেন কাটমানি সবাই ফেরৎ দাও!

শ্রাবনের ধারা ও পক্ষীকূল :- মান্নুজা খাতুন



হয়তো কোন এক গাছের বড় ডালের নিচে
নয়তো বা কারো ব্যালকনির ছোট ফোকরে
নিয়েছে আশ্রয় মা-পাখিটি।
ঠোঁটের ফাঁকে হয়তো এখনো ধরা আছে
 খাদ্যশস্যের ছোট্ট টুকরোটি
দুরের ওই বট গাছের ফোকরে
এখনো হয়তো পথ চেয়ে আছে
সদ্যজাত পক্ষী শাবকটি।
     
শ্রাবণের বৃস্টি,  অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ
সব মিলিয়ে দিশেহারা মা-পাখিটি করে ছটফট
বাসায় ফেলে আসা ছানার কথা ভেবে
ওদিকে অশ্রুসিক্ত  চোখে পথ চেয়ে থাকে পক্ষীশাবকটি।

বৃষ্টি হতে পারোনি :শিবানী বাগচী



হঠাৎ বৃষ্টি নামলো ভুল ঠিকানায় -
ভিজে ইচ্ছেদের সাথে ডুব সাঁতারে
হারাতে চাই জোছনা সিক্ত প্রশান্তি মেখে!

ঘুম আসেনা চোখে -
নিস্তব্ধ রাতের কোচকানো বিছানায়
তোর স্মৃতিগুলো দিয়ে কাটাকুটি খেলি!

ফেলে আসা রোজ নামচা,
গোলির মোড়ে আড়াল হয়ে চোখ ইশারা -
খাতার ভাঁজে,ব‍্যগের খাঁজে,
স্পর্শ খুঁজেছি বৃষ্টিতে ভিজে!

ইমনের নি রে গা তে আঙুলের ডগায়
লেগে থাকা ঘূণ পোকারা তাই
দেহ মন আজও কুড়ে কুড়ে খায়!

অঝোর ধারায় ভেসে যাক সব বিষন্নতারা --
অকাল বর্ষণে বৃষ্টি নুপূরের রিনি রিনি -
চেয়ে আছো মোর পানে;
কিন্তু তুমি তো বৃষ্টি হতে পারোনি?

আত্ম দহন :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রক্ত যেখানে জল হয়ে যায়,
বক্ষ তটিনী শুকায়।
স্বার্থ সেথায় বাঁধিছে চরাবলী,
ওরে ও অবুজ পাখি।
সেইখানে তুই ,
আসিয়াছিস কোন ভরসায়?
আত্মবিশ্বাস লয়ে।
মোহিত হৃদয়ে
ফুটাতে কুসুম কলি,,
করিছো কাহার কাছে
হৃদয় দাবী?
ওরে ও অবুজ পাখি।
আপন যাদের ভাবলি এতদিন,
তারা সে তোর নয়কো আপন।
ভাটির টানে স্বার্থনাষে,
যখণ রক্ত শুকায় অঙ্গ মাঝে।
সময় তখণ,
 এসে দেয় যে বলে
কে সে তোর আপনজন।।