নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আলিঙ্গনায় অদ্ভুত অর্থ :নঈম হাসান



নীলাঞ্জনা তুমি কোথায়?...
তোমার নামের অর্থ হয়েছে অনেক
আগুনের মত ঝলসে যাওয়া
রক্ত গরমের মত ছড়াছড়ি
হ্মন্ডলিপির মত আছড়ে খেয়ে পরে
প্রতিটি অহ্মর।
কখনো আবার হ্মন্ডলিপির মত
আগুনের বারুদ হয়ে
উফরে পরে
দেহের প্রতিটি খন্ড।
সেটি পরিহ্মার অগ্রগতি "হলেও
নীল সীমানায় ঢেকে আছে
দেহের হ্মন্ড।
আছড়ে পরছে বিভিন্ন্য আকাড়ে
স্বরলিপির কিঞ্চিৎ শব্দে।
বিহ্মন্ড হ্মন্ড হয়েও
অজস্রো শ্রাবণ ভাবে
এক বিদুৎের ঝলক আসে
ভয়াবহ তীব্র স্থানে।
শরীরের কুচড়ানো মাংস খন্ড
হ্মত-বিহ্মত হচ্ছে
আর
চুষছে লাল গোলাপের মিস্টি আচে।
একটি ঠোট
তখনি খন্ডলিপির মত ছড়িয়ে পরছে
রক্তের স্থানে মিশছে
সাগরের কিনারে
তখনি একটি
আলিঙ্গনায় প্রেমিক জড়িয়ে যায়
অহ্মরে এক বিষ পান
মধুরত এই সাগরে।
তখনি
মধুরত হয়ে ওঠে
হ্মত-বিহ্মত শরীরটি নিয়ে
আর
ফুটাই
 বিভিন্ন্য আকাড়ের
খন্ড খন্ড দেহ।

জলে ভেজা রাত :শিবানী বাগচী



ঘুঘুর ডানাঝাপটানো গোপন শয‍্যায়
দু জোড়া চোখ;মুখটা বড় আবছা দেখা যায়!

রাতের ছায়ার ফিসফিসানি
নাকি ঘড়ির টিকটিক,
বলতো কে বেশী জোড়ালো?

দিশাহীন সুখের ঘোরে,
জোছনায় ভিজে বিছানায় ঝাঁপ!

তারাদের অট্টহাসিতে তরলের ফোয়ারা ছোটে;
এক ঘটি জলেই হাবুডুবু,সারারাত ভিজে যায়!

রাত জাগা চোখে প্রশ্নগুলো
কেবলি আছাড় খায় -
অধিকারহীন ভ্রুণ ঘাপটি মেরে প্রহর গোনে;
জন্মের ইচ্ছে পূরণ যে নিয়তির বরদান!

মুহূর্তগুলো বুঝি রাখবো লিখে
ডায়রীর শেষ পাতায় -
কেউ কিন্তু কোন প্রশ্ন করোনা?

ছুঁতে না পারা : আকাশ কর্মকার



কবিতারা আজকাল তেমন আর আসে না..
চোরাস্রোতের টানে হারিয়ে যাচ্ছে আবেগ..
বৃষ্টির বিকেলে কেউ আমার কবিতা পড়ে প্রেয়সী হতে চাইবে,
সেরকম কবিতা আর এলো কই!
ধূসর একটা আস্তরণে আবৃত হয়ে পড়ছি নিজের অগোচরেই।
না এলো মেঘ, না পেলাম বৃষ্টির দেখা!
সঙ্গী শুধু কয়েকটা ভাঙা ভাঙা শব্দ।
অনুভূতি গুলো ঝাপসা, আরো ঝাপসা হচ্ছে দিনদিন।
শব্দের তীব্রতা, ক্ষিপ্রতা আজ ম্রিয়মাণ..
সাদা কাগজ গুলো হলদেটে হয়ে ঝুলে মিশছে ক্ষণেক্ষণে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টির মাঝে এ আমার একা পথচলা..
পথগুলো জরাজীর্ণ, ক্লান্ত কলমের কালি;
আশ্রয় খুঁজেছে সে কোনো এক নিশীথে নিষিদ্ধ পল্লীতে।
আমাদের যে আর সত্যিই দেখা হয়না আজকাল!

আলো ছায়ার কথামালা :হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়





ঊনচল্লিশ



               তারকেশ্বর লাইন। মালিয়া স্টেশন। ট্রেন থেকে নেমেই মনটা ভরে গেল। চারপাশ সবুজ। খোলা মাঠ। যেদিকেই তাকাই চোখ জুড়িয়ে যায়। যখন নামলাম তখন ঘড়িতে চারটে বেজে পনের। বেশ খানিকটা সময় বসে রইলাম চুপচাপ। কখনও স্টেশনটা দেখছি। কখনও দেখছি স্টেশনের চারদিক। এইসব জায়গায় এলেই একমাত্র মনে হয় সব কথা যেন বলা হয়ে গেছে। মনে হয় বোকারাই যেন কথা বলে। প্রকৃতির মতো মিতভাষী আর কে আছে ! নিঃশব্দে যেন সে কাজ করে যাচ্ছে । কথা বলতে গেলে তো ফাঁকি হয়ে যায়। আর তাছাড়া কিসের এতো কথা বলা। আমি তো নতুন কিছু বলতে পারব না। যা বলব তা যেন প্রকৃতি আগেই ছড়িয়ে রেখে দিয়েছে।
               মাঠের আল ধরে হেঁটে গেলাম। মুরগি, হাঁস, গরুর পাশ কাটিয়ে গিয়ে উঠলাম একটা প্রাইমারি স্কুলে। খুবই আন্তরিক ওখানকার মানুষজন। কবিতা পাঠ হল। অনুষ্টানের শেষে মুড়ি আর ফুলুরি। কী দারুণ তৃপ্তি করে খেলাম। এই খাওয়াটাই যদি আমার শহরে হতো তাহলে মোটেই এই আনন্দ পেতাম না।
               অনুষ্টান শেষ করে যখন স্টেশনে এসে পোঁছলাম তখন চারপাশে অন্ধকার নামছে। দূরে একটা মাঠে কিছু ছেলে দলবেঁধে ফুটবল খেলছে। ওই দলের মধ্যে আমি যেন আমাকেও দেখতে পেলাম। একটু পরেই বাড়ি ফিরব। বাড়িতে ঢোকার আগে পুকুরে নেমে হাত পা ধোব। সদর দরজা দিয়ে ঢুকেই দেখব, বাবা দুয়ারে বসে পুঁথি লিখছে আর মা রান্নাচালায় বসে সন্ধের চা তৈরি করছে। সম্বিত ফিরলে দেখলাম চোখের কোলটা কখন যেন ভিজে গেছে।

জীবন মানে : প্রবীর রায়


জীবন মানে শূন্য হেথায়,জীবন মানে মৃত্যু
জীবন যখন জীবন মারে,ছোবল মারে পিত্তু
জীবন মানে কয়লা খনী,পুড়বে ধিরে ধিরে
জীবন মানে রক্ত দেখা,স্ফূর্তি পাঁজরা ঘিরে
জীবন আজ ঝলসা আগুন,মেরুদণ্ডে পচন
হাস্য রসের ঘোর পেয়ালা,মিথ্যে বাঁচার বচন
জীবন আজ মরতে শেখায়,স্বাধীনতার দিনেও
ঘৃণ্যতা আজ গর্জে ওঠে,প্রেমের নীতি বিনেও
জীবন আজ কাফন ঘরে,বেহুশ আছে কল্পে
বাঁচবে জীবন বাঁচার মতো,শূন্যতারই গল্পে।

তরঙ্গে :দেবলীনা


  

বহুদিন পর আজ আমি আকাশ দেখছি ! 
  ঘন নীলে জড়ানো মেঘলা মসলিন 
 চারদিকে থৈ থৈ মুক্তির ঘ্রাণ ,
 কিছু পুরোনো হিসেব মিলে যাওয়ার 
     ইঙ্গিতবাহী সুরতান । 

 সারা দুপুরের জল ভরা টুকরো মেঘের  জমায়েত দেখে,
      পশ্চিমের ছায়াসূর্য পাশ ফিরে শোয় - 

  সেই থেকেই , নীল ধারায়
 ব্যাকুল বাঁশির সুর বেজে যায় ,
    ইথার তরঙ্গে - 
আর ঠুং ঠাং জলতরঙ্গে আকাশ ভেসে যায় !