কবিতা আগে কোনদিন পড়িনি।
কবিতার সরোবরে নাইতে এলে নন্দিনী
পুরুষের চোখ কতোটা ডুবলে জানবে, লজ্জার স্বচ্ছতায়
নারীর সম্মতি। দৃষ্টির সায়। বুঝিনি।
তুমি বয়স ছুঁয়ে লিখেছো কবিতা ভালোবেসে নারীর স্বচ্ছতা
আঙুলের স্পর্শের দাগে অনেক মেয়েলি শব্দ হয়েছিলো ধর্ষিতা
মেয়েদের বুক ভারি হলেই যে সবাই নারী, জানি জানতে সে কথা।
লজ্জার লাবণ্যতা
অন্তর্বাসের পিঠের সুতো আগলা না করে।
তবু আধুনিক সভ্যতা
কাঁখের লাজুক নগ্নভাঁজ শরীরের যুবতী কারু কাজ
স্বচ্ছতার আকর্ষণে ভেতরের আকর্ষী চেখে দেখার প্রবণতা
দূর থেকে দু’চোখে মাখলে ধিক্কারে বলেছে এতো অসভ্যতা!
কিছুটা বাজলো ঠোঁটের শিসে
কিছুটা জিভ খোয়ালো বিষে
কতোটা লিপ্সা কোন দেখার দর্শন, বলবে যৌনতার ধর্ষণ?
ফুলের তোড়ায় জড়িয়ে সৌজন্যতার ভাণ
সুবিধাবাদিরা, নারী খুবলে চোষার আনচান
আছে, থাকবে যতোদিন নারী পুরুষ অসমান।
আদালত আইন পড়বে আইন মেনে
কথার ব্যকারণ পোশাকে আশাকে টেনে
কতোটা স্বচ্ছতার দায়, দৃষ্টির স্নান জেনেছে মানবকোষ অভিধান?