নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

"হারিয়ে যাওয়া নাটক পাড়া" : বটু কৃষ্ণ হালদার


আজ থেকে প্রায়
100 বছর আগে বিশ্ববাসীর বেশি সংখ্যক জনগণ কোন না কোন দেশের আওতায় পরাধীন ছিলেন।যতদিন যায় মানসিকতায়  আসে পরিবর্তন ।পরাধীনতার থেকে মুক্ত হতে চলতে থাকে মহাসংগ্রাম ,লড়াই ।অবশেষে দাসত্ব প্রথার অবলুপ্তি ঘটতে থাকে ।আধুনিক সভ্যতার বিকাশ ক্ষেত্র গড়ে ওঠে। এসময় 8 ঘণ্টা কাজ 8 ঘণ্টা বিনোদন 8 ঘন্টা বিশ্রামের জন্য শুরু হয় লড়াই। দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে প্রতিবাদী দের রক্তের বিনিময়ে আসে আটঘণ্টা কাজ ,আট ঘণ্টা বিনোদন, আধঘন্টা বিশ্রাম।এ কথা আজ আমরাসবাই ভুলে গেছি।8 ঘণ্টা বিনোদন এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হল নাটক নাটক কি বর্তমান সমাজে তা বোধ হয় বিশেষ করে বলার অপেক্ষা রাখে না তবে  এই সুসভ্যতায়নাটকের বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে বোধগম্য হয় না নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান এই অন্তনিহিত শব্দটির মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষকে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে বিশ্বের দরবারে।ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষজনদের ভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সেই অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব চরিত্র হলো নাটক। সাহিত্য রচনা একটি বিশেষ শ্রেণী হলো এই নাটক।প্রাচ্য ও নাট্যশাস্ত্র একই দৃশ্যকাব্য বলে অভিহিত রেছেন গ্রিক ভাষা থেকে আগত ড্রামা শব্দটির অর্থ হলো অ্যাকশন অথবা কিছু করে দেখানো ।বাংলা নাটক নাট্য নট-নটী প্রভৃতি শব্দ থেকে শব্দ উদ্ভূত হয়েছে নট ধাতু থেকে যার অর্থ নাড়াচাড়া করা নড়াচড়া করা অর্থাৎ নাটকের মধ্যে এক ধরনের গতিশীলতা রয়েছে যা একটি ত্রিমাত্রিক শিল্প কাঠামো গড়ে তোলে এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য যেবর্তমান সময়ে নাটক পরিবেশন এর জনপ্রিয় মাধ্যম টেলিভিশন হলেও মঞ্চস্থ নাটক এর প্রকৃত যথার্থ পরিবেশ স্থল প্রকৃতপক্ষে নাটকের মধ্যে একটি সমষ্টিগত শিল্প প্রয়াস সম্প্রদায়ভুক্ত থাকে ।এতে অভিনেতারা দর্শকদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উপনীত হয়ে গতিময় মানব জীবনের কোনো এক বা একাধিক বিশেষ ঘটনার প্রতিচ্ছবি অভিনয় মাধ্যমে উপস্থাপনা করেনসাধারণভাবে নাটক যে চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয় তা হল কাহিনী বা প্লট চরিত্র সংলাপ পরিপ্রেক্ষিত ।কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং সহায়ক বিভিন্নচরিত্রের সংলাপ কে আশ্রয় করে উপস্থাপিত হবার প্রয়াস পায় নাটকে।এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে নিত্য গীত আবহসংগীত শব্দ সংযোজন আলোরসজ্জা মঞ্চকৌশল প্রভৃতি।
দুরন্ত সময়, প্রতিযোগিতার পাল্লা ঊর্ধ্বমুখী, বিশ্ব আজ তালুবন্দি, সময় কি আজ মানুষ লাগাম দিতে পারেনি কর্মমুখী ব্যস্ত জীবনে মানুষ হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের জীবনের বৈচিত্র পিছনে ফিরে তাকানোর অবকাশ নেই আজ কারো। ফেলে আসা শৈশব আজ পিছন থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।বৈচিত্র্যময় জীবন কাহিনীতে মানুষ মিথ্যা নাটক করতে করতে ভুলে গেছে সত্যি নাটকের দিনগুলো। ভিন্ন সম্প্রদায়ে দেশ ভারত বর্ষ, বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিকউৎসব লেগে থাকে, বিশেষ করে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, গ্রাম বাংলার আত্মার আত্মীয়ও হল। এই উৎসবকে ঘিরে লেগে থাকত উদ্দাম উদ্দীপনা উত্তেজনা। দূর-দূরান্তের মানুষজন জড়ো হতে উৎসবকে কেন্দ্র করে আপন জন বন্ধু বান্ধব একে অপরের আত্মিকতায় ভরিয়ে তুলতে মেলা প্রাঙ্গণ। সেই মেলায় হত নাটক, যাত্রাপালা ,পুতুল নাচের গান আরো নানান সামাজিক অনুষ্ঠান। নাটকের মঞ্চ হল অভিনেতার প্রথম প্রতিফলন ।এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বহু নামীদামী শিল্পী যারা অভিনয় মঞ্চে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সাড়া বিশ্বে। একসময় কলকাতা ও নাটক নিয়ে থেমে থাকেনি এক সময়ে বহু নামিদামি শিল্পীদের আনাগোনা ছিল নাটক পাড়ায় বহু নামিদামি শিল্পীদের । জীবন অতিবাহিত করার প্রধান উৎস ছিল নাটক । বহু শিল্পী জীবনের মূল পন্থা হিসেবে।অনেক নামীদামী শিল্পী তার জীবন অতিবাহিত করেছে এই নাটকের মধ্য দিয়ে। নাটকের উন্মাদনা কে ঘিরে তৈরি হয় কলকাতার বুকে অনেক বড় বড় মঞ্চ। শিশির মঞ্চ ,তপন থিয়েটার হল,দাশুমতি ভবন ,নন্দন,উৎপল দত্ত মঞ্চ, আরো অনেক বড় বড় মঞ্চ। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আর সেই শিক্ষার প্রথম মঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেমনই অভিনয় জগতের প্রথম ধাপ হলো নাটক। গতিময় জীবনের বৈশিষ্ট্য আজ বড্ড ফ্যাকাশে গেছে। বই কে ঘিরে উন্মাদনা যেমন নেই বইপ্রেমী দের, আজ বই এর জন্যে বই মেলায় ভিড় লাগেনা। তেমনই বর্তমানে নাটক নিয়ে উন্মাদনা আর নেই নাটক পাড়ায়। আমরাই আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতি গুলোকে হারিয়ে ফেলেছি জীবনের অঙ্ক থেকে।মানব জীবন আটকে গেছে হাতের তালুর মধ্যে। বাস্তব জীবন ছেড়ে কৃত্তিম জিবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এর থেকে মুক্তির উপায় নিজেদের বের করতে হবে। এর জন্যে স্মার্ট ফোন। চারিদিকে তাকিয়ে দেখল মনে হবে আদিম মানুষ দের ভিড়। সবাই ঝুঁকে কি যেনো খুঁজছে স্মার্ট ফোনের ভিতর। তাহলে বুঝবো পৃথিবীর আদিম মানব জীবনে ফিরে যেতে হয় তো কি আর বেশি দূরে নয় ?

জন্ম লগ্ন : আমিনুল ইসলাম


উপত্যকায় উষ্ণতা বাড়লে পাপড়ি ঝড়ায় গোলাপ
কলাপাতার আন্দোলনে অনুভূত তোমার স্বত্তা
অনূদিত শব্দ সমন্বয়ে অথই চোখ উপছে পড়ে
পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনাই স্নায়ু জুড়ে উত্তাল।
ঢেউ আছড়ে পড়ে বুকে। বুকের গন্ধ শুকে ঘুমিয়ে পড়ে শিশু। জন্মদাগ আঁকা মায়ের জঠর,
আমার নখে মুখে লেগে আছে পাপের দুর্গন্ধ।
পুরুষ পশুত্ব ভুলিনি আজো, প্রত্যাশার প্রাচীর জুড়ে
গেঁথে থাকা আলপিন বেদনা জড়িয়ে রাখে।
ভয় ও শঙ্কা নিয়ে পেরিয়ে যায় কত শত মেয়েলি ১৮বছর।
আমি ৪৬শের কাঁচা পাকা চুলে মেলে ধরেছি বার বার
বারংবার শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতির জন্ম লগ্ন।

চলেছি কোন পথে :- রাণা চ্যাটার্জী



যত বেশি স্বাধীনতা তত দেখছি এর অপব্যবহার।চায়ের দোকানে এঁটো বাসন মাজা ছেলেটার বাড়িতে ভাত ফুটানোর জোগাড় আছে কিনা ঠিক নেই,হকার দাদাটার কাল কি করে চলবে চিন্তায় নেই কপালে ভাঁজ কিন্তু পকেটে এন্ড্রয়েড মোবাইল আর ডেলি ফ্রি ডাটা মজুত। হোক আটা দামি বয়েই গেল,নেট দুনিয়ায় রগরগে ভিডিওর প্রতুলতা বুঁদ করে রেখেছে শিক্ষিত অশিক্ষিত ছোট বড় সকলকে। প্রকাশ্যে ঘুরছে যৌন উস্কানি ভিডিও রমরমা।অশ্লীলতার মোড়কে পণ্য জাত হচ্ছে নারী শরীর।এ যেন মগের মুলুক স্বাধীনতা,যখন যাকে খুশি যা খুশি ভাবে করায়ত্ত করার প্রচেষ্টা আর বাধা পেলেই নোংরা তকমায় বিদ্ধ।

কি দেখতে হয় আর কি দেখার বয়স হয় নি এই লক্ষণ গন্ডি ধুয়ে মুছে সাফ। পরশু খবরে পড়লাম মফস্বল ছোট শহরে এক মধ্য বয়স্ক ঠান্ডা মাথায় প্রতিদিন বিভিন্ন বাড়ি ঢুকে মহিলাদের খুন করতেন আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন। শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ভয়ঙ্কর অপরাধ প্রবণতা।স্কুল বাচ্চা প্রায়শই ধর্ষণের শিকার,সদ্যজাত ঝলসে উঠছে লালসার আগুনে,বৃদ্ধা হোক মধ্যবয়সী সে হোক নান কিংবা ভিখারি সবাই টার্গেট এই নর পিশাচ আবহাওয়ায়।তবে কি  কোথাও  নিরাপদ নয় আমরা,আমাদের মহিলা,শিশু কন্যা মহল?

কিসের আমাদের বড়াই তবে?রুচি সংস্কৃতির দোহাই। দেওয়াল জুড়ে মনীষী দের বাণী নিভৃতে কাঁদে।সদা জাগ্রত প্রশাসন কি করবে মনের মধ্যে যদি অপরাধ প্রবণতার বিষাক্ত লেলিহান আষ্টেপৃষ্টে বাঁধে আমাদের। সম্প্রতি ফুলের মতো একরত্তি শিশু তিন বছরের টুইঙ্কেলকে যেভাবে নৃশংসতার সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় খুন করে  ফেলে দিয়ে যাওয়া হলো শিহরণ বয়ে গেল ঠান্ডা রক্ত স্রোতের।দেখ কেমন লাগে আর কত ভয়ঙ্কর হতে পারি আমরা এই বার্তা  প্রকাশ্যে খুল্লম খুল্লা ছোবল মারছে। "দেশ বাঁচাও বেটি বাঁচাও স্লোগানের ছত্রছায়ায় মা বাবার স্নেহ ভালোবাসায় হাসি খুশিতে বড়ো  হওয়া শিশু কন্যা যার বাড়ির  উঠোন জুড়ে  এখনো পাবে হরেক খেলনা বাটি,পুতুল ঘর কন্না। কানে বাজছে বাঁশি লাগানো জুতোর পিক পিক শব্দ।কিন্তু কোথাও নেই,হঠাৎ খুঁজে পাওয়া গেল তাকে এক ডাস্টবিনে না চিনতে পারা ছিন্ন ভিন্ন  টুকরো হয়ে নৃশংশতার  স্মৃতি চিন্হ মেখে এক তাল রক্তাক্ত মাংস পিন্ড হয়ে।

মানুষ কখনো এভাবে ঐ টুকু বাচ্চা কে শ্রীখন্ডি করে মা বাবাকে শিক্ষা দিতে এতটা বীভৎসতার নজীর সৃষ্টি করতে কি  পারে ভাবতে অবাক লাগছে।কিন্তু কি অপরাধ মা বাবার? 
প্রায় দশহাজার টাকা ধার নিয়ে অভাবের সংসারে শোধ করে উঠতে পারছিল না  তারা। চেষ্টা চলছিলো যত জলদি  টাকা দিয়ে দিতে পারে হুমকি ভয় ,নোংরামি থেকে মুক্তি।কিন্তু কি পেলাম আমরা? অসহায় মা বাবাকে শিক্ষা দিতে তাদের তিন বছরের ফুলের শিশু টুইঙ্কেল কে তুলে নিয়ে গিয়ে চোখ,চুল উপড়ে, গায়ের চামড়া চেঁছে,শরীরের সব অঙ্গ বিকৃতি বা গায়েব করে ফেলে দিয়ে গেছে বাড়ির কাছে।শ্বাস নালি,কিডনি,যৌন অঙ্গ সব কিছু তছনছ যে আসলে সমাজের গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসানো পেল্লাই চড়।

ভাবতে অবাক লাগে কোন মায়ের কোলে জন্মেছিল এই কুলাঙ্গার গণ, তাদের কি বাড়ি,পরিবার সন্তান বলে কিছুই নেই। কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ কে ফোঁপড়া করে বহাল তবিয়তে দিন গুজরান কিছু মহান চোরের, আর সামান্য কিছু টাকা ধার নিয়ে এ এমন পাশবিক ঘটনার সাক্ষী হওয়া তাও নিজের সন্তানকে এভাবে দেখা কি যায় ,না সম্ভব কখনো?আবার আমরা মোমবাতি জ্বালাবো,শোক প্রস্তাব পাঠ করে মৌন মিছিলে হাঁটবো কিন্তু পারবো না সমাজটাকে নিরাপদ আশ্রয়ে মুড়ে রাখতে,এই সুন্দর সমাজকে ফুলের মতো শিশুদের বাসযোগ্য করে তুলতে । তাই আর কিছু চাইনা,স্তব্ধ হোক লোকদেখানি এই  প্রতিবাদ ,সহানুভূতি।

-হাজার ভগ্নাংশে! -শিবিনী বাগচী



শ‍্যাওলার আস্তরনে চাপা পড়ে গেছে,
গলা পচা সমাজের সস্তা নৈতিক বোধগুলো!

রোষের দাবানলের ঝাঁঝালো গন্ধে
মিশেছে মৃত‍্যুর হাহাকার!

মায়ের বুক থেকে উপড়ে নেওয়া
হৃদয়টাকে খন্ড দিয়েছে বার বার!

ছিনিয়ে নেওয়া মৃত‍্যুর অমোঘ
ছটফটানীর কাতরে ওঠা চিৎকারে -
মায়ের প্রসব কালীন যন্ত্রণা আছড়ে পড়ে!

যেন দূরন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে
জলন্ত অঙ্গারে কয়লা ঠেলা আর্তনাদ;
আকাশ বাতাস করেছে তোলপাড়!

হিংস্রতার নগ্ন মূল‍্যবোধ নিকশ কালো অন্ধকারে,
নেশা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে
ভালো লাগা কোনাগুলোর পরতে পরতে!

খুঁড়তে খুঁড়তে একদিন হয়তো আমরাও খুঁড়ে ফেলবো
নরপিশাচদের অস্তিতকে খন্ড দিয়ে হাজার ভগ্নাংশে !!

শেষে কী পেয়েছো,,,,, সুরভী ইসলাম





না জানি কবে থেকে আমি,
একটি আস্ত মেঘের মুখ দেখিনি
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ,আমার বুকের
উপর কত দিন নামেনি।

সেই কবে যেন শিকড়গুলো
উপড়ে ফেলে ছিলো যে,
নতুন করে গাছ লাগাতে
আর ফেরেনি তো সে।

গরম লুএর ছোঁয়ায় আমার বুক ক্রমশ ফাটছে!
হাহাকার করছে যারা ঐ খালি পায়ে হাঁটছে ।
কেউ কি আটকাইনি তাদের,
নাকি ওরা কারও কথা শোনেনি?
বন জঙ্গল কাটছে বেদম,
এখনো কি কিছুই বোঝেনি?

নাজানি কবে থেকে,
আমি একটি পাখির মুখ দেখিনি।
সে যে দল বেঁধে সব রওনা দিয়েছিলো,
সেকি! এখনো তো তারা ফেরেনি ?
সকাল বিকেল দিঘির ধারে বসতো তারা এসে।
ওদের কথা শোনা যায়না আর,
গেছে দিঘির জলে ভেসে।

দিনের  পর দিন পৃথিবীটা আমার ,শুধু ব্যথায়  কাতরাচ্ছে ।
আমার বুকের  ভেতর গর্ত করে ,তারা এখোনো হাতড়াছে।

তেল ,কয়লা,সোনা,রুপা ,খুঁড়ছে সবাই , ভাবছেনা কেউ!!!
গলছে হিমবাহ ,ফুলছে সাগর,উঠছে সুনামি ঢেউ । । ।

কোন্ ভবিষ্যতের  কথা ভেবে সব এড়িয়ে তুমি  চলেছো?
একবার ঘুরে তাকিয়ে  দেখো পেছোনে কী তুমি ফেলেছো। ।

সেই সবুজের দেশ,শিতল হাওয়া,মিষ্টি  পাখির ডাক,
শেষ কবে শুনেছো,কবে বৃষ্টিতে ভিজেছো,বলো শেষে কী পেয়েছো? 

ঈশ্বর সব জানেন,,,, অযান্ত্রিক



ওই যে চৌখুপ্পি ঘর, বিস্কুটের মতো বারান্দা,ঠিক ওই খানেই,
ইস্কুল খুলেছেন আমার ঈশ্বর,
মানুষ ওখানে বাঁচার তরীকা শিখতে আসে,
লক্ষ্যে পৌঁছানো শিখতে আসেন।

সবার কাঁধের উপর রাখেন হাত,
বলেন সোজা করো পাঁজর ধনুক।
বলো কি দেখতে পাও, ঘর বাড়ি,
হাসপাতাল অফিস কাছারি।

শিষ্য বলে ওঠে সব ,সব দেখছি হে প্রভু,
ঈশ্বর বিস্মিত হন,তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানো হলোনা।
একজন আসেন ,বলেন আমি শুধু লক্ষ্য দেখছি,
পাখির নীল চোখ,খরগোশের লেজ,
তাহলে চালাও, ইচ্ছের তীর,
কেটে যাক বন্ধুর মাথা ,মায়ের কান্না ,
তুমি থামবেনা,ছুঁড়ে যাবে তীর।
তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছুতেই হবে,

হায়, ইশ্বর লক্ষ্য বোঝেন ,দুঃখ বোঝেন না।