নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বিকেলের আসা বাকি... অভিজিৎ দাসকর্মকার।



যতটা পূর্বনির্ধারিত দূরত্ব এগিয়ে গেলে
সুর্যের কক্ষে গোধূলির শব্দতরঙ্গ বিচ্ছুরিত হয়
সেই খানে ছেলেটি উলম্ব  দাঁড়িয়ে
               সূক্ষ্মকোণে জ্যা-মিতি করে
           
চাঁদ যেন আলতামিরা গুহার হলুদ জ্যোৎস্নায় ভাষাস্নান করে
স্তবক থেকে স্তবক
    পরস্পর কৃষ্ণচূড়া দেওয়া নেয়া করে---

সুপ্তি ম্যাডামের অনার্স উচ্চারণে প্রবীন বৃষরাশির অবায়বীয় হাসি মুখ-

নীল তন্তু নিজেকে ফাটিয়ে ছায়া বরাবর উড়ছে

নির্দেশনামায় দেখো,
শুখের অনিবার্য কার্নিশে
তখনও আবশ্যিক বিকেলের আসা বাকি।

উচ্চতা / জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়




পাহাড় উঠেছে খাড়া কোন পরিচয়ে
কালোসাদা দুধজল মাখামাখি।
প্রকল্প ছিল কি ? পরিকল্পনাময় প্রবীন প্রান্তর
পাথরের দ্বীপ তরলজমানো সুখ
বিক্ষোভবিভোর
জিনগত ব্যাপার ছিল না দ্বিপদের
মগজও ছিল না কূট তবে?
সঙ্ক্ষুব্ধ বাষ্পীয় উষ্ণতার বুড়োকাল
ত্রিভঙ্গমুরারি হয়ে আক্ষেপে ফোঁসে।

এই সবুজের ভিড়ে সোনালি ধানের শিষ নেই
আকাশমঞ্জরিরেণু পোড়াবাড়ির ছাই হয়ে ওড়ে
মরা ব্যাঙের মতো পড়ে আছে অন্ধকার
এ উচ্চতায় খুজে নাও
জোনাকির সিগন্যাল নীল ও হলুদ।

তীর্থ যাত্রার পূর্ব কল্প.. আমিনুল ইসলাম




পোয়াতি রাত প্রসব করে আলো
আলো ছায়ায় অন্তরালে প্রেমপর্ব
বটগাছ বিছিয়ে দেয় ছায়া, পাখিরা আশ্রয় খুঁজে নিলে
তুমিও মেখে নাও সবুজ শীতলতা।
মায়াজাল বুনে চলে প্রতিটি অন্ধকার গর্ভপাত,
কোথায় যাচ্ছ সরে সরে সুমেরু সাগর?
অগুণতি প্রেমিকের দল ছেঁকে নিতে দুধের ফেনা
ঠেলাঠেলি বিভেদের মৌতাত।
আমার মৌনতা জুড়ে শুয়ে থাকে
রেড এলার্ট কানা গলি, অলিগলি অন্ধগলি পাকস্থলী
জুড়ে গা বমি বমি। উলঙ্গ শয্যায় বসে থাকা রাত
পিতৃত্ব জাগায় । আমার কামের অ আ ক খ
থেকে ছিটিয়ে দিই মাতৃত্বের মৌলিকতা।
গৌণ বিষয়গূলিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে ভাঙতে হয়
ভাঙতে ভাঙতে গড়তে ভাঙতে পৌঁছে যায় গন্তব্যের গহীন প্রেক্ষাপট। তুমি কুড়িয়ে রাখ খুনসুটি অভিমান।
আমি অভিযানে অভিযানে ভরিয়ে দিলাম
বোতাম খোলার অমনিবাস।

মুক্ত ভালোবাসা.. অয়ন চ্যাটার্জি



মুক্ত অঙ্গে,মুক্ত বিহঙ্গে হয়
   আজও অকারন চোখাচুখি;
জ্বলন্ত হৃদয় মাঝে প্রিয় নাম
  "ভালোবাসা"কে লিখে রাখি।।
       

আত্মবিলাপ.. পিয়াষা মহলদার


সুখটা তো তার কাঙ্খিত
          ভালো থাকার তরে
তবু সে আজ বঞ্চিত
         স্বপ্ন ভাঙার ঝড়ে ।
খেলছে তবু জীবন খেলা
         ভাঙা গড়ার তালে
সুপ্ত আছে গল্প মেলা
          হৃদয় সেঁচা জলে।
কেউ রাখেনি খোঁজ
কেমন করে হারিয়ে গেছে
যত্নে গড়া স্বপ্নগুলো রোজ।


ভীষণ কঠিন ক্লান্ত দুটো চোখ
     হারিয়ে গেছে জলছবিরই রঙ
 আজ তো তার বজ্র কঠিন বুক
   কল্পনাতেও আজ পড়েছে জং।
জীবন মানে এক অঙ্কের নাটক
     অভিনয়টা নিখুঁত করা চায়
সত্যিগুলো রঙের নীচে আটক
      ভরঙ পাবে সবার কাছে সায়।
তাইতো তার একলা চলার পথে
                 তার শূন্য ক্যানভাসে
                    কেউ থাকেনি সাথে

ঈশ্বর আর বুভুক্ষ মানুষ.... বিকাশ দাস (বিল্টু )


বেদেনীর  মেয়ের চালধোয়া  হাতে নতুন সকালের এক ফালি রোদ
দু টাকা কেজি দরের চালের ফেন ভাতে একটা নতুন সূর্যোদয়
লাল লাল মোটা ভাতে হার না মানা বেঁচে থাকার লড়াই
চা পাতার আনাচে কানাচে ওল আলুতে, রক্তের  শিরায় শিরায় বাঁচার রসদ

ফেন   গড়াগড়ি খায় ডাস্টবিনের ডাম্পার থেকে,  ঝাঁকড়া চুলের শিশুটি বোতল কুড়িয়ে ঘুমিয়ে পরে  13 নাম্বার প্লাটফর্মে,  একটু ফেন'ই হতো যদি রাতে.....
হারিয়ে যাই দাবী আর ন্যায্যর কাছে

থমকে যাওয়া কিছু কথার উত্তর বড্ড দোটানা
"ঈশ্বর "মার খায় "ঈশ্বরের"  হাতে গড়া "অসুর সন্তানের" কাছে
শানিত কাঁচির ছোঁয়ায়, "ঈশ্বরের" হাতের পরশে  দগদগে  ক্ষত মোলায়েম হয়

তবুও "ঈশ্বরের হাত "বেঁধে ঈশ্বর কে ভুলি
ঈশ্বর মুখ ফিরিয়ে প্রলয়ের অপেক্ষায়....

বুভুক্ষ মানুষেরা আকাশের দিকে, ঈশ্বর যদি কথা শোনে
বেদেনীর হাতে সাদা কাফন,  কুকুরের  খাওয়া ফেনে সভ্যতার ইতিহাস কথা বলে

রোজনামচা সভ্যতা  চোখাচোখি করে