নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আবার না হয় বৃষ্টি নামুক :- মুহাম্মদ ইয়াসীন



আবার না হয় বৃষ্টি নামুক অঝোর ধারায়।
পাখ-পাখালী গাছ-গাছালী ঝড়ের বেগে উড়ে হারাক।
পথের ধূলোয় বৃষ্টি নামুক ধুয়ে দিতে
টিনের চালে দালানের গায়ে ময়লা মুছুক।
মনের দেয়াল উড়ো হাওয়ায় দোল খেয়ে যাক
জমে থাকা কালো দাগে
বৃষ্টি এসে রং মেখে যাক।

আবার না হয় বৃষ্টি আসুক রৌদ্র ছায়ায়।
বন-বাদাড়ে শিয়াল হাকুক গলা ছেড়ে।
হাওয়ার ভারে ধান শালিকের ডানা উড়ুক
ধানের গায়ে ঘাস ফড়িংয়ের চলা থামুক।
রাখাল বালক গরুর পালে বাড়ি ফিরুক
চাষী মাঠে কাচি ফেলে একলা হাঁটুক।

আবার না হয় হালকা করে বৃষ্টি নামুক।
বাতাস বয়ে সাদা মেঘে কালো কাটুক।
মেঘের গায়ে নাম লেখা হোক কারো কারো
বৃষ্টির ফোঁটায় গান লেখা হোক নব প্রেমের।
যুগল প্রেমিক বৃষ্টি মাখুক সারা গায়ে
তেপান্তরের মাঠ তাল পুকুরের ঘাট
রহিম মিয়ার ছালা ঘরে বৃষ্টি ঝরুক
বাদ না থাকুক একটি ফোঁটার খালি জায়গা।

আবার না হয় বৃষ্টি আসুক হৃদয় ছুঁয়ে
ঢলে ফোঁটায় গা ফেটে যাক ছিদ্র হয়ে।
ঝমঝমিয়ে শনশনিয়ে বৃষ্টি পড়ে গা ধুয়ে যাক।
মনের মাঝে জমে থাকা পাথরাবরণ
ছয়টি রিপুর সকল ধাপে ভাটা পড়ে হোক নিবারণ।
জগৎ জুড়ে বারতা নামুক শান্তিময়
বৃষ্টি এসে নেক ধুয়ে সব ভ্রান্তিময়।

জল: অভিজিৎ দাসকর্মকার



একটু জল আর
না-ধোয়া রসায়ন ভাঙে
অক্সিজেন পরমাণু।

সারাদিন রাসায়নিক ভাবে সংগঠিত হয় জলের পরমাণুটি---
হাসির আলোকদশায়, হাইড্রোজেনের দ্রাব্যতা স্পষ্ট।

ঠাট্টার নজরে মলিন চোখের কোণায়, আজও কৃষ্ণচূড়ার ফুলফোটে-

আসলে অনুঘটিত ছিলাম-
গাল বেয়ে সরেসপেশীর অনর্গল যাতায়াত,

কেনোনা ---
জল ফেলেছিলাম অনেক
কিন্তু হাত ধোয়া হয়নি এখনো...

সভ্যতা: রবি মল্লিক





ভোর রাতের গাঢ় অন্ধকারের বুকে
বিক্ষিপ্ত তারাদের দীপ্ত প্রকাশ...

দিগন্তের সাঁকো বেয়ে হেঁটে আসা আভা
অন্ত ঘটায় স্বপ্নের-

ঘুমন্ত দানব জেগে ওঠে-
সড়কে, বাজারে , কারখানায়,
কামারশালায় চলে সভ্যতার সৃজন,
গাছের মৃতদেহের শ্রাদ্ধ হয় কংক্রিটে-
তুমি জাপটে ধরো মুঠোফোন,
কৃষ্ণচূড়া মাটিতে লুটায়-

: Breaking news : মল্লিকা দাস



প্রতিদিনের মতোই আজও ভোরে আমি ঘুমচোখে আড়মোড়া ভেঙে তোমাকে খুঁজেছি পাশে....
মনে আছে কেমন করে ভোরের আদর ছুঁইয়ে দিতে কপালে চুমু এঁকে,,, তারপর বেড টি তে চুমুক দিয়ে ভাঙতো তোমার ঘুমের আমেজ,,
কাল রাত থেকেই বৃষ্টির আর্দ্রতা ও ঠান্ডা ঠান্ডা জোড়ালো হাওয়া নতুন করে প্রেম সৃষ্টি করছিল,,, এমন ওয়েদার এ কড়া করে চা তোমার ভীষণ পছন্দের,
আজ ভোরে আমায় ডাকোনি তুমি, তোমার ভালোলাগার মতন করে আদর দিয়ে বানানো টাটকা উষ্ণ চা টাও এখন বাসি, কাল রাত ১ টার breaking news টা এখনও টিভিতে দেখাচ্ছে ..... তুমি আর ফিরবে না সোহাগ মাখাতে আমার ভোরের বিছানায়, আবদার গুলোও ক্রমশ ফিকে হয়ে গেছে.....
নিউজ পেপার পড়তে আজ আমায় সঙ্গ দেবে কে?????
ওহ্, ভুল বললাম কাল রাতের তোমার অ্যাকসিডেন্ট এর খবরটা আজ নিউজ পেপারের শিরোনামে আমার বোবা মনের সঙ্গী হয়েছে.......

বিকেলের রামধনু :রিনা চৌধুরী



 সেই শেষ বারের মতো বর্ষা নেমেছিল,
সেই শেষ বার তুমি বর্ষণ দেখেছিলে,তারপর থেকে তোমার আর বর্ষা দেখা হয়নি।সেই যে শেষবার মেঘের গর্জন শুনেছিলে;থামিয়ে দিতে চেয়েছ বারেবার। কিন্তু মেঘ......? মেঘ ততক্ষণ গর্জে ছিল যতক্ষণ সে বারিধারা হয়ে ঝড়তে পারেনি।তারপর.....তারপর শুনলাম নাকি বর্ষণও থামাতে চেয়েছিলে। তবে আজ আথ শোনো না কেন মেঘেদের গর্জন?কেন দেখতে পাওনা আজ ইর মন খারাপের মেঘলা আকাশ?কেন মেঘ আর তোমার থামিয়ে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা কে উপেক্ষা করে বৃষ্টি ঝড়িয়ে দেয় না?
   তবে কি তুমি ঠিকানা বদলেছো?বদলে গেছে তোমার আকাশ?বদল হয়েছে কি তোমার আবহাওয়ার পূর্বাভাস?
           যেখানে আমি বারবার চেষ্টা করি মেঘের মন খারাপ টুকু পড়ে নিয়ে,এক লহমায় বৃষ্টি ঝড়িয়ে দিয়ে, মন খারাপ টুকু কে  ~গোধূলি আকাশে  বৃষ্টিভেজা বিকেলের মতোই রামধনু তে মিশিয়ে দেওয়ার।।

বিশ্ব প্রকৃতি মা : নাহার নাসরিন




স্নেহের আসনে আমি তোদের রেখেছি বসিয়ে
ফ্যালনা ভেবে তোরা আমায় দিলি সরিয়ে।
যেই কোলেতে আমি তোদের রেখেছিলাম আগলে
আজ তোরা সেটাই দিলি আবর্জনায় ভরিয়ে।
সুস্থ পরিবেশ,  সুস্থ হাওয়া
 তোদের আমার কাছে পাওনা।
একবারও কি ভেবে দেখেছিস
আমায় তোরা কি দিয়েছিস?
দিন দিন আমি যাচ্ছি ভরে
আবর্জনা আর আস্তাকুঁড়ে।
উনুনের ধোঁয়ায়,  গাড়ির ধোঁয়ায়
দিন দিন আমি যাচ্ছি সর্বনাশায়।
তারপরে তো কলকারখানার ধোঁয়ার
সবার উপরে স্থান যে তার।
শব্দ দূষণের পর্যায় তো হায়
উচ্চ থেকে উচ্চতরে যায়।
ক্ষতি তোদের হচ্ছে জেনেও
মেতে আছিস ধ্বংসের খেলাই।
তারপরও চুপ কি করে থাকি
বিশ্বমাতা যে তোরাই বলিস
আমি যে তোদের মা
বিশ্ব বাংলা,  বিশ্ব প্রকৃতি মা।।