নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রহর : অজাত শত্রু





হাঁ করে আছি,আস্ত একটা চাঁদ "ঝলসানো রুটি"।

নিয়ন খুড়ে রাখি করব, আমার মৃত্যু শোকে
গীতা পড়ছে মহম্মদ, কৃষ্ণ নিয়েছে কাফন।

জলের দাগে কেটে যাক বাড়ির স্তর, ট্রাম,ইস্কাবন।

     বারুদ আর বুদ্ধিজীবী ,নিয়মমাফিক রুটিন।।

পৃথিবীর বুকে পেরক পুতে রেখে দিও ,প্রিয়,
দু এক ফোটা বৃষ্টি দাগ,হাতঘড়ি গুনেছ ট্রাফিকে।

পেরছি আস্ত একটা চাঁদ,সাপ।মুহূর্তরা হয়ে যায় ফিকে।।

পরজন্মের জন্য পান্তাভাত বেড়ে রাখি...
 
              মাছি কিংবা পাখী..



-:আদর বিকেল :- মল্লিকা দাস




অনুভূতিটা বরাবরই সুপ্ত রেখেছি তোমাতে
গহীন মনের খবর তবুও জেনে নিয়েছো বেশ ;
ভেজা বৃষ্টি বিকেলে ঠোঁটের স্পর্শ ঠোঁটে লেগে,
উষ্ণতা সেঁকেছিল সেদিন ভালোবাসার আবেশ...

সেদিন দুটো শরীর ভিজেছিল ভীষণ
ঘড়ির কাঁটার তখন নিরুদ্দেশী আস্তানা ;
সুখ হাতড়ানো ভেজা শার্টের গন্ধে,
বৈশাখী ঝড় চিঠি পাঠিয়েছিল আনমনা...

বারবার তোমার আঙ্গুল ছুঁয়ে আমার চিবুক-
লাজুক রঙের সোহাগ মেখে হলো ভীষণ দামী ;
দু'জোড়া চোখ খুঁজে নিয়েছিল ব্যস্ততা,
সিঁদুর রাঙা মেঘের মাঝে তখন সূর্য অস্তগামী...

এবার তবে ফিরতে হবে ব্যক্তিগত যাত্রাপথে,
বৃষ্টি-প্রেম বেঁচে নেওয়া, সুখের এই মুহূর্ততেই ;
মনের রিংটোন এ ভেসে আসে হঠাৎ -
" Abhi na jao chor kar, ke Dil abhi bhara nehi..."       
         
               


একটু উষ্ণতার জন্য :রাজিত বন্দ্যোপাধ্যায়





একটু উষ্ণতার জন্যে বারবার 
অপদস্ত হয়েছি -- 
নিজের বন্ধু সজন ' আহারে '   
নামের করুণা বর্ষেছে ! 
একটু উষ্ণতার জন্যে -- 
ক্ষুন্নিবৃত্তি চাপা দিতে দিতে 
পৌঁছে গিয়েছি   
সিনিয়র সিটিজেনের কোঠায় !   
একটু উষ্ণতার জন্যে --   
আজও কেটে যায় প্রতিক্ষণ 
একাকী শৈত্য বাহিত বিছানায় !     
একটু উষ্ণতার জন্যে --
পেট কেটে কেটে খাটতে না পারা   
দিনের জন্য সঞ্চয়ের ঝোলায় -- 
গত পাঁচ বছরে   
পড়েছে দুই শতাংশের মার !   
আজ তাই শেষের পথে --   
আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত প্রতিটি মূহুর্ত্ব   
জীবনের রণে শৈত্যতার ঝড় ! 
আজো তাই -- 
একটু উষ্ণতার জন্যে জীবন   
ব্যাকুল মেহনত দিবার লোভে ।   
অথচ সামনে স্থবির হবার ডাক !   
এ জীবন রাজ কার্যের দান -- 
তাই আর প্রয়োজন নেই   
বলার তোমাকে সাবধান ।   
নীতির বস্তা ফেলে --   
এইবার একটু উষ্ণতার জন্যে   
হোক তোমার পুনর্জন্ম খান !!   


সখী ভালোবাসা কারে কয় : রিয়া ঘোষ





কেউ কি বলতে পারো,বুকের রক্ত  কতোটা শুকোলে  বৃষ্টি নামে দুচোখে?
কতোটা অভিমান জমলে হাড় হিম হয় রাতে...!

কেউ কি বুঝতে পারো,কতো কথা জমা হলে
ওষ্ঠ অসাড়তা খোঁজে  ?
কতো হাজার মরণ পেরিয়ে প্রেম কবিতা হয়ে ফোটে...! 

কেউ কি মাপতে জানো কতো টুকু ভালোবাসলে তবে হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে?
কতোটুকু বিষ মিশলে পরে রক্ত ছলাৎ করে  বুকে  ..!

কতোটুকু ?
ঠিক কতোটুকু ?
জানো কেউ ? 
জানলে  শুধিও আমায়,
শুধিও একটিবার ...!

আমরা কৃষক: অঞ্জন দাস মহাপাত্র


 


  বাবুগো তোমারা থাকো ঠান্ডা ঘরে
  হিমেল হাওয়ার সুখে
  উফঃ কি গরম পড়েছে বলে,দেখাও
  বিরক্তির ভাব মুখে
   মাঠে আমরা থাকি সূর্য তাপে
    মুখ জ্বলে যায় শরীর কাঁপে
   ঘামের স্রোতে স্নান করি রোজ
    দিব্বি বাঁচি ধুঁকে ধুঁকে ।।
   তবু কষ্ট মোদের হয়না বাবু
   যাকনা শরীর জ্বলে
   দুঃখ যত সুখ হয়ে যায়
   সোনার ফসল ফলে
   আমাদের এই ক্লান্ত হাতে,
   ভাত তুলে দেই সবার পাতে;
   খুশির অশ্রু হৃদয় ভেজায়
  শক্তি জোগায় মনবলে
  তপ্ত দুপুরে দগ্ধ শরীর
   তাও আশাকে বাঁচাই বুকে।
   বাবুগো তোমরা থাকো ঠান্ডা ঘরে
   হিমেল হাওয়ার সুখে ।।

নির্বিষ খোলশ :কার্তিক ঢক্




রং চিনি না বলে, হলুদ বসন্তকে
মৌরীফুল ভাবতে পারিনি! 
কোজাগরী আকাশের নর্তকী-ডানায় কালপুরুষ  দেখি...

তোমার প্রোফাইল-পিক এ ট্রিম করা    ভ্রূ-কুঞ্চন দেখি--
লিপস্টিক হাসির হোম থিয়েটার বাজে।

জোয়ারের ডেড-বডি পড়ে থাকে
ভাটার পলিতে।
রাজপথ থেকে ভেঙে যায়
কতো যে অন্ধকার গলি।

রং না চেনাই,   পড়ে থাকে 
নির্বিষ সাপের রংহীন খোলশ।