নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কল্পনার শেষ নেই : মান্নুজা খাতুন (মালা)





ধরে নাও!  একই পথের সারথি হবো দুজনে,

এক পা দু পা ফেলে এগিয়ে যাব গঙ্গার পাড় বেয়ে

মুগ্ধ দু নয়নে দেখব সন্ধ্যার প্রথম সাজ; তারপর!

ধীরে ধীরে পালটে যাবে শহরটা, গাঢ় হয়ে আসবে অন্ধকার।

গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যাব বড় রাস্তার পাড় বেয়ে

বড় জোর স্টেশন অবধি যাব,  ল্যাম্পপোস্টের নীচে বসে

ধূমায়িত চায়ে চুমুক দেব;

তারপর!

স্টেশনে এসে ভীড়বে সন্ধ্যার প্রথম ট্রেন

দুরের বেঞ্চে বসে প্ল্যাটফর্মের অপর প্রান্ত থেকে

যাত্রীদের ঘরে ফেরা দেখব; স্টেশন শুন্য হয়ে এলে

আকাশের পানে চেয়ে নক্ষত্র ও তারাদের

লুকোচুরি খেলা দেখব!

তারপর! নির্লিপ্ত পায়ে এগিয়ে যাব বাসস্ট্যান্ডের  দিকে

চার পয়সায় টিকিট কেটে ফিরব গৃহের পথে;

গন্তব্যস্থলে পৌচ্ছে জানাব দিনের শেষ সম্ভাষন।

এ সব কি মন্দ দেখাবে অনুপম?       

    

আলো-ছায়ার কথামালা :হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়






।। নয় ।।

মানুষের পয়সা হলে কতরকম ভাবে মানুষ তার ব্যবহার করে।শিল্পী সুনীল দাসের কথা মনে পড়ে যায়। একদিন তাঁর চেতলার স্টুডিওতে বসে গল্প করছি। হঠাৎ সুনীলদা বলে উঠলেন, "জানো, আমার কিন্তু এখন অনেক পয়সা হয়েছে।" হঠাৎ এরকম একটা কথার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তাই কথাটা শুনেই আমি হেসে উঠলাম। উনি বলে চললেন ----- চারপাশ থেকে যদি আমার কানে আসে কেউ পড়াশোনা করতে পারছে না, সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে ডেকে পাঠাই। তারপর তার অসুবিধার কথা শুনে আমি তার পাশে গিয়ে দাঁড়াই। টিভিতে যদি শুনতে পাই একটা ছাত্র তার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা করতে পারছে না। আমি টিভি অফিসে ফোন করে তার পরিচয়টা জেনে নিই।" সুনীলদা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর কথাগুলো আজও মনের মধ্যে জ্বল জ্বল করছে। সমাজের নিঃস্ব মানুষগুলোর জন্যে সুনীলদার মতো মানুষের যেন আরও পয়সা হয়।



।। দশ ।।

সেই কোন ছোটবেলা থেকে আমার মনে একটা প্রশ্ন খুব উঁকি দিত। একজন শিল্পী একটা ছবি কতদিন ধরে আঁকেন? এর উত্তর আমি নিজেও জানি। তাহলে প্রশ্ন করছি কেন? করছি এই কারণে যে আমি এই প্রশ্নের চিরাচরিত উত্তরের অতিরিক্ত কিছু শুনতে চাইছি। শিল্পীদের সঙ্গে আমার যখন ওঠা বসা শুরু হল তখন একদিন শানু লাহিড়ীকে এই প্রশ্ন করলাম। উনি বললেন, "অদ্ভুত প্রশ্ন তো! দেখো একটা ছবি আঁকতে অনেক সময় লাগে। বিভিন্ন জনের কাছে সেই সময় বিভিন্ন হয়। তবে আমারটা আমি বলতে পারি, আমি একটা ছবি তিনমাসে আঁকলেও, আসলে ওই ছবিটা আঁকতে আমার লেগেছে আসলে মাত্র তিন মিনিট। কারণ ওই সময়টুকুতে আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আর ওইসময় আমার হাত দিয়ে যা বেরিয়েছে সেগুলোই আগামী দিনে চিত্রমোদী দর্শকেরা আলোচনা করবে।" সত্যিই সৃষ্টির মধ্যে কতই না রহস্য আছে। য়ত শুনি ততই অবাক হয়ে যাই।


(ক্রমশ...)

শেষ অধ্যায় : রাণা চ্যাটার্জী


  সুদূরে ,কাশ্মীরে সংশয়
 কথা রোজ,দূরত্ব বাধা নয়,
 কল্পনায় ছুঁয়ে হই মায়াময়,
 অনুভবে বাঁচত এ হৃদয়।

  তুমি নেই হঠাৎই এ দেহ 
    রক্তাক্ত হামলা সন্দেহ!
 মালা ঢাকা কফিনে শ্রদ্ধায়, 
 অসহায় মৃত্যু,শেষ অধ্যায়!

তবু থাকি কষ্টেই নীরবে,
 তব অস্তিত্বেই বুক গর্বে,
 নেই মৃত্যু,যেন শহীদের,
গর্জে মুঠো হাত আমাদের।

দিকে দিকে সন্ত্রাস,হামলাও,
আর নয়,পিছুহটা সামলাও।

আয় তর্জনি : মাধব মণ্ডল



এ্যাতো বারবার বাতাস কাটছে তর্জনি
এবার কি লক্ষ্য আমার চোখ কোটর?

আয় তর্জনি যুদ্ধ  করি
নিদেনপক্ষে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি

ক'বার আর প্রাণটা যাবে?
ক'বার আর মুন্ডু বেচবি হাটে?

নোবেল খাবি নোবেল পরবি?
তাজা রক্ত চিবিয়ে চিবিয়ে খাস!

নির্বাচন :অনিন্দ্য পাল


ভালোবাসা অথবা নরম মিষ্টি পায়েস
আসলে ঘৃণার হিউমাস থেকে জন্মে ওঠা
একরোখা শাসন

কাঁধের ঝোলা ব্যাগে বইতে হয় শুধু
জমাখরচের ইস্তাহার

উপুড়হস্ত ঢেলে দেয় সুখ
আসলে ছদ্মবেশ
সব মহড়া ঘটে চলে বোবা ক্যামেরার
নিস্তেজ চোখের সামনে

মহোৎসব আসে, যায়
স্বপ্ন ও...
তারপর শেষ বিকেলে ছাপা হয়
সম্মান লুঠ
বা
আরও একজন মা বেচে দিয়ে যায়
কোলের সন্তান।

চোখ :পীযূষ গায়েন



প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তোমায়
সেদিন থেকেই চোখ ফেরানো বারন,
ক্লাসের সাথে ফুরিয়ে গেলে সময়
সারাটা দিন মন কেমনের কারন।

আমি তো বরাবরের মতোই
চোখে চোখ পরলে লুকাই খানিক,
আজ তোমাকে দেখছি আমি যত
আড়চোখে তা দেখতে সেটাও যানি।

এরপর চোখে চোখেই কথা
ইশারায় বুঝিয়ে দিতে সবি,
চোখ ঠেলে বলে যেতে রোজ
সাবধানে রাস্তা পার হবি।

তুমি ওই কাজল দিলে চোখে
আমি তো হারিয়ে যেতাম রোজ,
কেনো এক ক্লাস পালানোর ঝোঁকে
একই সাথে দুই মানুষে নিখোঁজ।

এভাবেই কাটলো বছর খানেক
দু-চোখে নেই তো চাওয়া পাওয়া,
হঠাৎ এক নতুন বাউল গানে
পৌষে কালবোশেখি হাওয়া।

ক্রমশ চোখের কোনে জল
ভালবাসা ঝরছে দু-চোখ থেকে,
অজথা মিথ্যে কথার ঢল
রাতোরাত চোখে চোখ রেখেই।

এভাবেই হারিয়ে গেল প্লাবন
দুচোখে শান্ত জোয়ার ভাঁটা,
কোনো এক মনখারাপের ফোন,
 দুটো গিঁটে ঝুললো আড়কাটা।

সকালে নিথর একটা শরীর
সাদা থান নিজেই পরে নিলো
সব শেষ,গলায় চাপা দরী
তখনও চোখটা খোলা ছিল!!