(বিশ্ব নারী দিবসে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে)
ঋতুস্রাব, রক্তে লাল হওয়া সাদা ইউনিফর্ম
ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসা মেয়েটির লাগছে শরম ।
ন্যাপকিন চাই, কমনরুমে যাওয়া চাই -
দিদিমনির কড়া শাসনে কিভাবে তা পাই ?
রক্তের ছোপ ;মনের গলিতে আনে নিজের প্রতি ক্ষোভ ।
মেয়ে জন্ম পাপ, তবে কেন জন্ম দিল বেহায়া বাপ ?
লজ্জায় লাল হওয়া মেয়েটি ন্যাপকিন চায় ,
দোকানে অনেক লোক কি করে তবে তা পায়?
ছেলে ছোকরা আড্ডা মারে তা 'য়
ন্যাপকিনের কথা শুনে কতই না সুখ টানে সিগারেট ফুঁকায় --
মেয়েটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, ভাবে কখন হবে লোক খালি ।
আর কত!আর কত খেলতেই হবে এ রকম চোরাবালি ?
কেন এত ন্যাপকিনের প্রতি জমা ওই ক্ষোভ ?
কি দাদা এভাবেই কি হচ্ছেনা আমাদের মনুrষত্ব লোপ ?
নেই কি সবার ঘরে দিদি বোন মা --
তবে কেন, কেন নাচে ন্যাপকিনের কথাতে ওই দুরাত্মা ।
বাঁকা চোখে তাকায় কেন তবে সবাই ,
জানিনা ঠিক, হয়ত এভাবেই হয় কত মেয়ের পড়া কামাই ।
কত কথা, নানান অশুচি, কত বিজ্ঞতা
মার গর্ভে ছিলাম সবাই, ভুলে গেছি কি তা?
রক্তের ওই লাল দাগ ভবিষৎরই সুপ্ত আশা
কু কথা গো নয়, দাও না গো একটু সহানুভূতি আর একটু ভালবাসা ।
হবে কেন আর চোখে, বাঁকা চোখে দেখা --
কেন ভুলে যাই সবই তো এ এক সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া ।
কোরো 'না গো আর এমন আচরণ --
এভাবেই কি করতে চাও মানুষের মনুষত্বের মরণ ?