নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ভয় :শোর্য্যতি



হাত ধরো বলছি...
        মৃত্য উপত্যকায়।লাশ।সবাই।
নিজের মৃত্যুতে দিচ্ছি হাততালি ।।

তুমিও তো বেশ লুকিয়েছো মুখ।শাড়ির আঁচল।
       ক্ষয়-বুকে পাথর।ভালোবাসো ।মিথ্যে
বলেছো স্নানের ঘরে বাষ্প হয়নি'কো জল ...

এরপর আমি ভীষণ বিপ্রতীপ...

ভীষণ কষ্ট হলে ,আঙ্গুল গুনে রাখো।
ভালোবাসি,ভালোবাসি। মৃত্যু তোমায়
               নিভছে সে প্রদীপ।।

সে বুকে মিছিলে কোনো।প্রেমহীন।জমে গেছে
লাল। গুলিতে জমছে রক্ত।

আসলে তোকে ভালোবাসি না'ত...।।


ভালোলাগার জনম : বায়েজীদ বোস্তামী


ভালোলাগার পরে কতটা দিগন্ত,
পারি দিলে, আকাশ ফেটে অশ্রুঝরে,,
গাংচিল অনাহারে মৃত্যু বরন করে,,
মানব তার সভ্যতাকে হারিয়ে ফেলে,
ভালোলাগার কত প্রহর পারি দিলে,
পৃথিবী জুরে অমাবস্যা ঘনিয়ে আসে।
বসন্ত তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে
বর্ষা হারিয়ে ফেলে বাদল,
ভালোলাগার কতটা প্রহর অতিক্রম করলে
একজন মানুষ জীবন্ত লাশে পরিনত হতে পারে,
তবুও ভালোলাগার পরে, ভালোবাসার জনম।

আলো-ছায়ার কথামালা :হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

     
         




                  ।।তিন।।


মাসখানেক পর যখন দিতি নিজের বাড়িতে ফিরে এলো, তখন চারপাশের মানুষজনদের কাছে সে বিভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত। আমি বললাম, দিতি, তোমাকে আমরা ধরতে পারলাম না। বড় সাধারণ চোখে তোমাকে মূল্যায়ন করে ফেললাম। দিতি কাছে এসে আমার হাতে মাথাটা রাখল। সেদিন দিতির কাছে কি আমি আশ্রয় ছিলাম? না কি ওর মনের সবুজ অংশটুকুর অর্থ আমিই একমাত্র ধরতে পেরেছিলাম?


                       ।। চার।।

পড়াশোনা করতে ভালোবাসতাম। পরীক্ষার দিন যত এগিয়ে আসত ততই আমার বুকের ওপর রাখা পাথরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। ভয় ঠিক পেতাম না। কেমন যেন একটা অস্বস্তি বোধ করতাম। আসলে পরীক্ষাকে সামনে রেখে নিজের পড়াশোনা নিয়ে খুশি হতে পারতাম না। কোথা থেকে যে এতো ঘুম আসত জানি না। পরীক্ষা শেষের দিনগুলো এখনও মনের মধ্যে গাঁথা হয়ে আছে। হল থেকে বেরিয়ে দেখতাম চারপাশটা যেন কতো বদলে গেছে। এতো আনন্দ হতো যে বলে বোঝাতে পারবো না। যার সঙ্গে কথাই বলতাম না তার সঙ্গেও মনে হতো গল্প করি। এই আনন্দ কি শুধু পড়াশোনা করতে হবে না বলে? কিন্তু তা কেমন করে হয়। আমার তো পড়াশোনা করতে ভালোই লাগতো। ওই আনন্দের সঙ্গে অন্য কোনো আনন্দের তুলনাই চলে না। আসলে ওই আনন্দ একমাত্র পরীক্ষা দিয়েই পাওয়া যায়।




                   ।। পাঁচ।।


যে কোনো কারণেই হোক যখন তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। কয়েক পা এগোলেই বলা শুরু হয়। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি এইসব। কি জানি কোথায় যাচ্ছি জানি না ------ বলতে খুব ইচ্ছে করে। এটা কি যে কেউ বলতে পারে? আজ বুঝতে পারি এটা বলা কত শক্ত। একটা উদ্দেশ্যহীন যাত্রা মানুষকে দীর্ঘদিন আলোয় বাঁচিয়ে রাখে। জীবনে একবার হলেও এই উদ্দেশ্যহীন যাত্রায় সামিল হতে চাই।



(ক্রমশঃ)
(০৮/০৩/১৯)

বীরের মা : প্রলয় কুমার বিশ্বাস



উপত্যকায় বারুদের গন্ধ,
    মায়ের চোখে জল।

বসন্তে কোকিলের সুর আজ বিষণ্ন ;
অশোক, শিমুল,  পলাশ
    বিন্দুমাত্র দাগ কাটেনি মনে।

অবশেষে ফিরল বটে,
সমস্ত দুশ্চিন্তার অবসান ঘটায়ে
     কফিন বন্দি হয়ে।

মুখে ছিলো তার তৃপ্তির স্মিত হাসি।

শুধু,
মায়ের চোখের আড়ালে প্লাবন।

আমি ই কি তুমি,,, ? : সাব্বির আলম




আমি জানি—তুমি মোটেই এরকম চাও না,
এটা তোমার কথার কথা ,
 তুমি নিজেই তো বলেছ,
তুমি ... আমি বাঁচতে পারব না—
এর মধ্যে তুচ্ছ অতীতকে টেনে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না।

পরিপূরক নারী পুরুষ : রাণা চ্যাটার্জী



সুস্থ রুচি সংস্কৃতির,বাড়ির সব দায় সামলায় নারী
আমরা পুরুষ কেবল বড়াই করি দেখাই বাহাদুরি।

গৃহ শান্তি, সন্তান পালন, রান্নাবান্না কত্ত সব কাজ
আদেশ,অভিযোগে ব্যস্ত থাকি,ঠিক যেন মহারাজ।

সমাজ সংসার সুস্থ থাকে পুরুষ যদি থাকে পাশে
 ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে নারী, উদ্যমে ঝলমলিয়ে হাসে।

নারী-পুরুষ আসল পরিপূরক,ঠিক যেন মেঘ-বৃষ্টি
দুজনের কেউ বিগড়ালে ঘর,মনের ক্ষতি,অনাসৃষ্টি।

যতই আসুক অভাব মনে ,দুঃখের পাহাড় অনটন,
সু -সম্পর্কে বোঝাপড়া পুরুষ -নারী অমূল্য রতন।

কাগজে কলমে নারী পুরুষ নেই কোন ভেদাভেদ,
যতো নিয়ম,শেকল বাঁধন নারীদের করে বিভেদ।

সূর্য যেমন দৃপ্ত পুরুষ,মিষ্টি রোদ্দুর তার সঙ্গী,
নারীরা পাক যোগ্য সম্মান,বদলাক দৃষ্টিভঙ্গি।

নারী-পুরুষ সমান সমান,অদ্ভুত এক মেলবন্ধন
পুরুষ বাহবা বিনা,সেরা কিভাবে  নারীর রন্ধন!?