জননী আমি তোদের স্বপ্নের খেলাঘরে,
তাই বাৎসল্য আজ গুমরে কেঁদে মরে।
মৃত্যু যন্ত্রণা হজম করে যখন
একে একে তোদের জন্ম দিলাম
ফোকলা হাঁসিতে প্রসব যন্ত্রণাটাই ভুলে গেছিলাম।
সবাই বলেছিল আমি নাকি রত্নগর্ভা!
সন্তানেরাই একদিন প্রমাণ দেবে জননী সর্বেসর্বা।
আজ তোরা সবাই প্রতিষ্ঠিত নিজের মতো করে,
কিন্তু জানিস! আমি আজও একা আমার কুঁড়েঘরে।
তোদের বাড়িগুলো নাকি খুব সুন্দর সাজানো?
আমার পরণে এখনও সেই জীর্ণ শাড়িটাই জড়ানো।
চোখের দৃষ্টিও হয়েছে ক্ষীণ বয়সের ফাঁকে,
এখন পাড়ায় সবাই আমাকে ভিখারিনী মা বলে ডাকে।
তবে ভিক্ষাবৃত্তি এ আমার প্রথম নয়
শুরু করেছিলাম যখন তোদের জন্ম হয়।
তখন হাত বাড়াতাম তোদের ভালোবাসায়
আজও আমি দুহাত পাতি দুমুঠো ভাতের আশায়।
জানিনা আমি মা হওয়া পাপ নাকি পুণ্য,
হ্যাঁ রে একবারও কি কষ্ট হয়না এই ভিখারী মায়ের জন্য?
থাক, চাইনা বাপু ওই মেকি ভালোবাসা
কারও কাছে হবোনা আর ঋনী,
বাটিটাই আজ আমার শ্রেষ্ঠ সম্বল
কারণ?? -আমি যে ভিখারিনী।।