নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শূণ্য মানেই ঈশ্বরে দেখা পাই :অলোক মিত্র



স্মৃতির কোষে জমা পড়েছে
একহ্রাস ধুলিকনা মেঘ,
আজ বাস্পয়িত হয়ে
নেমে পড়বো মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে,
তারপর সুপেয় মিঠা পানি হয়ে
সোজা হেটে পদ্মা যমুনায়,
আমার ঠিকানা খুঁজতে
এখানে এসো না এখন,
অনেক রাত, নিঃস্তব্ধ মহাসড়কে
মহাপ্রয়াণ চলছে,
গত আত্মাদের একা থাকার
যন্ত্রণা বিলাপে নতুন আত্মজ আত্মারা
উড়ালপুল হয়ে উড়াল দেয় আকাশে।
তারারা সব খসে পড়েছে
নিকশ কালো রাত্রিতে আরাধনা
ঈশ্বরে, ফেরেস্তারা নেমে আসে
কোলাহলবিহীন নিস্তেজ গহীনে
আত্মাদের নিয়ে টানাটানি।
একটা বিড়ালের চোখ গিলে খায়
সকল অন্ধকার, আমি ওর সাথে
নেমে পড়ি অাধাঁরের রূপ দেখতে,
দেখি ছায়া হেটে চলে, আমি নেই তাতে।

মরা গাঙ পাড়ে, আলো আঁধার বলেশ্বর।

ছায়া চিত্র:সায়ন্তনের ইতিকথা

 

বৈশাখীর তপ্ত দুপুর শেষে এখন অমাবস্যার রাত্রি যাপন করছে ঝড় আর শীতলতা, বাড়ির ওপরের ঘর গুলো বন্ধ। লোডশেডিং - এ আরো অন্ধকার চারিদিক, বাতাসে মো মো করছে বিদেশি মদের গন্ধ..  নিস্তদ্ধটা এতটাই জোড়ালো যেন শোক ছায়া বিদ্যমান প্রতিটি দেয়ালে।
আমি এমনই কোন কারণ ছাড়াই আঁচল লুটিয়ে ওপরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিমাম, পায়ের শব্দ পেয়ে পিছনে তাকাতে দেখলাম ছোটমা.. কিন্তু ছোটমা আমায় দেখেই এক রকম ভয় আর অবাক হয়ে ঞ্জান হারালেন..
আমি তরিঘরি করে জল আনতে গিয়ে নিচে যেতেই দেখলাম ঝড়ের কারণে দেয়ালে ঝোলানো জুঁই দিয়ে সাজানো ছবিটা  ভেঙে গেছে.. কাঁচের টুকরো পাছে পায় ফোঁটে সেই ভয়ে ছবিটা তুলতেই দেখলাম আমার ছবি...
মনে পড়লো আমি তো মারা গেছি...!

বিচারের বানী গুলো আজ কাঁদছে : মান্নুজা খাতুন





কাঁদছে!
হ্যাঁ! ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছে
অসহায় নির্যাতিত মানুষদের প্রতি দেওয়া
‘বিচারের বাণী’ গুলো। 
কিছু নিন্দুকের ভয়ে গৃহকোণে আবদ্ধ হয়ে থাকা
ইমামপাড়ার শান্ত-লাজুক মেয়েটির উষ্ণ অশ্রু’র ছোঁয়া পেয়ে
ডুকরে ডুকরে কাঁদছে ‘বিচারের বাণী’ গুলো ;

সন্দেহ জাগছে মনে!  তবে খোঁজ নিতে পারো সীমান্ত ঘেষা ইমামপাড়ার মোড়ে।
রাস্তার পাশে ভেঙ্গে পড়া ছাউনির নীচে
ছেলেমেয়ে নিয়ে পড়ে থাকা ওই অভাগীনি কে দেখেছ
সমাজের দাদাদের চোখরাঙানী আর নিষ্ঠুর চক্রান্তে
আজ তারা গৃহছাড়া,  বড্ড ক্ষুধার্ত ওর ছেলেমেয়েরা
জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো তাদের
ওদের অসহায়ত্বের বেদনায় বেদনাতুর হয়ে
বিচারের মিথ্যে বাণী গুলোও আজ থেকে থেকে চোখ মুছে ফিরছে
প্রতিবাদের ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়ে।

একটি ব্যর্থ স্বপ্ন : বৈশাখী চক্কোত্তি




বলেছিলাম তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে
কৃষ্ণাঙ্গিনী সেই মেয়েটিকে,
যার মধ্যে দেখি আমি বার বার
আমার আবছায়া এক প্রতিবিম্বকে ।।

কৃষ্ণাঙ্গিনী মেয়েটি নাকি ছিল
তোমার ভীষণ প্রিয়, আদরের,
"ম্যারাথন কিস" করবে বলেছিলে, কারণ,
 ওর গোলাপি ঠোঁট ছিল ভীষণ আকর্ষণের ।।

আদরে আদরে লুঠে নেবে ওর সমস্ত
ভালোবাসার নির্যাস, ছিল আশ্বাস,
সেই আদরের প্রতিক্ষাতেই দিন গুনেছিলো সে,
মনে নিয়ে তোমার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ।।


একটি একটি করে ছড়িয়ে দেবে তাতে
তোমার উনুন জ্বলা দেহ তাপ,
মরুক মেয়ে সেই তাপেতে দগ্ধ হয়ে,
মাথায় নিয়ে নিদারুন অভিশাপ ।।

লুঠে নেবে ওর সমস্ত সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা
তিল তিল করে জমিয়ে রাখা,
পর্বতশৃঙ্গ, চড়াই কিংবা উৎরাই, গভীর অরণ্য,
তোমার তৃপ্তিতেই তার যেন স্বপ্ন মেলে পাখা ।।

তার বক্ষের সফেন সমুদ্রে দারুন অশান্ত, বিশাল
 এক নীল ঢেউয়ের জলোচ্ছাস,
সেখানে তোমার গোলাপি মখমল রচিত শয়ান
রাত্রিব্যাপী তোমার দীর্ঘ অধিবাস ।।

সব ঠিকই ছিল, কিন্তু হঠাৎই এক দারুন ঝঞ্ঝা
করলো আক্রমণ, ভুলে গেলে কৃষ্ণাঙ্গিনীকে,
তোমার অভিসারের জন্য আজও সে বসে আছে
অপেক্ষায় সাজিয়ে বরণডালা, সজল চোখে ।।


হয়তো কোনো শেষবসন্তের পড়ন্ত বিকেলে আসবে ফিরে,
হয়তো আবার চাইবে তাকে ভালোবাসতে, তার ঘ্রান নিতে
হয়তো তোমার সমস্ত স্বত্তায় তার সাথে "ম্যারাথন কিসের" স্বাদ,
কিন্তু হয়তো তখন অনেক দেরি, সেকি থাকবে আর দীর্ঘশ্বাসের পৃথিবীতে???








কোন পার্থক্য নেই :কাজী জুবেরী মোস্তাক



একসময় তোমাকে নিজের ছায়া মনে করতাম
তোমার চোখেই আমি নিজেকে দেখতে পেতাম
কখনোবা তোমার মাঝেই নিজেকেও হারাতাম
তোমার স্বপ্নগুলোকেও নিজের স্বপ্নই ভাবতাম ৷

কিন্তু !
প্রকৃতির মতো তুমিও নিজেকে বদলে ফেললে
আমিও হারিয়ে ফেললাম আমার ছায়াসঙ্গীকে
যে চোখে আমি হারিয়ে ফেলতাম এই নিজেকে
আজ সেই চোখ দেখি কামনার আগুন পুড়তে ৷

জানো ?
আমি নিজেই নিজেকে কখনো বিশ্বাস করিনি
তবুও কিন্তু তোমাকে বিশ্বাস করেছি ঢের বেশি
তোমার বিশ্বাসের মূল্য দিতে সঁপেছি নিজেকে
অথচ তুমি'ই দেখি অবিশ্বাসের খেলা খেললে ৷

সেই তুমি !
শরীরটাকে শেয়াল শকুনের মতো ছিঁড়ে খেলে
শুধু আমার ভালোবাসা-বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ,
বাদামের খোসার মতো খেয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলে
আর আমি আজ উচ্ছিষ্ট হয়ে ঘুরছি পথে পথে ৷

জানো ?
কোনো পার্থক্য নেই তোমার আর ধর্ষকের মাঝে
একজন ধর্ষক যা করতো তুমিওতো তাই করলে ,
তোমরা দু'জনেই আমার চোখে সমান আজকে
তুমি ভালোবেসে ধর্ষণ করো , ধর্ষক জোর করে ৷

ক্লিভেজে আমরা:হেমন্ত সরখেল



                             



ক্লিভেজ থেকে মুখ সরাতে দ্বন্দ্বে ভুগেছি বারবার।
      মনে রাখা যায় নি- ঠিক কতোবার।

       রেজাল্ট প্রসবিতা অশ্বডিম্ব
                        কিংবা
      প্রথম চতুর্থকে প্রশান্তিতে রাখা
     মা আর তুমি, দুজনেই জলঢাকা।
              ক্লিভেজ- নয় নিতম্ব
     নয় কোনো প্রতিষ্ঠিত গালাজ
 শুদ্ধতা হরে প্রায়ই যত লালাবাজ।

ভেঙে খানখান্ হতে গেলে আমাদের ওটা প্রয়োজন
হেরে, ঘুরে দাঁড়াতে হলে এখানেই শক্তির আয়োজন
     ভেজা মাথা মুছবে আঁচল- ক্লিভেজ
 মৃত্যুপথের কোণ থেকে জাগবে দরবেশ।

আমরা জাড্যে একটাই মেতে আছি
সুখকে দাঁড় করাই অপরিমেয় দুখের কাছাকাছি।
সব রসে জমা থাকে বেদুঈন ধুলো
উন্মত্ত অঙ্গারে তীক্ষ্ণ রসস্থ আলো।
জঠর দেহজ হলেও ভূ-মিষ্ট-পরমধাম
অদৃশ্য দেওয়ালে লেখা আবির্ভাবী মধুনাম।

দৃশ্যমান যা - তা ই জড়িয়ে থাকা এখানে
মনের ক্লিভেজে তাই আশার যাওয়া সন্তর্পণে।