নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ক্লিভেজে আমরা:হেমন্ত সরখেল



                             



ক্লিভেজ থেকে মুখ সরাতে দ্বন্দ্বে ভুগেছি বারবার।
      মনে রাখা যায় নি- ঠিক কতোবার।

       রেজাল্ট প্রসবিতা অশ্বডিম্ব
                        কিংবা
      প্রথম চতুর্থকে প্রশান্তিতে রাখা
     মা আর তুমি, দুজনেই জলঢাকা।
              ক্লিভেজ- নয় নিতম্ব
     নয় কোনো প্রতিষ্ঠিত গালাজ
 শুদ্ধতা হরে প্রায়ই যত লালাবাজ।

ভেঙে খানখান্ হতে গেলে আমাদের ওটা প্রয়োজন
হেরে, ঘুরে দাঁড়াতে হলে এখানেই শক্তির আয়োজন
     ভেজা মাথা মুছবে আঁচল- ক্লিভেজ
 মৃত্যুপথের কোণ থেকে জাগবে দরবেশ।

আমরা জাড্যে একটাই মেতে আছি
সুখকে দাঁড় করাই অপরিমেয় দুখের কাছাকাছি।
সব রসে জমা থাকে বেদুঈন ধুলো
উন্মত্ত অঙ্গারে তীক্ষ্ণ রসস্থ আলো।
জঠর দেহজ হলেও ভূ-মিষ্ট-পরমধাম
অদৃশ্য দেওয়ালে লেখা আবির্ভাবী মধুনাম।

দৃশ্যমান যা - তা ই জড়িয়ে থাকা এখানে
মনের ক্লিভেজে তাই আশার যাওয়া সন্তর্পণে।
                             

হয়তো : সঞ্চিতা চক্রবর্তী


একফালি রোদ পেলে,
সেঁকে নেব...
স্যাঁতস্যাঁতে শব্দের সিঁড়ি।
রেশনকার্ডের বিষণ্ণ সারিতে
শেষাবধি উত্তাপ আসে কই!
অবেলার মেঘে গ্রাস করে
শ্যাওলা সাজায় শব্দাবলীতে।
সিঁড়ি ওঠানামায় পিছলে পড়ে
সোনার কাঠির খোঁজ,
রূপকথারা ক্রমশঃ...
অবলুপ্তিকে আলিঙ্গন করে চলে।

সকাল: শৌর্য্যিতি





মিঠে আলো ,কে ছুঁলো? রোদ ভিজেছে জানালা।
ঘুম ভাঙা গান,হারানো পাখির কলতান,মুখ ছুঁয়ে যায় ওড়না ।।

বেহাসাবি দিনযাপনে ,দৌড়ঝাঁপময়।হাতছানি'র সময় ।
আজ চেনা মুখ কাল মুখোশ'এ ,বাঁচার অভিনয় ।।

হদ্দ বোকার মত আমিও গিলছি আবেগে
ভাঙছে ,ভাঙছি নিজেই নিজে,চোখ ক্লান্ত হলে ।।

তারপর দীর্ঘ মৃত্যুর উপভোগ।নিথর শরীর
চোখ খুলে দেখি ,একা নই, অনেক মাছির ভিড় ।।

প্রকৃতি বাঁচাই চলো : রাণা চ্যাটার্জী



                   
                       

বৃষ্টির ধারা আজ বড়ো দিশেহারা-অঝরে শুধুই ঝরে,
জানি না কি রোষে,আজ নদী ফোঁসে,বসে থাকি ভয়ে  ঘরে ।

নদী কূল কূল,পাড় হুলুস্থুল,মাঝি মল্লার রাত জেগে,
দুপাড়ে ক্ষেত ,অপেক্ষা সমবেত ,বিধাতা কি তবে রেগে!

জানিনা কি হয় এই বুঝি ক্ষয় ,যেন বন্যার ভ্রুকুটি ছায়া,
দোষে-গুণে মোরা কখনো দেখি খরা বড় অদ্ভুত এ মায়া।

না হলে বৃষ্টি, হবে অনাসৃষ্টি ,জমি ক্ষেত রুখা খরা,
হলে পড়ে বেশি,হবো বানভাসি দুই তরফেই আধমরা।

কেন হয় এটা,ভেবেছ কি সেটা! ফাঁকা করি গাছ কেটে,
হায় বলিহারি,গড়ি স্বপ্ন নগরী, চলি প্রকৃতি ছাড়া পথ হেঁটে।

তবু আশা মনে,এই বুঝি ক্ষণে,সুদিন তো আসবেই,
শ্বাস চেপে থাকি,মরে যাব নাকি!সুসময়ের বাঁধ ভাসবেই ।

প্রকৃতির সৃষ্টি ,ঝরুক রূপবৃষ্টি,প্রচেষ্টা শান্তির বাতাবরণ,
নিজেদের খুঁজি প্রকৃতিকে পুজি,বাঁচানোর বড় প্রয়োজন

অধুনান্তিক ধর্ম :তন্ময় চৌধুরী






যদি অবরোহী একটি পূর্ববর্তী কার্যপ্রণালী হয় 
তাহলে সঠিক পথে কোনো মুখোশধারীকে পর্যবেক্ষণের 
পূর্বেই ধরে নিতে পারবে 

তোমার জানার বাইরে এইসব পদ্ধতি 

এর জন্য গণিতের সমস্যা সমাধানের পূর্বে 
ইনডেক্স দেখেতে হয় 
কোনো ধর্মপ্রধান এতে অংশ নিতে আসবে না 

কারণ প্রারম্ভিক স্তর থেকে কর্ম করাটাই শ্রেয় 
যেখানে প্রেরন শব্দটি একটি নরকদূতের সঙ্গে সম্পর্কিত |

কলম চলছে,চলবে: সীমা দে






কলম চলছে,চলবে
গরীবের দুঃখের কথা সে বলবে।
যদি দেখাও ভয়
তবুও হবো না ক্ষয়।
যদি বলো যা সরে
তবুও যাবো না নরে।
গরীবের উপর অত্যাচার
নেই কোনো সমাচার।
কলম কথা বলবে...
তোমাদের মুখোশ খুলবে।
লোকের দরবারে দেবে পৌঁছ
তাই তোমরা ভয় দেখিও না মিছে।
যদি পারো দেখাও ঠেকিয়ে
এই কথা রাখলাম তোমাদের জানিয়ে।।