নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

হিং টিং ছট :রাজিত বন্দোপাধ্যায়



 

পৃথিবীর সব কথা শুনেছি আমি --     
পৃথিবীর সব ব্যথা বুকেতে আমার !   
দহনে গিয়েছে বিগত অনেক দশক ,     
দেখেছি রাজনীতি কেবলি বিত্তের পোষক !     
তোমাকেও দেখেছি দু চোখ ভরে       
আজ যারা টু মি বলে --     
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়  !     
সুযোগ খুঁজেছে রেখে --   
বিত্তের কাঁধে দুই উষ্ণ হাত ,   
তাদেরই মুখেতে টুমি - র প্রভাত !!   
রাজনীতির ঘুঙুর শিঞ্জনে বাঁধা   
এদেরও অনেকের মুখ ,   
দশকের দহনের পরে পুরুষেরে     
দিয়ে দেখে অসুখ --   
হৃদয়ের জ্বালা জোডানোর ছলে ।     
কোন দুর্মুখ করে ব্যাদন ?   
রাজনীতি হিং টিং ছট বলা   
তোতার মতন --     
বিত্তের পোষক পরে নিজেরে পালে ।     
সোনার খাঁচার মোহ --   
সোনার সিংহাসন , গরীবের পোষক !   
হিং টিং ছট --  !     


হায়, হায়!! : মাধব মন্ডল



আজ তোমার উষ্ণতাটা খুব জুরুরী ছিল
আজ তোমার মনকে মনে গাঁথা খুব জরুরী ছিল
অথচ তুমি আজও নিজেকে জোর করে ধরে রাখলে!!
আমার অপেক্ষা শুধু দীর্ঘায়িত হলো......

ভাল নেই তুমি!! ভাল নেই তুমি!!
কতটা অবসর পেলে আবার জাগবে তুমি?
হায়, শিব চতুর্দশী!! হায়, হায়!!
হায়, শিবরাত্রি!!হায়, হায়, হায়!


(রক্ত জমে কুয়াশায় - ২৬)

পুড়ে পুড়ে :সুজাতা মিশ্র (সুজান মিঠি)


রোদ্দুরটাও হামাগুড়ি দিতে দিতে পরিণত হয়
ঘরপোড়া ঝড়ে,
ছাইভস্ব হয়েছে যে, সিঁদুরে মেঘ কি তাকে
ভয় দেখাতে পারে!

পান্তাভাত :মান্নুজা খাতুন ( মালা)


সেদিন প্রভাতবেলা, টিউশনের পথে যে বড় স্টেশনটি পড়ে
তারই এককোনে ; একটি যাযাবর পরিবারের বছর ছয়ে’'র ছেলেকে
শীতের মিস্টি রোদে বসে পান্তাভাত খেতে দেখেছি
পরমতৃপ্তিতে খাচ্ছিল  সকালের প্রথম জলখাবার।
আজ সকালবেলায় মায়ের কাছে আবদার করেছিলাম পান্তাভাতের জন্য
মা বলে গেল,  কেন! তোমার কি খাবারের অভাব?
পান্তাভাত খেলে ঠান্ডা লেগে যাবে  এই অজুহাত দেখিয়ে
মা চলে গেল রান্নাঘরে, শুকনো কিছু খাবার আনতে।
ব্যালকনির ধারে চেয়ারে গা এলিয়ে পড়ার বইখানি হাতে নিয়ে ভাবছিলাম
ওই ছেলেটির কথা, ওর মায়ের কথা
আচ্ছা!  ছেলেটার কি শরীর খারাপ করেছিল?
শীতের সকালে পান্তাভাত খাবার জন্য

বিরহী প্রেমের ঝংকার : বিকাশ দাস (বিল্টু )



সুরগুলি হৃদয়কে চূর্ণ করে মনকে আহুতি দেয় ।
বুকের ভিতরের আর্তনাদ সুর হয়ে আকাশকে বাতাসকে এক করে ধূপের আগুনে মিশে ,
কিছুটা না পাওয়ার পরম বেদনায় বেদনার বালুচরে ।
রাধা বিরহী কানাইয়া কিংবা কালা !

জীবনের সুরের ছটায় জীবন মানে ভুলে জীবন আর জীবন থাকেনা ,
জীবন অঙ্গার হয়ে জ্বলতে থাকে ।
সুর মূর্ছা যায় ;
ঠিক তখনি সুরের বন্যার জোয়ারে মনে আসে বিশালতা ।
জীবন নিরুপায় ,
বাঁশি খোঁজে, মন খোঁজে আহুতি দেওয়ার জন্য ।
আর বাঁশি সুধায় এই তো জীবন ,
এই তো তৃপ্তি ।

এখনো বাজছে কানে সেই সুর -
    বিরহী প্রেমের অতৃপ্ত বাসনার ঝংকার....

পূজা: জয়ীতা চ্যাটার্জী



হে অপরূপ, তুমি সৃষ্টির সুন্দর পূজা নিবেদন।
                শ্বেত শুভ্র, তুমি বন্দনীয় আমার।
তোমার ভেতরের তুমি সে একান্তই আমার একমাত্র।
             অন্তরের সমস্ত শোক তাপ মুছে দেবো চুম্বনে।
তোমার ভেতরের হিম যুগকে
            শুষে নিতে খুলে যায় ওষ্ঠধার।
বার বার উচ্চারিত হয় শ্লোক, আমি সেই পূজারিনী
       যার বিশ্বাস একেশ্বরবাদ।
তোমার কাছে ,তোমার গুণের কাছে,
           তোমার রূপের কাছে চির ঋণী আমি।
আসনের সামনে সাজিয়েছি যজ্ঞবেদী,
               আগুন, কাঠ, হেম দিয়ে, সময় অভিমানী!
ক্ষয়ে যাচ্ছে জীবন অসম্ভব সহিষ্ণুতায়।
          জাগিয়ে রাখি তোমার বুকে গোটা একটা জীবন
মন্ত্র সাধনায়।
আদ্রতা কমে আসে ঠোঁটের,
চুঁয়ে চুঁয়ে রক্ত পড়ে
আঙুলের ডগায় তোমার বুকের আকাশ ছুঁই,
      তোমার প্রত্যেকটা নিশ্বাস জন্ম দেয় একটা একটা নক্ষত্র,আমি তাদের সযত্নে রাখি অধরে।
অপরূপের ভেতর তোমার যে বিশাল রূপ সেই পাবে পূর্ণতা আমার আরাধনায়।
পূজো হবে বিশ্বাসের মন্ত্রে, প্রেমের মন্ত্রে, সাধনার বলে ত্রিমাত্রিক ছায়ায়।।