নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রভাত মন্ডল





বিদ্রোহী কলম
   ==========
                        


হে কলম, 
     আর কত দিন থাকবে স্তব্ধ, 
তোমার টানে
      হয়ে উঠুক সারা বিশ্বে আজ বিদ্রোহ। 
তোমার লেখণী
        আর কত থাকবে, মৌন অসাড় বুকে, 
তোমার প্রতিটি ঘর্ষন
        আজ বিদ্রোহী হয়ে পৌঁছাক বিশ্ব দরবারেতে। 
তোমার রক্তের কালি দিয়ে
        আজ পঞ্জিকা লিখে মৌলাবাদের মুখোস দাও খুলে
তুমি ধর্মের নামে বজ্জাতি
          আর চলবে না তুলে ধর বিশ্ব আদালতে, 
তোমার লেখা ধর্মের নামে
           আর রক্তাত হতে দেবে না এই ভূবনকে। 
তোমার  ঘর্ষনে
            আজ জাগ্রত হোক মৃত আগ্নেয়গিরি দ্বার
তার লাভাতে জ্বলে 
             যাক যত গোঁড়া মৌলাবাদী নরখাদকের দল। 
জাগবার দিন আজ
              র্দুদিন আসছে চুপিসারে, 
করুক্ষেতের মাঠ
              আজ প্রশস্ত হচ্ছে ধর্ম ধর্ম করে। 
তোমার লেখণীর খঞ্জরের ধারে
                আজ রোধ হোক মৌলাবাদের কন্ঠস্বর। 
প্রশয় দেব না
               গোঁড়া মৌলাবাদীদের
করবো না 
             ওদের আর ডোর। 
বিশ্বের থাকবে একটাই 
             ধর্ম,  মানব ধর্ম তার নাম
তোমার  লেখন শৈলীতে
               এটাই হবে স্লোগান।

তপন জানা




দেবী "মা "ই তোর মা
"""""""""""""""""""""""""""""""""


জয় মা দুর্গা বলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে,
হাজার মানু‌ষের ভিড়, দুহাত জড়ো করে।
প্রতিমা দর্শনের নামটি করে,
আড় চোখেতে তাকিয়ে দেখে দেবী অংগের ভাজ।
চক্ষু কটিদেশে, চায় বক্ষ মাঝে।
তাই তো সেদিন গলির শেষে,
পোড়ো বাড়ির ভেতর
বিবস্ত্র এক দেবী দেহ সাজিয়েছিস রক্ত সাজে।
"মা " "ম " বলে যার পায়েতে আজ লুটিয়ে দিলি মাথা।
সেদিন রাতের ঘন আধারে নিজের মা কে তাড়ালি,
দিয়ে দুঃখ, ব্যাথা।
দেবী মায়ের পুজোর কত আয়োজন, কত আড়ম্বর।
কিন্তু নিজের জন্মদাত্রী কে
পাঠিয়েছিস বৃদ্ধাশ্রমের এক চিলতে ঘর।
যার জন্য এত প্রসাদ, এত ভূষন
সাজিয়েছিস শ্রদ্ধা ভরে।
সেই মায়েরে দুবেলা দুমুঠো দিস না খেতে ঘরে।
"মা দুর্গা "র মূর্তি সাজালি দামি শাড়ি গহনায়,
সেই মা তোর ছেঁড়া কাপড়ে শুয়ে মাটির বিছানায়।
মৃন্ময়ী মা তো চিন্ময়ী রুপে
  সে যে তোর মা,
নিজের মায়েরা দিস না কষ্ট কর ভক্তি শ্রদ্ধা।
বিজয়াতে বাঁচিয়ে রাখিস একটু চোখের জল।
জন্মদাত্রী র জন্য ফেলতে হবে  ওই বাঁচানো জল।
নিজের মা কে শ্রদ্ধা করলে
   খুশি দেবী মা।
জন্মদাত্রী মা যে তোর দেবীরুপী মাতৃ প্রতিমা।
মেয়ে মানেই তো সুলভ, নয়তো লেহ্য চুস্য।
রাস্তার ওই মেয়েটি ও তো, তোর মা বোনের ই মতন।
নিজের মায়ের পায়ে মাথা রাখ,
দেবী মায়ের আগে।
তাহলেই তোর সব পাপ "মা "দেবেন ক্ষমা করে।

রানি মজুমদার




নবজাতক: অঙ্গীকার
*******************




বেশ্যা হও, বেশ্যা হওয়া তোমাদের জন্মগত অধিকার....আমরা পুরুষ, আমরা এনজিও, আমরা সমাজ !!.. .. মহিলার শরীরকে বাজার বানানোর যে যুক্তিটা যত্ন করে সকলকে বোঝানো হয়, তা হলো অভাব....শিক্ষার নাকি চাল ডালের ?... কিন্তু শিক্ষা দিয়ে  প্যান্টের তলায় মারাত্মক অস্ত্রটাকে কে কবে শান্ত করতে পেরেছে !...  আর অভাব. ? আমাদের নীচুপাড়ার সাঁওতাল মাসিরা প্রতিদিন সকালে দলবেঁধে মিস্ত্রীর কাজে যায় সেটাও তো অভাবের তাড়নাতেই...তবে ?....মনুয়ার স্বামী থাকতেও আরো একটা পুরুষ শরীরের প্রয়োজন ছিলো....কেন ?... কারন একটাই.সেটা তীব্র কাম যন্ত্রনা ....কিন্তু তাই বা কী করে হয় ?.. সেই তাড়নাতেই যদি কেউ শরীরকে ভাড়া খাটায় তাহলে জীবনে এত অন্ধকার কেন ?... এখানে একটা মজাও আছে, সম্মতিতে যৌনশিল্প আর অসম্মতিতে ধর্ষন !...অথচ দুটো ভাত কাপড়ের জন্য  নারী শরীরে প্রতিদিন তিরিশটা শরীরের দাপাদাপি এটা অত্যাচার নয় ?... ইঁদুর পচা ঘন্ধময় পেনিসকেও চুষতে বাধ্য করা  আরো ১০০ টাকা দিয়ে, এরপর পেছনে নাও, কুকুর সাজো..ইত্যাদি ইত্যাদি......যৌন কর্মী !!....নিজের নিজের ঘরের  মা  বোনেদের সুরক্ষিত রেখে "বাইরের"  ঘরের মেয়েদের অসহায় দেখতে আমরা খুব  ভালোবাসি, সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে আরো ভালো বাসি.... অসহায়  সেই বাজারের মেয়েটি কারোর বোন নয় ? কারোর মেয়ে নয় ?....অথচ এই ব্যবসাকেই শিল্প নাম দিয়ে আমরাই মুনাফা লুটি,.. যুক্তি দেখাই এদের জন্য নাকি আমাদের নিজের ঘরের মা বোনেরা সুরক্ষিত থাকে !!.. এদিকে তারা রয়ে যায় অন্ধকারেই তবে কারোবারিদের পকেট ভরে, লকপকানো পুরুষ অঙ্গ ঘন্টাখানেক তৃপ্ত হয়..... আমাদের পরম মাননীয়া  সিএমের  যখন কন্যাদের নিয়ে এত প্রকল্পের কথা শুনি....তখন বিশ্বাস করুন  মুখ লুকোনোর জায়গা পাই না.....অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছুট নাবালকও স্কুল ড্রেস ব্যাগে লুকিয়ে সোনাগাছির ঘরে ঢোকে.....সোনাগাছি, কাদারোডে যারা এই যৌন শিল্পের কারবারে নেমেছেন সেখানে ১৩ বছরের কচি মালও পাওয়া যায়.....এই মা, দিদি, বোনেদের ওপর প্রতিদিন চলা অমানুষিক অত্যাচারকে আমরা কেউ কেউ  নির্লজ্জ সমর্থন করি... অতএব " সে  মন্দিরে দেব নাই"....এ মন্দিরেও আর  আমাদের মনূষ্যত্ব নাই.....পড়ে আছে শুধু  "মানুষ"  নামক আমড়ার আঁটি....

আর রেপ টেপ দেখতে চান তো গুগলে আসুন...বৌদির শাড়ি ছাড়া থেকে স্নান....হস্ত মৈঃ থেকে হার্ড ফাকিং.....  OK আপনার কচি মাল পসন্দ  তাই তো ?স্কুল সেক্সে পেয়ে যাবেন....আছে   টিন সেক্স....১৬ বছরের যুবতীর সব কিছু. ...খিড়কি  থেকে সিংহদুয়ারের ভেতরের  সমস্তটা....বৌদি মানে লাখ লাখ বৌদি.....যুবতী মানে লাখ লাখ যুবতী.......হাতের মুঠোয়  ভ্যারাইটিস যৌনাঙ্গ....থেকে থেকে মেয়েদের মুখে আরামের আওয়াজ.....ক্লাস ফাইভের ছেলের দলও টিফিনে  স্কুলের মাঠে বসে  দেখে নিচ্ছে সব টুকু.....মাল  !!গুরু মাল !! ....মোমবাতি, বেগুনেই যদি শীৎকার হয়....তবে লোহার রোড, ভাঙা কাচের বোতল, গাছের গুঁড়িতে তো সুখ সাগরে  মাল ভেসে ভেসে  উঠবে....সন্দেশ খালির বৃদ্ধার যৌনাঙ্গ থেকে নাকি  নাড়ি ভূড়ি বেরিয়ে এসেছিলো.....গোপন অঙ্গ আর গোপন নেই, লজ্জাস্থানে আর লজ্জা নেই.....মা বাবা তাদের ছেলেকে মোবাইল না কিনে দিলেও ছেলে বন্ধুর মোবাইল থেকে দেখে নেবে XXX.....কচি মাথাতে যা ঢোকে তা রয়ে যায় বরাবর.....তবে?...  উপায় ?....কী হবে ভবিষ্যত- পৃথিবীর ??উপায় জানা নেই...তবে ভাবলে গা শিউরে উঠছে.....বিকৃতির যেন প্রতিযোগিতা চলছে....নৃশংসতায় আমার চেয়ে কে আগে !!. ২২ দিন যমে মানুষে টানাটানি, অবশেষে সেই মায়ের মৃত্যু ...সেই রাতের রেপ,  ভাঙা বোতল ঢোকানো যোনিদ্বারের  লাইভ ভিডিও যদি  নেটে এসে গেছে....তা দেখে কত শত পুরুষ অঙ্গ  যে প্যান্ট ভেজাবে তার ইয়াত্তা নেই....এদিকে ততদিনে সেই শরীর পুড়ে ছাই, জীবনেও, মরনেও.....সাড়ে তিন থেকে একষট্টি !!.... মহিলা  হলেই হলো....রাস্তার পাগলীটাও চলবে..... কে  দায়ী এ প্রশ্ন বৃথা. ..দায়ী আমরা নিজেরাই......জ্যাঠামো নাম দিয়ে সব সতর্কতাকে  তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মাশুল গুনছি আমরা........

শ্যামল কুমার রায়






বিসর্জন 
-----------


গিরিরাজ কন্যা পার্বতী তুমি, 
পিতৃপক্ষের অবসানে মর্ত্যে আবির্ভূত হও তুমি, 
খুশির জোয়ারে মর্ত্যবাসী ভাসে।
আনন্দের আগমন হয় তোমার সাথে,
 মর্ত্যবাসী ভালোবেসে তোমাকে আনন্দময়ী বলে ডাকে।
তোমাকে ঘিরে আছে পৌরাণিক কাহিনী কত ! 
কার্ত্যায়নের আশ্রমে পূজিত হয়েছিলে তুমি -
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী ।
দশমীর ঐ শুভ দিনে অসুর বধ করেছিলে তুমি ।
দেবতারা ফিরে পেল স্বর্গের অধিকার।
অশুভ শক্তির হল নাশ , 
শুভ শক্তির হল উচ্ছাস ।
পৌরাণিক ঐ উপাখ্যান যদি হয়ও প্রতীকী, 
অশুভ শক্তির বিনাশে তুমি চির ব্রতী ।
গীতার ঐ উবাচ নয় যে মিছে, 
ধর্মেরই প্রতিস্থাপনে তুমি আস যে মর্ত্যে ।
পৌরাণিক ঐ অসুরের তবু ছিল ন্যায় অন্যায় বোধ, 
আজকের অসুর ওসব থেকে বহু দূরে, 
নীতি, নৈতিকতার নেইকো বালাই ,
কামিনী, কাঞ্চনে আসক্ত এরা ভাই।
ভোগের বাসনা ভীষণ তীব্র, 
যোগ্যতার চেয়ে এদের প্রত্যাশা বেশি, 
সবকিছুই পেতে এদের ভীষণ তাড়াতাড়ি ।
আইনের শাসন এরা মানে না কখনও ।
এরা কোনও বিশেষ ধর্মের নয়, 
অপরাধীর কোনও ধর্ম হয় না জেনো, 
অপরাধীকে শুধু মানবতা বিরোধী মেনো ।
কোথাও এরা ধর্ষক, কোথাও ছিনতাইকারী, 
কোথাও বা ধর্মোন্মাদ , কোথাও জেহাদী ।
শিক্ষিত আর অশিক্ষিতে এখানে ফারাক নেই কোনও ।
মগজ ধোলাই করে এদের ফিদায়ে বানানো হয়। 
সন্ত্রাস  আর ধ্বংসে হয় উল্লাস এদের ।
এদের অত্যাচার থেকে বাদ যায় না কেউ, 
নির্ভয়া থেকে নিরীহ জনতা হয় এদের শিকার, 
এদের হাত থেকে বাঁচাতে মাগো অবতার আসা দরকার ।
এরা যে শুধু সমাজে আছে, তা কিন্তু নয় !
শিক্ষিত পরিবারেও কন্যা ভ্রূণ হত্যা হয়।
সুরক্ষিত নয়কো মানুষ সমাজের কোথাও ।
শিক্ষা নিকেতনেও শিশু নির্যাতিত হয়। 
তুমি তো বধিলে একটা অসুর , 
মনুষ্যরূপী অসংখ্য অসুর বধে মাগো অনেক দুর্গা দরকার, 
বর্ষব্যাপী যারা করবে এদের সংহার।

রাণা চ্যাটার্জী






মৃত্যু 
*****


                    

মৃত্যুর রঙ কে দেখেছো ? গাঢ় নীল না সবুজ ! 
মৃত্যু ঘন্টা বাজলে পরে,নিস্তব্ধতা,সব অবুজ । 
দিকে দিকে ওই লেলিহান শিখা,মৃত্যুর পরোয়ানা,
টিভির পর্দা,খবরকাগজে অকালে মৃত্যুর মুন্সিয়ানা

  জীবন ও মৃত্যু ব্ন্ধু প্রগাঢ়,হিম শীতল  গভীরতা , 
  মৃত্যু তো, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ,স্পন্দিত নীরবতা । 
  কিছু মৃত্যু তবু রোখা যায়, এলে পরেও মৃত্যু থাবা , 
 নারীশিক্ষা,সচেতনতা,জীবনকে সহজ ভাবে ভাবা।কতো সহজে মৃত্যুর গ্রাস, পুরুষ তন্ত্রের দেখি ধ্বজা
মাতৃ শক্তি হয়েও নারী,বয়ে চলে কতপাপের বোঝা

কোথাও মৃত্যু সরল মায়ের,জন্ম দেওয়ায় কন্যা , 
মেয়ের মুখে অ্যাসিড অ্যাটাক, বইলে রূপের বন্যা। আবার মৃত্যু গৃহ বিবাদ,মদ্যপ স্বামীর মাতাল গুনে,  
অসহ্য চাপে আত্মহত্যা,কেরোসিনে দগ্ধ আগুনে । 

আরো কতো বলি মৃত্যুর পথ,ধর্ষণ,খুন,পণ প্রথা , 
নারীর ওপর যত বাহাদুরি ,ছল চাতুরী ,কু-কথা ।
এই নারীই সৃস্টি কারী , সমাজের  ধারক বাহক,  
নয়কো নারী সেবা দাসী, কিংবা পুরুষ তুষ্ট গ্রাহক। 

তবু আজ বলি ,গর্বে ফুলি,নারী পুরুষের নেই ভেদ,
মৃত্যু আনে করাল ছায়া,জীবনহানি,হটাৎ পূর্ণচ্ছেদ।

অরিন্দম দাস





 "হায়রে সমাজ"
    -----------------



সত্যিই কি আমরা জীবিত
আর যদি জীবিত হয়...
তাহলে কেন আমাদের প্রতিনিয়ত
মরার অভিনয় করতে হয়,
বেঁচে থেকেও ।
কেন পারিনা আমরা
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে,
কিসের এত ভয়।
দোষ করে দোষী কেন মুক্তি পায় ?
উত্তর দেবে  আমায় ?
জানি
উত্তর নাই..
প্রতিদিনই সংবিধান তৈরি হয়,
টাকার খেলায়।
আর উকিল বুদ্ধি ও যুক্তি কে সাজিয়ে গুছিয়ে
অন্যায় কে ন্যায়,ন্যায় কে অন্যায়
প্রতিষ্ঠা করে।
হায়!এ কোন সমাজ
যেখানে শাস্তি পায় সাধারণ মানুষ,
মুক্তি পায় অপরাধী।।