নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ইমরান হাসান




বিসর্জন
********


রেখা বেদে দের মেয়ে, তার বিয়ে টা হয়েছিল অনেক অল্প বয়সে।তার একটাই দুঃখ তার পেট থেকে নতুন জীবন এর জন্ম হয়নি। সে বন্ধ্যা। সবাই তাই বলে থাকে। তবে তার মনে হয় না। কেননা তার মাঝেও মীনরূপ জলদেব প্রকট হন প্রতি মাসে। তার তিননদী তেও বান ডাকে প্রতি মাসের তিন দিন।

আজকে সে এই কারণেই এসেছে বরেন্দ্র মহাস্থান এ। এখান নিশুম্ব নামের এক মহাতান্ত্রিক এর বাস সে শুনেছে, সবাই নাকি তার দেখা পায় না। তবে সে আশায় আছে, সে হয়ত পেয়ে যাবে। কেননা সে শুদ্র দেবতার পূজারী। নিশুম এর ন্যায়।

রেখা মেঠোপথে এগুচ্ছে তার মাথার উপরে একটা ঝুড়ি। সেই ঝুড়ির মাঝে নানা রকম এর জিনিস। সে এগুলো বিক্রি করে বিভিন্ন এলাকা তে।

সে আসতে আসতে পৌছাল একটা গড় এর কাছে। ঢিবির মত উঁচু হয়ে আচ্ছে গড়টি। এখান থেকেই নিশুম্ব এর এলাকা শুরু।

সে পূজা করে এক অজানা অন্ধকার দেবতার। তবে তার অনেক নাম ডাক। সন্তান চাইতে গিয়ে যারা তার দেখা পেয়েছে তারা কেউই নাকি খালি হাতে ফেরেনি।

“সেইডা তো ঠিক আছে, কিন্তক তান্ত্রিক এর কাছে যাওনের আগে শুইন্না লও সে কিন্তক সব কিছুর একটা কইরা দাম লয়”

সে গরীব বেদেনি। এরপরেও সে চলেছে তার কাছে।

সবার অপবাদ সইতে পারে না সে। তার আর ভালো লাগে না বন্ধ্যার এই অপবাদ। তার স্বামীকে শুনতে হয় হাটকুড়া নাম।

কিছু না বললেও তার মুখ দেখলে পারে বোঝা যায়। যে তার ভেতর টা ছিড়ে যায়।

এই কারণে তান্ত্রিক যা দাম চায়, সে দিয়ে দেবে,

সেটা যা-ই হোক না কেন।

যদিও তান্ত্রিক চরিত্রহীন নয়। তাকে ব্রহ্মচর্য এর সাধনা করতে হয়। এই কারণে যদি সে তার সমস্ত সম্পদ চেয়ে বসে তাও পিছে হটবে না সে।সে হয়ত চাইবে তার জীবন , সেটিও দিতে সে রাজি। যদি সন্তান এর জন্মের পর সে তাকে বলি দেয় সে হাসতে হাসতে বলি তে উঠবে।

সে ভাঙ্গা দেউল এর কাছে এল। এই দেউল টা সেই পৌরাণিক যুগ এর। মহাভারত এর যুগের রাজা পুণ্ড্রক বানিয়েছিল নাকি এটা।
এর মাঝে এখনও আঁধার সেই দেবতার পূজা করা হয়। যার পূজা পুণ্ড্রক করত।
দেউলটা শুন্য। ভেতরে কেউ নেই , শুধু ছুঁচোর বিষ্ঠা ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে যেন নেই।

অন্ধকার এর একটা একটা করে স্তম্ভ যেন সবদিকে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে সে কোথায় পাবে সেই তান্ত্রিক কে। এটাই বুঝতে পারছে না।একদিকের ছায়া গুলো নাচছে যেন নাচতে নাচতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর অপর দিকেও ছায়ার নাচন দেখা যাচ্ছে। এই ছায়া গুলো কাঁপতে কাঁপতে ঘরের কোনাতে জড় হতে লাগলো , একটু পরে সে দেখতে পেল সেখানে ঘুলঘুলি এর কাছে একটা কৃষ্ণরঙের মানুষ বসে আছে। তার উপরে ছোঁয়া লেগেই ছায়া কাঁপছে।

সে গেল তার কাছে , সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতে গিয়ে তাকে থামিয়ে দিল সে।

তার ঠোঁট নড়ল না, কিন্ত স্পষ্ট বুঝতে পারল সে তার মনের ভেতরে কথা বলে চলেছে সে ,

“তুই হাটকুঁড়ে তাই লস কি?”
“হ স্বামীজী , হামি হাটকুঁড়া” সে বলল
“তোরে আমি বাচ্চা দিতে পারুম না, পারবি তুই, তুই পারবি, কিন্তক তোর মনের মইদ্ধে যে ভয় আছে তাক তাড়ান লাগবো, তুই তোর জন্য বাচ্চা আনবি ছাওয়াল আনবি, কিন্ত তোর বাচ্চা অইব, কাঁকড়ার বাচ্চার লাহান”

“এইটা কি কন”
“হ, যা কইতাছি মন দিয়া শোন। তুই এখান থেকএ গিয়া দীঘির জলে গা ধুইবি, তোর স্বামীরে নিয়া আইছস তো?”

“হ ,কিন্তক স্বামীজী আপনার এলাকাত তো পুরুষ মানা, তাই আনি নাই”
“এরপরে তোর স্বামীর লগে তুই নরলীলা করবি”
“তোর বাচ্চা হইব , কিন্ত কাঁকড়ার বাচ্চার লাকান হইব”
“ওর কি দাঁড়া থাকব? তাইলে তো সবাই তারে দানো কইব!”
“আরে না ও কাঁকড়া হইব না, কাঁকড়া তো হইবি তুই” যা আর দেখতে পাইবি না আম্রে তুই, যা”

একমুঠো ধুলো নিয়ে তার দিকে ছুড়ে দিল সে।তার চোখ জ্বালা করে উঠল, চোখ বন্ধ করল সে, তবে চোখ খুলে সে দেখে যে আর কেউ নেই। 

সে ফিরে এল, পরনের পোশাক নিয়েই নামল দীঘিতে, দীঘির পানি যেন কেমন আঁশটে একটা গন্ধ করছে যেন অনেক গাড় কিছু একটা পানিটা। এরপরে ডুব দিয়ে উঠল সে।

তার স্বামীর কুটির এর দিকে যাত্রা করল সে, এখানে এক বেনের কুটিরে আছে তারা , বেনে গেছে প্রাগজ্যোতিষ এ।
স্বামীর কাছে নিজেকে সঁপে দিল সে।

পরের দিন সকাল থেকেই, যেন নিজের মাঝে এক ধরণ এর পরিবর্তন এর ছোঁয়া পেতে শুরু করল সে, যেন কোন কিছু তার ভেতর থেকে টানছে, যেন কিছু একটা তার ভেতরে থেকে তার মাঝ থেকে বের হচ্ছে।

ধীরে ধীরে তার পেট স্ফিত হতে শুরু করল দুই তিন মাস এর মাঝেই, সবাই বুঝতে পারল সে মা হতে চলেছে।

তবে সে কিছুই বুঝতে পারল না তখনও, তবে তার মনে হত যেন খুব ধীরে ধীরে কিছু একটা তার ভেতর থেকে তার শক্তি কে শেষ করে ফেলছে।

তবে সেটা খুব বেশী না। এটা বুঝতে শুরু করল সে যখন থেকে ৬ মাস হতে লাগলো তার। তার পেট অস্বাভাবিক রকম এর ফুলে গেল। আর তার হাত পা গুলো যেন ছোট ছোট হয়ে গেল, সে সারাদিন শুয়ে থাকে বিছানার মাঝে,

এরপরেই শুরু হল শুকিয়ে যাওয়া, তার পেট এর ভেতর থেকে ধীরে ধীরে যেন সবকিছু সেই নতুন প্রাণ গ্রহণ করে নিচ্ছে। সে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে, তার পেট টা খোলস এর মত বড় হতেই আছে, আছে, এখন তাকে দেখলে মনে হয় চার হাতি একটা কাঁকড়া। তান্ত্রিক এর ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হচ্ছে যেন ধীরে ধীরে।

যেদিন এর প্রসব এর সময় আসল, দাই ভয় পেয়ে গেল, কেননা তার দেহ কাগজ এর মত হয়ে গেছে, এত পাতলা চামড়া।

ধীরে ধীরে সে যখন তাকে একটু একটু করে বাচ্চাকে এই ধরা তে নিয়ে আসল, তারা পেট ফেড়ে বের হয়ে এল, একদম তার মত দেখতে একটা মেয়ে আর তার স্বামীর মত একটা ছেলে। রেখার মুখে হাসি নিয়েই সে ঢলে পড়ল চিরনিদ্রা এর কোলে।

সে সেভাবেই জন্মদিল তার সন্তান দের কে যেমন করে কাঁকড়া মা তার সন্তান জন্ম দেয়, নিজেকে বিসর্জন দিয়ে, সে জানত এটাই হবে, এই কারণে সে এটা নিয়ে কখনই কিছুই বলেনি। তার শব কে পোড়াতে বা কবর দিতে রাজি হয়নি পুরোহিত মশাই, তিনি বলেন “এই কন্যা সাক্ষাৎ মাতৃ দেবী” তার শব মাটি ধারণ করতে সক্ষম হবে না, তার মাঝে এত শক্তি নেই, আমরা একে দেবীর ন্যায় বিসর্জন দেই মা গঙ্গার মাঝে, তিনিই তাকে দেখবেন,

নির্দিষ্ট দিনে লাল বেনারসি পরিয়ে তাকে ভাসিয়ে দেওয়া হল জাহ্নবী এর তীর থেকে। ধীরে ধীরে সেও যেন আরেক দেবীর ন্যায় বিসর্জিত হল গঙ্গার মাঝে। আসলে মাতৃত্বই তো দেবীর ধর্ম, আর তার মন্ত্র বিসর্জন এর গান। 



অনোজ ব্যানার্জী




বিসর্জন
********



"বিসর্জন " কথাটি,, একবারমাত্র ভাবলেই,কিএক গহীন, দুঃসহ, অসীম বেদনায় ডুবে যায়, আমাদের সকলের মন।
মগজের মধ্যে ঝিলিক মারে সর্বক্ষণ, কি যেন গেল হারিয়ে,কি যেন গেল ফুরিয়ে.....দেবদেবীর
পুজোর ঘট আনা হবে,পুজোর বেদীতে হবে তার আবাহন, পঞ্চপ্রদীপ জ্বলবে, ধূপ, ধুনোর সুগন্ধে,,  ঢাকের বাজনা, কাঁসির শব্দ ,শঙ্খধ্বনিতে ভরে যাবে মন্দিরপ্রাঙ্গন।
তারপর,,,,সমস্ত আমোদ,,হইহুল্লোড় যাবে ফুরিয়ে। আনন্দরা যাবে যেন কোথায় হারিয়ে,,,,
দিতে হবে বিদায়,,দেবদেবীকে,,,
ঘট বিসর্জন,,প্রতিমা নিরুঞ্জন,,,...
*******
এখন,,
পুজোর বেদীতে,, বসে বসে নিচ্ছে পুজো
যেসব রাক্ষসের দল,, দেশটাকে পাঠাচ্ছে জাহান্নামের অন্ধকারে যারা,,,
আরাম করে,আয়েস করে কাটেচ্ছে সুখের জীবন,,,
নিচ্ছে কেড়েকেড়ে  আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের পরশমাণিকটিকে,
তাদের দিতে হবে এবার বিসর্জন।
হাজার কুসংস্কার, পাপ,অন্যায়,দুর্নীতি, গুণ্ডামি,
অত্যাচার,, অনাচার,ধর্ষণ,
ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা,,প্রবঞ্চনা,
বোম,বারুদ, বুলেটে অগণন তাজা তাজা মানুষের অকারণ, রক্তপাত,,,কত শহীদের বেদনার্ত লাশের মিছিল,,
কত মায়ের কোল হলো খালি....
এসবের যারা করছে পুজো,,ভক্তিভরে,,
যারা দায়ী এসব কুকাজের জন্য,যে সব দানব ঘটাচ্ছে এসব কুকর্ম,,
আমাদের দেশমাতাকে করছে যারা কলংকিত,
অবিরত,,,,
দেশটাকে যারা দিচ্ছে বেচে বিদেশীদের হাতে,গরু-ছাগলের মত, এই সুন্দর পৃথিবীটাকে,  যারা দিচ্ছে ডুবিয়ে..
অনাদ্যন্ত, নরকের গভীর পঙ্কিলতায়,,
এবার আর তাদের কোন ক্ষমা নয়,,,
সুসভ্য সমাজের বেদী থেকে তাদের দিতে হবে
সমূলে বিসর্জন।
হবে বসাতে রাজসিংহাসনে,,
ভদ্র,সত্যনিষ্ঠ, বিচক্ষণ , দেশপ্রেমিক, বীর নেতাকে।। প্রস্তুত হও এবার ঘরেঘরে।।

মাধব মণ্ডল






হাত
---------




ইস, এ হাতে এখনো বসে
দুব্বো ঘাসের পাতা
একটু একটু কালচে ঘৃণাও
ঘর দালান উঠোন ফুঁড়ে
আসি আসি ভাব।

জিভ সব ভেঙে ভেঙে
কথা বা গান ছাড়ে
নদী বা পুকুর ঘাটে
আমার লোমশ বুকে
খুকি তুই কাকে যে খুঁজিস!!

গল্প গল্প মন তোর
এ হাত আলমারি পাক
নিদেনপক্ষে একটা তাক
পেয়ারার ডালে বুলবুলি
আর ফুটে থাকা থোকা থোকা ফুল।

কাল রাতে কেঁদেছিল খুকি
গভীর দুঃখ পেলে ও খুকি কাঁদে
সেই সুর আদি গঙ্গা খায়
ও হাতে এবার কি তুলেছিস?
কচি কচি দুব্বো? ঘৃণা?

পিয়াংকী মুখার্জী





প্রত্যয় 
*******



জলছবির অচেতন  জলোচ্ছ্বাস ,
আজ অনেকটা বিষাদ ভর্তি ফেলে আসা আকাশ  বাতাস !
মেঘ-মল্লার জমিয়েছে আসর,
 সরগম-তান-রাগ-রাগিণীর সমন্বয়ে ,
সেই লালচে বিকেলের আসরে বিলম্বিত দোসর !

পা ভিজলেও ভিজতে পারে মনের আয়নায়,
হৃদয় স্নাত হতেও পারে খুশির ঠমকে আর অঙ্গজ গয়নায়...

বিসর্জনের সুর যদি বাজে পূরবীর তালে...
আমার নূপুর বাঁধা পা নাচবে 
রাগাশ্রয়ী ইমনের  মীরের অন্তরালে ॥

জলাঞ্জলি জলছবিকে কাঁদায় না , 
এ বহিঃদেহী অন্তবৃত্তে পুঁতে দেয় আগুন ঝলসানো কিছু নির্মম  অক্ষর...

দহনের আগুন পোড়ায় না 
বরং কলমের বুক চিরে রোপণ করে অঙ্কুরোদগমের জন্মান্তর । 

এভাবেই , 
আগামী প্রজন্ম জন্ম নিক প্রত্যয়ী চিত্তে 
লৌহপ্রতিজ্ঞা সম্ভাবনা আঁকুক ছন্দসাজানো  মাত্রাবৃত্তে ॥

বন্দনা মিত্র





ভাতের গন্ধ
*********



অনেক রাত্রি শেষে নবান্নের ভোরে
ছেলেটা তাকিয়ে দেখে
সবুজ ধানের শিষে ভাতফুল ফুটে আছে ।
আশ্চর্য ফুলের ঘ্রাণে ম ম করে
পৃথিবীর মাঠ ঘাট ।
ক্ষুধা ঋতু শেষ হল নাকি ?
বিস্ময়ে আনন্দে রোমকূপে কদম্বের ছোঁয়া ।
 দুর্গা দালান জুড়ে সমারোহ , আলপনা ,
 বসুধারা দেয়ালের গায়ে -
ঢেঁকিঘরে শালি ধান,
ঢিমে আঁচে ঘন হয়  দুধ -
উনানের ধোঁয়া লেগে চোখে জল আসে ।
গরম ভাতের গন্ধ মনে করে নেশাগ্রস্ত  মাতালের মত
ছেলেটা তাকিয়ে থাকে ঝিম চোখে ।
বোধনের ঢাকে কাঠি  , নেত্রদান , কলা বৌ স্নান
আরতির ঘন্টা বাজে , অঞ্জলি শুরু হয় ।
অপূর্ব গন্ধ মাখা ছেলে মেয়ে
প্রতিমার মত মুখে প্রসাদের স্বাদ পায় ।
ছেলেটা তাকিয়ে থাকে ঝিম চোখে,
ভাতের গন্ধ শোঁকে , খিদে পায় ।
এবার সিঁদূর খেলা,  ভাসানের বোল ওঠে ,
প্রতিমার মুখে মিঠাপান, সন্দেশের গুঁড়ো –
সন্ধ্যার বিজয়া বাতাসে আকুল ভাতের গন্ধ,
ছেলেটার খিদে পায়, রাগ হয়।
অসম্ভব, খুনে রাগ,  রক্তমাখা আঙুলের নখে
আগুন ঝরানো রাগ ।
বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ, পোড়া শব, বারুদের ঝাঁঝ,
পুলিশের ভারী বুট,  সন্ধ্যার জ্ঞান গর্ভ আলোচনা ,
রাস্তায় নিয়মিত মোমবাতি ।
সবকিছু  পার করে জেগে থাকে
নবান্নের ভোরে,  অমিত ক্ষুধার ঋতু
উন্মাদ,  ক্ষুধিত,  ক্রুদ্ধ নগ্ন বালক এক,
চরাচর মেশামিশি বাতাসে ভাতের গন্ধ ।









প্রভাত মন্ডল





বিদ্রোহী কলম
   ==========
                        


হে কলম, 
     আর কত দিন থাকবে স্তব্ধ, 
তোমার টানে
      হয়ে উঠুক সারা বিশ্বে আজ বিদ্রোহ। 
তোমার লেখণী
        আর কত থাকবে, মৌন অসাড় বুকে, 
তোমার প্রতিটি ঘর্ষন
        আজ বিদ্রোহী হয়ে পৌঁছাক বিশ্ব দরবারেতে। 
তোমার রক্তের কালি দিয়ে
        আজ পঞ্জিকা লিখে মৌলাবাদের মুখোস দাও খুলে
তুমি ধর্মের নামে বজ্জাতি
          আর চলবে না তুলে ধর বিশ্ব আদালতে, 
তোমার লেখা ধর্মের নামে
           আর রক্তাত হতে দেবে না এই ভূবনকে। 
তোমার  ঘর্ষনে
            আজ জাগ্রত হোক মৃত আগ্নেয়গিরি দ্বার
তার লাভাতে জ্বলে 
             যাক যত গোঁড়া মৌলাবাদী নরখাদকের দল। 
জাগবার দিন আজ
              র্দুদিন আসছে চুপিসারে, 
করুক্ষেতের মাঠ
              আজ প্রশস্ত হচ্ছে ধর্ম ধর্ম করে। 
তোমার লেখণীর খঞ্জরের ধারে
                আজ রোধ হোক মৌলাবাদের কন্ঠস্বর। 
প্রশয় দেব না
               গোঁড়া মৌলাবাদীদের
করবো না 
             ওদের আর ডোর। 
বিশ্বের থাকবে একটাই 
             ধর্ম,  মানব ধর্ম তার নাম
তোমার  লেখন শৈলীতে
               এটাই হবে স্লোগান।