নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রূপা রায়





বিসর্জন
******


মায়ের আসা মায়ের যাওয়া
সবই বুঝি ভ্রম
মা কি কভু কখনো যায় রে বিসর্জন!
তবু যখন বলে লোকে
মা আসছেন ঘরে
আমি তাকে সদাই দেখি
মনের ও মুকুরে ।
মায়ের হাসি মায়ের স্নেহ
চারটি দিনের নয়,
আমার মা যে সারা জনম
 আগলে রাখে আমায়।
যখন আমি দিশা হারাই
কোনো পথের বাঁকে
মা  যে আমার আলো হয়ে
হাত বাড়িয়ে ডাকে;
চলার পথে এলেমেলো ক্লান্ত যখন পা
 স্নেহের শীতল পরশ তখন
আমার সোনা মা।
মায়ের হাতের কোমল ছোঁয়া
আকাশ হয়ে যায়,
দুর্গা মায়ের বিসর্জন
কভু নাহি হয়;
হয় যে  কেবল রূপের বদল
আদল একই থাকে
তাই তো সবাই আমার মতই
মা-কে 'মা' ই ডাকে।।


প্রবীর রায়






বদল চাই
*********






"সারে জাহা সে আচ্ছা" কথাটা কি শুধুই শব্দ-
ইতিহাস রচতে শান্তনা, নাকি অনুভূতি !
প্রতিটি ভারতবাসী হৃদে -ভ্রমের চাদর,
"হাম বুলবুলে হে উসকে-এ গুলিস্তাঁ হামারা"
আমরা কি সত্যিই মানি-একে অপরকে ভাই বলে !
কখনো কি আপন ভেবেছি-এই দেশকে,প্রাণকে !
"বন্দেমাতরম" শব্দটির অর্থ-আমরা কি আদৌ জানি !
যদি জানতাম নিজেদের শুধরাতাম,দেশ ও প্রাণকে বাঁচাতে,
বিপ্লবীদের রক্ত-বলিদান ,বৃথা যেতে দিতামনা কখনো !
নিজেকে প্রশ্ন করো ? নিজ মাতৃভূমিকে কখনো সন্মান করেছো !
জাতীয় সঙ্গীতকে কখনো তার পাওনা মর্যাদা দিয়েছো ! 
না! যদি করতে-সকলের কণ্ঠে একটাই গান ভাসতো প্রভাতে,
গানের প্রতিটি শব্দ কানে-কানে বাজতো আর অর্থটা রক্তে- রোমকূপে শিহরন জাগাতো,
হিংস্ররা ভেদাভেদ ভুলতো,ভাঙতো জাত-ধর্মের অদৃশ্য প্রাচীর,
নারী-শিশু-বৃদ্ধ সকলের অধিকার সমান হত-কেউ বেকার থাকতোনা !
সকলেই শির উঁচু করে বাঁচতো,গর্বে বলতো আমি ভারত বাসী !
কোনো শিশুই মূর্খ বা শ্রমিক হতোনা ! কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ঘরছাড়া হতোনা বা একলাও হতোনা সব হারিয়ে ! 
না আসতো দেশে ভ্রষ্টাচারী রাজনেতা-রাজনেত্রী,না হারাতো দেশের সম্পদ !
তবে এ কেমন স্বাধীনতা-কেমন মাতৃ সন্তান ! যারা নিজ মাকে খুন করে-ধর্ষণ করে উল্লাসে !
একজনও কি আছে ! যে চেঁচিয়ে বলবে-বদল চাই-বদল চাই-বদল চাই।।

পাপাই সেন





আগলে
,******


ধর্মভীরু মানুষ কিছু, ছাদে
মিথ্যে জ্বালায় টুনী
রক্ত গড়াচ্ছে চিকন রেখায়
আমি কাটামাথা গুনি।
চোখ থেকে দূরেই ধানেরক্ষেত
বালিতে পুরোনো রেখা…
কখন, কোথায়,কেন কী হচ্ছে?
হয়না তেমন দেখা।
তারা কত হিংসে জমায় আমি 
লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি,
স্বস্তিতে কত বস্তি পুড়ছে
তাকে আগলে রাখা যায় কি?
                          

কার্তিক ঢক্







সরলীকরণ 
**********



চোখেতে চোখ রেখে বলো
কতোটা সরলীকরণে হেঁটেছে ঝর্ণা-জল..
নুড়ি পাথরকেই সঙ্গ দিয়েছো বেশী। 
যতোটা নাব্যতা চেয়ে ছিলাম-
তার থেকে অনেক দিয়েছো নোনা-ঢেউ--
দাঁতালো মাছ আর জেলিফিশ... 

হাতে হাত রেখে বলো
হৃদয়-গ্রাহ্য হাওয়া দিয়েছো কতোটুকু--
আইভি-লতায় গন্ধ ফোটেনি এখনো
মৌমাছিদের হুলের তীব্র  চিৎকার... 
বাগান শুকায় ঝর্ণা-জল ক্ষিদে নিয়ে বুকে..

বৃষ্টি চাইতেই,  কান্না ঝরায় মেঘ ! 
ভেবে দেখো , ভিজছি দু-জনেই...

অভিজিৎ দাসকর্মকার





১ টি বৈধব্য সান-পাথরের গায়ে
*******************


১টি বনসাই মানিপ্লান্ট গাছের পাশটিতে
২টো প্লাস্টিক পাতা 
২য় ফুলটি শালুকপাতার উপরি তলের বুদবুদে জলজকোষ পড়ে
XY ক্রোমোজোমে পুরুষ-নারীর হাত ধরাধরি পড়ে
ভালদারামার গোল পড়ে, আর-
||
১ম কদমফুল হয়ে 
সাদা-কালো উত্তম-সুচিত্রা লেখে
'নীড় ছোট ক্ষতি নেই' শোনে-
কোমরে আদর জড়ানো বারান্দা বলে আর -
সামনে এসে দাঁড়ায় চাঁদ
গায়ে প্রুসিয়ান রঙের জ্যোৎস্নাকলা
||
চাঁদকলা আর সুর্যকোষের মেঘমিলনে 
বিশমিল্লাহর সানাই বেতার তরঙ্গের দরজা খোলে 
১ টি বাদাম গাছ বাড়িয়ে দিয়েছে বর্ষাসকালের রান্নাঘর  আর 
মেঘমল্লারের আলাপী নদী 
তাতে
||
১টি ডিঙি নৌকা তারই অব্যক্ত অবয়ব রেখেছে 
বাৎসল্যময়ী ১ টি বৈধব্য সান-পাথরের গায়ে...

পবিত্র কুমার ভক্তা






কলঙ্কমোচন
************



হুল আর দাপটের ভয়ে গদ্যময় নীরবতা
ভীড় করে আছে মানুষের ঠোঁটে
একলহমায় রাজনৈতিক জ্যামিতি বদলে দিতে পারে
ভোলেন কি করে?
সন্ধ্যেপাখির মতো গান গাওয়া ভুলে সাঁতার অন্ধকারে
একবার ভেবে দেখো কতটা উদাসীনতা বন্ধুত্বের বেঞ্চে
জরায়ুজ বিবেকের গর্ভপাতে নিষ্কম্প তুমি
একবার হৃদয়-লিটমাসে আঙুল ছুঁয়ে দেখ
কতটা পাপ জমেছে
প্রতিনিধি বেশে পুড়িয়েছ ভালোবাসা
একবার ছুঁয়ে দেখ মানুষের হাত
কি গভীর প্রত্যাশারা, মমতায় বোতাম টিপেছে
একবার অন্ধকার বিসর্জনে সকালের সোনালী ভালোবেসে দেখো
কাশের রঙ মেখেছে হৃদয়...