নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অমিত কুমার দাস



তোমার কি ইচ্ছে হয়না সর্বনাশ করতে?
***********************************



প্রতিদিনের গল্পগুলো লেখা থাকে ডায়েরিতে,
কথাকার থাকেন নামে বেনামে।
তুলতুলে বালিশে খটখটে মাথায় সর্বনাশী চিন্তা,
ভালোলাগার পরশে আবারও মাথা হয় তুলতুলে।

ওই লোকটাকে দেখেছ?যিনি একগোছা ঢেঁকিশাক তুললেন?বাড়িতে স্মিতহাস্যে বলবেন 'কিনে আনলাম'।

সেই বাবাটাকে দেখেছ?যিনি কাঁধের ব্যথায় কুপোকাত হয়েও চিনিকলে কাজ করে চলেছেন?ছেলের জন্য হরলিক্স আনবেন বলে!

পৃথিবীর কতরুপ তাইনা?
এসব দেখে তোমার কি ইচ্ছে হয়না সর্বনাশ করতে?
আবার নতুন করে গড়তে?

চিরঞ্জিত সাহা




তৃষ্ণা
******




দেয়ালের স্রোতে ধোঁয়া টিকটিকি সাজে ,
আদিম আরশি হাসে শরীরের খাঁজে
প্রেমহীন যৌনতা কন্ডম যুগে ,
মিশছে রক্তে নেশা,বিষের হুজুগে ।
সূর্য দেবতা কুন্তীর যোনি চিরে
সাদরে কুলীন মধ্যমাদের ভিড়ে ,
আটকে পার্থ ঊর্বশীর ওই বুকে
বৃহন্নলা ঘুমপাড়ানি বন্দুকে ।
তবু বনলতা আসে ঘৃণ্য স্বভাবে
ক্লিওপ্যাট্রারা হাসে ভুলের হিসেবে ,
হস্তমৈথুনের ক্লান্ত দুপুরে
তোর স্মৃতিদের ভিড় কেন কারাগারে? ?

রিয়া ভট্টাচার্য






ধর্মের দোহাই

 

আমরা ধর্মের সওদা করি,
ধর্ম ধুয়ে খাই....
আচ্ছা বলো চণ্ডীচরণ;
মানুষ কোথা পাই!!
ধর্মের নামে মানুষ নিধন....
বলি - কুরবানী সার,
ঈশ্বরকে কি পেয়েছ খুঁজে?
জানি পাওনি, মিথ্যে কপচেছ বেদ - কোরান '
আসলে তোমরা মানুষ চিনতে চাওনি।
দম্ভে করেছ পুঁথির বিচার....
শিক্ষা চিবিয়ে হয়েছ তোতাপাখি, 
আদপে বিচার করেছ প্রথাগত ডিগ্রির '
ভুয়ো ঔদ্ধত্যে ছোঁওনি মাটি।
তোমরা যারা পশু মারো ' গা ফুলিয়ে বলো "মোরা জায়েজ খিদমতগার"... 
আসলে তোমরা ঈশ্বর দেখোনি ' তার হয়না রক্তের দরকার।
বেদ - পুরাণ বলে এসেছে ঈশ্বর সবার পিতা,
তবে বলো হে মূর্খ ধর্মধ্বজী বলির কিবা প্রয়োজনীয়তা?
কুরবানী করে উল্লাস করো, গরীবের নামে দোহাই...
বলো কগ্রাস অন্ন জুগিয়েছ তার মুখে;
মনুষ্যত্বের করো বড়াই!!
খাদ্যশৃঙখল মিথ্যা নয়,
নয় মিথ্যা খাদ্য - খাদক আস্ফালন....
তবে কেন যুক্ত করো তাকে ঈশ্বরের সাথে??
দোহাই দেওয়ার কিই বা প্রয়োজন!!
আমি অত ধর্ম বুঝিনা..... 
বলতে পারো বিধর্মী কোনো কাফের,
হিন্দু - মুসলিম মানিনা ভেদ ' তুলে ধরি শুধু স্পষ্ট ছবিখানা,
এবার নাহয় মানুষ হও ; তবেই পাবে প্রকৃত ঈশ্বরের ঠিকানা।।

সুষ্মিতা কর





সমাজ
******



ক্ষুরধার লেখনীর আজ ভীষণ অভাব
অভাবই এ যুগের দেশবাসীর স্বভাব।
সাড়ে তিন বছরের শিশুর দেহে ছুঁচের অস্তিত্ব;
ধর্ষনের পূর্বে যৌনাঙ্গের মুখ কেটে বড় করার কৃতিত্ব
বা কামদুনিতে পৈশাচিক যৌনতার প্রমাণ
বার বার স্মরণ করায় নির্ভয়ার যন্ত্রণা, নারীর অপমান।
কোথায় এ সব আজ বুদ্ধিজীবীদের লেখায়?
না কি ভাবনাগুলো এখনও সৃষ্টি হয়নি মাথায়?
কেউ কি বাক্ স্বাধীনতাকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলল?
না কি সংবাদপত্রের পাতার সংখ্যা কমে গেল?
ভুল পৌরুষত্বের সুযোগ নেওয়া?
না কি লিঙ্গবৈষম্যকে প্রশয় দেওয়া?
প্রতিবাদ না করে চুপ করে যাওয়া
একেই কি বলে আগুনে জল সিঞ্চন করা?
এই সব ধারণা ত্রুটি দিয়ে গড়া
নিঃশ্বাসও নেয় না এ সব ছাড়া!
নিশ্চুপতা যখন ঘি হয়ে যাবে
এক চামচ ঘি-ই যজ্ঞকে পুনঃজীবন দেবে-
দাবানল ডেকে আনবে কলুষিত হওয়া লাজ
পুড়ে ছাই হয়ে যাবে তখনই বিভীষিকাময় সমাজ।

শুভম রায়




শরৎ
-------


আকাশে সূর্য ডুবল, 
ঘনিয়া নামল আঁধার ।
দূরে দূরে জঙ্গলে - 
মাঝে মাঝে জ্বলে 
ওঠে বাতি।
গ্রামের মাঝিরা নৌকা 
ঠেকায় পাড়ে।
সবুজ ঘাসের সাদা বাগান, 
দোলায় মাথা বায়ুর সাথে ।
শরতের ঠান্ডা বাতাস 
করে তোলে স্নিগ্ধ পরিবেশ ।
এই শরতেই আসবে, 
মোদের দুগ্গা মা ।
শরতের শুভেচ্ছা জানাই বাংলাবাসী কে ।


(ষষ্ঠ শ্রেণি ।
জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ।)

শুভজিৎ কোলে






কেও প্রতিবাদ করব না
================


স্বার্থের রাজনীতি,
ধর্মীয় উস্কানি,
মানুষে মানুষে বিভেদ,
রক্তাক্ত পথ ঘাট,
অশিক্ষার অন্ধকারে,
দেশ ভাগের চক্রান্ত,
এসবই ঘরে বসে বসে
তুমি আমি দেখব।
তবুও কোনো প্রতিবাদ করব না।
তুমি আমাকে বলবে
দ্যাখো তুমি এসব ব্যাপার নিয়ে,
রাস্তা ঘাটে কনো আলোচনা করোনা।
আমিও তোমাকে বলব
শোনো কারোর কাছে তুমি এইসব
ব্যাপারে আলোচনা করোনা।
আক্রোশে ফেটে যাবে বুকের ভিতরটা,
তবুও কোনো প্রতিবাদ করবনা।
তোমার ভেজা ঠোঁটে,
আলত চুম্বন দিয়ে শুয়ে পড়ব
রাত ঘুমের আশায়।
ঘুম আসবে না।
তোমারও না আমারও না।
মাথার ভিতরটা
গোলতাল পাকাবে।
দুজনে দুজনকেই বলবো
কি হলো এখোনো ঘুমাওনি?
রাত হয়েছে এবার ঘুমিয়ে পড়।
পরের দিন রাস্তা ঘাটে নিস্তব্দ,
কেউ কোনো প্রতিবাদ করবে না।
তোমাকে কথা দিয়েছি,
তাই আমিও প্রতিবাদ করব না।
তুমিও কথা দিয়েছো আমাকে,
তাই তুমিও প্রতিবাদ করবে না।